![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেঁচে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি.......
আকাশ দস্যুতা
নীলিমা স্কাই বিল্ডারস এর প্রধান আজিজ সাহেব মুখ বেজার করে বসে আছেন । মুখ বেজার করে থাকার যথেষ্ট কারণ আছে বৈকি । তিনি এক মাস আগে একটি নির্দেশ দিয়েছেন অথচ এখনও সেটা পালন হয়নি । তিনি জিএম আদনানকে ডাক দিলেন । এই আদনান আর তিনি মিলেই গড়ে তুলেছেন নীলিমা স্কাই বিল্ডারস । মূল আইডিয়া অবশ্য আদনানেরই ছিল , কিন্তু টাকা ছিলো না । সে তার আইডিয়া নিয়ে নানা জায়গায় গেছে , সবাই হেসে উড়িয়ে দিয়েছে । অবশ্য না দেওয়ারও কিছু ছিলো না । কেউ যদি বলে, মানুষের বসবাসের জন্য গ্যাসবেলুনের ব্যাবস্থা করলে কেমন হয় তাহলে যে কেউই তাই করবে ! তার আইডিয়া ছিলো, মানুষ যে হারে বেড়ে যাচ্ছে তাতে কিছুদিন পর মানুষের থাকার জন্য আর জায়গা থাকবে না । সব জমি চলে যাবে ভুমিদস্যুদের দখলে , কিন্তু তাদের বানানো ফ্লাটও একসময় সোনার হরিন হয়ে যাবে মানুষের কাছে । তখন হন্ন্যে হয়ে মানুষ জায়গা খুঁজবে বসবাসের , কিন্তু পাবেনা , সেই সময়ের জন্য যদি আমরা আকাশটা দখল করে নেই তাহলে কেমন হয়?? একেকটা বিল্ডিঙের ছাদে যতগুলো সম্ভব গ্যাসবেলুন । সেই গ্যাসবেলুনে থাকবে অন্তত তিন জন মানুষ থাকার ব্যাবস্থা । সারাদিন আকাশে এক জায়গায় স্থির থাকবে বেলুন । ঝড় বৃষ্টি বা শীতে ফলস সিলিং দিয়ে ঢেকে দেওয়া যাবে । বিল্ডিঙের ছাদে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হবে বেলুনবাড়িগুলো । ছাদ থেকে ওঠা নামার জন্য ব্যাবহার করা হবে দড়ির মই । আর প্রতিমাসে হওয়া ভাড়া দিতে হবে । আর বেলুনগুলোর ঠিকানা হবে , বিল্ডিঙের নাম্বার অনুসারে , যেমন , ১২/৩ বিল্ডিং ৪ নাম্বার বেলুন ! আজিজ সাহেব বুঝতে পারেন ভবিষ্যতে এটাই হতে যাচ্ছে । তাই তিনি আর দেরি না করে এই খাতেই বিনিয়োগ শুরু করলেন । প্রথমে অনেকেই পাগলামি ভেবেছিলো । কিন্তু কয়েক বছর পর দেখা গেলো সত্যিই ফ্ল্যাট সব সোনার হরিন হয়ে গেছে মধ্যবিত্তদের কাছে । তখন তারা বেলুনবাড়ির পেছনেই ছুটছে । সময় লাগলেও আজিজ সাহেবের ব্যাংক ব্যাল্যান্স ফুলে ফেপে উঠলো । কিন্তু বেড়ে গেলো প্রতিদ্বন্দ্বী । এখানেও জমি দখলের মতো করে সবাই আকাশ দখলের লড়ায়ে নেমে গেলো । কিছুদিনের মধ্যেই আকাশে আর নীল দেখা যায় না । তাকালেই শুধু নানা ডিজাইনের বেলুন । নীল নয় রঙ্গিন আকাশ দেখে অভ্যস্ত হতে শুরু করলো মানুষ । সুযোগ বুঝে ছাদওলারা বেশি ভাড়া দাবি শুরু করলো, সরকার ধার্য আকাশসীমার ট্যাক্স । আর উপদ্রপের মতো পিছনে লেগে থাকলো সমাজের কবি সাহিত্যিক নামের কীটগুলো । আকাশ দেখতে না পেয়ে তাদের সৃষ্টিশীলতা নাকি থেমে যাচ্ছে, বাচ্চাদের নাকি মানসিক গঠন সুস্থ হচ্ছে না । আজ তারা মানববন্ধন করে কাল কবিতা লিখে । তারা আজিজ সাহেবের নাম দিয়েছে আকাশদস্যুদের সর্দার । তাতে আজিজ সাহেবের থোড়াই কেয়ার । পারলে তোরা মানুষের বাসস্থান করে দে , তা তো পারবি না । আজও তারা কি এক কর্মসূচী ডেকেছে । কিন্তু তিনি সেসব নিয়ে চিন্তিত না, তিনি চিন্তিত একটা বাড়ির ছাদ কিছুতেই দখল করতে পারছেন না বলে । সেখানে একটা ছাদে একবেলুনে একজনই থাকে, কিন্তু সেই পুরোটা ছাদ দখল নিয়ে থাকে । তাকে উৎখাত করতে পারলেই তিনি নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারেন কিন্তু গত একমাস ধরে সে নির্দেশ দিয়েও সে কাজ হয়নি । তিনি আবারও আদনান সাহেবকে ডাক দিলেন ।
পূর্বকথা ঃ আমি এবং সেই মাতাল রাতের মেয়েটি
যারা একাকী বড় হয় তাদের নানারকম মানসিক সমস্যা নিয়ে বড় হয় । বেশিরভাগই সাধারণ সমস্যা । আমার ছোটবেলায়, প্রায় বন্দী অবস্থায় বড় হওয়ার কারনে নানারকম মানসিক সমস্যা আমারও আছে । এর মাঝে সাধারণ একটা সমস্যা হচ্ছে, আমি মাঝে মাঝে একসাথে দুইটি দৃশ্য দেখি । একটা বাস্তব, একটা হেলুসিনেশন । কঠিন লাগছে?? বুঝিয়ে বলি, ধরা যাক, আমার সামনে দুইজন লোক বসে আছে । একজন লোক হঠাৎ আরেকজন লোকের পিঠে আদর করে চাপড় দিলো । আমি সেই দৃশ্য দেখবো , সাথে সাথে আমার মস্তিস্ক আরেকটি দৃশ্য তৈরি করবে যেখানে আমি দেখবো, লোকটা আসলে তার পিঠে ছুরি বসাচ্ছে । ঠিক জানি না, হয়তো দুটি দৃশ্যর মাঝে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পার্থক্য থাকে বলে আমি বুঝতে পারি কোনটা আসল আর কোনটা হেলুসিনেশন । মাঝে মাঝে আমার ভয় হয়, যদি কখনও এই সেকেন্ডের পার্থক্য ঘুচে যায় ? আমি যদি আর দুইটা দৃশ্য আলাদা করতে না পারি ??
এই মুহূর্তেও আমার মধ্যে সেই ভয়টা কাজ করছে । এই মুহূর্তে আমার সামনে যে মেয়েটাকে বসে থাকতে দেখছি তাকে আমার বিভ্রম মনে হওয়ার কারণ নেই , অথচ হচ্ছে । যেদিন তাকে প্রথম দেখি তাকে কিন্তু বিভ্রম মনে হয়নি । অদ্ভুত হলো তখনই বিভ্রম হওয়ার সুযোগ ছিলো বেশি । ঝমঝমে বৃষ্টির রাত, যাত্রী ছাউনিতে মেয়েটা একা বসে ছিল । আশেপাশে শেষ জনমনুষ্য বলতে আমি । সেও পুরোপুরি সুস্থ না । সদ্যবিবাহিত সহকর্মীর লক্ষ্মী সুন্দরী বউটি দেখে ঈর্ষান্বিত আমার বহুবছরের অবদমিত নিঃসঙ্গতা জেগে উঠেছিলো তীব্র ব্যাথা নিয়ে । সেই ব্যাথা কমাতেই পেটে কিছু তরল চালিয়েছিলাম । অনভ্যস্ত পাকস্থলী বোধহয় তা সহ্য করতে পারছিলো না । পেট বাঁকিয়ে ভাঙ্গাচোরা ভঙ্গিতে বসে বসে আড়চোখে তাকাচ্ছিলাম মেয়েটির দিকে । মেয়েটি কিন্তু সরাসরিই তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে । কোনও দ্বিধা কোনও জড়তা নেই । ঠিক এখন যেভাবে তাকিয়ে আছে ।
“ কিছু বলবেন না বুঝি ??” মেয়েটার কোথায় সৎবিত ফিরে আমার । আমি মৃদু হাসলাম । মেয়েটি বলল, সেই রাতের কথা ভাবছেন তো ?? আমি আবার বিভ্রান্ত হই । এই মেয়েটি কি আমার মনের কল্পনা নয় ?? নাহলে আমার মনের কথা টের পাচ্ছে কিভাবে ?? আমি অস্বস্তিবোধ করি । মেয়েটা আবার বলে ওঠে, অস্বস্তিবোধ করার কিছু নেই । আপনি সহজ হন । আমি সহজ হওয়ার চেষ্টা করি । যেমন সে রাতে করেছিলাম । তার দিকে হাসি দিয়ে । তবে হাসিতে মনে হয় আমার অসুস্থতাই ফুটেছিল বেশি । মেয়েটা আমাকে অবাক করে দিয়ে বলেছিলো, আপনার কি বমি পাচ্ছে ?? আমি তাকালাম তার দিকে সরাসরি । আমার ঝাপসা চোখে তাকে মনে হচ্ছিলো সে আমার বন্ধুর বউটি কিংবা আরও পরিচিত কেউ । দীর্ঘদিন আগে হারিয়ে ফেলেছিলাম আজ আবার দেখা হয়েছে হঠাৎ । আমার বুকে আবার বেজে উঠেছিলো কনকনে নিঃসঙ্গতার কষ্ট । এই ভাবনাটি কিও ধরতে পারলো মেয়েটি ?? জিজ্ঞেস করলো, আপনার মা বাবা থাকেন না আপনার সাথে ?? আমি বললাম, না । অনেক ছোটবেলায় মারা গেছেন তারা ।
- ওহ অ্যাই আম সরি ।
- নো ইটস ওকে
- তারপর আপনি কার কাছে বড় হলেন ??
- এতিম খানায় ।
- ওহ
মেয়েটার চোখে বিষাদ ফুটে উঠলো । আসলেই কি ফুটে উঠলো নাকি সেটা আমার কল্পনা । মেয়েটা আবার জিজ্ঞেস করলো , আপনার শরীর এখন কেমন ?? আমি কিছু না বলে হাসলাম । সুস্থ হাসি । মেয়েটা আবার বলল, “প্রথম পরিচয়েই কোনও মেয়ের সামনে বমি করে দেওয়া কোনও কাজের কথা না”। আমি লজ্জা পেলাম । কিন্তু থামলো না। একটু দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল, “তাও আবার মাতাল হয়ে !” আমি জানি, আসলেই কাজের কথা না । তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বমিটা আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম আমি । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । শরীর গুলিয়ে আসছিলো , মনে হচ্ছিলো পেটের ভিতরে যা কিছু আছে, কিডনি লিভার সব যেনও টেনে হিঁচড়ে বেরিয়ে আসতে চায় । মৃত্যু কি খুব কাছে চলে এলো আমার ?? একসময় অনুভব হলো মেয়েটি আমার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে । কোমল স্পর্শ পেলাম আমার কাঁধ আর মাথায় । নরম সুরে মেয়েটা বলেছিল, মাথাটা আরেকটু নীচে করুন । আমার মনে হয়েছিলো, এই যাত্রায় হয়তো মারা যাবো না ।
- দেখুন আপনাকে অস্বস্তি ফেলার জন্য আমি কথাগুলো বলছি না । মজা করার জন্য বলছি । আবার বাস্তবে ফিরে আসি আমি । বললাম, বুঝতে পেরেছি । হাসলাম । মেয়েটার মুখে আবার দুষ্ট হাসি ফিরে আসলো , বলল, “সেদিন আপনি আমাকে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মনে আছে ??” আমি জানতাম, এই প্রসঙ্গ আসবেই । বমি হওয়ার সময় যখন মেয়েটা আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো আমার মনে হচ্ছিলো অনন্তকাল পর কেউ আমাকে এতো কোমলভাবে স্পর্শ করছে । আমার আজন্ম তৃষ্ণার্ত হৃদয় গুমরে উঠেছিলো । মনে হচ্ছিলো, এই হাত এই স্পর্শ যেনও অনন্তকাল থাকে । তখন মেয়েটিকে আর অচেনা কেউ মনে হচ্ছিলো না । বোধহয় এমন একটা মুহূর্তের জন্যই মানুষ অপেক্ষা করে সারাটি জীবন । কেউ পায় কেউ পায় না । আমি সেই ঘোরের ভিতরেই বলে বসলাম, আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই । জানি এটা খুব একটা আদর্শ মুহূর্ত নয় এমন প্রস্তাব দেওয়ার কিন্তু এর চেয়ে খাদহীন অনুভূতিও আর কখনও আসবে না । মেয়েটি শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো । আজ সেসব মনে পড়ায় অজান্তেই হাসলাম আমি । আমাকে হাসতে দেখেই মেয়েটি আবার জিজ্ঞেস করলো, আপনার বুঝি কোনও গার্লফ্রেন্ডও নেই ?? আমি বললাম, না । মেয়েটা সব জান্তার একটা ভাব নিয়ে বলল, আমিও তাই ধারণা করেছিলাম । গার্লফ্রেন্ড থাকলে বুঝতেন কখন একটা মেয়েকে প্রস্তাব দিতে হয় , কখন হয়না। আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম । তারপর বললাম, “ঠিক তা নয় । আমি আসলে ছোটবেলা থেকে একা একা বড় হয়েছি । একা একা মানে শুধু বাবা মাকে ছাড়া তা নয় , আমি যে এতিমখানায় থাকতাম সেখানের পরিবেশের সাথেও আমি মানিয়ে নিতে পারিনি । সবসময় চুপচাপ থাকতাম । কারও সাথে মেশার চেয়ে নিজের সাথে কথা বলতেই বেশি ভালো লাগতো আমার । তীব্র নিঃসঙ্গতাতে আমার অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা, হয়েছিলামও । বড় হয়ে স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতেও আমার তেমন বন্ধু ছিলো না আমার চুপচাপ স্বভাবের কারনে । অফিসেও নেই । কিন্তু শেষপর্যন্ত মানুষই তো । অভ্যস্ততার বাহিরেও অন্তরের অন্তঃস্থলে কি যেনও একটা থেকে যায় । ক্লান্তির শেষে একটু বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা কিংবা কোনও তারা ঝরে যাওয়া রাতে কারও হাত ধরে আকাশ দেখা । আপনাকে দেখে হঠাৎ মনে হয়েছিলো, আপনি আমার বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া কেউ যার জন্য আমি ঘুরে ঘুরে অবশেষে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি” । এইবার মেয়েটির চুপ থাকবার পালা । কিছুক্ষণ পর সে বলল, তারমানে সেদিনের কথাটা শুধুই ক্ষণিকের আবেগ কিংবা মাতালের প্রলাপ ছিলো না । আমি বললাম, না । মেয়েটি আর কিছু বলল না । খানিকপর উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আচ্ছা আমি যাই । আমি তখনও একটু আগের বলা কথাগুলো নিয়ে বিভ্রান্ত । সারা জীবনের চুপচাপ আমি হঠাৎ এতো কথা বলে ফেললাম কিভাবে কে জানে ! তারচেয়েও বেশি অস্বস্তিকর, মেয়েটি কি ভাবলো , এরপরে কি ভাববে সে আমার সম্পর্কে ! আমার কি মেয়েটিকে থামানো উচিৎ?? আমি মনে হলো আমি যেনও পিচ্ছিল কেকের উপর দিয়ে হাঁটছি । মেয়েটা উঠে দাঁড়িয়ে চলে যাচ্ছে তবুও আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছি, যেমন আমি সারাটি জীবন চুপচাপ দেখেছি অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া । এর আগের দিন, বমি করার পর, মেয়েটা যখন আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিল তখন পরম নির্ভরতায় তার পাশে হেঁটেছি যেনও এর কোনও শেষ নেই । আজ তাকে হেঁটে চলে যেতে দেখে অদ্ভুত শুন্যতা গ্রাস করলো আমাকে যেন এরও কোনও শেষ নেই । এতক্ষণে আমার মনে হলো, মেয়েটার আমার অসুস্থ মনের কল্পনা নয়, আমার পাঁজর চেরা কষ্টের অংশ ।
কিন্তু সেই ভাবনা কাটতেও বেশি দিন দেরি হলো না আমার । মেয়েটা চলে যাওয়ার পর প্রতিটা দিন আমি অপেক্ষা করেছি সে আসবে । এইবার আসলে আর কোনও ভুল করবো না । ঠিক তার নাম জিজ্ঞাসা করবো । জিজ্ঞাসা করবো ঠিকানা । কিন্তু সে আর এলো না । এলোই না । হঠাৎ এক সকালে তার একটা চিরকুট এলো । একটা ঠিকানা দিয়ে লিখা, আজ এই জায়গাটায় চলে আসবেন বিকেল ৪ টায় । আপনার জন্য চমক আছে । ইতি , সেই মাতাল রাতের মেয়েটি । আমি গেলাম । অপেক্ষা করলাম । বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা , সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত । কিন্তু তার দেখা পেলাম না । আবার ফিরে এলো সন্দেহ । আসলেই কি মেয়েটি ছিলো ?? নাকি কাল্পনিক সব চরিত্র তৈরি করে নিঃসঙ্গতা দূর করার আমার সেই পুরানো অসুখ ?? বাসায় এসে অনেক খুঁজেও চিরকুটটা পেলাম না । আমার সন্দেহ দৃঢ় হলো । হয়তো রাতের বেলা ঘুমের মাঝে নিজেই চিরকুটটি লিখেছিলাম কিংবা চিরকুটটাও আমার একটা কল্পনা ছিলো দীর্ঘদিন তাকে দেখতে না পেয়ে আমার হতাশ অবচেতন মন আমার জন্য এইভাবে গল্প সাজিয়েছিলো । প্রচণ্ড মন খারাপ হলো । অসংখ্য চোরা অশ্রুর সাক্ষী বোবা বালিশটাকেই একমাত্র সত্যি মনে হলো আমার ।
(আবার) আকাশ দস্যুদের অফিসে
আদনান সাহেব তার সামনে এসে দাঁড়াতেই আজিজ সাহেব বললেন, এই বাড়ির ছাদ এখনও দখল হয়নি কেনও ??
- স্যার ওই বেলুনবাড়িতে যিনি থাকেন তিনি ছাড়তে চাচ্ছেন না
- তাকে টাকা অফার করা হয়েছে ??
- জি । যত দাম তার বেশিই করা হয়েছে । কিন্তু তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন ।
- হুমকি দেওয়া হয়েছে ??
- জি তাও দেওয়া হয়েছে । কিন্তু লাভ হয়নি !
- আশ্চর্য ! কেনও ?? তার দাবি কি??
- তার কোনও দাবি নেই ।
- তাহলে কেনও ছাড়ছে না ??
- স্যার ভদ্রলোক একজন মেয়েকে পছন্দ করেন । কিন্তু মেয়েটার নাম ঠিকানা জানেন না । শুধু মেয়েটা তার ঠিকানা জানে । তার ভয় তিনি সেখান থেকে চলে গেলে আর কেউ কাউকে খুঁজে পাবেন না ।
- আজব !
- জি
- এই সময়েও কেউ ২০১৩ এর আবেগ নিয়ে চলে জানতাম না । মনে হচ্ছে, এটাও কবি সাহিত্যিকদের মতো কীট ।
আদনান সাহেব কিছু বললেন না । আজিজ সাহেব আবার বললেন, তার মতো আবেগ নিয়ে কাজ কারবার আমাদের নয় । আবেগ দিয়ে কিচ্ছু হবে না । আপনি আজকের রাতের মধ্যে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করেন ।
- জি স্যার
- কিছু বলার দরকার নেই। শুধু ছাদের হুকের দড়িটা কেটে দিবেন । যেদিকে খুশি উড়ে যাক । আমি কাল থেকেই ওখানে আমার প্রজেক্ট শুরু করতে চাই ।
অবশেষের দিন এবং রাত্রি
সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গল ফোনের আওয়াজে । স্ক্রিনে দেখি অচেনা নাম্বার । আলস্য নিয়ে রিসিভ করলাম ।
- হ্যালো
- আমি সেই মাতাল রাতের মেয়ে বলছি ।
আমি চুপ হয়ে গেলাম । আমি ভেবেছিলাম আমি বিভ্রান্তি কেটে উঠেছি । কিন্তু সে আবার হাজির হয়েছে ।
- হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন ?? মেয়েটা বলল আবার ।
- জি বলুন
- আমি আজ আপনাকে বিয়ে করতে চাই । জানি এটা খুব একটা আদর্শ মুহূর্ত নয় এমন প্রস্তাব দেওয়ার কিন্তু এর চেয়ে খাদহীন অনুভূতিও আর কখনও আসবে না ।
- রসিকতা করছেন ??
- না । এর চেয়ে সিরিয়াস আমি কখনও ছিলাম না । হবোও না কখনও ।
- কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব ??
- কেনও সম্ভব নয়?? নাকি আপনি মন পরিবর্তন করেছেন ??
- না মন পরিবর্তন করিনি । একটা সমস্যা আছে ।
- কি সমস্যা ??
- আমার ধারণা আপনি আমার কল্পনা ।
- মানে ??
- দেখুন আমি ছোটবেলা থেকে একা একা বড় হয়েছি বলে আমার অনেকরকম মানসিক সমস্যা আছে । একটা সমস্যা হচ্ছে, আমি খুবই কল্পনাপ্রবণ । আমি কিছু একটা কল্পনা করলে তাকে একদম বাস্তবের মতো দেখতে পাই । কিন্তু বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই । আপনার ধারণা আমার নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য আমার অবচেতন মন আপনাকে তৈরি করেছে । আপনার আসলে কোনও অস্তিত্ব নেই ।
- যার এমন সমস্যা থাকে সে কিন্তু বুঝতে পারে না ।
- আমি এখনও পারছি পুরোপুরি পাগল হয়ে যাইনি বলে হয়তো । একসময় আর পারবো না ।
- কিন্তু আপনার কেনও মনে হচ্ছে আমি কল্পনা?? আপনাকে তো আমি স্পর্শও করেছি !
- সে রাতে হয়তো বাস্তব ছিলেন কিন্তু এখন কল্পনা হতে পারেন । আর তাছাড়া এর আগেও একদিন আপনি আমাকে ডেকেছিলেন , মানে আমি ভেবেছিলাম , কিন্তু আপনি আসেননি ।
- আমি এসেছিলাম ।
- জি ??
- হ্যাঁ আমি এসেছিলাম । আমি দেখতে ছেয়েছিলাম আপনি আমার প্রতি কতখানি ডেডিকেটেড । তাই আপানার সামনে আসিনি । আপনি যতক্ষণ অপেক্ষা করেছেন আমিও ততক্ষণ ছিলাম । শেষে আপনি প্রচণ্ড কষ্টে ধীর পায়ে হেঁটে গেলেন প্রায় মধ্যরাতে ।
আমি আবারও চুপ হয়ে গেলাম । কি বলবো ! অসম্ভব আশা আর নিরশার মাঝখানে আমি অসহায়বোধ করছি । মেয়েটিই আগে বলল , এবার বিশ্বাস হলো ??
- আপনি আমার ফোন নাম্বার কই পেলেন ??
- সেই মাতাল রাতে আপনিই দিয়েছিলেন । আপনার মনে নেই!
আমার আবছাভাবে মনে পরে । আমি দুরুদুরু বুকে জিজ্ঞেস করি , আর যদিও আপনি বাস্তব হয়েই থাকেন তাহলে কেনইবা আমাকে বিয়ে করবেন ?? আমি মাতাল, মানসিক রোগী ।
- আপনাকে বিয়ে করার পেছনে আমার শক্ত একটা কারণ অবশ্যই আছে ।
- কি কারণ ?
- এখন তো বলা যাবে না । যদি আপানার সাথে আমার বিয়ে হয় তাহলে বাসর রাতের কোনও এক আবেগময় সময়ে আমি বলবো ।
- ওহ
কিছুক্ষণ চুপ থেকে মেয়েটা আবার জিজ্ঞেস করে, কি আসছেন??
কি বলবো আমি ?? যদি মেয়েটা স্বপ্ন হয় তবে এরচেয়ে সুন্দর স্বপ্ন আর আসেনি আমার জীবনে । যদি বাস্তব হয় তবে এরচেয়ে অসাধারন ঘটনাও থাকবেনা আমার জীবনে । কিন্তু মেয়েটা যদি স্বপ্নই হয় তাহলে আমার কি উচিৎ হবে সে স্বপ্ন ভেঙ্গে দেওয়া ?? ওপাশের অপেক্ষা বাড়ে, বৃদ্ধি পায় আমার নীরবতা ।
২
রকিব আর মজনু নিঃশব্দে ছাদে উঠে আসে । ওদের পায়ের তলা যেনও বিড়ালের চেয়েও রেশমি । দুইজনেই আজিজ সাহেবের ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনীর উদীয়মান মাস্তান । এই প্রথম তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । অন্যদিনের চেয়ে আজ তারা বেশি সতর্ক । যদিও কাজটা তেমন কঠিন কিছু না । শুধু ছাদের হুকের সাথে লাগানো বেলুনবাড়ির দড়িটা কেটে দিতে হবে । ধীর পায়ে তারা বেলুনের নীচে এসে দাঁড়ায় । উপরে তাকাতেই থমকে গেলো তাদের চোখ। বেলুনের মাথায় লাল নীল বাতি জ্বলছে । তারা জানে বেলুনবাড়িতে বাসর রাত হলে এই আলো জ্বলে । সাধারণত এমন রাতে সেই বাড়িতে হাত দেওয়া হয়না । রকিব মজনুর দিকে তাকায় । তাদের মাঝে কোনও কথা হয়না । এটাই তাদের প্রথম বড় কাজ । ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করছে আজকের কাজের উপরে , তাই তারা ঝুকি নিতে পারে না । মজনু একটু মাথা দোলায় । তারপর দুইজনে মিলে কাটতে শুরু করে দড়ি ।
৩
“ আরে আমরা উড়ে যাচ্ছি কেনও” চমকে উঠে সেই মাতাল রাতের মেয়েটি বলে উঠলো ! আমি হাসলাম । বললাম, “নীলিমা স্কাই বিল্ডারস অনেক দিন থেকেই আমার বেলুনবাড়ি দখল নিতে চাচ্ছিলো । কিন্তু আমি দিচ্ছিলাম না । কারণ আমি ভেবেছিলাম, এই বাড়িটা ছাড়া আমাদের আর কোনও যোগাযোগের উপায় নেই । শেষমেশ ওরা আর ধৈর্য ধরল না । আজকেই দড়ি কেটে দিলো” । মেয়েটার হতভম্বভাব তখনও যায়নি । সে বলল, আমরা তো আশ্রয়হীন হয়ে গেলাম । আমি আবার হাসলাম , বললাম, আকাশের চেয়ে বড় আশ্রয় আর কি আছে । মেয়েটা চারপাশে তাকালো । আমিও তাকালাম । আমরা একটু একটু করে ভেসে যাচ্ছি । আর একটু একটু করে অন্ধকার তার গভীরে টেনে নিচ্ছে যাবতীয় অলৌকিক আলো । শূন্য স্পর্শের কিছু হাওয়া মিলে মিশে জমছে আমাদের বিছানায়। অনেকদূরে একটা তারা খসে পড়লো কারও ইচ্ছেপূরণের প্রার্থনা হতে । কিছু নাবালক সাদা মেঘ শরীর ভাসিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে । সমগ্র চরাচরে যেনও আর কিছু নেই ! এমন বাসররাত কি হয়েছে কখনও কারও কোনওকালে ?? আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম । ওর ভেজা চোখের কোণায় আশ্রয় নিতে চায় শেষ রাতের মরাটে জোছনা । বোকা চাঁদ জানে না কারও অশ্রুতে জোছনার ছায়া পরে না ।
( উৎসর্গ – ঢাকা শহরের যানজটকে । এই অনভ্যস্ত শহরে চাকার গোঁজামিলে আটকে গেলে কেবলই মনে হয় যদি আমি গ্যাসবেলুন নিয়ে উড়ে যেতে পারতাম ! )
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: স্যারের গল্পটা আমার পড়া নেই , আপনার মন্তব্যে পড়ার ইচ্ছে হচ্ছে । আমি নিজে এই গল্পটা নিয়ে কনফিউজ ছিলাম । পুরোটা লিখার পরেও আমার নিজের কাছেই সাদামাঠা লাগছিলো । কারণ, অনেক জায়গাতেই আমি বর্ণনা সংক্ষেপ করেছি । বিশেষ করে ছেলেটার মনোজগতের জায়গাগুলো আরও বেশি ব্যাখার দাবি করে বলে আমার মনে হয়েছে । কিন্তু আপনার মন্তব্যে সত্যিই স্বস্তি পেলাম ।
ধন্যবাদ ভাইয়া । আপনার কাছে আসলে অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা । সত্যি কথা বলতে কি আপনার গল্পে আমার মন্তব্যের জবাবে যে কথা বলেছিলেন ওই কথাতে অনুপ্রানিত হয়েই আমি আজকে লিখতে বসেছিলাম । আবারও ধন্যবাদ , একই সাথে অনেক কৃতজ্ঞতা ।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
অনিকেত রহমান বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।। পড়া শুরু করে এত বড় পোষ্ট কখন শেষ করে ফেললাম বুঝতেই পারি নি।।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: পোস্ট যে বড় হয়ে যাচ্ছে সেটা আমিও বুঝতে পারছিলাম , কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও অনেক কিছুর বর্ণনা বাদ দিয়েও , ছোট করা গেলো না । তারপরেও যে গল্পটা পড়েছেন এইটুকুতেই কৃতজ্ঞ । সাথে অনেক ধন্যবাদ জানবেন । আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
না পারভীন বলেছেন: বেলুন বাড়ির সাথে উড়ে যাচ্ছি । খুব ভাল লেগেছে খুউউউউউউউউউব ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: সময়মত নেমে আসবেন কিন্তু । নয়তো খুঁজেও পাওয়া যাবে না ! অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা । পোস্টে আপানকে পেয়ে ভালো লাগলো ।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাধারণ !
Very weLL written ||
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: থাঙ্কু ! চেষ্টা করেছি । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে ।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আপনার এই ভিন্ন ধরনের গল্পটা আমার খুব ভাললেগেছে।আপনার কল্পনার ক্ষমতাও আমায় মুগ্ধ করেছে।শুরুতে ভেবেই নিয়েছিলাম একটা সায়েন্স ফিকশান পড়ছি।
ভাল থাকবেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ভাই সাইন্স ফিকশন আমার আয়াত্তের বাহিরে । প্রেম নিয়েই মাতামাতি করলাম আর কি । চেষ্টা করেছি লিখার, ভালো লেগেছে জেনে সাহস পাচ্ছি । আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম । এবং ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন !
৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
অ্যানোনিমাস বলেছেন: বাহ! খুব সুন্দর লিখেছেন ++++++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । কৃতজ্ঞতা জানবেন ! আমার ব্লগে স্বাগতম !
৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ইটা দিয়া রাখলাম। সময় নিয়া পড়মু
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হাহাহাহাহাহা!!!! ওকে । পড়া হলে জানাবেন কেমন লাগলো । ধন্যবাদ !
৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০
এস এম কায়েস বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এত্তগুলা পেলাস ! এতোগুলা ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ।
৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
বৃতি বলেছেন: চমৎকার!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ । এতো লম্বা গল্প পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন । আর আমার ব্লগে স্বাগতম ।
১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: অসাধারণ ++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অসম্ভব কৃতজ্ঞতা এতো লম্বা একটা গল্প সময় করে পড়ার জন্য । ধন্যবাদ জানবেন । আমার ব্লগে স্বাগতম । শুভ সকাল । ভালো থাকবেন সবসময়!
১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
অসাধারণ !!! এত চমৎকার একটা গল্প?? ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ।
আকাশের চেয়ে বড় আশ্রয় আর কি আছে
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এতো লম্বা গল্প ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । ভালো লেগেছে জেনে তৃপ্তি পাচ্ছি । অনেক ধন্যবাদ । ভালো তাকবেন অনেক ।
১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন: দারুন একটা গল্প।
"ঢাকা শহরের যানজটকে । এই অনভ্যস্ত শহরে চাকার গোঁজামিলে আটকে গেলে কেবলই মনে হয় যদি আমি গ্যাসবেলুন নিয়ে উড়ে যেতে পারতাম !" এই লাইনগুলো খুবই চমৎকার।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, এক যানজটে আটকা পড়েই এই গল্পটার থিম মাথায় এসেছিল । এই শহর বছর হয়ে গেলেও এখনও অভ্যস্ত হতে পারিনি এইসব দৈনিকতায় ! ধন্যবাদ জানবেন ।
১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেকদিন পর দারুন তৃপ্তি নিয়ে একটা গল্প পড়লাম।
একআকাশভরা প্লাস।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এক গল্পে দুইবার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে । যদিও আমি নিজেও নিশ্চিত ছিলাম না গল্পটা কেমন হবে সে ব্যাপারে । এমনকি গল্প শেষের পরেও আমার সন্দেহ ছিল নিতান্তই সাধারণ কিছু একটা হয়েছে হয়তো । কিন্তু এতগুলা প্লাস পেয়ে মনে হচ্ছে না কিছুটা সার্থকতা এসেছে । অনেক কৃতজ্ঞতা । সাথে অপরিসীম ধন্যবাদ জানবেন ।
১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
রুপ।ই বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে , "দীর্ঘদিন তাকে দেখতে না পেয়ে আমার হতাশ অবচেতন মন আমার জন্য এইভাবে গল্প সাজিয়েছিলো ।" কথাটা
অসাধারন ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । এতো দীর্ঘ গল্প ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য । কৃতজ্ঞতা জানবেন । ভালো থাকবেন ।
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: pore porbo. onek boro to!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে । ধৈর্য ধরে রেখে শেষ করতে পারলে জানাবেন কেমন লাগলো । ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা ।
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আহা এমন একটি মাতাল রাত যদি পেতাম...তবে ‘২০১৩ সালের আবেগ’ নিয়ে কাটিয়ে দিতাম জীবনটি। দড়ি কেটে দিলেও কিছু আসতো-যেতো না। ওড়তেই থাকতাম!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমারও লিখার সময় তাই মনে হয়েছিলো ! অথচ আমার এক বন্ধু বলল, কি সর্বনাশ আপনি ওদের বাসররাতটাই মাটি করে দিলেন ! এতো টেনশন নিয়ে ওরা রাতটা উদযাপন করবে কিভাবে ! পরে আমি ভাবলাম, আহারে বেচারা দুইজন! হাহাহাহাহাহা!!!
১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম অনেকগুলো গল্প। পড়ে দেখলাম একটিই।
আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনেও এরকম ভুল হয়। মনে হয় অনেকগুলো ঘটনা। পরে দেখা যায় ঘটনা একটিই - শুধু ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিত।
গল্পে তিন নম্বর পিলাচ!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: প্রথমে শুধু আকাশ দস্যুতা নিয়েই গল্পটা চালিয়ে দিতে চেয়েছিলাম । পরে টুইস্টটা জোরালো করার জন্য আমার কিছু মানসিক অসুস্থতা যুক্ত করে দিয়েছি । হাহাহাহাহাহা ! তবে দ্বিতীয় প্যারায় যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েননি তাতেই আমি খুশি ।
অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় লেখক । আপনাদের উৎসাহেই এসব লিখার সাহস করছি !
১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর ফ্যান্টাসি গল্প।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন । শুভেচ্ছা ।
১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই হাত এই স্পর্শ যেনও অনন্তকাল থাকে
অভ্যস্ততার বাহিরেও অন্তরের অন্তঃস্থলে কি যেনও একটা থেকে যায় ।
মেয়েটা যখন আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিল তখন পরম নির্ভরতায় তার পাশে হেঁটেছি যেনও এর কোনও শেষ নেই ।
আজ তাকে হেঁটে চলে যেতে দেখেও অদ্ভুত শুন্যতা গ্রাস করলো আমাকে যেনও এরও কোনও শেষ নেই ।
- এ বাক্যগুলাতে ' ও ' ব্যবহার অতিরিক্ত আর পড়ার সময় গতি মন্থর করে দেয় । বিশেষ করে শেষ লাইন টা দেখুন ।
আপনাকে দেখে আমার হঠাৎ মনে হয়েছিলো, আপনি আমার বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া কেউ যার জন্য আমি ঘুরে ঘুরে অবশেষে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি” ।
এখানে আপনাকে দেখে আমার হঠাৎ মনে হয়েছিলো , এই লাইন টাতে '' আমার '' শব্দটা বাদ দিলে ভাল হয় । কাকে বলা হচ্ছে
তা বোঝাই যাচ্ছে ।
এবং ফলে সবসময় আমি চুপচাপ থাকতাম । - এখানে ও আমি বাদ দেয়া যায় । যেহেতু এর আগে '' আমি '' আছে - আমি যে এতিমখানায় থাকতাম সেখানের পরিবেশের সাথেও আমি মানিয়ে নিতে পারিনি ।
কিন্তু সে আর এলো না । এলোই না । - দারুন ! কেমন জোর বাড়িয়ে দিল ।
।
জানি এটা খুব একটা আদর্শ মুহূর্ত নয় এমন প্রস্তাব দেওয়ার কিন্তু এর চেয়ে খাদহীন অনুভূতিও আর কখনও আসবে না ।
জানি এটা খুব একটা আদর্শ মুহূর্ত নয় এমন প্রস্তাব দেওয়ার কিন্তু এর চেয়ে খাদহীন অনুভূতিও আর কখনও আসবে না । - বেশ ভাল লেগেছে ব্যাপারটা ।/ মেয়েটা যে অর কথা অকেই বলল ।
ওদের পায়ের তলা যেনও বিড়ালের চেয়েও রেশমি ।
নাবালক সাদা মেঘ ।
লাইন গুলাকে উম্মা !!
শেষ প্যারাটা অসাধারণ ।
সাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বলতেন - যা ঘটে তা গল্প না , বরং
যা ঘট তে পারত বা সম্ভাবনা আছে এমন তাই গল্প । - আপনার গল্প
দেখছি উনার শর্ত পূরণ করে । বেলুনে বাস আজকের কল্পনা হলেও ভবিষ্যতে
এভাবে হওয়াটা অসম্ভব কিছু না , আমি ব্যক্তিগতভাবে
খুব আশাবাদী ।
আপনার বাক্যবিন্যাস মজবুত । সব মিলিয়ে গল্পে ভাল লাগা , তবে বেশি না , কারণ টা আপনি নিজেই । যে প্রথম গল্পেই নিজের একটা মান সৃষ্টি করে , তার কাছ হতে এ ধরণের
গল্প আশা করা যায় । আমি তাই অবাক হইনি , বরং আমার প্রত্যাশা পূরণ
হয়েছে ।
লিখতে থাকুন , আপনার মত রাইটার ব্লগে এখন খুব প্রয়োজন ।
ভাল থাকুন প্রিয় শাহরিয়ার ভাই ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার অনেকগুলো বদ অভ্যাসের একটা হচ্ছে, কোনও গল্প লিখে শেষ করার পর আর দ্বিতীয়বার না পড়া । অসম্ভব কৃতজ্ঞতা আপনার কাছে । আপনার মতো মনোযোগী পাঠক আমাকেও মনোযোগী করতে সাহায্য করবে আশা করি । সবগুলো ঠিক করে দিলাম ।
বেলুন বাড়ির বিষয়টা আমারও ভালো লেগেছে । হাওয়ায় ভেসে থাকতে রোমাঞ্চকর লাগারই কথা ।
আপনার পর্যবেক্ষণ নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ী । আমার মতো অলস লেখকের জন্য তো এইটুকুই সম্বল । আপনাকে ব্লগে পেয়ে সত্যিই ভালো লাগে ।
আর শুধু আমাকে বলছেন, আপনি যে সেই কবে একটা গল্প লিখেছিলেন তারপর তো আর কিছুই লিখছেন না । শিগগীর লিখুন।
আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন ।
২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুর্দান্ত সব চিন্তা ভাবনা , চমৎকার একটা গল্প !~
গল্পের শিরোনাম আমি হলে দিতাম
"আকাশের নীল আমার ঠিকানা"- সীমাহীন ভালোলাগা জানবেন আদনান !
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: সুন্দর শিরোনাম । কিছুই মাথায় না আসলে এই নামই রেখে দিবো । অনেক ধন্যবাদ , আর অসম্ভব কৃতজ্ঞতা জানবেন । আপনাদের উৎসাহ পাই বলেই অনেক আলসেমির পরেও লিখে ফেলি !
২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ !
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ । এবং কৃতজ্ঞতা এই দীর্ঘ গল্প সময় নিয়ে পড়ার জন্য । ভালো থাকবেন ।
২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: গতকালকে একবার পড়তে নিয়েও পড়া হয়নি।আজকে পড়লাম। কি যে সুন্দর একটা গল্প।অসম্ভব পরিমিত একটা গল্প। আর কাহিনীটা তো একদম আলাদা। খুব ভাল লেগেছে আদনান ভাই।এমন অন্যরকম গল্প যেন মাঝেমাঝেই পাই!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার নিজের প্রথমে গল্পটা নিয়ে সন্দেহ ছিল । কিন্তু এমন গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পর সত্যিই লজ্জা পাচ্ছি । এতো লম্বা গল্প ধৈর্য নিয়ে পড়েছেন দেখেই কৃতজ্ঞবোধ করছি ! অনেক ধন্যবাদ, অসম্ভব ধন্যবাদ জানবেন । চেষ্টা করবো মাঝে মাঝে এমন কিছু লিখার । ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা জানবেন !
২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের সুন্দর একটা শিরোনাম দেন ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: দিলাম ভাইয়া । স্বপ্নবাজ অভি ভাই এর দেওয়া নামটাকে একটু বড় করে " আকাশ দস্যুতা এবং মাতাল রাতের সেই মেয়েটির গল্প - আকাশের নীল আমার ঠিকানা" ! আশা করি ভালো হয়েছে !
২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
সুমন কর বলেছেন: বেশ লাগল। বাক্য এবং শব্দ বিন্যাস ভাল হয়েছে। আপনার কল্পনাশক্তির সাথে গল্পের কাহিনী সুন্দর হয়েছে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । এতো দীর্ঘ একটি গল্প ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অসম্ভব কৃতজ্ঞতা । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে । শুভেচ্ছা , ভালো থাকবেন ।
২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৮
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এত চমৎকার এত নিখুত গপ সচরাচর চোখে পড়ে না। এরকম একটা গপ লেখতে পারলে হয়ত নিজেরে গল্পকার হিসাবে পরিচয় দেয়া শুরু করতাম
মনে হল সুঁই-সুতা দিয়ে খুব যতন করে গপটা গাঁথছেন।
আনবিলিএবললি গুড হইছে গপটা!
অট - ব্লগারদের কবিতা নিয়া একটা বই বের করছিলাম ২০১১ বইমেলায়। ব্লগারদের গপ নিয়া একটা বই বের করার খুব ইচ্ছা আছে। জানিনা কোনদিন সেই ইচ্ছা পুরণ। তবে এটা শিউর একদিন সেই ইচ্ছা পুরণ করা হবে। সেই বইয়ে আপনার এই গপ রাখতে চাই বা থাকবে। সে সময় যদি আপনার সাথে যোগাযোগ না থাকে, তারপরেও এটা সে বইয়ে থাকবে। এখন পারমিশন নিয়া রাখলাম
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: "সুঁই-সুতা দিয়ে খুব যতন করে গপটা গাঁথছেন" ভালো লেগেছে কথাটা । গল্পটা নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না , এখন মনে হচ্ছ খারাপ হয়নাই।
আর কি বলেন ! আপনার গল্প তো আমারই পছন্দের । আর বই এর মলাটের ভিতরে আমার গল্প দেখতে আমার ভালোই লাগবে ।
ধন্যবাদ এবং অসম্ভব কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
২৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনবদ্য +++
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অসম্ভব কৃতজ্ঞতা প্রিয় ব্লগার । আপনাদের উৎসাহ পেলে আসলেই ভালো লাগে । ধন্যবাদ অনেক । ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা ।
২৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: এত সব বড়বড় ব্লগারগন যা বলার বলে দিয়েছে। আমি একদিনের বাচ্চা নতুন কিছু বলার নাই। এমনটি লিখতে পারলে ধুমাধুম দু-চারটা বই এদ্দিনে বের করে ফেলতাম সন্দেহ নাই।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা!!!! বাচ্চা !!!! ধন্যবাদ । কৃতজ্ঞতা । দুই চারটা বই !!!! হমম ! কে বলতে পারে আপনিই আমার আগে বই বের করে ফেলবেন হয়তো!
২৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শায়মা বলেছেন: সুন্দর!!!!
অনেক সুন্দর ভাইয়া!!!!!!!!!
আকাশে উড়ে উড়ে বাসর রাত!!!!!!
মেয়েটাকে দিয়ে গান গাইয়ে দিলে আরও ভালো হতো!!!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: গান গাইবে?? বেচারির কি আর তখন বাসর রাত উপভোগ করার মানসিকতা আছে!!!! অনেক ধন্যবাদ আফু , কৃতজ্ঞতা জানবেন !
২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
জুন বলেছেন: আকাশের চেয়ে বড় আশ্রয় আর কি আছে সত্যিইতো আর কিছু দিন পর যখন সব জমি জলাশয় ভুমি দস্যুদের আগ্রাসনে বিলীন হয়ে যাবে তখন আকাশ ছাড়া আর কিবা থাকবে।
খুব চমৎকার একটি গল্প এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম আদনান শাহ্িরয়ার।
অনেক ভালোলাগলো।
+
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তখন আকাশ দখল হবে । কাব্য করার জন্য কেউ আর বলবে না তুমি আকাশের মতো সুন্দর । অনেক ধন্যবাদ আপু । এতো লম্বা গল্প ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য । শুভেচ্ছা জানবেন ।
৩০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৬
শ্যামল জাহির বলেছেন: আপনাকে বিয়ে করার পেছনে আমার শক্ত একটা কারণ অবশ্যই আছে।
- কি কারণ ?
- এখন তো বলা যাবে না । যদি আপানার সাথে আমার বিয়ে হয় তাহলে বাসর রাতের কোনও এক আবেগময় সময়ে আমি বলবো।
পড়তে পড়তে গল্প শেষ। কেটে দেওয়া বেলুনে বাসরও হলো।
বিয়ের কারণটা জানা হলোনা!
গল্পে ভাল লাগা রইলো আদনান শাহরিয়ার ভাই।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কারণটা আমিও জানি না । বলার আগেই তো উড়ে গেলো তারা । ধন্যবাদ শ্যামল ভাই । কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
৩১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
সোমহেপি বলেছেন: চমৎকার ডিটেইলিং।
ভাল গল্প।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আবার ধন্যবাদ । অনেক কৃতজ্ঞতা এই দীর্ঘ গল্প সময় করে পড়ার জন্য । ভালো থাকবেন । কৃতজ্ঞতা ।
৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এর আগে সম্ভবত আপনার কোন পোস্ট পড়া হয়নি। যা হোক, অনেক ভালো লিখেছেন। চমৎকার গল্প। পোস্টে প্লাস রইলো।
ভালো থাকুন। শুভ কামনা
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ , এতো দীর্ঘ একটা গল্প পড়ার জন্য । ভালো জানানোতে কৃতজ্ঞতা । আমার ব্লগে স্বাগতম । গতকাল আমি আপনার ব্লগে গেছিলাম । ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা জানবেন ।
৩৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
বোকামন বলেছেন:
দিন-রাত্রির জোছনা আর আকাশ নীলিমায় হারিয়ে যাওয়ার প্রচ্ছন্ন বর্ণনায় গল্পটি সুখপাঠ হলো । প্লট সাজিয়েছেন যতন করেই, ভালো যে লাগবেই ।
বাক্য বুননে আরো কিছুটা মনোযোগী থাকলে ভালো ছিলো হয়তো :-)
লেখকের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ।
ভালো থাকুন, এবং লিখুন ।।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: মূল্যবান পরামর্শের জন্য অসংখ্য কৃতজ্ঞতা । পরেরবার আরও মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করবো । এই বিশাল গল্প পাঠে কৃতজ্ঞতা । অনেক ধন্যবাদও জানবেন ।
আপনিও ভালো থাকুন । শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
৩৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এক কথায় দূর্দান্ত।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । অসম্ভব কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা !
৩৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
একলা ফড়িং বলেছেন: মাঝ রাতে ধোঁয়া ওঠা এক মগ কফি হাতে বেলুন বাড়িতে ভাসতে ভাসতে টেবিল ল্যাম্পের মৃদু রহস্যময় আলোয় এই গল্পটা পড়তে পারলে কি ভালোই না হতো!!!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হবে হয়তো কোনোদিন , কিংবা কোনোদিনও না। দোয়েল শালিকের জীবনের সাথে মানুষের কবেইবা দেখা হয়েছিলো !
পাঠে কৃতজ্ঞতা । আমার ব্লগে স্বাগতম ।
ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা সতত !
৩৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
জাফরিন বলেছেন: ওহ! আপনি আসলে অনেক শক্তিমান লেখক।
এত চমৎকার প্লট মাথায় আসল কিভাবে একটু বলবেন?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: রাস্তায় যখন আটকে যাই , যখন চারপাশে বিল্ডিং ছাড়া কিছু চোখে পড়ে না , একদিন হঠাৎ মনে হল , যখন এ শহরে আর থাকার জায়গা থাকবে না কি করবে মানুষ ?? সেই থেকে বেলুনের ধারণা মাথায় আসলো । যানজট হলে বেলুন নিয়ে উড়ে যাওয়া, বেলুনে বসবাস । এইতো !
আর প্রশংসায় লজ্জা পেলাম । অনেক কৃতজ্ঞ এমন উৎসাহ পেয়ে । ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা জানবেন । ভালো থাকুন !
৩৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৩
শূন্য মানব বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অসম্ভব কৃতজ্ঞতা । ধন্যবাদ জানবেন , ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা ।
৩৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
জলপরী১৮ বলেছেন: "বোকা চাঁদ জানেনা, কারো অশ্রুতে জোছনার ছায়া পড়েনা!"
সব মিলিয়ে অসাধারন লিখেছেন ভাইয়া!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আসলেই পড়ে না , তাতে জোছনার কিছু যায় আসেও না ।
ধন্যবাদ , পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন । আর অনেক ভালো থাকবেন , শুভেচ্ছা ।
৩৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: পড়লাম, তারপর কিছুক্ষণ থ মেরে বসে ছিলাম! কি লিখেছেন এটা! মাস্টারপিস! গ্রেট। চমৎকার থিম, অসাধরন সাহিত্যকর্ম, অপূর্ব!!
প্রথম দুই অংশ পড়ে চিন্তার করছিলাম এই স্রোতের মিলনটা কিভাবে হবে! এত স্মুথ ফিনিসিং! মুগ্ধপাঠ! শুভেচ্ছা রইল।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে লজ্জা পেয়ে গেলাম । লভি শকুনের মতো বারবার পড়লাম প্রথমটুকু । এতটা প্রশংসার যোগ্য কিনা ভেবে কিছুটা বিব্রত ।
অনেক ধন্যবাদ, আর অসম্ভব কৃতজ্ঞতা । এইভাবে উৎসাহ পাই বলেই মাঝে মাঝে লিখে ফেলি, আসলে বলে বোঝানো যাবে না কতটা কৃতজ্ঞতা থাকে আপনাদের কাছে ।
আবারও কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা ।
৪০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: উৎসাহ তো অবশ্যই দেই। ব্লগে আমি কোন কোন লেখা পড়ে শুধুই উৎসাহ দেয়ার জন্য কমেন্ট করি, আবার কোন কোন লেখা পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। আপনার এই লেখাটা সত্যি সেই মাপের।
আরেকটা কথা আগের কমেন্টের বলতে গিয়েও বলিনি। আমার মাথায় প্রায় একই থীমের একটা গল্প ঘুরছে প্রায় ৫/৬ মাস যাবৎ , আপনার এই গল্প যেমন কর্পোরেট শকুনেরা মুক্ত আকাশ দখল করে নেয়, ঠিক তেমনি আমার না লেখা গল্পটার প্লটে কর্পোরেট শকুনেরা বাতাস দখল করে নিয়েছিল। আমার এই প্লট নিয়ে হয়তো আর লেখা হবে না সে কারনে কিছুটা কষ্টবোধ তো আছেই তবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি আমারটা এতটা সাহিত্যময় হয়ে উঠতো না। সেই হিসাবে আপনি লিখে ফেলেছেন তাই কিছুটা স্বস্তিও পাচ্ছি। আখেরে বাংলা সাহিত্যেরই লাভ হলো, বাংলাই সমৃদ্ধ হলো।
আরেকটা ব্যাপার, মনে হচ্ছে আমাদের ব্রেনের ফ্রীকোয়েন্সিতে কোথাও মিল আছে
শেষে বলতে চাই, লিখা থামাবেন না। চালিয়ে যান। শুভেচ্ছা রইল।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের একটা লিখায় পড়েছিলাম, লেখকদের মধ্যে আত্মিক যোগাযোগ থাকে । অবিশ্বাস্য হলেও দেখা যাচ্ছে ভুল কিছু না । কিন্তু আপনার গল্পটা কেনও লিখা হবে না?? একদিন সময় করে লিখে ফেলবেন, কর্পোরেটরা তো সবই দখলে নিতে চায়, সবকিছু নিয়েই কথা হওয়া দরকার ।
যেভাবে প্রশংসা করেন লজ্জা পেয়ে যাই, জানিনা এতোটার যোগ্য কিনা, তবুও এটা ধরে রাখার চেষ্টা করবো নিশ্চয়ই । যদিও আজকাল মাথার ভিতরে গল্পের চেয়ে দুষ্টু বুদ্ধিই বেশি খেলে । আর আপনার কাছেও, দুর্দান্ত সব সাইন্স ফিকশন পাওনা হয়েছে মনে রাখবেন । এগুলোকে ছাপার অক্ষরে নিয়ে আসার সময়ও হয়েছে ।
ভালো থাকবেন , অনেক সুন্দর সুন্দর লিখা উপহার দিবেন, দোয়া করবেন ।
৪১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
বভেট বলেছেন: আমি সাহিত্য সমালোচক বা বিশেষজ্ঞ ধরনের কেউ না, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে লেখাটা অসাধারন। মানসিক দ্বন্দ্ব, নিঃসঙ্গতা, আবেগ সবকিছুর খুব সুন্দর সমন্বয়।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: অনেক কিছুর কথাই আসলে বলতে চেয়েছি । সেটা যদি পাঠক বুঝতে পারে তাহলে তার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই । বোদ্ধা না হয়েও আমার গল্প আপনাকে স্পর্শ করেছে জেনে অত্যন্ত আনন্দিত ।
শুভেচ্ছা । ধন্যবাদ অজস্র । ভালো থাকবেন সবসময়
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার কল্পনার শক্তির গভীরতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম । নিজের অজান্তেই ঢুকে গিয়েছি গল্পের ভিটরে । যেন বা আমরা সবাই উড়ছি গ্যাস বেলুনে ।
সেলিম-আল-দীন স্যার 'জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন' লিখেছিলেন ক্ষয়িষ্ণু সমাজের অসাম্যকে পরিহাস করে । বেলুন সেখানে ছিল ক্ষয়িষ্ণুতার প্রতিক । আর আপনার স্বপ্নের গ্যাস বেলুন বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাকেই বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে । মানুষের সকল লোভ আর সীমাবদ্ধতাকে এড়িয়ে গ্যাস বেলুন বাঁচার পথ করে দেয় ।
সাবলীল বর্ণনা আর জাদুময় কল্পনা মিলে নিঃসন্দেহে চমৎকার একটা গল্প ।