নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাব্বির আহমাদ

শাব্বির আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে শুরু হয়েছিল বগুড়া মেডিকেলের ঘটনা? (যা হলুদ পত্রিকাগুলোতে আসে নাই)

০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩১

মহিলা ইন্টার্ন ডাক্তারকে ইভ টিজিং করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল ইন্টার্ন চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এলাকার রোগীর বখাটে আত্মীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ। কান ধরে ইভটিজারকে ওঠবস করানো, হালকা পাতলা উত্তম মাধ্যম।
কোন ভাই নিশ্চয়ই বোনকে এরকম উত্যাক্ত করা সহ্য করবে না। বগুড়া মেডিকেলের ইন্টার্ণভাইরাও করে নাই।

(পেপার যে টুকু আসে নি মোটেও)

"রোগীর আত্মীয়- এই যে ডাক্তার আপা, ফ্যানের সুইচটা একটু টিপ্যা দেন তো

ইন্টার্নী ডাক্তার- ফ্যান সুইচ তো আপনার বেডের কাছেই আছে, এছাড়া এটা কি আমার কাজ নাকি?

রোগীর আত্মীয়- সরকার আপনাদেরকে বেতন দেয় না? সামান্য একটা সুইচ টেপার কথা বলতেই রেগে যাচ্ছেন।

ইন্টার্নী ডাক্তার- সরকার কি আমাকে সুইচ টেপার জন্য বেতন দেয়? এছাড়া এই শীতের দিনে আপনার গরম লাগে কেন? ফাজলামো করেন?

রোগীর আত্মীয়- আপনার মত মাল ওয়ার্ডে থাকলে গরম তো লাগবেই।"

এভাবেই শুরু হয় বগুড়া মেডিকেলে গণ্ডগোল। প্রথমে ইন্টার্ন কয়েকজন। এসে মৌখিকভাবে বকা দিয়ে চলে যায়। এরপর সেই ইভটিজারের সঙ্গীসাথীরা ইন্টার্নডাক্তারের রুমে গিয়ে ডাক্তারের কলার ধরে মারধর করে।

এরও বেশ পরে ইন্টার্ন সংগঠিত হয়ে পরিচালকের রুমে বিচার দেয়। সেখানে রোগীর লোক এসে হুমকী ধামকি দিতে থাকে। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এলাকার লোক। কার কার চাকরি খাবে সেই হুমকী দিতে থাকে।

ইভটিজারের মুখে উল্টো হুমকী। আর সহ্য করে নি শজিমেকের (বগুড়া) ইন্টার্ন ভাইরা। এরপর পরের ঘটনাটুকু পত্রিকায় আসছে। আপনারা বাকিটুকু পেপারে পড়েছেন। প্রথম থেকে ইভটিজিং এর সমস্ত ঘটনা মিডিয়া চেপে গেছে।

কার্টেসিঃ ডাঃ মাহফুজুর রহমান

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: !:#P !:#P !:#P

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৫২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভিন্ন কিছু জানলাম
''আপনার মত মাল ওয়ার্ডে থাকলে গরম তো লাগবেই।" ভয়াবহ কথা

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখানে ইভ-টিজিং এর কিছু দেখলাম না, নীচু মানের কথা কাটাকাটি আছে; আপনি ইভ-টিজিং বুঝেন না।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৪

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: @চাঁদগাজী
আপনার মত মাল ওয়ার্ডে থাকলে গরম তো লাগবেই।
মেয়েটিকে মাল বলে সম্বোধন করার পরও বলছেন সেটা ইভ টিজিং নয়? কেবলই নীচু মানের কথা কাটাকাটি?! ইভ টিজিং কি এবং কোন কোন আচরণ টিজিং এর মধ্যে পরে সেটা বুঝিয়ে দিলে কৃতার্থ হই।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২১

করুণাধারা বলেছেন: এই স্ক্রিপ্টটা কি আপনার নিজের লেখা? বেশ ভাল হয়েছে। আপনি বাংলা সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসাবে ভাল করবেন।
ইন্টারনি ডাক্তাররা ছেলেটাকে ধরে পেটাচ্ছে সেই ভিডিও আছে কিন্তু আপনার এই সংলাপ সমৃদ্ধ ভিডিও কই?

বাবার স্ট্রোক করেছে, মৃত্যুশয্যায় আর ছেলে সেইখানে দাঁড়িয়ে ইভ টিজিং করছে!!!

ইন্টারনী গুলোর শাস্তি কম হয়েছে, এদের হাত গুলো ভেংগে দিলে ঠিক হত।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন পক্ষের কথা যে বিশ্বাস করবো। 'মাল' না বললেও ফ্যানের সুইচের জন্য ডাক্তারকে কেন বলবে সে? আয়া, নার্স নাই? আর যে কোন জায়গায় কাজের জন্য 'আপনাকে বেতন দেয়া হয়না' এ ধরনের মন্তব্য করাটা উচিতও নয়...

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

মানবী বলেছেন: পরের ঘটনা জানা নেই, পত্রিকা পড়া হয়নি তবে পোস্টে বর্ণিত ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।

প্রথমত ইন্টার্নী ডাক্তারের উচিৎই হয়নি রুগীর আত্মীয়ের কথার জবাব দেয়া। মনে রাখা জরুরী শুধুমাত্র রুগী ও রুগীর রোগ সংক্রান্ত বিষয়ই তার আত্মীয়ের সাথে চিকিৎসকের আলাপ হতে পারে, অন্য কিছু নয়। এক্ষত্রে ইগনোর করে চলে যাওয়া উচিত ছিলো, নার্স বা ওয়ার্ডবয় ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করতে পারতো।
ইন্টার্নী খুব বেশী হলে সি এ কে জানাতে পারে। সুপারিন্টেন্ড আর তাঁর সিকিউরিটি স্টাফরা এমন পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করবে, চিকিৎসকরা নয়।


নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র থেকে প্রখ্যাত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এমনকি ক্ষমতাসীন মন্ত্রীদেরকেও রুগী হিসেবে পেয়েছি কখনও কোন ইতর রুগী বা রুগীর ইতর আত্মীয়র মোকাবেলা করতে হয়নি। আজকাল দেশের পরিস্থিতি, রাজনৈতিক চিত্রপট সব কিছুই খুব নোংরা মনে হচ্ছে!

দেশের আইন ও তার প্রয়োগ হলে কোন ইতর এমন ধৃষ্টতা দেখাবার স্পর্ধা পেতোনা।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ শাব্বির আহমেদ।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

মানবী বলেছেন: করুণাধারার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারছিনা কি ঘটেছে!!!
ইন্টার্নীরা কেনো মারবে কাউকে?

প্রতিটি হাসপাতালে সিকিউরিটি, দারোয়ান আছে এধরনের অপ্রিয় পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য!

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

শাব্বির আহমাদ বলেছেন: "ফ্যানের সুইচটা একটু টিপ্যা দেন তো" এই কথার অর্থ বোঝেন না? এখানে কোন সুইচের ইঙ্গিত ছিল?

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০১

শাব্বির আহমাদ বলেছেন: আপনার বোনকে যদি কেউ একটু "সুইচ টিপ্যা" দেয়ার কথা বলত, তাহলে বুঝতেন। "মাল" কথা পর্যন্ত যাওয়া লাগত না।

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

শাব্বির আহমাদ বলেছেন: "এক ফ্যান সুইচ অন করার জন্য" অথবা "আপা" বলে সম্বোধন করার জন্য নিশ্চয়ই ইন্টার্ণডাক্তাররা কাউকে মারবে না,এটা নিশ্চয়ই বোঝেন।

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কেনো যে ডাক্তাররা এহন সাংবাদিক হইতাছে না বুঝতে পারতাছিনা ! ছাত্র অবস্থায় দেখতাম হবু ডাক্তাররা বিকেলে খেলার সময় পাইতোনা। এহন রাজনীতিও করে, রোগীর আত্মীয় স্বজনরেও পিটায় ! সমাজে এখনো মানুষ ডাক্তারি পেশারে সম্মানের চোখে দেখে। আমাদের হবু ডাক্তাররা অচিরেই এটারে গালিতে পরিণত করবে বলে মনে হইতাছে !

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

ইউনিয়ন বলেছেন: আপনার মত মাল ওয়ার্ডে থাকলে গরম তো লাগবেই। - এখানে মাল শব্দটা কু-রুচি, অশ্রীল শব্দ হিসেবে বিবেচিত হবে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে মাল এর বিপরীত শব্দ হবে- পূর্ত পবিত্র বোন।

১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: স্ট্রোক করা বাপকে পাশে শোয়ায় পোলা 'সুইচ টিপতে' বলেছে...পোস্টদাতা একটা পাঁড় মাতাল! এইসব কই পান!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.