![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই এবং বিশ্বাস রেখেই কাজ করতে চাই।বাস্তবের ভিতরে বসবাস করতে ভালবাসি। কল্পনা করতে ভাল লাগে, কিন্তু বাস্তবকে ভুলে নয়। সততা বলতে আংশিক বুঝি না, পুরোটাই বুঝতে চাই। প্রকৃতির মাঝে শান্তি এবং স্বস্তি দু\\\'টোই খুজে পাই। নারীর প্রতি আকর্ষন আছে তবে উন্মাদনা নেই। বয়সকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধা মনে করি না। লিখতে ভালবাসি, কবিতা-গল্প, যা কিছু। চারটে বই প্রকাশ করেছি নিজ উদ্যোগে। প্রতিভা নেই, শখ আছে। অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে, পারি না কেন বুঝি না।
ঈদের পর ছুটিগুলো টেলিভিশনের চ্যানেলগুলোর অত্যাচারে কেটে গেল। ভাবতে অবাক লাগে চ্যানেলগুলোর মালিকরা মানুষ না আমরা মানুষ! ঈদের একদিন পর টেলিভিশানের সামনে বসেছি একটা নাটক দেখবো বলে। যন্ত্রনা আছে জেনেও বসেছি। ঘোষনা হলো "এখন প্রচারিত হবে নাটক......."। এরপরই শুরু হলো যন্ত্রনাময় বানিজ্যিক কার্যক্রম। পাঁচ মিনিট হয়ে যায় তবু নাটক শুরু হয় না। কোন সভ্য লোক এটা করতে পারে না। ৩০টি প্রতিষ্ঠান কোন অনুষ্ঠানের স্পন্সর কি ঐ ৩০টিরই অভিনয় করা এ্যাড প্রচার করতে হবে! অন্য কোথাও হলে নাটকটি শুরু করে তারপর হয়তো কোন এক সময় এ্যাড দিতো। টিভি চ্যানেলগুলো এতটা নির্লজ্জ-বেহায়া হয় কি করে! মানুষকে কি গরু-ছাগল মনে করে যে সবাই বসে বসে জাবর কাটবে, আর নির্লিপ্ত নয়নে তাকিয়ে থাকবে? বিনোদনের নামে চ্যানেলগুলো দর্শকদের অনুভূতিতে ক্রমাগত বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে কি না কিংবা এটা অপরাধযোগ্য কি না তা ভেবে দেখা দরকার। কারন এই ধরনের ক্রমাগত বিরক্তি কারো কারো মানসিক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। চ্যানলগুলো যেমন পন্য ব্যবসায়ীদের সুযোগ করে লাগামহীন, তেমনি নিজেরাও ব্যবসা করে নিচ্ছে লাগামহীন, অশালীন বেহায়ার মতো। টাকার কাছে মানুষের সভ্যতা-শালীনতা জ্ঞান তুচ্ছ হয়ে যায়, যে কারনে সভ্যতা তৈরীর জন্য কঠিন আইন এবং তার প্রয়োগ প্রয়োজন। চ্যানেলগুলোর জন্য কঠিন আইন প্রয়োজন, বিশেষ করে বানিজ্যিক কার্যক্রম প্রচারের ব্যাপারে।
©somewhere in net ltd.