নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদনান শাহরিয়ার

রোদ্দুর অনুভব… হেঁটে হেঁটে ছুঁয়ে যাবে তোমার কলরব… পলকতলে জমা মেঘদল… খাঁচা ভেঙ্গে একদিন ঠিক এনে দিবো নোনাজল…

আদনান শাহ্‌িরয়ার

বেঁচে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি.......

আদনান শাহ্‌িরয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে জল শুকাবে না শেষ বিকেলের রোদে

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২০

( এক বন্ধু তার এক কাজের জন্য গল্প চাইলো । ভিডিও বেস কাজ । কয়েক মিনিটের । থিমটাও দিলো । আজ সকালে এক বসায় লিখে ফেললাম গল্পটা । সরল একটা গল্প । গল্পটা উৎসর্গ করলাম মামুন রশিদ ভাইকে । যে কয়জন মানুষের উৎসাহ এই ব্লগে লিখতে সাহস যোগায় তার মাঝে আপনি একজন



গল্প তবে শুরু হোক... )







নিতুনের আরও বড় হওয়ার কথা ছিলো ।





না এমন বড় নয় যে, গত বছরের জামাটা এই বছরে আর গায়ে হবে না । এমন বড়ও না হঠাৎ দেখে কেউ চোখ বড় বড় করে বলবে, আরে নিতুন এতো বড় হয়ে গেছিস ! সেদিনও তো কোলের মধ্যে ন্যাতা ন্যাতা হয়ে পড়ে থাকতিস । কিংবা পাশের বাসার নিঝুম এসে কানে কানে কোনও গোপন কথা বলে চোখ পাকিয়ে বলবে, তুই এটা জানতিস না?? এতোটা বড়ও না ।



কিন্তু নিতুনের এখন ফড়িং ধরবার কথা ছিলো । মখমলের মতো নরম ঘাসের গায়ে খুব সতর্ক যে ফড়িং তার লেজে সুতো বেঁধে দৌড়ে বেড়ানোর কথা ছিলো নিতুনের । দুপুরবেলা দারোয়ান চাচা ঘুমিয়ে পড়লে পা টিপে টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো । তারপর সারা দুপুর হেঁটে হেঁটে সারা পাড়া । আইসক্রিমওলা কিভাবে গলা টেনে টেনে ডাকে, আইসক্রিম নিবেন আইসক্রিম । মধ্যদুপুরে মাঝপুকুরে ঢিল ছুঁড়লে কতটা আওয়াজ হয় । নিঝুমদের বড়ই গাছে টুনটুনিটা কি ডিম দিয়েছে , বিরেন চাচা আজকেও জিলেপিতে মিষ্টি বেশি হয়েছে কিনা জানবার কথা ছিলো নিতুনের । নিঝুমের সাথে নতুন পুতুলটা নিয়ে ঝগড়া করে, আড়ি দিয়ে জীবনের মতো সম্পর্ক শেষ করে কান্না করার কথা ছিলো । স্কুলে গিয়ে পড়া না পেড়ে কান ধরা , খানিকপরে প্রিয় বন্ধুকেও কান ধরে দাঁড়াতে দেখে মুচকি হাসা , স্কুল শেষে আঁচার খেতে খেতে বাড়ি ফেরা । বৃষ্টি এলে আম্মুর ফোন , ভিজবে না কিন্তু একদম সাবধান করে দিলাম । তারপর বৃষ্টিতে ভিজে শরীর মুছে লক্ষ্মী মেয়ের মতো আম্মুর অপেক্ষা । আর জ্বরটা যদি এসেই যায় তাহলে অপরাধীর মতো মুখ করে আম্মুকে ডাকা । এতোটুকুই বড় হওয়ার কথা ছিলো নিতুনের ।







কিন্তু নিতুন বড় হতে পারে না । ওর জীবন আটকে গেছে এক দুর্ঘটনায় । সেদিনও ব্যস্ত সকাল ছিলো । স্কুল ড্রেস পড়ে দ্রুতই নামছিল নিতুন সিঁড়ি বেয়ে । তাড়াহুড়োতে খেয়াল করেনি তার সদ্য হাঁটতে শেখা ছোট ভাই মিতুন একটা খেলনা ফেলে রেখেছিলো সিঁড়িতে । নিতুনের পা পড়েছিলো খেলনাটার উপরে , তারপর ওর আর কিছু মনে নেই । জ্ঞান ফেরার পর অবাক বিস্ময়ে নিতুন আবিষ্কার করে অন্ধকার কি প্রবল হতে পারে । ও চিৎকার করে বলেছিলো, মা আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না কেনও ?? এরপরে আর সে ঘাস ফড়িঙের পেছনে দৌড়াতে পারেনি । দারোয়ান চাচা ঘুমিয়ে গেছে কিনা আর খোঁজ রাখে না নিতুন । আইসক্রিমওয়ালার ডাক অলিতে গলিতে হারিয়ে যায় । ভর দুপুরে ঢিল পরে না মাঝ পুকুরে । টুনটুনিরা আজও আছে কিনা গাছের ডালে কে জানে । স্কুলে যাওয়া হয়না কতদিন, এখনও কি তার প্রিয় বন্ধুরা পড়া না পেরে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, এখনও কি তাদের নিতুনের কথা মনে পড়ে, জানা হয়না নিতুনের । কার পুতুল বেশি সুন্দর এই নিয়ে ঝগড়া হয়না নিঝুমের সাথে , আড়ি ছাড়াই কথাহীন কাটে দিনের পর দিন । বৃষ্টি এলে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে ও । কারও মিশতে ইচ্ছে করে না , ইচ্ছে করে না কারও সামনে যেতে অন্ধত্ব নিয়ে । নিতুনের জীবন থমকে থাকে ঠিক দুর্ঘটনার দিনটাতে ।







অথচ সবাই এগিয়ে যায় । সেদিনও নিতুনের ছোট্ট ভাইটা আধো আধো বোলে কথা বলতো সেও এখন পরিষ্কার কথা বলে । কিন্তু এখনও আতা আতা ডাকটা ছাড়তে পারেনি । সবসময়ই আতা আতা ডাকে আর নিতুনকে খোঁজে মিতুন । কিন্তু তার আতা আর আগের মতো সাড়া দেয়না । আগের মতো আদর করে না । আগের মতো কোলে নিয়ে ছুটে বেড়ায় না এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত । লুকিয়ে লুকিয়ে মুখের ভিতরে পুরে দেয়না লজেন্স , আম্মুকে ফাঁকি দিয়ে ঝুলতে দেয়না বারান্দায় , মুখোশ পড়ে ভয় দেখায় না । বই বের করে পড়ে শোনায় না আশ্চর্য সব রাজপুত্র আর রাক্ষসের গল্প । মিতুন বুঝতে পারে না কেনও আতা এমন হয়ে গেলো । এটাও কি কোনও খেলা?? সেই খেলাটার মতো , মাঝে মাঝে নিতুন নাই হয়ে যেতো । মিতুন যখন খুঁজে খুঁজে হয়রান তখন কোত্থেকে নিতুন তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলতো টুকি ! মিতুন বোঝে না, কেউ তাকে কিছু বলে না । বোঝে না বলেই এই ঘর ওই ঘর নিতুনকে সে খুঁজে বেড়ায় আর ভাঙ্গা গলায় ডাকে, টুকি । মিতুন জানে না, খেলা নয় নিতুন বেছে নিয়েছে সত্যিকারের আড়াল । বাইরের বারান্দায় গ্রিলের সাথে লেগে থাকা সবুজ লতানে গাছগুলো একটা পাশ অন্ধকার করে রেখেছে । মিতুন সেই অন্ধকারে চুপচাপ বসে থাকে । কোনও শব্দ কোনও মানুষ সেখানে পৌঁছায় না । হঠাৎ হঠাৎ মিতুন সেই জায়গাটা খুঁজে বের করে ফেলে । আতাকে খুশি করতে কখনও কখনও লজেন্স নিয়ে আসে কখনও নিয়ে আসে রুপকথার বই । নিতুনের নিস্প্রান চোখ ভিজে যায় । সবুজের ফাঁক গলে কোনও পথভোলা শেষ বিকেলের রোদ যদি বারান্দায় এসে পড়ে পড়ে তবে সেও থমকে যায় নিতুনের চোখের জলে । মিতুনের কষ্ট হয় নিতুনের চোখে চকচকে জল দেখে , অবুঝের মতো ডাকতে থাকে আতা আতা । শেষ বিকেলের রোদ চুপ থাকে, নয় বছরের একটা মেয়ের কষ্ট ধারণ করার ক্ষমতা ওই ক্ষুদ্র অশ্রুবিন্দুর নেই, এই জেনে ।





মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্পটা পড়ে কেমন একটা দুমড়ানো মোচড়ানো অনুভূতি হয়। নিতুনের কষ্টের একটা অংশ নিজের ভিতরে কাজ করে। অসাধারণ লিখেছেন আদনান ভাই!!!!! ওয়েলডান।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩০

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: গল্পটা ব্লগে দিতে বলার জন্য আপনার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা । আমি ভেবেছিলাম শুধু ফেসবুকেই রাখবো । আপনার কথাতেই সাহস করলাম । :) :)

মেয়েটার অনুভূতি কোনদিনই ধরতে পারবো না জানি , তবুও চেষ্টা করলাম । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে । অনেক ধন্যবাদ আর অজস্র কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন :)

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর লিখা আদনান​, ভাল্লাগলো প​ড়ে ||

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন । পাঠে কৃতজ্ঞতা । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে :) :)

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার সেই পাগলাটে গল্পগুলোর (এক রাতে আমরা একটা কবিতার দোকান পুড়িয়েছিলাম, আমাদের শহরের সেইসব নাগরিক গল্পখোরেরা ) একটা আঁচ আছে প্রচন্ড বিষাদমাখা এই গল্পটা জুড়ে । নিতুনের দেখতে না পারার কষ্টের অনুভূতি ছুঁয়ে যায় প্রাণমন, একটা বিষাদের ভারী পাথর যেন বসে থাকে বুকের উপর ।


এরকম একটা হৃদয় ছোঁয়া গল্পে নিজের নাম দেখে আপ্লুত হয়ে পড়লাম আদনান । ফিল অনার্ড..

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আরে অতো পুরানো গল্পগুলো মনে আছে আপনার ! :-* সত্যিই ভালো লাগলো । পাগলাটে কিনা জানি না কিন্তু এই গল্পটাও ওই গল্পগুলোর মতো একটানে , এক ট্র্যাকে লিখা, অনেকদিন পর । আর পাগলাটে গল্প কথাটা খুব ভালো লেগেছে :P

অনেকদিন থেকেই একটা গল্প আপনাকে উৎসর্গ করবো ভাবছিলাম, আজ মনে হলো, এই গল্পের সরলতা আপনাকে উৎসর্গ করা যায় ।

ভালো থাকবেন মামুন ভাই । :) :)

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আদনান ভাই,

গল্পটা পড়ে মনে বেশ খানিকটা নৈঃশব্দ্য ভর করল !
মনটা ভারী হয়ে গেল !

ভালো থাকুন ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: গল্পটার উদ্দেশ্যই হলো মন খারাপ করিয়ে দেওয়া । উদ্দেশ্য সফল হয়েছে মনে হচ্ছে । :) :)

ভালো থাকবেন । পাঠে কৃতজ্ঞতা আর অজস্র ধন্যবাদ :)

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মনটা খারাপ করে দিলেন আদনান ভাই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মন খারাপ করে দিতে পেরে ভালো লাগছে । নিজের মন খারাপ অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে আনন্দ আছে । :) :)

পাঠে কৃতজ্ঞতা । আর অজস্র ধন্যবাদ জানবেন কাণ্ডারি ভাই । ভালো থাকুন :)

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: মন খারাপ করা.....

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মন খারাপ হয়েছে দেখে তৃপ্তি পেলাম । :) :)

পাঠে কৃতজ্ঞতা আর অজস্র ধন্যবাদ জানবেন । ভালো থাকবেন। :)

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভিডিওটা কেমন হবে সেটা কল্পনা করছিলাম।

ভিডিও হওয়ার পর ঢেয়ার দিয়েন!

২ এর ২য় প্যারার ৭ নম্বর লাইনে আর ৩ এর ৮ নম্বর লাইনে কি মিতুন হবে, না নিতুন হবে?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ভিডিওলাদের গল্প পুরোটা পছন্দ হয়নি । তারা আরও পলিসড আরও ভিজুয়াল ফ্রেন্ডলি চায় । এই গল্পটায় আবার লিখতে বলেছে তারা । :( হ্যাঁ নিতুন হবে । ঠিক করে দিয়েছি । ধন্যবাদ অসংখ্য ।

পাঠে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদের অজস্রতায় , ভালো থাকবেন :)

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মর্মশ্পর্শী লেখা। শুভকামনা রইলো।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, পাঠে অজস্র কৃতজ্ঞতা ।

ভালো থাকবেন সবসময় :)

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া গল্প !

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: হৃদয় ছুঁতে পেড়েছে জেনে ভালো লাগছে ।

ধন্যবাদ । কৃতজ্ঞতার অজস্রতায় ।

ভালো থাকবেন :)

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মিমা বলেছেন: একটা ক্লান্ত অলস বিকেলে একটা মন খারাপের গল্প। সামান্য অসাবধানতার কারনে একটা ছোট্ট উচ্ছল মেয়ের ক্রমেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার বর্ণনা মেনে নেয়া দারুন কষ্টকর, কোথায় জানি একটা তীব্র তরবারির তীক্ষ্ণ কোপ পড়ে, আঁচড়ে দেয় মন, হয়তবা ফালাফালা করে দেয়।

বর্ণনার তারিফ করবো আদনান ভাই, এতো অল্প কথায় এতো তীব্রভাবে পাঠক হৃদয় স্পর্শ করেছে আপনার লেখা। ভীষণ আবেগময়, প্রাঞ্জল ও মর্মস্পর্শী।
মুগ্ধতা!

শুভসন্ধ্যা। :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধতা । আপনার মন্তব্যগুলো আসলেই হৃদয় ছুঁয়ে যায় । :) মন খারাপ হয়েছে জেনে আনন্দিত, মন খারাপই তো করাতে চেয়েছি :P

প্রশংসা বিনয়ের সাথে গ্রহন করলাম । অনুপ্রেরণা হিসেবে নিলাম । অজস্র ধন্যবাদ । আর সম্ভব কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

ভালো থাকুন, সবসময় :)

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ছোট্ট নিতুনের ওপর এতো বৃহৎ একটি দুর্যোগ বয়ে যেতে দেখে বেদনার্থ হলাম।

সুন্দর একটি লেখা :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মানুষের জীবনে কি সব করুণ কাহিনীই না ঘটে । বেদনার্ত হয়েছেন জেনে খুশি হলাম । :)

ভালো থাকবেন । অনেক ধন্যবাদ আর অসম্ভব কৃতজ্ঞতা :)

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৫৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: বেশি বেশি মর্মশ্পর্শী.. ভালো লেগেছে লেখা.. অভিনন্দন... আর অগ্রিম নববর্ষের শুভেচ্ছা.. ভালো থাকুন...

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ছুঁতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে । পাঠে অনেক ধন্যবাদ আর অজস্র কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

আপনাকেও শুভেচ্ছা । নতুন বছর কাটুক অপূর্ব সব আনন্দময়তায় । :) :)

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০০

বভেট বলেছেন: মর্মস্পর্শী। দুঃখ মানুষকে যেভাবে স্পর্শ করে আর কোনো অনুভুতি সেভাবে মনে হয় স্পর্শ করতে পারে না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন । আবার এভাবেও বলা যায়, দুঃখগুলো স্পর্শ করে যায় বলে আমরা এখনও মানুষ আছি ।

ধন্যবাদ পাঠে । অজস্র কৃতজ্ঞতা জানবেন । নতুন বছরের শুভেচ্ছা । :)

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৮

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

সুন্দর পোস্ট।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ । আর পাঠে অজস্র কৃতজ্ঞতা ।

শুভ নববর্ষ । ভালো থাকুন সবসময় , প্রতিটা ক্ষণ :)

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়েছিলাম আগেই, ভাল লাগা জানিয়ে যেতে পারিনি।

'সরল' গল্প বলেই কিনা, ছুঁয়ে গেল হৃদয়ে। অসাধারণ লাগল।

শুভরাত্রি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: মাঝে মাঝে খুব গভীরে যেতে ইচ্ছে করে না । তবুও ভালো লেগেছে জেনে তৃপ্তি পাচ্ছি :) :)

ভালো থাকবেন প্রফেসর সাহেব । পাঠে কৃতজ্ঞতা আর অজস্র ধন্যবাদ । :)

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
টাচি। ভালো লাগলো গল্প।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ফরমায়েশি গল্পে স্বাধীনতা থাকে না যদিও তবুও ভালো লেগেছে জেনে তৃপ্ত ।

ভালো থাকুন কবি । অসম্ভব কৃতজ্ঞতা আর অজস্র ধন্যবাদ জানবেন :)

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

ফা হিম বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে গল্প। চমৎকার শব্দের কারুকার্য। শেষ লাইনটা পড়ে খুব কষ্ট লাগল।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫০

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: খুব সহজ ভাষায় একটা গল্প বলতে চেয়েছি । ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত । :)

ভালো থাকবেন , শুভেচ্ছা সতত !

১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: মন খারাপ করে দিতে পারে, এমন ক্ষমতা কিছু গল্পের থাকে। এটিরও আছে।

শুভেচ্ছা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: এই গল্পের উদ্দেশ্যই ছিলো মন খারাপ করে দেওয়া । সুতরাং উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে ।

পাঠে অসম্ভব কৃতজ্ঞতা । ভালো থাকবেন । ধন্যবাদের অজস্রতায় :) :)

১৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ব্লগ পাতাটির নাম পড়ে ভাবছিলাম কবিতা হবে। তবে কিছুটা কাব্যিক ঢঙের বর্ণনায় গল্পটা বেশ সুপাঠ্য হয়েছে। কোনও শব্দ কোনও মানুষ সেখানে পৌঁছায় না লেখক কিন্তু ঠিকই পৌঁছে গেছেন বারান্দায় গ্রিলে, নিতুনের চোখের জলে ...

শুভ কামনা, আদনান।
লিখুন এবং লেখায় থাকুন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: কখনও নিতুনদের কেউ থাকে না । কাউকে কাউকে তো তাদের গল্প বলতে হবে । :)

পাঠে অসম্ভব কৃতজ্ঞতা । আর অজস্র ধন্যবাদ । ব্লগে স্বাগতম ।

আপনিও ভালো থাকুন সবসময় । শুভেচ্ছা নিরন্তর । :)

২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখেন রে ভাই আপনি । অনেক সুন্দর । অনেক বার
পড়তে ইচ্ছে করে । সুন্দরতম বিষাদ এর সৌধে নিতুনের গল্পটুকু
র এমন নিপুণ খোদাই !!

মন আসলেই খারাপ হয়েছে ।

ভাল থাকুন প্রিয় আদনান ভাই ।
শুভকামনা রইল ।



২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: এই ভাবে বললে তো লজ্জায় পড়ে যাই ভাই । :!> উদ্দেশ্য সফল হয়েছে জেনে আনন্দিত । :P

ভালো থাকবেন ভাই, সবসময় :)

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার খুব ভালো লেগেছে। খুবই টাচি একটা লেখা!

আপনি বরাবরই ভালো লিখেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই । অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন । আপনাদের উৎসাহই আমার প্রেরনা :)

২২| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো বেশ :)

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ । আর কৃতজ্ঞতার অজস্রতায় ।

ভালো থাকবেন সবসময় :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.