| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শফিক আলম
মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই এবং বিশ্বাস রেখেই কাজ করতে চাই।বাস্তবের ভিতরে বসবাস করতে ভালবাসি। কল্পনা করতে ভাল লাগে, কিন্তু বাস্তবকে ভুলে নয়। সততা বলতে আংশিক বুঝি না, পুরোটাই বুঝতে চাই। প্রকৃতির মাঝে শান্তি এবং স্বস্তি দু\\\'টোই খুজে পাই। নারীর প্রতি আকর্ষন আছে তবে উন্মাদনা নেই। বয়সকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধা মনে করি না। লিখতে ভালবাসি, কবিতা-গল্প, যা কিছু। চারটে বই প্রকাশ করেছি নিজ উদ্যোগে। প্রতিভা নেই, শখ আছে। অনেক কিছুই করতে ইচ্ছে করে, পারি না কেন বুঝি না।
আমরা কি আমাদের মা'য়েদের খুব দূরে সরিয়ে দিচ্ছি? নইলে আমরা এই একটা দিনকে কেন বেছে নিচ্ছি বা নিয়েছি!
আমার মা নেই। দুই যুগ আগে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তিনি যখন চলে যান আমি তখন সহস্র মাইল দূরে। শেষ দেখা দেখতে পাই নি। তাই বলে তাকে মনে করার জন্য আমাকে একটি নির্দিষ্ট দিন বেছে নিতে হয় না। মায়ের ছোঁয়া তার সন্তানের জীবনের প্রতিটি জায়গায় লেগে থাকে। আজ বেঁচে থাকলে আমি কি মায়ের কাছে প্রতি সপ্তাহে যেতাম না দেখা করতে অথবা রেখে দিতাম না আমারই কাছে?
এই 'মা' দিবসটি কত্থেকে এসেছে? পশ্চিমারা যা করে আমরা তাই করি। ষোল বছর হলে ওরা বাবা-মা থেকে আলাদা হওয়ার অধিকার রাখে এবং হয়ও অনেক ক্ষেত্রে। তারপর সময়ের সংগে অন্য জীবন গড়ে ওঠে। কদাচিৎ বাবা-মায়ের সংগে দেখা মেলে। যে কারনে বছরে যেন অন্ততঃ একদিন মায়ের সংগে দেখা হয় তা-ই এই আয়োজন। আমরাও কি তাই? ভয় হয় এই রীতি-আচরণ আমাদের দেশে চালু করে একসময় যেন তাদেরই মতো মা'কে দূরে সরিয়ে না দেই!
আমরা খুব অনুকরনপ্রিয়। ওদিকে আত্মবিস্মৃতও বটে। যা দেখি তাই আমাদের সংস্কারে যুক্ত করে দিতে চাই, ওদিকে আমাদের যা আছে বা ছিল তাকে ভুলে গিয়ে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিই। নিজেরা নিজেদের মতো কিছুই উদ্ভাবন করতে পারিনা, আমাদের সংস্কৃতি আর রীতি-প্রথার সংগে মিল রেখে।
'মা' দিবস আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। মা আমাদের সংগে সবসময় থাকে।

©somewhere in net ltd.