![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ডুবে যাওয়া থেকে কাকে বাঁচাবেন মা’কে না বউ’কে?”
ভাইভা বোর্ডের খুব কমন একটা প্রশ্ন? স্যারেরা যেন মুখিয়ে থাকেন এ প্রশ্ন করার জন্য।
কিন্তু এত্ত কমন একটা প্রশ্ন যে আমার ভাগ্যে জুটবে এতটা কল্পনা করিনি। তাই অন্তর্জালে সচল থাকা এ প্রশ্নের হাজারো উত্তরের একটাও চোখ মেলে দেখিনি।
কিন্তু বিধিবাম! দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার ভাইভা বোর্ডের প্রশ্নকর্তা আমাকে পানিতে ডুবালেন। শুধু ডুবালেননা। আমার বিয়েও দিয়ে দিলেন। বিয়ে দিয়েও তার শান্তি নেই। আমার সাথে আমার মা’ আর সেই বধূকেও পানিতে ডুবিয়ে দিলেন।
ধরুন, আপনি আপনার মা আর বউ এর সাথে পানিতে ডুবে যাচ্ছেন। আপনার মা আর বউ সাাঁতার জানেনা। আপনার সামনে সুযোগ যে কোন একজনকে বাঁচানোর। সেই একজন হিসেবে কাকে বেছে নেবেন? মা না বউ?
- স্যার, আমি অবিবাহিত। কাজেই একমাত্র অপশন হিসেবে থাকলেন আমার মা।
- (বিরক্ত স্বরে) ধরে নিন আপনি বিবাহিত।
- স্যার, আমি নিজেই সাঁতার জানিনা। আমার আশায় থাকলে স্যার কারোরই আশা নাই। তিনজনেরই সলিল সমাধি নিশ্চিত।
- (গলার স্বর বেশ উচিঁয়ে) লেট মি বি ক্লিয়্যার। থ্রি অফ ইউ আর ড্রাউনিং। দেয়্যার ইজ নোওয়্যান টু সেভ ইউ গাইজ। ইউ আর দ্য অনলি ওয়ান হু ক্যান স্যুইম অ্যান্ড ইউ ক্যান সেভ অনলি ওয়ান বিটউইন ইওর মম অ্যান্ড ওয়াইফ। হু ইউলি বি দ্যাট লেডি।
- স্যার আমাদের কি বাংলাদেশের-ই কোথাও ডুবতে হবে?
- নট নেসেসারিলি।
- চীনের কোন স্পট হলে অসুবিধা হবে কি স্যার?
ভাইভা বোর্ডের তিনজনের একজন এতক্ষণ বড়বড় চোখে আমাকে দেখছিলেন। তিনি এবার বেশ বিরক্তির সাথে বললেন, এনিহোয়্যার ইন দ্য হেল অ্যান্ড আর্থ ইউ ক্যান সিংক। উয়্যি ডোন্ট কেয়ার। জাস্ট গো অ্যান্ড সেভ ওয়ান লেডি। অর আই উইল ড্রাউন ইউ।
- তাহলে স্যার, চীনের কোন নদীতেই আমরা ডুবে যাবো। আর স্যার, আমি সেক্ষেত্রে আমার মা’কেই বাঁচাবো।
- বাংলাদেশে সমস্যাটা কী ছিল? (ভাইভা বোর্ডের তিনজনই নড়ে বসেছেন। বল তখন আমার কোর্টে)
- স্যার, চীনে একটি আইন আছে যে, ‘ছেলে সবসময় তার মায়ের প্রতি দায়বদ্ধ, বউয়ের প্রতি নয়।’ সেই আইন ভেঙ্গে মা'কে ছেড়ে বউকে বাঁচালেই জেলের ভাত খেতে হবে। তাই মা ছাড়া উপায় নেই।
তিনজন পারলে আমাকে খেয়ে ফেলেন। একজন কোনমতে ঢোঁক গিলে প্রশ্ন করলেন, আপনি শিওর চীনে এমন কোন আইন আছে?
প্রায় এক বছর আগে কোথাও এমন একটা কিছু পড়েছিলাম। ভাসাভাসা স্মৃতির ওপর ভরসা করে ঢিল ছুঁড়েছি। সে কথা এখানে বলা যায়না।
মুখটা যথাসম্ভব স্বাভাবিক করে বললাম, সেন্ট পারসেন্ট স্যার।
-ওকে ওকে। ওয়েল এনাফ। মি. শামস্ , ইট উইল ডু।
তিনজনকে ধন্যবাদ দিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছি। হঠাৎ করেই আমাকে পানিতে চোবানো সেই প্রশ্নকর্তা বলে উঠলেন, ডু ইউ নো শামস্? ইউ আর কোয়াইট অ্যা ডেঞ্জারাস ম্যান। ইউ নট অনলি জাস্টিফাই ইউর ডিসিশসন্স বাট অলসো মেক আদার বিলিভ দ্যাট ইউ আর রাইট। ইউ ফোর্স দেম টু থিঙ্ক লাইক ইউ।
আমি কাষ্ঠ হাসি দিয়ে বেরিয়ে আসি। দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কেটে আমি তখন ক্লান্ত। আর সুদূর সেই চীন দেশের নদীতে আমার বউকে হারিয়ে এসেছি। মনটা শোকার্তও বটে।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:১৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ ভাইটামিন যুক্ত গল্প, নিশ্চিৎ ভালো লেগেছে
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০১
ছায়াপথের যাত্রী বলেছেন: "আর সুদূর সেই চীন দেশের নদীতে আমার বউকে হারিয়ে এসেছি। মনটা শোকার্তও বটে।"
---- এতদুর পড়ে না হেসে থাকা যায় !!!
হাসির কথা থাক.... আপনার শোকে আমরাও শোকার্ত।। আফটার অল কল্পিত ভাবীর সাথে না জানি কতো দিনের প্রেম-ভালোবাসা!!
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
ছায়াপথের যাত্রী বলেছেন: "আর সুদূর সেই চীন দেশের নদীতে আমার বউকে হারিয়ে এসেছি। মনটা শোকার্তও বটে।"
---- এতদুর পড়ে না হেসে থাকা যায় !!!
হাসির কথা থাক.... আপনার শোকে আমরাও শোকার্ত।। আফটার অল কল্পিত ভাবীর সাথে না জানি কতো দিনের প্রেম-ভালোবাসা!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৩৭
SRH Robin বলেছেন: ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।