নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদনান শাহরিয়ার

রোদ্দুর অনুভব… হেঁটে হেঁটে ছুঁয়ে যাবে তোমার কলরব… পলকতলে জমা মেঘদল… খাঁচা ভেঙ্গে একদিন ঠিক এনে দিবো নোনাজল…

আদনান শাহ্‌িরয়ার

বেঁচে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি.......

আদনান শাহ্‌িরয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু পথের যাত্রীদের জন্য শব্দ সংকলন

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩২





এই চিঠিটা কখনও তোমার চোখে পড়বে কিনা জানি না । অবশ্য চোখে না পড়লেও কিইবা আসে যায় । যা হওয়ার তা হবেই হবেই । আর যা হবে তা আমি কিছুতেই আটকাতে পারবো না । এইভাবে বলছি বলে ভেবো না, কিছুতেই আমার কিছু আসে যায় না । সত্যিটা হলো, আমি খুব করে চাইছি তোমার চোখে পড়ুক । তুমি দেখো কতটা কষ্টক্ষরণ হয় আমার বুকের ভিতরে । যদিও না দেখলেও তুমি জানো , আমি জানি । জানি বলেই তোমার গারো বিষাদ চোখ, নির্লিপ্ত থাকার বোকা চেষ্টা দেখে আমার মায়া হয় । যে খেলায় দুইজনেরই পরাজয় সেখানে কেউ সুখী হতে তো পারে না । তাই যে নিপুন ব্লেড শিল্পী কলিজার ঠিক মাঝখানে যে অপূর্ব শিল্পকর্ম আঁকছে তাতে ভিজে যাচ্ছে আমাদের চোখের কোণ থেকে পুষে রাখা স্মৃতিঘোর পর্যন্ত । ব্লেডটা কেড়ে নিতে খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলেও কিছুই করা হয়না । তীব্র বিষণ্ণতাতেই চিরমুক্তি মনে হয় । চুইয়ে পড়া স্মৃতির জন্য জেগে থাকতে চেয়েছি যে রাত এখন তার ফুরাবার অপেক্ষায় থাকি । দীর্ঘ পথে হঠাৎ পাশে তোমাকে না দেখে পিছন ফিরে তাকালে দেখি আছে কেবল অপার্থিব হাহাকার । দাবা বোর্ডের মতো ছকে বাঁধা জীবনটা আরও আঁটসাঁট হয়ে যায় একেরপর সৈন্যসামন্ত হারিয়ে । তাই আমার সব ইচ্ছেরাই ডায়েরির পুরনো পাতায় হলুদ হয় । কেউ দেখে না কেউ জানে না পোস্টারের জীবন বয়ে চলা নিছক অজুহাতহীন ।



আচ্ছা, আমার লিখাটা কি এলেমেলো মনে হচ্ছে ?? মনে হচ্ছে, লিখাটা খসে পড়া তারার মতো দিশাহীন ছুটে চলেছে ?? কে জানে হবে হয়তো । হলেই বা কি । তুমি তো জানোই আমি প্রচণ্ড স্বার্থপর । তোমাকে স্বস্তি দিতে সুখে থাকার অভিনয় করতে পারছি না আমি । তোমাকে শান্তি দিতে ইচ্ছে করছে না । বারবার বুঝিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে, তোমাকে ছাড়া আমার চলে না । তোমাকে ছাড়া আমার শুকনো কলমে কান্না ভরেও শব্দ সৃষ্টি করতে পারি না , পারি না আমার পলকতলে সুখ মাখিয়ে স্বপ্ন জন্ম দিতে , আমার বন্ধ্যা হৃদয় বারবার শুধু কষ্ট কষ্ট বলে চিৎকার করতে চায় পুরোটা লিখা জুড়ে । ভালোবেসে না হোক, করুণা করে । দুইদণ্ড, একটি সেকেন্ড বা কেবলই একটি ক্ষণ, আরও একবার তুমি রয়ে যাও আমার কাছে ।





আমি জানি, এই লিখাটা পড়লে তুমি আরও জর্জরিত হবে । ডুকরে কেঁদে আমাকে খুঁজবে, যে আমাকে তুমি ভালবাসতে চেয়েছিলে । বারবার জানতে চাইবে, কোথায় সেই আমার জেদ, কোথায় আমার পুরুষোচিত অহংকার , কোথায় আমার একলা চলার ওইচিত্যবোধ । হায় তুমি যদি জানতে, পুরুষের জীবন মানে ভালোবাসার জন্য তৃষিত থাকার জীবন । তুমি যদি জানতে, পুরুষের জীবন মানে সর্বহারা হয়ে ভালোবাসার জীবন......







সোবহান সাহেবের জীবনকে সর্বহারার জীবন কি বলা যায় ?? মানুষের সংবিধানে যতরকম অজুহাত আছে বেঁচে থাকার তা সবই তিনি হারিয়েছেন । এখন তিনি প্রতিদিন অজুহাত খোঁজেন । এই ৬৮ বছর বয়সে এসে বেঁচে থাকার জন্য নতুন সংবিধান রচনা করা কঠিন । এই জগতের সবকিছু আইন আর অজুহাত তারুণ্যের জন্য । বৃদ্ধদের জন্য কঠিন এক ঈর্ষা আর জীবনের সমান দীর্ঘ সব দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছু নেই । তবুও তাদের বেঁচে থাকতে হয় । বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করতে হয় নিত্যনতুন ফাঁদ । কিন্তু তার খবর আমরা কয়জন রাখি । আমরা দেখি, সোবহান সাহেব প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে একবার বারান্দায় এসে বসেন , সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠিক সেই একইভাবে বসে থাকেন । দোতালার উপর থেকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন রাস্তার দিকে । রাস্তার মানুষেরা বড় ব্যস্ত মানুষ । তারা কোনও দিকে তাকায় না । অথচ উপরের দিকে যদি তাকাতো তাহলে এক করুণ বৃদ্ধকে দেখতে পেতো । একা , মানবসঙ্গের জন্য তৃষিত । কেউ না দেখলেও সোবহান সাহেব সবাইকে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখেন । প্রতিটা মানুষের গায়ে লেগে থাকে অসংখ্য গল্প । সেইসব পড়ার চেষ্টা করেন । আমরা যদি উপরের দিকে তাকাতাম তাহলে দেখতাম, সোবহান সাহেব খুব আস্তে বিরিবির করে কথা বলছেন। এই কথা তার নিজের সাথে নয় । মানুষের সাথে । যে মানুষটি তার শরীরে খুব হতাশা বয়ে বেড়াচ্ছে, তিনি তাদের মনে মনে বলেন, কেন এতো হতাশা গো?? নিজের উপরে ভরসা রাখো । যে মানুষটি শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে বিপুল আনন্দের গল্প তাকে দেখে তিনি বলেন, বাবা এই সুখের দিনে দুঃখের দিনগুলোর কথা কিন্তু ভুলে যেও না । তাহলেই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হবে । আমরা যদি উপরে তাকাতাম তাহলে সোবহান সাহেবকে দেখলেই আমাদের মন ভালো হয়ে যেতো । আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা কেবলই হেঁটে যাই নিজেদের দিকে পাশ ফিরে। এই কারনে সোবহান সাহেবের বাসার একতালায় যে তরুন দম্পতি থাকে সে ছেলেটিও জানেন না তিনি তাকে কত অপছন্দ করেন । তাকে অপছন্দ করেন কারণ একদিন এমন টোনাটুনির জীবন তারও ছিলো, সেসব কথা কথা বড় বেশি মনে পড়ে যায় । ছেলেটিকে যখন মেয়েটির জন্য শাড়ি আনতে দেখেন, মুখে আসন্ন সুখের পূর্বাভাস নিয়ে, তখন তার মিসেস সোবহানের কথা মনে পড়ে । শাড়ির দোকানে নিয়ে গেলে সে কিসব কাণ্ডই না করতো । একবার তিনি শাড়ি এনে লুকিয়ে রাখলেন বিশেষ দিনে দিবেন বলে, কিন্তু তার আগেই মিসেস সোবহান শাড়িটা আবিষ্কার করে ফেললেন, তারপর কি কান্নাকাটি, নিশ্চয়ই সোবহান সাহেব অন্যকারও জন্য শাড়ি কিনেছে । সেসব দিনের কথা মনে করেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন । কতদিন হয়েছে মিসেস সোবহান মারা গেছেন?? দশ বছর?? কিংবা তারও বেশি?? সোবহান সাহেবের মনে হয় অনন্তকাল , অনন্তকাল তিনি একা আছেন । সোবহান সাহেবের বুক দুমড়ে যায় । আমরা যারা হঠাৎ কালে ভাদ্রে উপরের তাকিয়ে সোবহান সাহেবকে দেখি তারা কোনোদিনও জানতে চাই না তিনিও কাঁদেন কিনা খুব কষ্টে । ভাড়াটিয়া মেয়েটাও জানেন না, সে যখন তার সন্তান সম্ভবা হওয়ার খবরটি দিচ্ছিল তখন সোবহান সাহেবের চোখের কোণায় জল জমেছিলো । তার মনে পড়ে গিয়েছিলো, তার একমাত্র নাতিটি থাকে সুদূর আমেরিকায় । আজ তিন বছর হয়ে গেছে তিনি তার মুখ দেখেননি । যেমন মুখ দেখেননি তার সন্তানের । প্রতি বছর আসার কথা থাকলেও কোনওবারই তাদের আশা হয়না। তারা জানতে চায়না, বুঝতেও না, তিনি যে বেঁচে আছেন তার একমাত্র অজুহাত, মৃত্যুর আগে তিনি শেষ আরেকবার তাদের দেখতে চান । আমরা সেসবের কিছুই জানবো না । জানবো না আমরা অনেক কিছুই কারন আমাদের নিজেদের জানতেই সময় শেষ সেখানে সমাজের জন্য নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় একজনের জন্য আমাদের কেনও কৌতূহল হবে । হয়তো একদিন সোবহান সাহেবের নিঃসঙ্গতা থাকবে না । হয়তো একদিন তীব্র যাতনা তিনি আর সইবেন না । সেইদিন আমাদের মনে কিছু প্রশ্নের জন্ম হবে । আমরা কিছু জানবো, অনেক কিছুই জানবো না । প্রকৃতি সুনিপুনভাবে উত্তর আড়াল করে । আর আমাদের অল্প জানাতেই সুখ । অনেক প্রশ্নের উত্তরই আমরা কখনই জানবো না ।







অথচ তুমি ঠিক চলে যাবে, চলে যাবে কারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই । তুমি চলে যাবে কারণ আমাদের সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যৎ নেই । আমাদের মাঝে যাই থাক, আমরা যেভাবেই চাই পরস্পরকে, একটা জায়গায় এসে আমাদের থমকে যেতেই হয় । কারণ আমাদের চাওয়ার পরিণতি কোনও সুন্দর গল্প হবে না । আমরা সারাজীবন একসাথে হাঁটতে পারবো না । একদিন তোমার পথ তোমাকে আলাদা করে নিতে হবে কারণ তোমার সাথে চলার জন্য যে যোগ্যতা তা আমি কোনোদিন অর্জন করতে পারবো না । কিংবা আমার পাশে থাকার জন্য যে আত্মদান তা দেওয়ার মতো মানসিক জোর তুমি কোনোদিন ধারন করতে পারবে না । তাই এই ভালো, আরও জটিলতর বিধ্বস্তটার আগেই দুইজনের আলাদা হয়ে যাওয়া । জানি, সব জানি । এও জানি, আমার অজস্র প্রতিশ্রুতি তোমার বিশ্বাস টলাতে পারবে না । আমার বিপন্ন ভালোবাসা তোমাতে এনে দিবে না শিকল ভাঙ্গার শক্তি । তবুও কেনও এতো অসহায় লাগে । সব জেনেও ইচ্ছে করে লোভ দেখাই তোমাকে, একটা দিপ্তিময় জীবনের । লোভ দেখাই খুব বৃষ্টিতে চা এর কাপ হাতে রিকশায় চড়ে অচেনা রাস্তায় হারিয়ে যাওয়ার , লোভ দেখাই তুমি যখন কাঁদবে প্রতিটা অশ্রুকণাকে মুক্তো বানিয়ে দেওয়ার ।



কিন্তু জীবন এক জলজ্যান্ত বাস্তব। তাই এভাবে হয়না । তুমি বারাবার আমাকে বোঝাও, আমি বুঝি । আর সব মেয়ের মতোই, তুমিও নিশ্চয়তা চাও এক স্থিরতার । নিরাপত্তা চাও ভবিষ্যতের । আর আমি মানেই অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থিরতা । আমি মানেই ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাহীনতা । আমি জানি, আমার বাস বর্তমানে আর তুমি দেখো অনেকদুর । আমার জন্য তোমার তীব্র স্রোতে বাঁধ পরে ঠিক এইখানে । আমরা পরস্পরকে হারিয়ে ফেলি ঠিক এইখানে । আমি তোমার অসংখ্য কান্নার কারণ । তবুও আমার মনে হয়,এখানেই সব সুখ । া আমি পারি তোমাকে কালবৈশাখীর মতো এক তীব্র জীবনের স্বাদ দিতে । আমার সীমাবদ্ধতা তোমাতে নিহিত । আমি ভেংগেচুরে যাওয়ার আগেই তুমি আমাকে উদ্ধার করো ।







সোবহান সাহেবের গলা ভেঙ্গে আসতে চায় । তিনি আবারও প্রশ্ন করেন , এইবারেও আসবি না?? টেলিফোনের ওপাশ থেকে তার পুত্রের গলা ভেসে আসে , না বাবা । হচ্ছে না ।



- কেনও?? তুই কথা দিয়েছিলি এই সামারে যত ঝামেলাই হোক আসবি ।

- হ্যাঁ বাবা আমি চেষ্টাই করেছি কিন্তু পেরে উঠছি না ।

- না না আমি কোনও কথাই শুনবো না , তোকে আসতে হবে ।

- বাবা প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো । আমার কি যাওয়ার ইচ্ছে করে না ?? কিন্তু এদিকে এতো ঝামেলা, অনেক চেষ্টা করেছি ।

- কতদিন তোদের দেখি না । কত আশা ছিলো দেখবো ।

- বাবা আমারও তো ইচ্ছে ছিল । ইচ্ছে ছিলো এইবার বাবা ছেলে দাদু মিলে আম্মার কবর জিয়ারত করবো । হলো না ।

- থাক আমাকে আর সান্ত্বনা দিস না ।

- উফ বাবা বাচ্চাদের মতো করো কেনও ?? আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ আসা এতো সহজ না কেনও বুঝতে চাও না ।

- আমাকে আর কিছু বোঝাতে হবে না তোদের ।



সোবহান সাহেব নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। কেঁদে ফেলেন । তিনি ফোন রেখে দেন । চিন্তাশূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন দেওয়ালের দিকে । তার খুব কষ্ট হচ্ছে । প্রচণ্ড কষ্ট ।







তোমার কষ্ট আমার সহ্য হয়না । তোমার মলিন মুখ, ভেজা চোখ আমাকে গুড়িয়ে দেয় । আমার সাথে অনিশ্চয়তায় ভরা মাপা হাসির চেয়ে দূর থেকে তোমার উচ্ছলতা দেখা অনেক আনন্দের । তাই শেষমেশ ভাবি, একবার অন্তত তোমার মতো করে ভাবি । ভেবে নেই, তবে তাই হোক, যা তুমি চাও । আমার ভাঙ্গা স্বপ্নের শেষ টুকরোর মতো নিঃসঙ্গতাটুকু আমারই থাক, ইচ্ছেগুলো পূরণ করে নিবো নাহয় ইচ্ছে মতো কষ্ট দিয়ে । মন শক্ত করে ভাবি, তোমাকে নাহয় যেতেই দিবো যতটা দূরে তুমি শান্তি পাও । তোমার শান্তি দেখে হয়তো আমি সুখী হবো না, কিন্তু সান্ত্বনা তো থাকবে, আমিও তোমার শান্তির কারণ ।



কিন্তু এতটা মহান তো আমি নই । হলে আগের লাইনেই চিঠিটা শেষ করে দিতাম । দিতে পারলাম না । কারণ আমার ইচ্ছে করছে, আমার খুব ইচ্ছে করছে, লিখি, যেও না .........







আমি টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম । চিঠিটা অসমাপ্তই পরে রইলো । থাকুক । ভালো লাগছে না । এই বিভ্রান্তি, কি চাই আমি , এই মৃত্যুপথযাত্রী সম্পর্ক রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে । আমি বারান্দায় এসে দাঁড়াই । শেষ রাতের আকাশ মরে পড়ে আছে মাথার উপর । ঠাণ্ডা সব তারাগুলো শব বয়ে যায় ক্লান্তিময় আলো জ্বেলে । আমি সামনে তাকাই । সামনের বিল্ডিঙে সোবহান সাহেবের ঘরে আলো জ্বলতে দেখে অবাক হই । এতো রাত তো কখনও জাগতে দেখিনি তাকে । জানালা দিয়ে তাকাতে চমকবার পালা । একটা পিস্তল কপালে ঠেকিয়ে বসে আছেন তিনি । সম্ভবত আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন । আমার উচিৎ এখন দৌড়ে তার বিল্ডিঙে যাওয়া, মানুষ ডাকা, তাকে উদ্ধার করা । কিন্তু আমি কিছুই করলাম না । মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে আছি সোবহান সাহেবের দিকে । যাক, কেউ একজন তো জীবনের সব ছোটখাটো মোহ থেকে মুক্তি পেয়েছে । কেউ একজন তো সব ছেড়ে দিতে পারে এক মুহূর্তেই । সবসময় সমাজের বোঝা মনে হয়ে আসা লোকটার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হয় । সোবহান সাহেবের প্রশান্তিময় মুখের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে প্রার্থনা করি, ডু ইট ম্যান জাস্ট ডু ইট ...............



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

বেলা শেষে বলেছেন: ....Looks like good "Thriller"!

১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: যদিও থ্রিলার হিসেবে আমি লিখিনি কিন্তু আমার আরও একটা ফ্রেন্ড এমন বলল, শেষে কি হয় জানার জন্য পুরোটা গল্পে একটা ছটফটানি থাকে ।

অসম্ভব কৃতজ্ঞতা, আর ধন্যবাদ । :) :)

ভালো থাকবেন :)

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৬

সুমন কর বলেছেন: পড়তে আত্মজীবনির মতো লাগল। :( :(

১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমার কাছে তো সব গল্পই আত্মজীবনী মনে হয় , কারও না কারও সাথে কোথাও না কোথাও ঠিক মিলে যায় ।

পাঠে কৃতজ্ঞতা, অনেক ধন্যবাদ ।

অনেক শুভেচ্ছা সুমনদা :) ভালো থাকবেন ।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সোবহান সাহেবের নিঃসঙ্গতা এমনই ছুঁয়ে গেছে, ডুকরে উঠছে ভেতরটা । খুব চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন একজন নিঃসঙ্গ মানুষের আকুতি । প্রার্থনা করি, এমন যেন না হয় আর কোন বৃদ্ধ পিতা মাতার ।


দারুণ গল্পে ভালোলাগা++

১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমরা কেউই চাইনা এমন হোক, তবুও হয় । প্রার্থনা করি আমাদের যেনও এমন না হয় ।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত । সবসময়ের মতোই কৃতজ্ঞতা আর অনেক ধন্যবাদ জানবেন । :) :)

শুভেচ্ছা, প্রিয় মামুন ভাই, ভালো থাকবেন :)

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন: দুইবার পড়লাম ভালো লাগলো ।

চিঠির তুমির জন্য স্বার্থপর হওয়ার বিবরণটা বেশ লাগলো ।

১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমরা সবাই স্বার্থপর শুধু উপলক্ষ খুঁজে বেড়াই নিজেকে প্রকাশ করবার ।

ধন্যবাদ । অসম্ভব কৃতজ্ঞতা ।

ভালো থাকবেন, সবসময় :) :)

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

মিমা বলেছেন: আদনান ভাই, সত্যি বলতে কি, আত্মকথন লেগেছে। কোথাও না কোথাও লেখকের নিজস্ব অপ্রাপ্তি, হতাশা, বিষণ্ণতা আর অবসাদ ফুটে উঠেছে লেখাটায়। আমি জানিনা ব্যপারটা ইচ্ছাকৃত নাকি অবচেতনায়।

নায়ক কে নিয়েই তাহলে কথা বলি। নায়কের হতাশা ফুটে ওঠেছে প্রবল ভাবে। এই অপূর্ণ ও অপরিণত প্রেম আপনি যে অস্পষ্টতার সাথে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন, তার চমৎকার উপস্থাপন হয়েছে আপনার শব্দ গুলোর মাধ্যমে। অলংকৃত ব্যবহার নয়, বরং সহজ প্রাঞ্জলতাই এই বর্ণনাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। আর এখানেই আপনার কারিজমা, সরলতা দিয়ে পাঠক আকর্ষণ করা বেশ কঠিন! ভালো লেগেছে খুব তাই পড়তে। গল্পের স্রোত অর্থাৎ ফ্লো ভালো ছিলো, মাঝরাতেই তাই মন খারাপে ডুবে গেছি। এমন লেখা পড়লে, ইন্সম্নিয়াক রাত কাটানো বেশ মুশকিল।

একটা শেষ কথা। নায়কের মাঝে মুক্ত হবার, বাঁধন কাটবার প্রবল মোহ ছিলো। সোবহান সাহেবের চরিত্রে তা অত্যন্ত প্রচ্ছন্ন। একটা নিষিদ্ধ আকর্ষণের ঘূর্ণিপাকে নায়ক হয় ডিপ্রেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, নয়ত আত্মাহুতি।
একটি খামবন্দি পড়ে থাকা চিঠির স্মৃতিতে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে মুখ ফুটে বলা কথা বলা টা অনেক বেশি লাভজনক হবে তার মানসিক স্থিতির জন্যে। :)

লেখায় মুগ্ধতা আদনান ভাই! এটার দ্বিতীয় পর্ব হলে খুব ভালো হতো! নায়ক ঠিক কোন দিকে এগিয়ে যায় জানতে আগ্রহ হচ্ছে!
বেশি কথা বলে ফেলেছি, এই এক স্বভাব। মাফ করবেন আশা করি। :)
ভালো থাকুন, শুভ রাত্রি।

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা , এতো সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য । এমন চমৎকার বিশ্লেষণী মন্তব্য পেতে সবসময়ই ভালো লাগে, উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় ।

ব্যাক্তিগতভাবে এটা আমার ঠিক পছন্দের লিখা নয় । আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে লিখাটা আরও জমাট আরও টাইট হতে পারতো , বিশেষ করে সোবহান সাহেবের অংশটা । তারপরেও আপনাদের মন্তব্য পেয়ে মনে হচ্ছে একেবারে খারাপ হয়নি বরং যা আমি বলতে চেয়েছি তা মোটামুটি প্রকাশ করতে পেরেছি ।

আসলে দুইটি চরিত্রই সমান শৃঙ্খলবদ্ধ, একইভাবে মুক্তির প্রতি তীব্রভাবে আকৃষ্ট । তাদের নিঃসঙ্গতা তাদেরকে আরও বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে । আমরা সবাইই আসলে তাই, কিন্তু একটা অভ্যস্ততার ভিতরে থাকি বলে টের পাইনা । কেউ কেউ সেই অভ্যস্ততা হারালে চরম পথ বেছে নেয় আবার কেউ কেউ তিক্ত স্বাদের সাথেই নতুন সম্পর্ক করে । :)

হ্যাঁ গল্পটা কিছুটা আত্মকথনও বটে আবার এটাও সত্যি আমার সব লিখাতেই আমি কোথাও না কোথাও জড়িত থাকি । আমার ধারণা সবাইই তাই । :) না এই গল্পের আর দ্বিতীয় পর্ব হবে না , নিজের তৃপ্তির জন্য হয়তো কোথাও ঘষামাজা করবো কিন্তু এই নায়ককে নিয়ে আর আগে বাড়বো না, পরাজিতদের আমার পছন্দ নয় ।

আপনার চমৎকার কমেন্টের জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা । ধন্যবাদ । অনেক ভালো থাকবেন , সবসময় । :)

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আমার কাছে মনে হলো একেবারে নিজের গল্পই বুঝি কেউ বলে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে লেখার শিরোনামটা! এই শিরোনাম আমি একবার ধার নিব!! :)

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: হতেও পারে নিজের গল্প আবার হতে পারে এটা আমাদের কারও গল্প । প্রতিটা গল্পই তো আসলে কারও না কারও গল্প । :P

আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম আমার শিরোনামে কি বেরিয়ে আপনার কি বোর্ড থেকে । :)

অনেক কৃতজ্ঞতা , অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন :)

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার! লেখাটা খুব আপন লাগলো!


এরকম লেখা পড়তে ভালা পাই, লিখতেও ভালা পাই!

১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমরা সবাই কিংবা আমাদের খুব ভিতরটা মৃত্যু পথের যাত্রী , হয়তো সে কারনেই এতো আপন লেগেছে । কে জানে ।

ভালো লেগেছে জেনে সার্থকতা পাচ্ছি । অনেক কৃতজ্ঞ, ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন, সবসময় :) :)

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:১৯

উদাস কিশোর বলেছেন: খুবই ভাল লেগেছে লেখা ।
চমত্‍কার

১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগাই আমার সার্থকতা । অনেক কৃতজ্ঞতা । অসংখ্য ধন্যবাদ ।

ভালো থাকবেন সবসময় । :)

৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১১

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ

১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: চেষ্টা করেছি, ভালো লেগেছে জেনে আসলেও ভালো লাগছে ।

অনেক ধন্যবাদ । আর অজস্র কৃতজ্ঞতা । :) :)

১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মুগ্ধপাঠ্য +++++ অবশ্যই

১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে । প্লাস পেয়ে আরও ।

পাঠে কৃতজ্ঞতা, অজস্র ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সবসময় !

:) :)

১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প লেখার এই স্টাইলটা আমার খুব পছন্দ। সমান্তরালে দুজন আলাদা সম্পর্কহীন মানুষের কাহিনী বলে পাঠককে ধন্দে রেখে শেষে দুটো লাইনের মিশে যাওয়া। চমৎকার লেখা।

১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: এই গল্প লিখতে শুরু করার সময় আমি ঘুমিয়ও না, দিপ্তিময়ি কে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছিলাম । পরে আর সম্ভব হয়নি । :P

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লেগেছে । কৃতজ্ঞতা অনেক । অজস্র ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা জানবেন । :) :)

১২| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের স্টাইল দেখে আমি অভিভূত। শুধু তাই নয়, একটা কবিতা, আর একটা গল্প- পাশাপাশি হেঁটে গেছে- শেষ অধ্যায়ে এসে চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি। অসাধারণ।

যে খেলায় দুইজনেরই পরাজয় সেখানে কেউ সুখী হতে তো পারে না। তাই যে নিপুন ব্লেড শিল্পী কলিজার ঠিক মাঝখানে যে অপূর্ব শিল্পকর্ম আঁকছে তাতে ভিজে যাচ্ছে আমাদের চোখের কোণ থেকে পুষে রাখা স্মৃতিঘোর পর্যন্ত। --- সুনিপুণ শব্দবিন্যাস চমৎকার ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করেছে।


শুভেচ্ছা আদনান ভাই।

১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমার মনে হয়না গল্পের প্লটটাকে ঠিকমতো ব্যাবহার করতে পেরেছি তাই শব্দ দিয়ে চেষ্টা করেছি ঢেকে দিতে । আপনার মন্তব্য আপ্লুত করলো ।

অসম্ভব কৃতজ্ঞতা , আর অজস্র ধন্যবাদ জানবেন । :) :)

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে গল্পে অনুরণন তুলেছেন রীতিমত !
কাল রাতেই পড়েছিলাম , এখান জানাতে আসলাম !
সোবহান সাহেব এর অনুভুতিগুলো খুব বেশী জীবন্ত !

১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আপনাদের মতো শব্দ শিল্পীদের কাছে সমাদৃত হলে আসলেই ভালো লাগে । অনেক ধন্যবাদ আর অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন । :)

১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

একলা ফড়িং বলেছেন: কঠিন অনুভূতির গল্প! মন ছুঁয়ে মন খারাপ করে দিয়ে গেল :| :|

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মন খারাপ করে দিতে পেরেছি জেনে ভালো লেগেছে । লেখকের মন খারাপ ছড়িয়ে পড়ুক পাঠকের মনে । :P :P

পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা , অজস্র ধন্যবাদ জানবেন । শুভকামনা, ভালো থাকবেন সবসময় । :)

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হামার মত করেই বলি, আমিও এরকম গল্প খুব পছন্দ করি। আপনার গল্পে বিচ্ছিন্ন দুটি জীবনের এক হয়ে আসাটাকে কেমন একটা [বিপরীত দুটো শব্দ একত্রে জোড়া লাগিয়ে বলতে হচ্ছে] টানটান শিথিলতা নিয়ে দেখান হয়েছে।

মুগ্ধ হলাম।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আপনার মতো পাঠক পাওয়ার আনন্দটা হলো, এমন কিছু চোখে ফেলে দেন যেটা আমার লিখার সময়ে অনুভবও করিনি । :) :)

অনেক কৃতজ্ঞতা আর অসম্ভব ধন্যবাদ । সবসময় এমন প্রেরনায় আমার অলসতা কাটানোর চাবিকাঠি । ভালো থাকবেন সবসময় । শুভেচ্ছা । :) :)

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১১

বৃতি বলেছেন: চমৎকার লেগেছে গল্পটা। প্রিয়তে নিলাম :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: অনেক আনন্দিত হলাম, ঝামেলায় ভরা একটা দিন পার করতে করতে আপনার এমন মন্তব্য পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলাম । অনেক কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদের অজস্রতায় ।

ভালো থাকবেন , সবসময় :) :)

১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:২১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: যাক, কেউ একজন তো জীবনের সব ছোটখাটো মোহ থেকে মুক্তি পেয়েছে । কেউ একজন তো সব ছেড়ে দিতে পারে এক মুহূর্তেই ।

এই লাইন ২ টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে
ভালো লাগলো আদনান ভাই

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমরা সবাই যদি মুক্তি পেতাম মোহ থেকে তাহলে হয়তো আমাদের জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো !

অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই, ভালো থাকবেন সবসময় । :)

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:

ডু ইট ম্যান জাস্ট ডু ইট ..............


সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে কি আমরা - আমাদের মন এ কথা বলে চলে না । বড় তীব্র , বড় সশব্দ গভীর চাবুকীয় সমাপ্তি ।

অনেক পলিশ একটা গল্প লিখেছেন আদনান ভাই ।
যেমন ক্র্যাফট , যেমন বাক্যবিন্যাস তেমনি আছে গভীর দর্শন আছে ।


সোবহান সাহেবের জীবনকে সর্বহারার জীবন কি বলা যায় ?? মানুষের সংবিধানে যতরকম অজুহাত আছে বেঁচে থাকার তা সবই তিনি হারিয়েছেন । এখন তিনি প্রতিদিন অজুহাত খোঁজেন । এই ৬৮ বছর বয়সে এসে বেঁচে থাকার জন্য নতুন সংবিধান রচনা করা কঠিন । এই জগতের সবকিছু আইন আর অজুহাত তারুণ্যের জন্য ।
বৃদ্ধদের জন্য কঠিন এক ঈর্ষা আর জীবনের সমান দীর্ঘ সব দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছু নেই । তবুও তাদের বেঁচে থাকতে হয় ।
বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করতে হয় নিত্যনতুন ফাঁদ । - অসাধারণ ! সোবহান সাহেবের মধ্য দিয়ে আপনি যাপিত জীবনের ঘানি টানে এমন অনেকে জীবনের কথাই বলে ফেলেছেন ।

ভাল লেগেছে দূরত্বের ব্যাপারটাও । প্রথম টা আপন সুরে , কাছাকাছি । আবার সোবহান সাহেবের টা একটা নিদিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে সোবহান সাহেবকে পর্যবেক্ষণ কি একটা জীবন কে ,
জীবন দর্শনকে নিরাসক্ত ভাবে দেখা।


যদিও শেষটায় তা থাকেনি ডু ইট ম্যান জাস্ট ডু ইট ............. সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য গল্পে আপনাকে আসতে হয়েছে ।

যা হওয়ার তা হবেই হবেই । - এ বাক্যে ভাল লাগা । কিছু টাইপো আছে - দেখে নেবেন । বেশ কয়েকবার পড়েছি ।
আপনার গদ্য অনেক মনোরম । ভাল লাগে পড়তে ।

ভাল থাকুন প্রিয় আদনান ভাই । শুভেচ্ছা । :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আপনার মন্তব্যগুলো বারবার পড়তে ইচ্ছে করে । অনুপ্রেরণা দেয়, নতুন ভাবে গল্পগুলো, দর্শনগুলো ধরা পরে । অনেক ভালো লাগলো ভাই ।

কৃতজ্ঞতা বলে শেষ হবে না, অজস্র ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সবসময় । :)

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: এ লেখাটা মিস করেছি। এখন সংকলন থেকে পড়ে ফেললাম।


আইডিয়াটা বেশ ইউনিক। সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপার হল দুই ব্যক্তির সাথে কত মিল, অথচ তাদের নিসঙ্গতা কখনো তাদের কাছে টানতে পারে না। দুইজনের বসবাস পুরো দুই মেরুতে!!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমাদের সবার জীবনেই এমন ঘটে হয়তো । আমার পাশে বসে প্রতিদিন বাস জার্নি করে যে লোকটা তার গল্প হয়তো আমারই মতো । আমাদের জানা হয়না কিংবা আমরা জানতে চাইনা ।

অনেক ধন্যবাদ আর অজস্র কৃতজ্ঞতা । এইভাবে এতো পরে এসে পড়েছেন দেখে ভালো লাগাটা আরও বেড়ে গেছে । ভালো থাকবেন সবসময় ! :)

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চম​ৎকার আদনান​, বেশ লাগলো গল্পটা ॥

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর অজস্র কৃতজ্ঞতা । এতো পরে হলেও গল্পটা পড়েছেন দেখে ভালো লাগছে আরও , তৃপ্তি পাচ্ছি । :) :)

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

জাফরিন বলেছেন: এত সুন্দর লিখেন ক্যামনে?!!!!!

আরেকটা কথা- আমি এতদিন খুব বিরক্ত ছিলাম আমাদের বাসার সামনের ফ্ল্যাটের এত বৃদ্ধকে নিয়ে। যখনই বারান্দায় যাই তখনই দেখি উনি বসে আছেন তাঁর নিজের বারান্দায়। মেজাজ এত খারাপ হত! কিন্তু আপনার গল্প পড়ে মনে হল উনি তো সোবহান সাহেবের মত একজন হতে পারেন! তাই আর রাগ করব না :)

আবারো লেখায় মুগ্ধতা...........

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: হাহাহাহাহা । এইভাবে বললে তো লজ্জা পাই ।

রাজশাহীতে আমাদের বাসার সামনেও এইরকম একজন বৃদ্ধ সারাদিন বারান্দায় বসে থাকতেন । আম্মা খুবই বিরক্ত হতেন ওনার কাজ করতে অস্বস্তি হতো বলে । আর আমি ভাবতাম, সারাদিন একভাবে রাস্তার দিকে তাকিয়ে তিনি কি ভাবেন । তবে বৃদ্ধদের নিঃসঙ্গতা নিয়ে অনেক বিস্তারিত লিখার ইচ্ছে ছিল । কেনও যেনও হয়ে উঠলো না ।

ভালো থাকবেন সবসময় । অনেক কৃতজ্ঞতা , অজস্র ধন্যবাদ :)

২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

জাফরিন বলেছেন: লিখে ফেলুন একদিন আরও বড় করে। আমার মনে হয় বৃদ্ধদের প্রতি আপনার সেই মমতাটুকু আছে যা দিয়ে কোনো মানুষের অনুভূতিগুলি ফুটিয়ে তোলা যায়।

শুভকামনা রইল :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মমতা আছে কিনা জানি না, কেবল মনে হয় , মানুষের বেঁচে থাকাটা কি বিচিত্র । বড্ড সাধ বেঁচে থাকার খুব গভীরে যাওয়ার। দেখা যাক পারি কিনা । উৎসাহের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন :)

ভালো থাকবেন , শুভ রাত্রি :)

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বিলম্ব পাঠ। ভালো লাগা জানিয়ে যাই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: সবসময়ের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় কবি । :) :)

ভালো থাকবেন ।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার ব্লগে এসেছিলাম প্রিয় গল্পকার প্রফেসর শঙ্কুর রেফারেন্সে, ভালবাসার গল্প পড়ার জন্যে। চোখ আটকে গেল এই গল্পটিতে।
ভাল লেগেছে। আপনার ন্যারেটিভ স্টাইল পছন্দ হয়েছে। প্রেমিক ছেলেটির প্রেমপত্র পড়তে পড়তে যেটা বুঝলাম , সব ছেলেই হয়ত প্রেমে পড়লে কবি হয়ে ওঠে খানিকটা।
বৃদ্ধ ভদ্রলোকের আত্মহত্যার সময়টুকুতে যে অদ্ভুত এক দর্শন খাটিয়ে ছেলেটি তাকে বাঁচাতে গেল না, বা থামতে চিৎকার করে বলল না- তা কিছুটা অবাক করেছে। কিন্তু গল্পকারের এ স্বাধীনতা থাকতেই পারে।
শুভকামনা রইল।

১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: প্রেমে পড়লে ছেলেরা কবি হয় বিষয়টা সেটা নয় । কবিতার জন্য প্রেম জরুরি বিষয় বটে কিন্তু সব প্রেমিকই কবি নন, হতে পারেন না বলেই আমার বিশ্বাস । আর আপনার কাছে যদি মনে হয় অদ্ভুত ( স্বাভাবিক অবস্থায় দেখলে অদ্ভুতই মনে হওয়ার কথা ) , তাহলে বলতে হয় ছেলেটির মানসিক অবস্থা, তার চারিত্রের খামখেয়ালি দিক আমি ফুটিয়ে তুলতে পারিনি ।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে । অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন সুন্দর মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন সবসময় । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.