![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গরীব মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক এবং এ জাতীয় শ্রমিকদের জীবনে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। একজন রিকশাচালক দেখাতে পারবেন না, যিনি রিকশা চালাতে চালাতে কোটিপতি হয়ে গেছেন কিংবা রিকশাচালক থেকে বড় শিল্পপতি হয়েছেন। অথচ ব্যাংক লুট করে, ঘুষ খেয়ে, সুদ খেয়ে, টেন্ডারবাজি করে, চোরাকারবারি করে বহু শিক্ষিত লোক এদেশে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। একজন রিকশাওয়ালা ঢাকা শহরে যানজটের জন্য আংশিক দায়ী হলেও তার দারিদ্র্যের জন্য আমরা দায়ী। আমরা মানে রাজনীতিবিদ, আমলা, পুলিশ, আর্মি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই দায়ী। আমরা তাঁদের মুক্তির পথ বের করে দিতে পারিনি। সবচেয়ে বেশি দায়ী বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েম হলেই কেবল গরীব মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং মুক্তি আসত। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত পুঁজিবাদী সমাজ বৈষম্যমুক্ত হতে পারবেনা জীবনেও। আমিসহ আমরা সবাই শুধু নিজের সুবিধা বাড়াচ্ছি। কেউ ছাড় দিচ্ছিনা। শুধু নিজের সুবিধাই আমরা ভাবছি। ঢাকার মেয়র, পুলিশ কমিশনার, ঢাকার এমপিরা, ঢাকার হাজার কিংবা শত কোটি টাকার মালিকগণের উচিত রিকশাওয়ালাদের মত গরীব মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য কাল সকাল থেকেই সচেষ্ট হওয়া। গরীব মানুষের কান্নার অভিশাপ মারাত্মক। এরা বদদোয়া দিলে ধ্বংস আসন্ন। লকডাউন কি শুধু এই রিকশাওয়ালাদের জন্য? রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় এক মোটরসাইকেলে ২/৩/৪ জন ছেলে-মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু বাতাস খাওয়ার জন্য। ধানমণ্ডির অলিগলিতে আড্ডা হচ্ছে। বড়লোকের ছেলে-মেয়েরা জোরে জোরে গাড়ি চালাচ্ছে। একটা প্রাইভেটকার উল্টে রাখা হয়েছে এমন কোনো দৃশ্য আজ পর্যন্ত দেখলাম না। রিকশাওয়ালার চেহারার দিকে তাকালে কি আমাদের একটুও অনুতাপ হয় না? কত দূর থেকে এরা আসে এই শহরে? কত কষ্ট করে থাকে। কী খায়? কই থাকে আমরা কোনদিন জিজ্ঞেসও করিনা। পুলিশ অনেক পরিশ্রম করে সারাদিন। পুলিশের পক্ষে আমরা লিখি। বাংলাদেশ পুলিশ ইচ্ছে করলেই কাল থেকে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। মেয়রগণ করতে পারেন। ইফতারের সময় পুলিশ থেকে রিকশাওয়ালাদের ইফতার করাতে পারেন। শরবত খাওয়াতে পারেন। রিকশা উল্টে দেয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। রিকশার চালকদের আর্থিক জরিমানা করা বন্ধ হোক। রিকশাওয়ালাদের অন্য কোনো অর্থকড়ি কাজে পুনর্বাসনকল্পে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নিক সরকার। গরীব মানুষ যদি স্বাধীনতার মজা না পায় তাহলে এই স্বাধীনতা ব্যর্থ।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহবের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি সম্পর্কে সাান্য ২/৪ লাইন লিখুন; উনি ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে ৩ বছর, উনি সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কি কায়েম করেছিলেন?
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে কিছুটা শিবির শিবির লাগে, আবার শেখ সাহেবের কথাও বলেন, ব্যাপারটা কি?
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন কোন ধরনের অর্থনীতি চলতেছে। মহামারীতে প্রতিদিন গরিব পুলিশের মার খায় দেখি
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: এদেশে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক ও সমাজিক কাঠমোর গুনগত পরিবর্তন, নেতৃত্বে পরিবর্তন। আর অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোন দিনই মানবাধিকার আসবে না।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১০
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন:
গরীব না খেয়ে থাকলে কি হবে পুলিশের মার ঠিকই খায়।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৯
নতুন বলেছেন: বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষ পূর্ণ সাবলম্বী হতে পারে?
কখনোই না।
ইসলামী ব্যবস্থার কথা বইলেন না সেটা ১৪০০ বছরেও কাজ করেনাই। তাই সামনে করার কোন সম্ভবনা নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪৯
আমি সাজিদ বলেছেন: একবার রাস্তায় দেখি, কিশোর বয়সী এক রিকশাচালকের রিকশা ভাঙ্গার পাশাপাশি পায়েও প্রচন্ড মার মেরেছে পুলিশ। খুব কাছ থেকে তার হেঁটে চলে যাওয়ার ধরন দেখে আর আর্তনাদ শুনে আমার মনে হয়েছে মারের চোটের পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। এই ঘটনা এখনও মনে পড়ে। হয়তোবা ছেলেটা কোন ভুল করেছিল, কিন্তু মারটা দেওয়াটা উচিত হয়নি।