নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্টো পথিক

সয়ূজ

আমি কী তাই যা আমি হতে চেয়েছি? আমি কী তাই যা আমি হতে পেরেছি?

সয়ূজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেক প্রথমের সেই ইদ

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০২

দু'বছর আগের কোরবানি ইদ। চরম অর্থসংকটে আমরা। আমি বেকার প্রায় মাস পাঁচেক। আমার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখি দেখি করছে। এমন অবস্থায় কোরবানি কোনভাবেই সম্ভব নয়।
বাবার দিকে তাকানো যায়না। আমরা পরিস্থিতি মেনে নিলেও বাবা যে কোনভাবেই মানতে পারছেননা, সেটা তার দৃষ্টিতেই স্পষ্ট। আমাদের যতটা স্বচ্ছলভাবে তিনি বড় করেছেন, নিজে বেড়ে উঠেছেন তারচেয়েও বিলাসিতায়। জীবনে প্রথম - এহেন পরিস্থির ধাক্কায় সব্বাই বেসামাল।
ইদের আগেরদিন সন্ধ্যায় বাসার দরজায় তার আবির্ভাব। পাড়ার এক লোক। ছিঁচকে মাস্তানি এবং লোকের কাছে চেয়ে-চিন্তেই তার পরিবার চলতো। তার দোষের শেষ নেই। কিন্তু, ছেলেটিকে বড় করতে পেরেছেন মোটামুটি। ছেলে সংসারের হাল ধরতেই চাকা ঘুরে গেছে।
তিনি এসেছেন বদ্ধ মাতাল হয়ে। তার সামান্য কিছু গুণের একটি হলো আমার বাবার প্রতি তার অন্ধ ভালোবাসা। বাবা দরজা খুলতেই তার হাউমাউ কান্না।
- ভাই, আপনি আমার ভাই। আমার একটা কথা আপনাকে রাখতেই হবে। আমার দুই গালে জুতা মারেন ভাই। তাও আমার কথা শুনতেই হবে।
আমরা অবাক চিত্তে নির্বাক দর্শক। উনি বলেই চলেছেন, "আমার বেয়াদবি হলে আমাকে যা ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। তবুও ভাই..."
উনার কান্নার দমকে কাহিনীর কিছুই বুঝতে পারছিনা। শেষমেশ তার ছেলে এসেছে যা জানালো তার সার হলো, "জীবনে প্রথম উনারা এবার গরু কোরবানি করছেন। তাও পুরো। উনার ইচ্ছা আত্মীয়দের জন্য যে ভাগ তার পুরোটাই আমাদের দেবেন। কিন্তু, বাবা যদি কিছু মনে করেন..."
বাবার চোখে পানি। রাতের আবছা আলোয় বোঝা সম্ভব নয় তা লজ্জার না অন্যকিছু। মাতালের সাথে তর্কে যেতে নেই। তাই তার কথাই সই। সে ছিল আমাদের এবং তাদের অনেক প্রথমের ইদ। আর, আমার জন্য শিক্ষার। জীবনের চরমতম শিক্ষার সাথে কোরবানি ইদের প্রকৃত শিক্ষার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনার জীবনের কথা জানলাম।

ঈদ মোবারক।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৮

সয়ূজ বলেছেন: ইদ মোবারক।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃসময় কারো চিরকাল থাকে না।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের গোটা জীবনটাই একটা শিক্ষাক্রম। সিলেবাস ছাত্রের অজানা, কিন্তু শিক্ষকের নিখুঁত পরিকল্পনায় প্রণীত। আপন গৃহের শয্যাকক্ষ থেকে বহির্জগতের শেষ সীমা পর্যন্ত গোটা পৃথিবীটাই আমাদের পাঠশালা।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই ঠিক বলেছেন।সহমত উনার সাথে
ভাল লাগল- একটু অন্যরকম কিছু

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোনও এবাদতই লোক দেখানোর জন্য হওয়া উচিত না। তবে আপনার প্রতিবেশির অন্তরে কি ছিল তা জানি না। এটা ভালো উদ্দেশ্যেও হতে পারে।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার ঐ প্রতিবেশীই হচ্ছে প্রকৃত মানুষ। ভদ্রলোকদের মাঝে এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

ওমেরা বলেছেন: আমাদের জীবনে প্রায় প্রতিদিনই এমন কিছু ঘটে যা আমাদের জন্য শিক্ষনীয় কিন্ত আমরা খেয়াল করে দেখি না আবার দেখলেও অনুধাবন করি না ।

আপনাদের এখন কি অবস্থা , আশাকরি ভালো অবস্থায় আছেন ।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

সয়ূজ বলেছেন: একদম।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

সয়ূজ বলেছেন: ঠিক।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

সয়ূজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

সয়ূজ বলেছেন: উদ্দেশ্য ভালোই ছিল।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

সয়ূজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

সয়ূজ বলেছেন: স্রষ্টার কৃপায় ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.