![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেঁচে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি.......
“A writer’s obituary should be one liner - He wrote books, then he died” – William Faulkner
আমাকে আমার কিছু বন্ধু হিমু বলে ডাকতো । আমার কিছু চাচাতো ভাই বোনেরও ধারণা ছিল, আমার মধ্যে হিমু ভাব প্রবল। আমি জানতাম আসলে তা নয়। আমার মত ছা-পোষা টাইপ মধ্যবিত্ত ছেলেরা কখনও হিমু হতে পারেনা। কিন্তু তারপরেও ভিতরে ভিতরে যে আমার ভালো লাগত না তা নয়। হিমুর বই পড়েছে কিন্তু হিমু হতে চায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া তো অসম্ভব।
লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের বড় স্বার্থকতা সম্ভবত এখানেই। আপনি যখন একটা চরিত্রকে বই এর পৃষ্ঠাতে পড়ছেন তখন আর তাকে আপনি কাল্পনিক ভাবতে পারছেন না, বরং সেই জায়গায় নিজেকে দাড় করিয়ে দিচ্ছেন। সেই চরিত্রের সাথে আপনি হাসছেন, কাঁদছেন, তাঁর সব অনুভূতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করছেন। আপনি নিজেও টের পাচ্ছেন না আপনি আসলে সম্মোহিত হয়ে গেছেন ।
অবশ্য লেখক হিসেবে উনি কত বড় ছিলেন সেটা নিয়ে কথা বলা আমার উদ্দেশ্য না। আমি সেটার যোগ্যও না। আমি জানি তাঁর বই নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। ক্ল্যাসিক ধারার অনুসারীরা তাকে লেখকই মনে করেন না। সেসব নিয়ে অনেক বড় বড় তর্ক বিতর্কও আছে। বিতর্ক আছে তাঁর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়েও। কিন্তু সেসব নিয়ে নয় আমি শুধু আমার ব্যাক্তিগত কিছু অনুভূতির কথা বলতে চাই।
যদিও তিনি সমালোচকদের মতে জনপ্রিয় ধারার লেখক, কিন্তু তাঁর মত মানুষের অনুভূতির গোঁড়ায় টান দিতে পারে কয়জন??
হয়ত সে কারনেই সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম বইমেলার জন্য। আমি আর আমার বোন তৃষা সারা বছর আলাদা করে টাকা জমাতাম বই মেলায় তার বই কিনবো বলে । আর বই মেলা শুরু হলে প্রতিদিন একবার ঢুঁ মারতাম লাইব্রেরীতে। এমন হয়েছে লাইব্রেরিয়ান বই’র বান্ডিল খুলে প্রথম বইটা আমাকে দিয়েছে। এবং সে বইটা যে হুমায়ূন আহমেদের হতো তা বলাই বাহুল্য। ভাবতে অবাক লাগে, একটা বই কিনে আনার পর সেটা নিয়ে কত ঝগড়া করেছি তৃষার সাথে। তারপর বই হাতে আসার পর উৎসর্গপত্র থেকে শুরু করে শেষ অক্ষর পর্যন্ত বুভুক্ষের মত এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেলার চেষ্টা। অন্য অনেকের মতো তার অনেক বই’র উৎসর্গপত্রও মুখস্ত। অনেক জায়গায় আমি সেগুলো ব্যবহারও করতাম। কিছু কবিতা আমি যেখানে সেখানে লিখি। যেমন –
“ যদি আজ বিকেলের ডাকে
তাঁর কোনও চিঠি পাই
অথবা যদি সে নিজেই এসে থাকে
এতদিন পর যদি তাঁর মনে হয়
দেরি হোক যায়নি সময়” ।
মনে আছে কলেজের প্রতিটা খাতার প্রথম পৃষ্ঠায় লিখে রাখতাম-
“ দিতে পারো একশ’ ফানুস এনে
আজন্ম সলজ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই” ।
হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো গল্প প্রধান না হয়ে চরিত্রপ্রধান হতো বলে সব বই এ কিছু মনে রাখার চরিত্র থাকতো। বাদল, বড় ফুপা, মাজেদা খালা, বাকের ভাই, মুনা, টুনি ভাবি, নিলু, শুভ্র কত নাম বলবো!!! এমনও হয় বই’র নাম ভুলে গেছি কিন্তু চরিত্রগুলো ঠিক মনে আছে। আমি শারলক হোমস পড়ার আগেই মিসির আলি পড়েছি। এই কারনেই মিসির আলির কাছ থেকেই আমি প্রথম যুক্তি দিয়ে সবকিছু বিচার করা শিখেছি। অনেক সময় কিছু না বুঝলে ভেবেছি, আমার জায়গায় মিসির আলি থাকলে কিভাবে দুইয়ে দুইয়ে চার করতেন।
আর কিছু চরিত্র নিয়ে বুকের গহীনে ছিল গোপন ব্যাথা। কতদিন ভেবেছি আমার জীবনে যদি রুপার মত কেউ থাকতো। গভীর বিষণ্ণতায় আমার সব অপূর্ণতা মেনে নিয়ে অপেক্ষা করত আমার জন্য অথবা কিছুই মানতে না পেরে খুব রাগ করে চিঠি দিত “তুমি এত পাগল কেনও? তুমি কি ভাবো আইসব পাগলামি দেখে আমি তোমাকে আর বেশি ভালবাসবো? (ময়ুরাক্ষি)” । কখনও মনে হয়েছে সবকিছু ছেড়ে কোনও মেয়ের হাত ধরি যে হবে মারিয়ার মত দুঃখী-যে মেয়ে হাসি দিয়ে বহুদিন আগের কান্নার ছায়া ঢাকতে পারেনা (হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম) ।
অদ্ভুত রকম ইচ্ছেও কম ছিল না। “মৃন্ময়ী” পড়ার পর এতোটা মুগ্ধ হয়েছিলাম, ঠিক করেছিলাম আমার কখনও মেয়ে হলে তাঁর নাম রাখবো মৃন্ময়ী।
আর যে বইটা মুগ্ধতার সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল সেই “ জোছনা ও জননীর গল্প” সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের মাস্টারপিস। বইটা পড়ার সময় দুঃখ কষ্ট রাগ ঘৃণা গর্ব কত বিচিত্র অনুভূতির সাথেই না পরিচয় হয়েছিল। একই মলাটের ভিতর এতোটা আবেগের উচ্ছাস খুব কম বই পড়েই হয়েছে। মনে আছে এই বইটা পড়ে দীর্ঘদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এতটাই যে পাঠ্য বই পড়ার সময়েও আমি সবার সামনে এই বই পড়তাম।
নয়তো এমনিতে বই পড়লে বকা খেতে হয় বলে সাধারণত বইগুলো রাতে পড়া হত আমার,সবাই ঘুমানোর পর । বড় লাইট জালিয়ে রাখলে আম্মা টের পাবে এই ভয়ে কত রাত ডিম লাইটে বই পড়েছি। মশারীর ভিতর চোখের একেবারে কাছে নিয়ে এসে পড়তে পড়তে কখন যে চরিত্রগুলোকে আপন ভাবতে শুরু করতাম টেরই পেতাম না। টের পেতাম না কখন বালিশ ভিজে গেছে চোখের জলে। তখন ভীষণ সাদাসিদে হাসানকে আর হাসান মনে হতো না। মনে হতো আমিই যেন হাসপাতালে শুয়ে অপেক্ষা করছি গারো অন্ধকারের ( মেঘ বলেছে যাবো যাবো)। এইভাবেই আমার নরম বালিশ সাক্ষি হয়ে আছে রাবেয়া আপার রঙ ফর্শাকারী ক্রিমের কৌটার যেটাতে করে ২০ টাকা দিয়ে ভালবাসা কিনে এনেছিলেন তাঁর বাবা ( শঙ্খনীল কারাগার) , সাক্ষী হয়ে আছে ঘুমন্ত আনিসের কপালে জরির ভালোবাসার কোমল স্পর্শের যার জন্য একটি পুরুষ আজীবন তৃষিত হয়ে থাকে (নির্বাসন), মিজান সাহেবের ক্ষুদ্র আফসোস তার- তিনি তাঁর ছেলেকে কতটা ভালোবাসতেন তা বুলু কোনদিনও জানতে পারল না (অন্ধকারের গান), সুপ্রভা নামের এক অভিমানী কিশোরীর - মৃত মানুষের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না এই চরম সত্যটি না জেনেই যে হারিয়ে গিয়েছিলো (অপেক্ষা), জয়নাল নামের এক আধ পাগল যুবকের যে জীবনের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটির বিনিময়ে এক অনাত্মীয় চাচাজির জীবন ভিক্ষে চায় স্রস্টার কাছে (আজ আমি কোথাও যাবো না), এক গ্রাম্য ডাক্তারের জন্য শহুরে নবনীর জনম জনম তব তরে কাঁদিবার প্রতিশ্রুতির ( তেঁতুল বনে জোছনা), সমুদ্রের ফেনার মত সাদা চাদরে শোয়া মুহিবের হাত ধরে অরুর পিছুডাকের- আমি সব কিছুর বিনিময়ে তোমাকে চেয়েছিলাম;তোমাকে পেয়েছি আমি তোমাকে চলে যেতে দেব না; তোমাকে তাকাতেই হবে তাকাতেই হবে…… (কৃষ্ণপক্ষ)।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, কেমন লাগছিলো তার এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে যেখানে তিনি থাকতে চেয়েছিলেন হাজার বছর?? কতখানি অপূর্ণতা লুকিয়ে ছিলো তার বুকের গহীনে ?? কি ছিল এই দুঃখী বলপয়েন্ট এর শেষ চিন্তা??
কোনওদিনও আর জানা হবে না। জানা হবেনা কেমন কাটছে তাঁর কলমবিহীন সময়। জানা হবে না যে অন্যভুবনের সন্ধানে কেটেছে তাঁর জীবন (বলপয়েন্ট) সে ভুবনের দেখা কি তিনি পেয়েছেন?? কিংবা যে ফানুস উড়াবার যে সলজ সাধ তাঁর আজন্ম, তিনি কি পেয়েছেন তার খোঁজ??
হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন, লিখালিখি হল এক নিঃসঙ্গ যাত্রা। সমস্ত মানবজীবনই কি তাই নয় ?? সবকিছুর শেষে মানুষের প্রাপ্তি তো শুধুই একাকীত্ব। মানুষ সেই একাকীত্বর বুকে আঁকিবুঁকি কাটে। কেউ কাঠপেন্সিলে, কেউ বলপয়েন্ট দিয়ে। কিন্তু অবশেষের ঘরে হাহাকার ছাড়া আর কিছু থাকে না। আপনিই যেমন বলেছেন,
শুয়ে শুয়ে অশোক পাতায়
মুমূর্ষু শিশির বলে, “হায়
কোনও সুখ ফুরায়নি যার
তার কেনও জীবন ফুরায় ?” (একজন মায়াবতী)
পরিশিষ্ট
স্যার, আপনার কাছেই জেনেছি প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করেনা। কেউ হয়ত এসে আপনার জায়গা পুরন করবে। কিন্তু এও জানি, কোনও ক্লান্তিভাঙ্গা সময়ে বই’র তাকে হাত বাড়ালে আমার হাত আপনার বই ঠিক খুঁজে নেবে। অতঃপর এক পৃষ্ঠা দুই পৃষ্ঠা পাল্টাতে পাল্টাতে পেরুবে ঘণ্টা, দিন , মাস, বছর । এবং এইভাবেই অনেক বছর পর, হয়ত তিরিশ বছর কিংবা তারও বেশি, যদি বেঁচে থাকি…… কোনও “রোদন ভরা বসন্তে” কিংবা “শ্রাবণ মেঘের দিন”এ কোলের কাছে কাউকে বসিয়ে বলবো…… আমাদের কৈশোর, তারুণ্যটা অসাধারণ ছিল, কারন আমাদের ছিল একজন হুমায়ুন আহমেদ … কোনোদিন পারবোনা জেনেও তার দেখানো গন্তব্যবিহীন পথে হাঁটার সাধ নিয়ে কেটে গেছে অসংখ্য বৃষ্টিবেলা অথবা জোছনাকাল ……
শুভ জন্মদিন স্যার !
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হয়তো !
বিনম্র শ্রদ্ধা !
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করে না সেকথা উনার কাছেই শেখা তবুও তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
সত্যি তাই আসলেই শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
৬৫তম জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই অতি প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকুন তিনি যেখানেই থাকুন ।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সারা জীবন বলে যাবো হূমায়ুন আহমেদ একটা প্রজন্মকে মতান্তরে একটা জাতীকে বই পড়তে শিখিয়েছেন !
স্যারের জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা আর দোয়া রইলো !
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তিনি শুধু বই পড়তেই শিখাননি প্রকৃতিকেও ভালোবাসতে শিখিয়েছেন । ভালো থাকুন তিনি !
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় লেখকের জন্মদিনে আপনার লেখাটি শ্রদ্ধাঞ্জলী হয়ে থাকুক ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: থাকুক । ভালো থাকুন তিনি যেখানেই থাকুন । এতো ভালোবাসা নিশ্চয়ই তিনি কোথাও না কোথাও থেকে অনুভব করবেন ।
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, প্রিয় আদনান শাহরিয়ার
যথোপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি!
“আমি শারলক হোমস পড়ার আগেই মিসির আলি পড়েছি।”
-এরকম অনেকেরই হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের অন্য কিছু নিয়ে আমিও বলতে চাই না। তার অনেক অর্জনের মধ্যে, আমার মতে, সেরা অর্জন হলো বাঙালিকে বই পড়তে শেখানো। বাঙালিকে বইমেলা মুখী করার পেছনেও কি হুমায়ূনের অবদান অস্বীকার করা যায়?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার শৈশবটাকে, কৈশোরটাকে অসাধারন করার জন্য তার যে বিশাল ভুমিকা ছিল আমি শুধু এই কারনেই কৃতজ্ঞ থাকবো পুরোটা জীবন । অসম্ভব কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় লেখক । আর তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন এই প্রার্থনা করি ।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
আরজু পনি বলেছেন:
খুব সুন্দর !
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখা ।
শ্রদ্ধা রইলো দুরে থেকেও অনেক কাছে থাকা মানুষটির প্রতি ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু ।
দোয়া থাকুক ভালো থাকেন যেনও তিনি সবসময়!
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এক সময় আমিও হিমু হইতে চাইতাম, মিসির আলীতে বুদ হয়ে পড়ে থাকতাম।
আমার কৈশরের অনেকটা জুড়েই ছিল হুমায়ুনের রাজত্ব !
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমাদের সমস্ত প্রজন্মই মনে হয় এইভাবে আক্রান্ত ছিলো !
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হিমু নিয়ে আমিও একটা লেখা লিখেছিলাম
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: পড়লাম এখুনি । নিজেকে খুঁজে পেলাম ।
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ জন্মদিন আর শ্রদ্ধা প্রিয় লেখককে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আর প্রার্থনা , ভালো থাকুন উনি সবসময়!
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
টুম্পা মনি বলেছেন: খুব সুন্দর। অনেক ভালো লিখেছেন। সত্যিই খুব মিস করি এই মানুষটিকে। বার বার মনে হয় কত মানুষ তো একশো বছরও বাঁচে! এই লোকটাও না হয় আরো কিছুদিন বাঁচত! এক বছর পেরিয়ে গেছে। তবু মেনে নিতে ইচ্ছে করে না হুমায়ুন আহমেদ আর কোন দিন লিখতে আসবেন না আমাদের মাঝে! আর কোন দিন আসবে না হিমু, কিংবা মিসির আলী।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা । এই মানুষটাকে যতই লিখি না কেনও কম হয়ে যাবে । আপনার পরের কথার সাথেও একমত । গোলাম আযমের মতো কীট বেঁচে থাকে অফুরন্তকাল, আর হুমায়ুন আহমেদরা মরে যায় অকালেই ।
১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: ওফ চমৎকার লিখেছেন ভাই। পড়তে পড়তে চোখ ভিজে এলো।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন । প্রার্থনা করি মানুষটা যেখানেই থাকুন ভালো থাকে যেনও ।
১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫১
প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: হুমায়ুন দিয়েই আমার পাঠের শুরু এটা আমার জন্য গর্ভের ব্যাপার ।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তিনি কত মানুষকে যে পাঠক বানিয়েছেন । প্রার্থনা করি ভালো থাকুন তিনি ।
১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
শুয়ে শুয়ে অশোক পাতায়
মুমূর্ষু শিশির বলে, “হায়
কোনও সুখ ফুরায়নি যার
তার কেনও জীবন ফুরায় ?” (একজন মায়াবতী)
+++++++++++++
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তিনি ভালো থাকুন সবসময় । পাঠে কৃতজ্ঞতা ।
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ জন্মদিন স্যার !
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তিনি ভালো থাকুন সবসময় । পাঠে কৃতজ্ঞতা ।
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: “A writer’s obituary should be one liner - He wrote books, then he died” – William Faulkner '
লাইনটা ভাল লাগল । ফকনার ভাল লাগে , মারকেজের প্রিয় সাহিত্যিক ।
ভাল লাগা থাকল লিখায় ।
তা ভাই আপনার গল্প পাচ্ছি না কেন ?
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ও পাঠে কৃতজ্ঞতা । পরাশুনার চাপ যাচ্ছে ভাই, আশা করছি শিগগির কিছু একটা লিখতে পারবো । আপনার গল্পও কিন্তু বহুদিন পড়িনি ।
১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: পড়ার আহবান জানাই
সাহিত্যিকের মৃতু্য এবং আমাদের গদগদে আবেগ
Click This Link
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: পড়লাম । ধন্যবাদ । যেহেতু আমি একজন আবেগে গদ্গদ ছাগল হুমায়ুন ভক্ত তাই আপনার পোস্টে কমেন্ট করার যোগ্যতা দেখাতে পারলাম না বলে মনটা খারাপ হয়ে গেলো ।
১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: কমেন্ট না করার জন্য ধন্যবাদ। সাহিত্য আলোচনায় আবেগ ও ভক্ত জিনিসগুলো বেমানান। গঠনমূলক কিছু হয় না।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: জি ভাই আপনার মতো জ্ঞানী লোক না তো ।
১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়তে যেমন ভালো লাগে, তাকে নিয়ে লেখা পড়তেও ভালো লাগে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া । ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা পাঠে ।
১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দেখে গেলাম
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
আমাদের ভেতরের রোমান্টিসম এর ভাব অনেকটাই হুমায়ূন আহমেদের বইগুলো থেকে প্রভাবিত। রুপা বা তিথির প্রেমে পরেনি এমন কে আছে?
প্রথম বইগুলোতে এদেশের মধ্যবিত্ত সমাজ কে উনি সুনিপুনভাবে তুলে ধরেছেন। ওই সময় তার প্রয়োজন ছিল।
ভালো থাকবেন আদনান ভাই, শুভ কামনা।।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এই দেশের মধ্যবিত্ত জটিলতা আর রোমান্টিসিজম তার মতো কেউ ধরতে পেড়েছে বলে মনে হয়না । ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন ভাই ।
২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ভালো লাগল লেখাটা!!! আমার পছন্দের একজনকে নিয়ে লিখেছেন!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন । তিনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন । প্রার্থনা থাকলো ।
২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
না পারভীন বলেছেন: আবেগ কে ছুঁয়ে গেল ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু । সে মানুষটি যেখানেই থাকুন ভালো যেনও থাকে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করে না সেকথা উনার কাছেই শেখা তবুও তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
শুভ জন্মদিন আর শ্রদ্ধা প্রিয় লেখককে।