![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই এবং বিশ্বাস রেখেই কাজ করতে চাই।বাস্তবের ভিতরে বসবাস করতে ভালবাসি। কল্পনা করতে ভাল লাগে, কিন্তু বাস্তবকে ভুলে নয়। সততা বলতে আংশিক বুঝি না, পুরোটাই বুঝতে চাই। প্রকৃতির মাঝে শান্তি এবং স্বস্তি দু\\\'টোই খুজে পাই। নারীর প্রতি আকর্ষন আছে তবে উন্মাদনা নেই। বয়সকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধা মনে করি না। লিখতে ভালবাসি, কবিতা-গল্প, যা কিছু। চারটে বই প্রকাশ করেছি নিজ উদ্যোগে। প্রতিভা নেই, শখ আছে। অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে, পারি না কেন বুঝি না।
আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী মহোদয়কে আমার এই লেখাগুলো পড়াতে পারলে খুব খুশী হ'তাম এই জন্য যে হয়তো তিনি একটু বোঝার চেষ্টা করবেন। তিনি তো কেবল রিপোর্টারদের লেখাই পড়েন, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন মানুষদের কথা যদি ডইরেক্ট পড়তে বা শুনতে পারতেন তা'হলে ইম্প্যাক্ট একটু মজবুত হতো। একটু কষ্ট হলেও এই আশাটুকু করতে চাই যেহেতু পত্রিকান্তরে এবং টেলেভিশনের খবরে তাকে দেখে যথেষ্ট অ্যাক্টিভ এবং আন্তরিক মনে হয়। তিনি রাজপথগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন, বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে এবং সেই কাজ করতে যেয়ে সাধারন মানুষ, যাদের এই দেশে পথের দিশা খুব কম, তারা কিভাবে নাস্তানাবুদ হচ্ছে তা দেখতে পারছেন। কিন্তু অতিব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে তিনি এই রাজধানি শহরের মালিবাগ-মগবাজার-তেজগাঁও তাজউদ্দিন সরনির সাতরাস্তা পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মানের নামে যে যজ্ঞ চলছে তা কি একবার দেখতে এসেছিলেন! যদি না এসে থাকেন তা'হলে করজোরে বলছি, একবার আসুন। আমরা কিভাবে দৈনিক বেঁচে আছি, দেখে যান। আপনি কেন দেখতে আসবেন তার জন্য কয়েকটি ছবি নিম্নে সম্পৃক্ত করলাম।
এই কথাগুলো লিখতে গেলে চোখে পানি এসে যায়। এই রাস্তাগুলো কি মানুষের চলাচলের জন্য! সব ধরনের যানবাহন এই রাস্তায় চলাচল করে, তারা কিভাবে যায় এই রাস্তা ধরে তা ধারনা করা যায়!
মন্ত্রী মহোদয় হয়তো বলবেন 'কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়'। কিন্তু সেই দেওয়ার মূল্যটা কি এতটাই অমানবিক হতে হবে? তা'ছাড়া আমরা কি দিচ্ছি না? ট্যাক্স কি আমরা দিই না? প্রতিদিন আমরা ভ্যাটও দিচ্ছি, মূল্যের উপর অতিরিক্ত সংযোজন। জীবনও তো দিই, রাজনৈতিক খামখেয়ালীতে। দিই না? আর এখন দিতে হবে আরও, আরও সকরুন মূল্য ফেরৎ।
আমরা প্রশংসা করতে দ্বিধাবোধ করি না এই সব ফ্লাই ওভারের কাজগুলো করার জন্য। কিন্তু তাই বলে কি আমাদের অমানুষ বিবেচনা করা হবে? যাত্রাবাড়ি ফ্লাই ওভার করতে যেয়ে কি যে করুন দিনাতিপাত করেছে এই ঢাকা তথা দেশের মানুষগুলো, কারন ঐ রাস্তার সংযোগ ছিল কয়েকটি জেলা শহরের সঙ্গে। আমিও যাতায়াত করেছি কয়েক বার। ওটা কি কোন রাস্তা ছিল! ঐ যাত্রাবাড়ি থেকে তো শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।
সোজাসুজি একটা প্রশ্ন করতে চাই, এই সব ফ্লাই ওভারের যখন ঠিকাদারী দেওয়া হয়, তখন চুক্তিপত্রে বর্তমান রাস্তার ব্যাপারে কি উল্লেখ থাকে। রাস্তাটি চালু থাকবে কি না, যদি চালু থাকে তা'হলে তাকে উপযোগী রাখা এবং ব্যবস্থাপনা কার দায়িত্ব? আমার জানা মতে এটা ঠিকাদারের দায়িত্ব। তা যদি না হয় তা'হলে কি, যার নাম উল্লেখ করতেও ভয় লাগে, সেই রাজষিক রাজউকের? যারই হোক তারা কাজগুলো করছে না কেন? তারা কেন প্রতিদিন মনে করে এই দেশটা একটা কলোনি, আর এই দেশের মানুষ কলোনিয়েল পিপ্ল!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আপনি আসুন, দেখুন, তারপর বিচার করুন। আমরাও বলছি মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীকে, আপনি আসুন, দেখুন, তারপর বলুন আপনি কি করবেন। ইয়াহিয়া খান শোনে নি, আমরা আশা করি আপনি শুনবেন। তবে আপনি বিনা নোটিশে আসলেই ভাল হয়, হঠাৎ কোন একদিন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সকরুন কবিতা আছে...'আমি কি রকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ। এই কি মানুষের জন্ম, নাকি শেষ পুরোহিত কংকালের পাশা খেলা...'।
মাফ করবেন মাননীয় মন্ত্রী, আমরা আমাদের জন্মটাকে মানুষের জন্ম বলেই মনে করতে চাই।
©somewhere in net ltd.