![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে ভাবতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।আমি দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলেও এমন একটি প্লাটফর্ম খুঁজে ছিলাম যেখানে মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়া যাবে।বছর খানেক আগে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ব্লগার হত্যা করা হলে সাভাবিক ভাবেই আমি ব্লগে লেখালেখির চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলি।অবশেষে Somewherein blog এ লেখালেখি করার জন্য মন স্থির করলাম।যানি না কতটা পথ অতিক্রম করতে পারবো।তবে সফলতার সাথে বহুদুরের পথ অতিক্রম করতে সকলের সহযোগিতা চাই।
দেশে এখন একটাই প্রশ্ন " কেমন হবে আগামী নির্বাচন?"
অংশগ্রহণমুলক হলেও সুষ্ঠু যে হবে না এটা অনেকেই নিশ্চিত।একটি নির্বাচন কতটুকু আবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করে ওই সময়ের সরকারের মানসিকতার উপর।এই দেশ না,পৃথিবীর কোন দেশেরই নির্বাচন কমিশন শতভাগ নিশ্চিয়তা দিয়ে বলতে পারবে না যে তারা "একটি অবাধ সুষ্ঠুও নিরপেক্ষ নির্বাচন" করতে পারবে যদি না সরকার চায়।তাই একটি ভাল নির্বাচন নির্ভর করে সরকারের উপর।কিন্ত আমাদের দেশের বর্তমান সরকার গত এক মাসে ৪৫টি জেলার ডিসি ও ২৫০'র উপর পুলিশ প্রশাসনে রদবদল করেছে ইতোমধ্যে ।যাকে যেখানে সেট করলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে তাকে সেখানে দিয়েছে।বিভিন্ন থানায় নতুন ওসি নিয়োগ দিয়ে পুরনোদের পদোন্নতি দিয়েছে।সোনালী অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকেে কে কে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান কাজে নিয়োগ পাবে তার একটা হিটলিস্ট সরকার সিইসির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।কে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন।কে প্রিসাইডিং অফিসার পদে কোথায় পোষ্টিং পাবে তাও ঠিক করে দিয়েছে সরকার।ঢাকা বিভাগীয় কমিশানার হেলালুদ্দীন কে ভারপ্রাপ্ত থেকে ভারমুক্ত নির্বাচন কমিশন সচিব করেছে সরকার।এতেও যদি কাজ না হয়, ইভিএম আছে না?। ইভিএম নিয়ে ৪৫টির মধ্যে ৩৪টি রাজনৈতিক দল আপত্তি তোলে।৭টি স্বল্প পরিসরে ব্যবহার করার পক্ষে। আর ৮টি পুরোপুরি ব্যবহারের কথা বলেছে,তার মধ্যে আঃ লীগ অন্যতম। নির্বাচন কমিশন ২৬জন সুশীল সমাজের গুনী জন কে যখন আলোচনায় ডেকে ছিলেন।তখনও ৩জন বাদে বাকিরা এই ইভিএম এর বিপক্ষে বলেছিলেন। হঠাৎ ইভিএম সিন্দাবাদের ভুতের মত এই দেশের জনগনের ঘারে চেপে বসতে চলেছে।ইভিএমের মাধ্যমে কার্চুপি করে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প,এমন অভিযোগেে তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এতো বাজে দৃষ্টান্ত থাকা সত্ত্বেও নিবার্চন কমিশন সরকারের ইশারায় ইভিএম প্রিয় হয়ে পরেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে সংবাদ মাধ্যমকে বললেন,"ইভিএম এখনই বড় পরিসরে ব্যবহার করাটা ঠিক হবে না" আর নিউইয়র্কেে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন আমরা এই নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার করবো
১৪ হাজার কোটি টাকার ইভিএম মেশিন কেনার অনুমোদন ইতিমধ্যেই দিয়েছে শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভা। আঙ্গুল চাপলেই ভোট!
সকাল থেকে অফিসাররা বাটন টিপে বসে থাকবেন।ভোট অটো জেনারেট হবে।বিরোধীদল তো মামলা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে ৭৭ হাজার মামলা।এটা বাংলাদেশ না পৃথিবীর ইতিহাসে এতো রাজনৈতিক মামলা আর কোনো দেশে নেই।এদিকে বিরোধীদলীয় নেত্রী কারাগারে থাকায় একপ্রকার ফাঁকা মাঠেই গোল দিবে সরকার।
তাই সরকার নিজের মত করেই একটা গোছালো নির্বাচনের পথেই হাটছে।
এতো কিছুর পরেও কি এদেশের ১৭ কোটি মানুষ আশা করতে পারে যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে?
©somewhere in net ltd.