নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সবসময় সত্য,আমি সত্যেরই সারথী।লেখালেখির অভ্যাস পুরানো,ফেলতে পারি না;সময় অসময়ে জেগে ওঠে।ব্লগ কিংবা ফেবুতে আমি একজনই..\"শাহেদ শাহরিয়ার\'\',জয়\' নামটা বন্ধুদের দেয়া।ওটা\'ও তাই রেখেই দিয়েছি।লিখছি,যতকাল পারা যায় লিখব;ব্যস এতটুকুই!

শাহেদ শাহরিয়ার জয়

আমি শাহেদ শাহরিয়ার,একটু আবেগি আর খানিকটা যৌক্তিক।

শাহেদ শাহরিয়ার জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিএসসি অমানবিক রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশীদার

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

" বাবার চোখে ছানি পরা তবু রাখেন খবর,
ছেলের অনার্স শেষ হবে না,হবে আমার কবর!"
লেখাটি অনার্স পড়ুয়া একজন ছাত্রের ডায়েরী থেকে নেয়া,এমন শত-সহস্র ছাত্র ছাত্রীর সোনালী সময় নষ্ট করছে দেশের বিশ্বিদ্যালয় আর কলেজগুলো।আর যারা কোনভাবে ৪ বছরের কোর্সটা ৬ কি ৭ বছরে শেষ করছে তাদের ভাগ্যে ঝুটছে রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্মম অমানবিকতা। কোনভাবে অনার্স পাশ করার পর,সরকারী চাকুরির বিধি অনুযায়ী ছেলেদের বয়স খুব একটা থাকে না,আর বসে থাকার সময়ও থাকেনা,পরিবারের বৃদ্ধা বাবা-মা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেনন,' এবার হয়তো কিছু একটা হবে,সংসারের হাল ফিরবে।' কিন্তু বিধিবাম,এ ভরপুর অরাজকতায় কিছুতেই যেন কিছু হবার নয়।তৃতীয় শ্রেনির চাকুরি থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেনি সবখানেই স্নাতকধারীদের ভিড়।এরা সবাই মেধাহীন নয়,এদের কারো হয়তো দলবাজীতে নাম নেই,কারো টাকার জোর নেই,কেউ আগের রাতে প্রশ্নপত্র হাতে পায়নি কিংবা পে অর্ডারের ধকল কেউ কাটিয়ে উঠতে পারে নি।এটাই কঠিন বাস্তবতা,তবুও অনেকে আশার কিছুটা আলো দেখেন বিসিএস নামক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাটাকে ঘিরে,ভাবেন: দেশের সর্বোচ্চ কমিশনে যারা বসে আছেন তারাতো আর বিবেকহীন হবে না,তারা দলবাজীর ঊর্দ্ধে উঠে হতাশার তলানিতে থাকা সমাজের এই তারুণ্যশক্তিকে দেশের কাজে লাগাতে সাহায্য করবেন,তারা এই প্রতিযোগিদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখবেন।কিন্তু আমাদের আশার প্রদীপ বাংর বার দখলধারী কিংবা অস্ত্রধারীদের দাপটে নিভে যায়,আঁধারেই খেলে যায় একদল বিবেকহীন প্রাণী।তাদের কাছে সংখ্যার কোন দাম নেই,না৫৭/৫৮, না ৬/৭ বছর,না ৩৪/৩৫তম না ৪০০০/৫০০০কোটি!
কোন পরিবার কিংবা দলের ঊর্ধ্বে উঠতে আমরা কখনোই পারি নি,পারবও না বোধয়।কিন্তু এইযে তারুণ্যের হাহাকার,সেটা শুনবে কারা!?৩৪তম বিসিএস,এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত,কারণ বিবেকহীনদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এই বিসিএস কে ঘিরেই।কোটা পদ্ধতিতে এমনিতেই এ দেশের মেধা শক্তিকে অচল করে বিবেকহীনদের আখড়া বানানোর একটা অপ চেষ্টা সবসময় দেখা গেছে এ অবোধ রাষ্ট্রব্যবস্থায়,সেটাকে আরো একধাপ এগিয়ে দখলদারদের সংখ্যা বাড়াতেই ৩৪তম বিসিএস নিয়ে পিএসসির মতো এত্ত স্বাধীন সংস্থা একটি দলের লেজুড়বিত্তিতে নেমে পরে!প্রথমে প্রিলির রেজাল্ট নিয়ে একধরনের ধুয়াশা সৃষ্টির চেষ্টা চলে,ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে সেটার ফল পরিবর্তন হলেও দেশের শীর্ষস্থান থেকেই আসে অনাকাঙ্খিত হুমকি: ছবি দেখে ভাইবা নেবার তাগিদ,কিংবা'তোমরা শুধু রিটেনন পাশ করো,বাকীটা আমরা দেখব! এরপর রিটেন নিয়ে টানা হেচড়ায়,চলে যায় প্রায় ৭/৮ মাস,এরপর রেজাল্টের ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে কিছুটা আশার আলো নিয়ে আসে রেজাল্ট সাথে ৩৫তম প্রিলির ডেট!যারা ভাইবা প্রার্থী,স্বপ্ন দেখতে শুরু করে একটা রঙ্গীন ভবিষৎ।যথা নিয়মে ভাইবার জন্য মুখস্থ করতে হয় কোন পরিবার কিংবা কোন ব্যক্তির বংশের কুষ্ঠি।এতটুকুও করতে আপত্তি নেই,তবুও যদি চাকুরিটা হয়,এভাবেই কয়েকমাস পার করে ভাইবা হয়।এবার রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আসে ৩৫তম রিটেন আর ৩৬তম প্রিলি সার্কুলার,কোটাধারীরা ১০০টাকায় আর কোটাহীন মেধাবীরা ৭০০ টাকায় আবারও ফর্ম পূরণ করতে হয়।৩৪তম বিসিএসের রেজাল্ট দিবে দিবেনা এমন অনিশ্চয়তায় ৩৪তম প্রার্থীরা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য বিন্দুমাত্র মনোযোগ দিতে পারে নি,তারা ভেবেছে এখন রেজাল্ট যেহেতু হয়নি পরীক্ষার আগে আর হবার সম্ভাবনা নেই,কিন্তু পিএসসি ঠিক পরীক্ষার দু'দিন আগে একটা নামসর্বস্ব রেজাল্ট দিয়ে তারা কি করতে চেয়েছে তারাই ভাল বলতে পারবে,রেজাল্টের পদে পদে রয়েছে অসঙ্গতি, তিনবছের যেখানে পদের সংখ্যা বাড়ার কথা সেখানে বিভিন্ন পদের বিপরীতে প্রার্থীর চাকুরির জন্য সুপারিশ করেছে কম,বলা হচ্ছে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে কিন্তু প্রাধিকার কোটায় কারা/ কয়জন সুযোগ পেয়েছে সেটাতে রয়েছে বিস্তর ধুয়াশা।শিক্ষা ক্যাডার সহ অন্যান্য ক্যাডারের পদের বিপরীতে কোন অজুহাতে প্রার্থীদের অকারণে,অহেতুক নন- ক্যাডার নামক একটা চিরস্থায়ী ঝুলন্ত দঁড়িতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে,যেখানে তাদের হতাশার মৃত্যু নাহলেও আশার মরণ নিশ্চিত!
সবচেয়ে বিবেকহীন যে কাজটি পিএসসি করেছে সেটা হল,৩৫তম রিটেনের দু' দিন আগে ৩৪তম ফাইনাল রেজাল্ট প্রকাশ করা! যাতে করে ৩৪তম পদ বঞ্চিতরা পরবর্তী ৩৫তম রিটেনে মানসিক চাপের কারণে ভালো করতে না পারে।কি দোষ এই তরুণ শিক্ষার্থীদের,তারা ৩৪তম বিসিএসের অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে,এক হয়েছে,এটাই তাদের অপরাধ!??
নাহয়,কেন সুকৌশলে,পদ থাকা শর্তেই মেধাবীরা চাকুরি পাবে না,কেন রেজাল্ট দু' দিন আগে দিয়ে তাদের মনোবল ভাঙ্গার মতো হীন কাজ পিএসসির সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারিরা করে!?এই হতাশায় ডুবে থাকা সহস্র তরুনের মধ্য থেকে একজনও যদি বিপথে যায়,তার দায়ভার কি পিএসসি নিবে!?এই অমানবিকতার বিচার কে করবে,এই দলীয় সরকার না আজ্ঞাবহ বিচার বিভাগ!?
নাকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা শুনতেই থাকব: আমরা কিছুই পাইনি,না স্বচ্ছ প্রশাসন,না জনগণের সরকার,না বিবেকবান কর্মকর্তা; এই ৪৪ বছরে আমরা শুধু পেয়েছি একদল পাচাটা প্রাণী আর বিবেকহীন রাষ্ট্রযন্ত্র!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.