![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভয়ের তালিকা ঘাটতে গিয়ে পেলাম ৫৩৫ রকম ভয়ের নাম। প্রতিটির নাম অত্যন্ত গালভরা। অনেকগুলোর উচ্চারণে দাঁতকপাটি লাগার যোগাড়। মৃত্যুভয়ের নাম ‘থ্যানাটোফোবিয়া’ আর আততায়ীর হাতে খুন হবার আতঙ্কের নাম ‘ফনোফোবিয়া’।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই দুই আতঙ্কে ভুগলে মানুষ কোথায় যাবে? পুলিশের কাছে নাকি ডাক্তারের কাছে?
বাংলাদেশে থানা পুলিশ মানেই হ্যাঙ্গামের গল্প। মামলা নাকি জিডি, থানার গন্ডি, এলাকার এখতিয়ার এসব সমস্যার সমাধান হতে হতেই হয়তো ভয় পালিয়ে যাবে কিংবা ভয়টাই সত্যিতে পরিণত হবে।
তারপর? পুলিশ আসবে। গণমাধ্যমে সংবাদের চমকে জনতা চমকাবে। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীগণ (সকল আমলের এবং সকল দলের) আশ্বাস দেবেন। আর তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস করে সবাই একসময় ভুলে যাবে হত্যার গল্পগুলো।
আর যারা ভুলবেনা তারা অবিশ্বাসী। তারা অহেতুক সন্দেহবাতিক। তাদের রোগটির নাম হলো ‘স্কিজোফ্রেনিয়া’।
অতএব আপনি ধরে নিতে পারেন যে খুন হয়েছেন তারা সহ উগ্রপন্থিদের হিটলিস্টে থাকা বাকিরা ‘থ্যানাটোফোবিয়া’ এবং ‘ফনোফোবিয়া’য় আক্রান্ত। আর আপনি যদি তাদের কথা বিশ্বাস করে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা অবিশ্বাস করেন তবে আপনি ‘স্কিজোফ্রেনিয়া’র রোগি।
আবার ডাক্তারও যদি আপনাকে সুস্থ বলে সার্টিফিকেট দেয় তবে সে নির্ঘাত পাগল। সেক্ষেত্রে আপনি বরং দেশ ছেড়ে চলে যান। সুস্থ সরকার মানসিক রোগি হিসেবে আপনাকে দয়া করলেও চাপাতিওয়ালারা নেকির লোভে আপনার কল্লার স্থানাচ্যুতি ঘটাবেই ঘটাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:০৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আর কিছু বলা বাহুল্য হয়ে যাবে।।