![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ করলাম বিশ্বজিৎ চৌধুরীর 'হে চন্দনা পাখি'। আমার পড়া লেখকের এটিই প্রথম বই। আর পড়ার পর 'মে-তেরা-জাবরা-ফ্যান-হো-গায়া' টাইপ ফিল হচ্ছে।
হে চন্দনা পাখি কেমন উপন্যাস? সোজা কথায়, হাহাকার জাগানিয়া। হুমায়ুন আহমেদের অপেক্ষা পড়ার পর শেষ কবে এমন শূন্যতা জেগেছে মনের ভেতর, স্মরণে নেই।
উপন্যাসের কাহিনি খুব সাদামাটা। মূল চরিত্র শিহাবের জবানে গল্প এগোতে থাকে। দুটো টাইমলাইন ধরে এগিয়েছে কাহিনি-শিহাবের অতীত কলেজ জীবন আর বর্তমান দাম্পত্য জীবন।
নাঈমার সাথে সংসার শিহাবের, আছে ছোট্ট এক মেয়েও-তৃণা। সরকারী চাকুরীজীবী শিহাবের কোন অভাব নেই। তবুও কেন যেন ছন্দ নেই সংসারে, কোথাও যেন সুর কেটে গেছে, অদৃশ্য কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে ওর আর নাঈমার মাঝে।
গ্রাম থেকে উঠে এসে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়েছে শিহাব। মায়ের দু:খ ঘোচাবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পড়াশোনায় কেটে যায় ওর সময়। ধরাবাঁধা এই জীবনে আচমকা আসে পরিবর্তন, অসময়ে ডেকে ওঠে কোকিল। কলেজ দাপিয়ে বেড়ানো বড়লোকের মেয়ে চন্দনার সাথে কিভাবে যেন প্রেম হয়ে যায় ওর।
চন্দনাকে নিয়ে ঘর করা হয়ে ওঠে না শিহাবের। (কেন ওঠে না? বইটা পড়ুন।) কিন্তু চন্দনা ছেড়ে যায় না ওকে। এমনই এক টানাপোড়নের গল্প 'হে চন্দনা পাখি'।
উপন্যাসের কাহিনি খুবই সাধারণ। কিন্তু লেখকের উপস্থাপনা পুরো উপন্যাসকে এক ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে।
মনের মধ্যে চাপা বেদনা জাগিয়ে তুলতে চাইলে বসে পড়তে পারেন প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটি নিয়ে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
সাঈদ শিহাব বলেছেন: পড়ে দেখুন। আশা করি ভাল লাগবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
তানিয়াজামানরুম্পা বলেছেন: এই বইটার কথা আমি আরও একজনের মুখে শুনেছি। পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন!