নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সবসময় সত্য,আমি সত্যেরই সারথী।লেখালেখির অভ্যাস পুরানো,ফেলতে পারি না;সময় অসময়ে জেগে ওঠে।ব্লগ কিংবা ফেবুতে আমি একজনই..\"শাহেদ শাহরিয়ার\'\',জয়\' নামটা বন্ধুদের দেয়া।ওটা\'ও তাই রেখেই দিয়েছি।লিখছি,যতকাল পারা যায় লিখব;ব্যস এতটুকুই!

শাহেদ শাহরিয়ার জয়

আমি শাহেদ শাহরিয়ার,একটু আবেগি আর খানিকটা যৌক্তিক।

শাহেদ শাহরিয়ার জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু কথা এমনি

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

ধর্ম নিয়া কিছু বলাটা আমার সাজে না,তবুও কত্তগুলা আবালের কারণে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে।আজকাল যে কোন ঘটনা ঘটলেই সেটার পেছেন মুসলিম কিংবা মুমিন নামটা জড়িয়ে দেবার একটা অবিনব কায়দা চালু হয়েছে।ওদের যুক্তি মুসলিমরা নাকি মৌলবাদি,জঙ্গী,আদিম আরো অনেক বিশেষণ তারা মুসলিম শব্দের পাশে বসিয়ে মজা পায়।আজ খবরে গারো তরুণী ধর্ষণের ঘটনা নিয়েও কিছু মানুষ মুমিন শব্দটার ওপর ধর্ষণের চাইতেও জোর বেশি দিয়েছে,মনে হয়েছে,ধর্ষণটা ওই শব্দটাই করছে।
প্রথমত,আমি বলতে চাই বিভিন্ন কারণে ইসলাম ধর্মটা যেহেতু মানুষের কাছে অনেকটা পরিচিত,তাই তারা কিছুটা হলেও এই ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখে।মুমিন শব্দের অর্থ হলো,যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে( মুখে স্বীকার এবং অন্তরে বিশ্বাস)। তার মধ্যে কিছু মানুষকে আল্লাহ নিজেই বলেছেন,তারা মুমিন নয়।কারা মুমিন নয় সে বিষয়ে কুরআনে ভাল ব্যাখ্যা দেয়া আছে।কথা হল কোন মুমিন যদি বলে তোমরা পর্দা করো,তাহলে সেটা শুনে কাদের চুলকায় সেটা মানুষ বলতেই বুঝে।মুমিন কিংবা মুসলিম তাদের ধর্মের বিধান হল কুরআন,যেখানে পর্দা,জ্ঞানার্জন,নামাজ ইত্যাদি বিষয় ফরজ( যা অবশ্যই পালনীয়) করা হয়েছে।ইসলামের যখন স্বর্ণযুগ তখনও সমাজে অসভ্য,কামুক চরিত্রের লোক ছিল।যাদের কাছে ধর্মের বাণীর চাইতে নিজেদের জিগাংসা চরিতার্থ করার মানসিকতা ছিল প্রবল,তারা তা করতো কিন্তু তাই বলে তাদের ক্ষমাও করা হয়নি।বর্তমানেও মুমিনদের দোষ খুজা হচ্ছে তারা কেন পর্দার কথা বলে,যদি তারা তা বলে তার মানে কি এই যে সমাজের কুলাঙ্গারদের আপনারা শাস্তি দিবেন না!???যারা ধর্ষক তারা ধর্মের বাণী হয়তো শুনেছে,কিন্তু তারা কি মুমিন!?যারা আল্লাহর বিধান না মেনে ব্যাবিচারে লিপ্ত হয়েছে!?আমি অন্য ধর্মকে যতেষ্ট শ্রদ্ধা করি,যদ্দুর সম্ভব জানতে চেষ্টা করেছি,কিন্তু কোথাও পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে কিছু পাইনি।হয়ত,আধুনিক মানুষরা কিছুটা সরে এসেছে নিজের সুবিধার জন্য।এখনো খ্রিস্টান গীর্জাগুলোতে নান রা হিজাব সহ একটা ধর্মীয় ড্রেস পরিধান করতে দেখা যায়।তাই হয়তো মাদারতেরেসার চুল ছিল কিনা তা আমরা জানতে পারিনি,কিংবা বাড়ির পাশের দূর্গাপূজা মন্ডপে সাজানো মা দূর্গা বা স্বরসতির দেহেও ১২/১৪ হাতের একটা শাড়ি খুব শালীনভাবে পড়ানো হয়।এর চেয়ে ভালো শালীনতার ঈঙ্গিত আর কী হতে পারে! এটা যার যার ধর্মীয় ব্যাপার।ইতিহাস তুলে ধরলে সেটা হয়তো কিছু ভিন্ন ধর্মী ভাইদের কাছে অনুভূতিতে আঘাত মনে হতে পারে,কিন্তু ইসলাম তো প্রায় চৌদ্দ- পনের শত বৎসর আগেই মেয়েকে সম্মান দেবার কথা বলেছে,মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত বলেছে।মেয়ে সন্তানকে মাটিতে পুঁততে বাধা দিয়েছে।কিন্তু এই সভ্য সমাজে ঊনবিংশ শতাব্দীতেও নারীদের প্রাণ রক্ষার জন্য আইন পাশ করাতে হয়েছে।আমি মুসলিম হিসাবে নয়,মানুষ হিসাবেই বলি,কারো ধর্ম নিয়া টানা হিচড়া না করে সমাজে যারা এসব করছে,যাদের লালসার জিহ্বা থেকে শিশু কিংবা কিশোরি অথবা কোন শরীর রক্ষা পাচ্ছেনা তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করি,শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকারকে বাধ্য করি।তাহলে হয়তো সমাজে শান্তি আসবে।ধন্যবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.