নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্টো পথিক

সয়ূজ

আমি কী তাই যা আমি হতে চেয়েছি? আমি কী তাই যা আমি হতে পেরেছি?

সয়ূজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চটকদার চাটুকার এবং একটি ছবি বচন

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

গতকাল টিভিতে ভারতসফর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন দেখছিলাম সরাসরি। প্রশ্নগুলো যেমনই হোক প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিটি বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরে বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন অন্য রাজনীতিবিদদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে।
একটি গণমাধ্যমের পরিচালক উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে 'নেত্রী' সম্বোধন করে বললেন তিনি কোন প্রশ্ন করতে চাননা বরং ভারত সফরের কিছু কথা সকলকে জানাতে চান। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গি হিসেবে তিনি এ সফরের বিষয়ে সেদেশের জনগণের যে আগ্রহ, উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাস দেখেছেন তা না বললেই নয় এবং এদেশের জনগণকে সেগুলো না জানানো হলে তিনি নিজের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবেন।
তার মিনিট দেড়েকের কথায় চাটুকারিতার চটক এমন উৎকট ভাবে বেরিয়ে আসছিল যে পর্দার এপাশে আমি-ই লজ্জায় পড়ে যাচ্ছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী ভারতে যে যথেষ্ট গুরূত্ব এবং আতিথেয়তা পেয়েছিলেন তা রাজনীতির খোঁজ রাখা এবং গণমাধ্যমে চোখ রাখা যে কেউ একবাক্যে স্বীকার করবেন (বিরোধীরা হয়তো সরাসরি স্বীকার না করে সফরের লবডঙ্কা ফলাফলটাই সামনে টেনে আনবেন)।
কিন্তু প্রথম সারির এক গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক মহারথির এমন নির্লজ্জ উপস্থাপনা পুরো বিষয়টাকে খেলো করে দিয়েছে।
আজ ফেইসবুকে আবার অনেকে একটি ছবি শেয়ার করছে। ছবির বিষয়বস্তু হলো 'প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য ভারতের রাস্তায় লোকের ভিড়'। গতকালকের সংবাদ সম্মেলনে সেই ব্যক্তিও ইনিয়ে বিনিয়ে ঠিক একথাই বলছিলেন। ছবির সত্যতা সমন্ধে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আপত্তি আছে ছবির ক্যাপশন বা ছবির বিষয়বস্তুকে নিয়ে ইতং-বিতং লেখায়।
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সরকার প্রধানদের চলাচলের সময় নিরাপত্তার খাতিরে কিছু রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়। বাংলাদেশের জনগণ এটা নিয়ে যতই ক্ষ্যাপাটে বা বিরক্তিসূচক প্রতিক্রিয়াই দেখাকনা কেন, এটাই নিয়ম।
এবার ভেবে দেখুন, প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের জন্য একটি ব্যস্ত রাস্তা আর তার আশেপাশের শাখা রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হলো। তো রাস্তায় থাকা জনগণ কি আর কর্পূরের মত উবে যাবে না যাদুমন্ত্রে গায়েব হয়ে যাবে? তাদের ঠাঁই হয় রাস্তার পাশে পুলিশ ব্যারিকেড ঘেঁষে।
তারা কি প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার আশায় সবকাজ ফেলে দাঁড়িয়ে আছেন? প্রধানমন্ত্রীর একনিষ্ঠ সমর্থকরাও বোধহয় এমনটা ভাববেননা।
ভারতেও খুব সম্ভবত এই কথাটি সত্য।
বিশ্বভারতীতে 'বাংলাদেশ হাউজ' প্রতিষ্ঠা এবং প্রধানমন্ত্রীর 'ডি-লিট' ডিগ্রীলাভ এদুটোই কিন্তু অনেক বড় ঘটনা। চাটুকারেরা লাভের খাতায় রং চং চড়াতে চাইলে এ দুটোকেই সামনে আনতে পারেন। অযথা, চর্বিত চর্বণের কী প্রয়োজন?
তার চাইতে বরং প্রধানমন্ত্রীর প্রকৃত উন্নয়নগুলো নিয়ে সকল অপপ্রচারের জবাব দিয়ে এবং সরকারের উন্নয়নগুলোর সঠিক এবং নির্মেদ প্রচারণাতেই দেশ, জাতি, দল সকলেরই মঙ্গল।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৬

শিখণ্ডী বলেছেন: সাংবাদিকদের দোষ দিয়ে আর কী করবেন? দেশের সব কটি পত্রিকার মালিকরা একেকজন শিল্পপতি। এরা পত্রিকা চালায় তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ীকে ঘায়েল করতে, নিজের পক্ষে প্রচার চালাতে তথা ব্যবসা বাড়াতে। তো সেখানে শুরু থেকেই প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত সাংবাদিকদের আপস করে মালিকের স্বার্থ রক্ষা করে মন যুগিয়ে চলতে হয়। এরা এখন তাই অমেরুদণ্ডী প্রাণী :((

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪২

সয়ূজ বলেছেন:

৩| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: চাটুকার না হলে কি এই সরকারের আমলে ভালো থাকতে পারবে তারা? ছেলে মেয়েদের বাইরে পড়াতে অনেক খরচ হয়।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩১

সয়ূজ বলেছেন: ঠিক ঠিক

৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.