![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই পড়তে ও স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি । পেশায় ছাত্র শিক্ষক দুটোই। মাস্টার্স করছি এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে আছি ৮-৯ মাস হল। অনেক অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে হয়। কত-শত মানুষ, কত হাসি, কত গান, কত দুঃখ! কিন্তু হায়, লেখক হিসেবে আমার ক্ষমতা খুবই সীমিত! সাহিত্যের কিছু বুঝি না। যা ভালো লাগে তাই পড়ি। অনুগ্রহ করে ভুল গুলো ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
রাজকন্যার সেদিন মন খারাপ ছিল
তার রাজপুত্র আসে নি যে!
আমি তাকে সেদিনের রাতটা দিয়ে বললাম,
‘এই রাতটা তোমার হল,
এই সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল ভোর-
পুরো রাতের মালিকানা তোমার,
রাতের আকাশ, রাতের চাঁদ- সবকিছুতে তোমার একচ্ছত্র আধিপত্য।‘
রাজকন্যা হাতে রাত নিয়ে
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, শুধালো,
‘রাত নিয়ে আমি কি করব? ঘুমাবো?’
আমি কষ্ট পেলাম খুব, ব্যাথাভরা চোখে তাকে বললাম,
‘আমার কাছে যে আর কিছু নেই!‘
এক সন্ন্যাসী আমায় বর দিয়েছিল,
‘এই পৃথিবীর তিনটে রাত তোর।‘
আমি তাকে বলেছিলাম,
‘আমায় বরং সোনাদানা টাকাপয়সা দিন,
বড় অর্থকষ্টে আছি।‘
সন্ন্যাসী হেসে বলেছিল,
‘তোর যা লাগবে তাই তোকে দিচ্ছি।‘
সেই তিনটে রাত পকেটে নিয়ে
আমায় কবি হয়ে যেতে হল।
আমি কবি হতে চাই নি কখনও,
কবিরা বড় গরীব, বড় অপদার্থ হয়।
সেদিন রাতে রাজকন্যার মন ভাল হয়েছিল,
আস্ত একটা রাতের মালিক কখনো
মন খারাপ করে থাকতে পারে না।
আর আমাকে সেদিন মারা যেতে হয়েছিল,
এমনটাই নিয়ম,
আমার রাত যে তখন রাজকন্যার কাছে।
আমি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পুরোটা সময়,
আমার মৃতদেহ নিয়ে বসেছিলাম।
সেই সন্ন্যাসী আমাকে বলেছিল,
‘তিনটে রাতই যদি হারিয়ে ফেলিস তবে তোর পুরোপুরি মৃত্যু হবে।‘
তাই তো আমি ভয়ে ভয়ে থাকি,
রাতগুলো পকেটে নিয়ে ঘুরি সারাক্ষণ,
হারিয়ে যেন না যায় আবার।
সেদিনের পর রাজকন্যাকে আমি
আরেকটা রাত দিয়েছিলাম,
আর মনে মনে বলেছিলাম,
‘রাজপুত্রকে তুমি ভুলে যাও,
এই ছেলেগুলো কখনো ভাল হয় না,
দুঃখ দেওয়া ছাড়া প্রেমের আর কিছুই জানে না তারা।‘
মাঝে বেশ কিছুদিন পর
আজ রাতে রাজকন্যার সাথে দেখা হয়েছিল আমার।
তার ভারী মন খারাপ,
রাজপুত্র তার আসে নি যে!
আমি রাতের আকাশের দিকে তাকাই,
নতুন ওঠা চাঁদটা বড় সুন্দর লাগে,
একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে বুক থেকে,
মারা যেতে আমার একটুও ভাল লাগে না!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০১
ছেলেমানুষ_ বলেছেন: ধন্যবাদ স্টিভেন রিয়াদ, আমার ব্লগে স্বাগতম।
মারা যেতে ভাল লাগে না, তবুও কবিদের মারা যেতে হয়
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি বোক কবির মরন কেউ ঠেকাতে পারবে না
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৩
ছেলেমানুষ_ বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু। এত বোকা কবির মরন কে ঠেকাবে বলুন? রাজকন্যা চেষ্টা করলে হত, কিন্তু রাজকন্যারা ফিরেও তাকায় না।
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৫
শায়মা বলেছেন: আহারে তবুও রাজকন্যাটা কিচ্ছু বুঝলোনা।
খুব সুন্দর লেখা আপুনি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১
ছেলেমানুষ_ বলেছেন: রাজকন্যা কিছুই বোঝে না কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করে। কী করা
আজ্ঞে (একটু কেশে) আমি আপুনি নই, ভাইয়া বললেই চলবে
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: তৃতীয় রাতটি তোমার পকেটেই থাক।
মরতে হবে না তোমার।
বেঁচে থাকো অন্য কোনও ভোরের অপেহ্মায়।
যদিও দিশেহারা তবুও তো রাজপুত্র।
লেখা ভালো লেগেছে।
কিন্তু এভাবে রাজপুত্রের দুর্নাম
/রাজপুত্রকে তুমি ভুলে যাও,
এই ছেলেগুলো কখনো ভাল হয় না,
দুঃখ দেওয়া ছাড়া প্রেমের আর কিছুই জানে না তারা।‘/
কষ্ট পেলুম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৬
ছেলেমানুষ_ বলেছেন: রাজকন্যা মন খারাপ করে থাকবে আর কবি রাত পকেটে নিয়ে ঘুমাবে! কাভি নেহি!! কন্যার জন্য কবির জান সর্বদাই হাজির...
এতো হল শুধু রাজপুত্রের কথা..... জারা দিশেহারা রাজপুত্র তারা ভাল প্রেমিক হয়
কবিতা ভাল লেগেছে যেনে খুব ভাল লাগল, রাজপুত্র ভাই
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
শায়মা বলেছেন: ওপস স্যরি ভাইয়া।
তারমানে তুমি কবি টা আর উপরে একজন রাজপু্ত্র( দিশাহারা রাজপু্ত্র) দেখা যাচ্ছে। সাবধান তার থেকে তোমার রাজকন্যা চুরি করতে এসেছে মনে হচ্ছে।
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: উদারতা দেখাইতে আসিয়াছিলাম।
মনিরা আপুনির কথায় ভেবেছিলাম বোকা কবিকে বাঁচিয়ে দেই।
চোরের অপবাদ পকেটস্থ করতে হইল।
সে যাক রাজক্ণ্যা বলে কথা। এটুকু অপবাদ পানি দিয়ে নির্দ্বিধায় হজম করে ফেলব।
(শায়মাপু)
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
স্টিভেন রিয়াদ বলেছেন: দারুণ হয়েছে।
" একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে বুক থেকে,
মারা যেতে আমার একটুও ভাল লাগে না!"
এই লাইনটা হৃদয়া চুয়ে গেছে।