![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই এবং বিশ্বাস রেখেই কাজ করতে চাই।বাস্তবের ভিতরে বসবাস করতে ভালবাসি। কল্পনা করতে ভাল লাগে, কিন্তু বাস্তবকে ভুলে নয়। সততা বলতে আংশিক বুঝি না, পুরোটাই বুঝতে চাই। প্রকৃতির মাঝে শান্তি এবং স্বস্তি দু\\\'টোই খুজে পাই। নারীর প্রতি আকর্ষন আছে তবে উন্মাদনা নেই। বয়সকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধা মনে করি না। লিখতে ভালবাসি, কবিতা-গল্প, যা কিছু। চারটে বই প্রকাশ করেছি নিজ উদ্যোগে। প্রতিভা নেই, শখ আছে। অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে, পারি না কেন বুঝি না।
প্রিয় পার্ব্বতী,
শিরোনামে লিখতে চেয়েছিলাম "প্রিয় সুহাসিনী।" কিন্তু পার্ব্বতী নামের লোভ সামলাতে পারলাম না।
আজকাল চিঠিতো কেউ আর লেখে না, প্রয়োজনও পড়ে না। কিন্তু আমি লিখছি। অবাক হওয়ার মত ব্যাপার! প্রবাস জীবনে আধুনিক প্রযুক্তির পুরোটাই ব্যবহার করে প্রায় প্রতিদিনই কথা হচ্ছে তোমার সঙ্গে, তারপরও! আসলে আমি দেখতে চাচ্ছি পৃথিবীর ডাক বিভাগ ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। এক সময় এই 'ডাক সেবা' মানুষকে কত কাছে নিয়ে এসেছিলো। এই সময়ের e-mail -তো এসেছে সেই by post নয়তো by airmail থেকে। তো মাঝে মাঝে এদের ব্যবহার করলে ক্ষতি কি? পুরনো ব্যবস্থাটাও চালু রইলো, আর কিছু লোকের চাকরীও বহাল রইলো। ডাকঘর বন্ধ হয়ে গেলে কত শত লোক বেকার হয়ে যাবে ভাবতে পারো! হাজার হাজার কর্মচারী চাকরি হারাবে। এই সব চিন্তা করি বলেই বন্ধুরা আমাকে বলে 'দার্শনিক।' কিন্তু এও তো ঠিক, চিঠি না লিখে লিখে লেখাটাও ভুলে গেছে লোকে। আর অনুভুতিও ভোঁতা হয়ে গেছে। ইংরেজী অক্ষরে বাংলা লিখে কি আর মনের গহীনের কথা প্রকাশ করা যায়! তাছাড়া কাট্ছাট্ করে সংক্ষিপ্তাকারে কি সত্যিকারের প্রেম করা যায়, যদি সবকিছু বলতেই না পরি?
আমি তো পুরনোকে সঙ্গে নিয়ে চলি। আসলে মানুষের জীবনের সঙ্গে পুরনো ব্যাপারটা খুব বেশি করে মিশে আছে। যেমন আমাদের দিনগুলো পিছনে চলে যাচ্ছে আর পুরনো হচ্ছে। ওদিকে আমরা নিজেরা সামনের দিকে যাচ্ছি আর পুরনো হচ্ছি। সামনে-পেছনে দু'দিকেই যেখানে পুরনো জড়িয়ে আছে তাকে সঙ্গে না রেখে উপায় আছে! অনেকেই পুরনো দিনগুলো নিয়ে ভাবে না, কিন্তু আমি ভাবি। পেছনে পড়ে থাকা দিনগুলোর সঙ্গে আমি কথা বলি। আর এই জন্যই আমাকে সব সময় নিজেকে নতুন মনে হয়।
তোমাকে নিয়ে লেখা একটা কবিতা পাঠালাম, গদ্য কবিতা। এখানেও তুমি প্রাচীনের গন্ধ পাবে। যেমন, "আজ ইচ্ছে করে আবার তোমাকেই ভালবাসি/নতুন করে পুরনোকে দেখি/সেই টুক্রো টুক্রো চিঠিগুলো.../বয়ে যাওয়া নদীর মতো দীর্ঘ রূপালী সেই চিঠিগুলো/...কত তুই-তোকারি/...ইচ্ছে করে দিনগুলোকে হাত বুলিয়ে আদর করি--আমার সমৃদ্ধ দিনগুলো/যার নায়িকা ছিলে তুমি!" থাক্, পরে পড়ে নিও।
আমাদের জীবন কত শীঘ্র ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়! সবই যেন সেদিনের কথা। অনেকেই বলে পুরনো দিনের কথা ভেবে কি হবে? কিছু হবে কি না হবে এই সব ভেবে তো আর মন অচন্ঞ্চল বসে থাকে না। ফেলে আসা প্রতিটি দিনই তো আমাদের জীবনের অংশ, তো ওদের কথা মনে করবো না! দুঃখের কথা মনে করে সুখের সঙ্গে মিলিয়ে নেবো। ভালবাসার কথা মনে করে আরও বেশি করে ভালবাসবো। এভাবেই দিনগুলো হবে সমৃদ্ধ, আরও বেশি করে প্রাচীন হবে, আমিও হবো প্রাচীন। তারপর একদিন নিজেই অতীত হয়ে যাবো--অস্তিত্বহীন!
আমার লেখাগুলো মনে হয় কবিতার মতো হয়ে যায়। বন্ধুরা তাই বলে 'তুই কবিও।' আসলে কবি-দার্শনিক কিছুই নই। অনুভুতিগুলো খুব বেশি করে জমে থাকে ভেতরে, নিংড়ে দিতে গেলেই এই রকম হয়ে যায়!
অতীতের কথা না ভাবলে মানুষ অন্যরকম হয়ে যায়। ভালবাসা কমে যায়, স্বার্থপর হয়ে যায়। মৃ্ত্যু হয় সব কিছুর।
আর তোমার আমার দিনগুলো তো অন্যরকম। এ্যালবামে ভাঁজ করে রেখেছি যত্ন করে। মাঝে মাঝে খুলে দেখি।
চিঠিটা পেলে তবেই পড়তে পারবে। দেখা যাক পাও কি না। পেলে বুঝবো ডাকঘর এখনও বেঁচে আছে।
অনেক ভালবাসায়----'দেবদাস'।
পূনশ্চঃ তোমাকে "পার্ব্বতী" না লিখলে আমি "দেবদাস" হতে পারতাম না!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
শফিক আলম বলেছেন: True. Why don't you keep on trying to maintain orthodox manner. Use post office sometime. Thanks anyway.
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২১
শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: I miss it very much............ICT haj hicjaked all emotions