বিএনপি কি সঠিক পথে আছে?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

বর্তমান সরকারের অধীনে ই নির্বাচন হবে।এটা সংবিধানেই বলা আছে।সংবিধানে আরো বলা আছে সরকারের মেয়াদ শেষে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।নির্বাচন বর্জনকারী দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি এখন এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল।তাহলে ২০১৪ কি দোষ করল? ২০১৪'র ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপি যে দাবীতে নির্বাচন বয়কট করেছিলো তার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিলো শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচনে তারা অংশ নিবে না।তাহলে এখন নিচ্ছে কেন?
তাহলে কি তারা তাদের ভূল বুজতে পেরেছেন?
না কি তারা এবার অংশগ্রহণ করে প্রমাণ করে দিবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না?
বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার কারন যেটাই হোক।তারা যে সাংগঠনিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পরেছে একথা অনস্বীকার্য। আবার এটাও মনে রাখতে হবে,যে দেশে বিরোধীদলের অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার পথে থাকে সেই দেশের সরকারি দল বেপরোয়া হয়ে ওঠে।তারা নিজেকে প্রভুর কাতারে নিয়ে যায় ধীরে ধীরে। ১৫৩জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার কারন যদি বিএনপির নির্বাচনে না আসা হয়।তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে না পারার দায়ও কিন্তু সরকারি দলের উপর বর্তায়।বিএনপির দাবী গুলো যৌক্তিক থাকলেও সংবিধানের দোহাই দিয়ে ক্ষমতাসীনরা এক তরফা ভাবে নির্বাচন করে যায়।

এখন প্রশ্নহল

যদি নির্বাচন কালীন সরকার বলতে সংবিধানে কোন কিছু না থাকে,তাহলে সরকার কেন "নির্বাচন কালীন সরকার" গঠনে উদগ্রীব হয়ে আছে?।প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই এই সরকার গঠন কর হবে বলে সরকারের কোন কোন মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে বলে আসছেন।সরকার যদি সংবিধানের বাহিরে গিয়ে কিছু করে।তাহলে বিএনপির "তত্বাবধায়ক সরকার" দাবি মেনে নিতে আপত্তি কোথায়?
ভোট চুরি আর ভোট ডাকাতি যাই বলি না কেন।এই সরকার যে কোন মূল্যে এই দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।যার আলামত যেমন খুশি তেমন "সংবিধান সংশোধন" আর নিজেদের খেয়া খুশি মত রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করা। শেখ হাসিনার খাম খেয়ালিপনায় আজ দেশ এক গভির সংকটেে।দেশের বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরেে সরকার তাদের কর্তত্ব স্থাপন করতে শতভাগ সক্ষম হয়েছে।বিচারপতিদের চাকরি সংসদের সদস্যদের দ্বারা হারানোর সুযোগ না থাকলেও সিনহা সাহেবের পরিনতি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি দের প্রতিনিয়তই একধরনের ভয়ের মধ্যে রাখে।

দেশের এই অবস্থায় বিএনপি কি তাহলে সঠিক পথে আছে?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর।কারন বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছিলো।এই কথা যারা বলেন।তাদের এখন দেখার বিষয়,যে এবার বিএনপি নির্বচনে অংশগ্রহণ করে কতটুকু সঠিক কাজ করল।নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ হলে ফলাফল বিএনপি অবশ্যই মেনে নিবে।আর কারচুপি হলে বিএনপির জয় হবে। কারন তখন প্রমাণিত হবে।বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী যে কারনে নির্বাচন বয়কট করেছিলো,সেইটা সঠিক ছিলো।

সরকারের জন্যে একটা ছোট পরামর্শ :
এই দেশে কেউই চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না।এই দেশেই নয়,এই পৃথিবীতেও কেউই চিরস্থায়ী নয়।যেহেতু সকলকেই একদিন চলে যেতে হবে।সেহেতু আগামী প্রজন্ম ভবিষ্যেতের কথা চিন্তা করে সকলের মঙ্গলের কথা ভেবে।সব দলের অংশ গ্রহনে একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করুন।এদেশের মানুষ চিরকাল আপনাকে ও আপনার পিতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবে।অন্যথায় এই দেশ থেকেই একদিন শেখ মুজিবর রহমানের নাম চিরতরে মুছে যাবে।মানুষ ১ বেলা না খেয়ে হলেও ১টা ভোট দিতে চায়।

৯ টি +০/-০