![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই এবং বিশ্বাস রেখেই কাজ করতে চাই।বাস্তবের ভিতরে বসবাস করতে ভালবাসি। কল্পনা করতে ভাল লাগে, কিন্তু বাস্তবকে ভুলে নয়। সততা বলতে আংশিক বুঝি না, পুরোটাই বুঝতে চাই। প্রকৃতির মাঝে শান্তি এবং স্বস্তি দু\\\'টোই খুজে পাই। নারীর প্রতি আকর্ষন আছে তবে উন্মাদনা নেই। বয়সকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধা মনে করি না। লিখতে ভালবাসি, কবিতা-গল্প, যা কিছু। চারটে বই প্রকাশ করেছি নিজ উদ্যোগে। প্রতিভা নেই, শখ আছে। অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে, পারি না কেন বুঝি না।
যে, যখন, যা-ই বলুক এবং যতই বলুক, ইতিহাসের ভেতর দিয়ে, কালান্তরে যাপিত রীতি, আচার, অভ্যাস, স্বভাব এবং প্রকৃতির সঙ্গে মিশে আমরা 'বাঙ্গালী' হয়ে উঠেছি। আরও পরে কালচক্রের পরিক্রমায় আমরা সভ্য হয়েছি, পরিশীলিত হয়েছি। নিজেদের উপস্থাপন করেছি স্বকীয়তায়, আপন বৈচিত্রে। আমাদের স্বকীয়তাকে আরও মহিমান্বিত করেছি '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। ভৌগলিক অর্থে আমরা একটা দেশ পেয়েছি বলেই স্বতন্ত্র এবং স্বাধীন পরিচিতির প্রয়োজনে আমরা 'বাংলাদেশী' সন্দেহ নেই। আমাদের পূর্ব পুরুষরা বাংলাদেশী ছিলেন না, কিন্তু বাঙ্গালী ছিলেন। ঐতিহাসিক সময়কালে, আমরা এখন যে অন্বঞলে বাস করি, তা ছিল বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত, ছিল বন-জঙ্গল এবং জলাভূমিতে পূর্ন। ক্রমে জঙ্গলাকীর্ণ ভূমিতেই মানুষের বসতি হতে থাকে ধীরগতিতে এবং ধীরে ধীরে আপন সত্তা নিয়ে বিকশিত হয়ে উঠে। এলাকার নাম হয়ে উঠে 'বঙ্গ' এবং এলাকাবাসীরা 'বাঙ্গালী', ঐতিহ্যগতভাবে। পৃথিবীতে ছোট-বড় এমন অনেক জাতি আছে যাদের ভাষা লেখার জন্য নিজস্ব কোন অক্ষর নেই, আধিপত্য করে এমন কিছু জাতিরও নেই। কিন্তু আমাদের আছে, খুব উৎকর্ষতা নিয়েই আছে। প্রত্যেক জাতির সংস্কৃতি পুষ্ট হয়েছে সংমিশ্রনে, কিছুটা ধার করেও, আমাদেরও হয়েছে ধর্মে-বর্ণে সহনশীলতায়। যা ছিলনা তা নিয়েছি, দিয়েছিও যা ছিল অধিক। পৃথিবীর অনেক জাতি ভৌগলিক কারনে তাদের দেশের নাম পরিবর্তিত হলেও নিজেদের পুরনো নামেই পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। যেমন-জার্মানরা ডয়েস্, নেদারল্যান্ডাররা ডাচ্, সুইজারল্যান্ডাররা হেলভেসিয়ান, ইত্যাদি। আমরাও যেমন বাংলাদেশী, তেমনি বাঙ্গালী। আমাদের উৎসবগুলোও তাই ফিরে ফিরে আসে স্বকীয়তা নিয়ে।
দু'দিন বাদেই বাঙ্গালীর নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ ১৪২০ সাল। সাবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থাকুন, উৎসবে কাটুক দিনটা। লাল-সাদা রঙে ভরে যায় দেশ, এরকম ছবি আর কোথায় পাওয়া যাবে!
তবে হ্যাঁ, আমার যদ্দুর মনে পড়ে, পান্তাভাতের সংগে ইলিশের সংযোগ ছিল না কখনই। বরং কাঁচা লঙ্কা এবং পেঁয়াজ এই দু'টোই ছিল পরিপূরক। কে বা কারা পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশকে এনে গরীব বাঙ্গালীদের বিপদে ফেলে দিল জানিনা। নাকি এক ধরনের বিলাসিতা! বৃহৎ জনগোষ্ঠির পাশে বসতে পারলেই কি ভাল হতো না!
যাক, তবুও তো আছে মন ও মননে।
©somewhere in net ltd.