![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টানা হরর-থ্রিলার-একশন-এডভেঞ্চার ধর্মী বই পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। একটু ভিন্ন স্বাদের আশায় হাতে নিয়েছিলাম বুদ্ধদেব গুহের কিশোর উপন্যাস 'দুরের দুপুর'।
ব্রিটিশ শাসন আমলের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে কাহিনি। গল্পের মূল চরিত্র এক বালক-বুদুস, কলকাতার অধিবাসী। পুরো বই তিন অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে দেখা যায়, স্বদেশী আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা থেকে জীবন বাঁচানোর দায়ে বুদুস আর তার মাকে চলে আসতে হয় রংপুরে। সরকারি চাকুরেজীবী হওয়ায় বুদুসের বাবাকে থেকে যেতে হয় কলকাতায়। শহরের ছেলে বুদুস গ্রাম্য রংপুরে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করে। গ্রামের পরিবেশ, জীবনযাপন মুগ্ধ করে তাকে। গ্রামে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে পুঁটু। পুঁটুর সাথে আনন্দে কেটে যেতে থাকে বুদুসের জীবন। সেই সাথে ওর মনস্তত্ত্বেও আসতে থাকতে পরিবর্তন। গ্রামের শিউলিদিদি যখন জোরে ওর ঠোঁট কামড়ে ধরে, ব্যথা পেলেও বুদুস বুঝতে পারে এর নাম ভালবাসা। একসময় হাজির হয় বুদুসের বাবা। স্ত্রী-সন্তানকে নিতে এসেছেন তিনি। এরই মধ্যে এক মজার কান্ড ঘটে। বেশ কিছুদিন ধরে বুদুসের ঠাকুরমা দের গাই ফুলমনির দুধ উধাও হয়ে যেত। সবাই বুঝতে পারে তা সাপেরই কাজ। কিন্তু সাপ মারার জন্য বুদুসের বাবার আগমনের প্রতীক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। বুদুসের বাবা এসে তার বন্দুক নিয়ে প্রস্তুত হন সাপ মারার জন্য। সবার মধ্যে সে কী উত্তেজনা! মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে অবশেষে পাওয়া যায় এক জোড়া গোখরা। বুদুসের গুলি করে মেরে ফেলেন সেগুলো।
এবার কলকাতায় ফেরার পালা। শুরু হয় কাহিনির দ্বিতীয় অধ্যায়। কলকাতায় এসে বুদুস মুখোমুখি হয় নতুন পরিস্থিতির। এষা নামের একটি মেয়ে দোলা দিয়ে যায় ওর সদ্য কৈশোরে পা দেয়া মনে। সেই সাথে ধনি-গরীবের পার্থক্যাটাও স্পষ্ট ধরা দেয় ওর চোখে। এষার সাথে সম্পর্কটা গভীর হওয়ার আগেই শুরু হয় কাহিনির তৃতীয় অধ্যায়। সরকারি চাকুরীজীবী বাবার এবারের গন্তব্য বরিশাল।
লঞ্চে করে বরিশালে হাজির হয় বুদুসেরা। কিন্তু কেন যেন জায়গাটাকে আপন করে নিতে পারে না বুদুস বা ওর মা। রংপুর টানে বুদসকে। এখানে ডাকাতের উপদ্রব, অসাম্প্রদায়িকতার অভাব। এরই মধ্যে জাগে দেশ ভাঙ্গনের সুর। সরকারি আদেশ আসে, বুদুসের বাবাকে ফিরে যেতে হবে কলকাতায়। ফিরে যাওয়ার দিন লঞ্চে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো বাংলাদেশের দিকে ফিরে তাকায় বুদুস। আর হয়তো ওর ফেরা হবে না এই দেশে।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মোটামুটি ভালোই রিভিউ বলা চলে ।
৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:০৭
কালনী নদী বলেছেন: গ্রাম থেকে শহরে, এখানে শহর থেকে গ্রামে! রিভিউটা ভালো লেগেছে। বুদ্ধদেব গুহ এর দূরের দুপুর বইটা সংগ্রহ করতে হবে।
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রিভিউটা ভাল হলো না।
স্পয়লারে ভরপুর। বই সম্পর্কে পড়তে এসে বইয়ের কাহিনী জেনে গেলাম!
যাই হোক, বইটা পড়তে হবে।
গুহ আমার প্রিয়। ঋজুদা অতপর মাধুকরী। মাতাল করা সাহিত্যকর্ম তার
২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭
সাঈদ শিহাব বলেছেন: আসলে এভাবে না লিখে ঠিক বোঝাতে পারছিলাম না। আর পড়লে দেখবেন, ঠিক স্পয়লার দেইনি, কাহিনির ধাঁচ বলার চেষ্টা করেছি। বইটাতে মূলত কোন কাহিনি নেই যে স্পয়লার দেব। সাধারণ গতিতে এগিয়ে চলা ছোট ছোট গল্প নিয়ে পুরো কাহিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০১
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো