![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেঁচে থাকার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি.......
আব্বা একটা আস্ত টু-ইন-ওয়ান কিনে এনেছে সেটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না । যদিও তখন আমি বয়সে যথেষ্টই বড় কিন্তু আমার মাথায় কিছু অদ্ভুত ধ্যান ধারণা ছিলো । যেমন, যাদের বাসায় টুইন ওয়ান , ফ্রিজ, রঙ্গিন টিভি থাকবে তারাই বড়লোক । আমাদের এক সাদা কালো টিভি ছাড়া আর কোনও বিলাস বস্তু ছিলো না , অদূর ভবিষ্যতে কখনও হবে এমন সম্ভবনাও দেখতাম না । সেই আমাদের বাসায় যখন আস্ত একটা ক্যাসেট প্লেয়ার চলে আসলো তখন খানিক অবিশ্বাস তো লাগছেই । তাহলে কি আমরাও বড়লোক হয়ে যাচ্ছি ?? স্পষ্ট মনে আছে আমার, একবার নিজের ঘরে যাচ্ছি আরেকবার বাহিরে ঘরে এসে দেখছি ক্যাসেট প্লেয়ারটা । হাত দিতে পারছি না, আমি বড় দুরন্ত, কিছুতে হাত দিলে সেটা নষ্ট করে ফেলি তাই আমার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, আমি টুইন ওয়ানে হাত দিতে পারবো না । মাঝে মাঝে আব্বার দিকে আর চোখে তাকাচ্ছি যদি তিনি এদিক সেদিক যান । আব্বার মধ্যে তেমন সম্ভবনা দেখা দিলো না , তিনি আজ পরিবারের সম্রাট আকবর । যেভাবে বলবেন যা বলবেন তাই হবে । মান্না দের গান শুনতে শুনতে উদাস হয়ে যাওয়া সম্রাট আকবর হঠাৎ আমাকে বললেন, ওই সুইচটা অন কর রেডিও শুনি । প্রথমবারের মতো টুইন ওয়ানে হাত দিচ্ছি, প্রায় কাঁপা কাঁপা হাতে সুইচ দিলাম । রেডিও বেজে উঠলো । কিন্তু রেডিওর সাউন্ড আমার ভালো লাগলো না । মনে হলো, আমার ঘরে ব্যাটারি চালিত যে রেডিওটা আছে সেটা অনেক ভালো । বিস্ময় হলেও সত্যি, টুইন ওয়ানের প্রতি এতো আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও ক্যাসেটের চেয়ে রেডিওই শুনতাম বেশি । রেডিওর প্রতি আমার এই যে ভালোবাসা তা কোনওদিনই ফুরিয়ে যায়নি ।
২
স্মৃতি থেকে লিখছি বলে অনেক তথ্য ভুল হতে পারে । সবকিছু স্পষ্ট মনেও নেই । যেমন মনে নেই প্রথম কবে রেডিও শুনি আমি । তবে মনে আছে কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার অ্যাড শুনে উদাস হয়ে গেছিলাম । মানছি আমি সবসময়ই ইঁচড়ে পাকা ছিলাম কিন্তু আমার উদাস হওয়ার পিছনে গাজী মাঝহারুল আনোয়ার সাহেবের ভূমিকাও কম না । সত্যি কথা বলতে কি, যে গাজী মাঝহারুল আনোয়ারের করা বিজ্ঞাপন শোনেনি তার জীবনই বৃথা । পৃথিবীর আর কথাও এমন ১০ মিনিট ধরে সিনেমার অ্যাড হয় কিনা আমার জানা নেই, যদি হয়ও তবুও সেইসব অ্যাড সংরক্ষিত রাখা উচিৎ । কি যে উত্তেজনা জাগানিয়া সেই অ্যাডের ভাষা , কি যে চমৎকার বর্ণনায় ক্লাইমেক্স তৈরি করা । মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রুবেল গান গাচ্ছে “আমি ডন আমি ডন” , মিথ্যে মামলায় কারাগারে বন্দী জসিম, সব ছোট ভাই বোন ভুল বুঝে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মায়ের মতো মমতাময়ি শাবানাকে কিংবা মৌসুমির হাতে একশোটি চাবুকের মার খেয়ে ওমর সানীর অমর সংলাপ “ মেমসাহেব, আমরা গরীব হতে পারি ...”, এর পরেই গাজী সাহেবের অনুকরণ অযোগ্য ভঙ্গিতে, “এরপরররর, এরপরররর কি হবে??” এরপরে কি হবে জানার জন্য যেতে হবে আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রেক্ষাগৃহে ! প্রেক্ষাগৃহে না গেলেও তখনকার সব গান ছিলো ঠোঁটে । আমার জীবনের প্রথম হিট গান সম্ভবত আশিক প্রিয়া সিনেমার, আমি আশিক তুমি প্রিয়া । এই গানটা দিয়ে আমাদের এক স্কুল বন্ধুর জীবন অতিষ্ঠ করে ছেড়ে ছিলাম আমরা । তবে চটুল গান না, আমার সবধরনের গান শুনতেই ভালো লাগতো । সারাক্ষণ গান শোনার কারনেই সম্ভবত আনড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সুবির নন্দি, আবদুল হাদি, বশির আহমেদ, শাম্মি আক্তার, আবিদা সুলতানা, মাহমুদুন নবী, সামিনা চৌধুরী, রিজিয়া পারভিন এমনকি জাফর ইকবালের গলাও চিনে ফেলতাম মুহূর্তেই । ভালো লাগতো “অনুরোধের আসর গানের ডালি” । পচা লাগতো আধুনিক গানের আসর গিতালি, মনে হয় আধুনিক গান আমার তেমন পছন্দ ছিলো না । প্রতি শনি আর মঙ্গলবার হতো স্রোতাদের পাঠানো প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অনুষ্ঠান বিনিময় । বিনিময় শুনতে শুনতে রেডিও বিষয়ে এতো বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছিলাম যে রেডিও নিয়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম । আমার ভালো লাগতো উপস্থাপকদের শুদ্ধ উচ্চারণ আর নিখুঁত বাচনভঙ্গী , কত যে চেষ্টা করেছি তাদের মতো করে কথা বলতে । রেডিওর বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাড হতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে । যেমন, হেনলাক্স সুর মাধুরী বা নাবিস্ক সুর লহরী । আমি কোনওকিছুই বাদ দিতাম না । সারাক্ষণ আমার কানের কাছে রেডিও বাজতো । আম্মা যাতে টের না পায় তাই বালিশের তলায় রেডিও রেখে কোনোমতে শোনার চেষ্টা করতাম । মনে আছে দুপুরবেলা আমি বালিশ নিতাম না । রেডিওটাকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতাম আর জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে যেতাম। একদিন এমন নির্জন দুপুরবেলা কানের নীচে রেডিও রেখে আকাশে সাদা সাদা মেঘ দেখতে দেখতে কেমন জানি বুকের ভিতরে ফাঁকা হয়ে গেলো । এরপরেই আমি আমার প্রথম কবিতাটা লিখি, আকাশ এতো নীল কেনও, আমি তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি । সারাক্ষণ রেডিও নিয়ে পড়ে থাকতাম বলে কোনও অনুষ্ঠান আমার মিস যেতো না । সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান দুর্বার শুরুর আগে যে মিউজিকটা বাজত সেটা শুনেই বুকের ভিতরে রক্ত ছলকে উঠতো । কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান শুনতে শুনতে মনে হতো আমার তো আসলে কৃষক হওয়ার কথা, আমি বই খাতা নেড়ে ঘেঁটে কি করছি । নিশুতি নামের অনুষ্ঠান চলতো গভীর রাত পর্যন্ত , ততক্ষণ জেগে থাকতে পারতাম না, এতো নিশাচর হইনি তখনও । আমি এমনকি নিরক্ষরদের অক্ষর জ্ঞান দেওয়া নিয়ে একটা অনুষ্ঠান হতো সেটাও শুনতাম । কারণটা অবশ্য অন্য, অনুষ্ঠানের শেষে একটা নাটক হতো সেটা শোনার জন্য । আহ নাটক । রেডিওর নাটকের মতো প্রিয় আমার আর কিছু ছিলো না । রাজশাহী আর খুলনা স্টেশনে নাটক হতো শুক্রবার ২.৩০ এ । দুইটা একই সময়ে হতো বলে বিরক্ত হতাম । কোনটা ছেড়ে কোনটা শুনি । আর ৩.০৫ শুরু হতো ঢাকা খ তে । নামাজ থেকে ফিরে কোনওমতে দুই চারটা ভাত মুখে দিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তাম রেডিও নিয়ে । রাজশাহী আর খুলনা চানেলে সাধারণত লোককাহিনী নির্ভর নাটকই হতো । আর ঢাকায় হতো মৌলিক সব নাটক । কখনও কখনও বিদেশি নাটকের অনুবাদও । মাঝে মাঝে টিভির শিল্পীরাও অভিনয় করতেন । কি যে চমৎকার ছিলো একেকটা নাটক । সংলাপ শুনে শুনে দৃশ্য কল্পনার ব্যাপারটাও কম মজার ছিলো না । তারপর একদিন বিনা মেঘেই বজ্রপাত । নষ্ট হয়ে গেলো রেডিও । আব্বা আর কিছুতেই রেডিও ঠিক করবে না । টুইন ওয়ান আছে রেডিওর কি দরকার ! আরও বেশ কিছুদিন পর আমাদের পুরো পরিবারকে হতভম্ব করে আব্বা একটা রঙ্গিন টিভি কিনে ফেললেন । বিটিভি আর একুশে টিভি দুইটা চানেলেই গ্রাস করে নিলো আমাদের । রঙ্গিন বিনোদনের হাতছানিতে হারিয়ে গেলো রেডিও, আমার প্রিয় রেডিওটা ।
৩
রেডিও শুনি না প্রায় ১৫/১৬ বছর । এর মাঝে কত কিছুই বদলে গেছে । আগের সরকারি চ্যানেলগুলো পিছনে ফেলে উঠে এসেছে এফএম রেডিও । গানের ডালি, দুর্জয়, বিনিময়ের জায়গায় ভুত এফএম, লাভ গুরু আরও কত কি । দুঃখিত আমি নাম জানি এফএম এর অনুষ্ঠানগুলোর, কারণ আমি কখনই শুনিনি । আগ্রহওবোধ করিনি । যে দুই তিনবার শুনতে গেছি ততোবারই আমার পুরনো স্মৃতির সাথে মেলাতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছি । হয়তো আমি খ্যাত টাইপের, নতুন কিছু গ্রহনের চেয়ে শুদ্ধতার দিকেই আমার বেশি আগ্রহ । কিংবা রেডিওর প্রতি তীব্র যে আবেগ তাতে ধুলো পড়তে দিতে চাইনি বলে এফএম আমার শোনা হয়নি । কিন্তু পুরনো সেই চ্যানেলগুলোর কাছেও আর ফিরে যাওয়া হয়নি । কেনই বা যাবো এখন তো আর বিনোদনের অভাব নেই , নিত্য নতুন নিয়ত পরিবর্তনশীল । নিম্ন মধ্যবিত্তের সেই রোমাঞ্চ যদিও আর কিছুতেই নেই তবুও । জানি, আম্মা আজও তার আলমারির এক কোনে রেডিওটা রেখে দিয়েছে তার টানাটানির সংসারের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে । অথচ গত পনেরো ষোল বছরে একবারও বের করে দেখা হয়নি সেটা । না হোক । কিছু স্মৃতি নাহয় জমে থাক খুব গোপনে । কিছু অলৌকিক অনুভব ভালো থাকুক হৃদয়ের গহীনে ।
বাকের ভাইদের জন্য এলিজি (যত সব হারিয়ে যাওয়া – ১)
ডাকপিয়ন, কবে তোমার ছুটি ?? ( যত সব হারিয়ে যাওয়া -২ )
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহ ! তখন রেডিওর যে সাইজ ছিলো, লুকিয়ে রাখা সত্যিই দুরহ ব্যাপার ! আপনার স্মৃতিটুকু শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা জানবেন !
২| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে নস্টালজিক স্মৃতিচারণ ।
আমাদের সময়টাকে বলা যায় রেডিও জেনারেশন । ছড়া লিখে রেডিওতে পাঠাতাম । ছোটদের আসরে সেই ছড়া পড়া হলে বাসায় সবাই গোল হয়ে বসে শুনতাম । দিনের বেলা বিজ্ঞাপন তরঙ্গ আর অনুরোধের আসরে বিচিত্র রকমের গান শোনা । রাতে আব্বা খবর শুনতেন, বাংলাদেশ বেতার-বিবিসি-ভয়েস অব এমেরিকা-রেডিও পেইচিং আরো কত চ্যানেলের । রাত দশটায় শুরু হত এক ঘন্টার নাটক । তখন গভীর রাত, নাটক শুনে শুনে ঘুমিয়ে পড়তাম ।
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম । আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
আপনার স্মৃতিচারণার জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই । রাত দশটার পর নাটক হওয়ার বিষয়টা মনে নেই । কৃতজ্ঞতা বরাবরের মতোই !
৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সেই রেডিও আর এখনকার এফ এম এ গুনগত পার্থক্য কতটা জানিনা তবে আবেদনের চাহিদাটা সুস্পষ্ট !
স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো !
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: গুনগত পার্থক্যর কথা যদি বলেন তাহলে বলতে হয় পুরনো দিনের বিটিভির সাথে এখনকার দিনের বেসরকারি চ্যানেলগুলোর পার্থক্য ।
ধন্যবাদ ভাই , অনেক শুভেচ্ছা জানবেন ।
৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১১
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বাসায় রেডিও শোনা হত বিবিসি আর ভয়েস অব আমেরিকা শোনার সময়। রেডিও তে গান তেমন শোনা হয় নি। তবে সব কিছু বাদ দিয়ে কান পেতে থাকতাম ৯৭ থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের কোন ম্যাচ থাকলেই!! মনে পড়ে মালয়েশিয়ার কুলালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের ধারাভাষ্যগুলো!!
রেডিও মাধ্যম টা আমার সব সময় খুব ভালো লাগে কারণ এতে সব ইন্দ্রিয়ের মনযোগ একমূখী করতে হয় না। শুধু কান পেতে রাখলেই চলে। বেসরকারী এফ এম কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো ভালো না লাগলে সরকারী বেতার কেন্দ্রের এফ এম তরঙ্গে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো শুনে দেখতে পারেন। প্রতিটা সরকারী সরকারী বেতার কেন্দ্রই তার একটি নির্দিষ্ট এফ এম ফ্রিকোয়েন্সীতে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। এই অনুষ্ঠানগুলোতে অন্তত কিছু পল্লীগীতি শুনতে পারবেন, শুদ্ধ উচ্চারণে রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত শুনতে পারবেন। তবে বিনিময়ে হজম করতে হবে সরকারী দলের গুণগান
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হায় হায় ক্রিকেট খেলার কথা কি করে ভুলে গেলাম । আমি তো আসলে ক্রিকেট খেলা বোঝাই শিখেছি , বড় মামার ধ্যাবড়া মার্কা রেডিওতে অ্যাশেজের ধারাবিবরণী শুনে । রেডিওতে আবাহনী মোহামেডান খেলা শোনার উত্তেজনায় ছিলো আলাদা ।
আচ্ছা ভাই, দেখবো শুনে । কিন্তু গান শুনতে কি আর ভালো লাগবে?? ভালো গান আর হয় কোথায় !
অনেক ধন্যবাদ । অজস্র কৃতজ্ঞতা জানবেন
৫| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
আমারে তুমি অশেষ করেছ বলেছেন: রেডিওর সাথে সম্পর্কটা হয়ত আজীবন থেকে যাবে। এখনও গাড়িতে চলতি পথে কানে হেড ফোন লাগিয়ে রেডিও শোনা হয়। হোক সে খেলা, হোক সে খবর, হোক সে গান অথবা বিজ্ঞাপন বিরতি পথের পুরোটা সময় কাটে রেডিওর সাথে।
২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আপনাকে ঈর্ষাই । এমন সম্পর্ক বেঁচে থাক আরও যুগের পর যুগ !
৬| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
মনুমনু বলেছেন: আমার ভালো লাগতো উপস্থাপকদের শুদ্ধ উচ্চারণ আর নিখুঁত বাচনভঙ্গী , কত যে চেষ্টা করেছি তাদের মতো করে কথা বলতে
একেবারে মনের কথা। সম্ভবত এগুলোর তদারকিও ছিল।
২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হম । যতদূর জানি, রেডিওতে অডিশন সেইরকম কঠিন ছিলো । ধন্যবাদ । আর কৃতজ্ঞতা জানবেন
৭| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১১
মনুমনু বলেছেন: রাত দশটার নাটক--একেকটা ছিল মৌলিকত্যে ভরা। আচ্ছা, ওগুলোর কোন আর্কাইভ পাওয়া যায় কিনা দেখতে পারবেন কি কেউ?
২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কোনও আর্কাইভে আছে কিনা জানা নেই । রেডিও অফিসে খোঁজ নিতে হবে সম্ভবত ।
৮| ১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহা! নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। আগের রেডিও আর এখনকার রেডিও অনেক পার্থক্য আছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রেডিও বিকাশ ঘটেছে তবে সমস্যা হচ্ছে তাদের উন্নতিতে অনেকটাই বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব আছে। আরজে দের শুদ্ধ উচ্চারনের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে এখান উঠে আছে তরুন প্রজন্মের পছন্দের কথা। খুব হাস্যকর ভাবে আমাদের তরুন প্রজন্মের মাঝে ধারনা দেয়া হচ্চে আরজে হতে হলে ন্যাকা ও বিকৃতি উচ্চারনে আধ খেঁচড়া বাংলা বলতে হবে। এটাই তারুন্যের স্টাইল।
পোষ্টে ভালো লাগা।
২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার মনে হয় শুদ্ধতা দিয়েও মানুষকে আকর্ষণ করা যায় । এফএম চ্যানেলগুলোর আরও বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিলো আমাদের সংস্কৃতি বিকাশে । বিশেষ করে দেশীয় সঙ্গীত । কিন্তু তাদের স্রোতে গা ভাসাতেই বেশি মনোযোগ । আশা করি, তারা তাদের ত্রুটি কাটিয়ে উঠে শক্তিশালি মাধ্যম হয়ে উঠবে অচিরেই ।
পাঠে কৃতজ্ঞতা । আর অসম্ভব ধন্যবাদ জানবেন । শুভেচ্ছা ।
৯| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আহা! আমার মনে আছে সকাল বেলা নানা তাঁর বড় একখানা জাপানী রেডিও তে সকালের বিবিসির খবর ধরছেন, খ্যার ঘ্যার একটা শব্দ শুনতে শুনতে ঘুম ভাঙ্গার স্মৃতি! আমার নিজের রেডিও শোনা হয়নি খুব বেশি, আমি গল্পের বই পড়তাম, কিন্তু আশপাশে রেডিওর প্রতাপ টের পেতাম খুব। জামাইকে রেডিও না দিলে পাকা বিবাহ ভাইঙ্গা যাইতো!
আপনার জন্য আমার খুব প্রিয় একটা গান-
Karen Carpenter
Lyrics:
When I was young
I'd listen to the radio
Waitin' for my favorite songs
Waiting they played I'd sing along
It made me smile
Those were such happy times
And not so long ago
How I wondered where they'd gone
But they're back again
Just like a long lost friend
All the songs I loved so well
(*) every sha-la-la-la
Every wo-wo-wo
Still shines
Every shing-a-ling-a-ling
That they're starting to sing's
So fine
When they get to the part
Where he's breakin' her heart
It can really make me cry
Just like before
It's yesterday once more
Lookin' back on how it was
In years gone by
And the good times that I had
Makes today seem rather sad
So much has changed
It was songs of love that
I would sing to then
And I'd memorize each word
Those old melodies
Still sound so good to me
As they melt the years away
https://www.youtube.com/watch?v=YTaWayUE5XA
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আরে এই গানটা আমারও ভীষণ প্রিয় । লিখার সময় এই গানটার কথা বারবার মনে পড়ছিল । অনেক ধন্যবাদ গানটা আর স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্য ।
কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদের অজস্রতায় ।
১০| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
ফা হিম বলেছেন: নস্টালজিক করে দিলেন গো ভ্রাতা
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: তা দুই একটা স্মৃতির কথা নাহয় বলেই ফেলতেন !
১১| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: রেডিওতে প্রিয় অনুষ্ঠান ছিলো নিশুতি। রাত দেড়টায় হতো। দারুণ সব নাটক শুনেছি। আর ছিলো ওয়ার্ল্ড মিউজিক। এখানে বিখ্যাত সব গান শোনানো হতো। রেডিও মূলত শোনা হয়েছে বেশি ৯৭ এ আইসিসি ট্রফির সময়। ছোট্ট একটা ট্রানজিস্টার কিনেছিলাম। স্কুলে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে খেলা শুনতাম। আহা!
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: নিশুতি আমার খুব কম শোনা হয়েছে । ছোট ছিলাম তো, ঘুম আসতো তাড়াতাড়ি । তবে আইসিসি ট্রফির সময়ে কি যে করেছি রেডিও নিয়ে ! তবে আমার শামিম আশরাফ চৌধুরীকে একদম ভালো লাগতো না । তখন ইংরেজি একেবারেই কম বুঝতাম কিনা । আসলেই সেইসব দিনগুলি !
কৃতজ্ঞতা ভাইয়া, স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্য । ভালো থাকবেন ।
১২| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
জাতির বোঝা বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা । আপনার নিক ইন্টারেস্টিং , পছন্দ হয়েছে !
১৩| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমার সময়ে একটা গান খুব পপুলার হইছিল। সেটা হল- আসসালাম আলাইকুম বেয়াইসাব!
"
এত ভাল্লাগতো! কি আর বলব!
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হ , গানটা আপনার সাথে মানাইছে । খিকজ খিকজ !
১৪| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
এইটা কি করলেন আদখান ভাই
মুই যে আবেগে কান্তাছি ।
অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন ।
রেডিও তে আমি মূলত গান শুনতাম ।
শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম ।
লাইফ বয় সাবানের বিজ্ঞাপনের কথা এখনো মনে আছে ।
দারুণ লাগল শুন তে । তার পর পল্লিগীতি ।
আইসিসির ফাইনাল খেলা ত রেডিও তেই শুনলাম । কি উত্তেজনা ।
একদিন আব্বা রেডিও বেচে দিল । টু ইন ওয়ান টিভি থাকতে কি দরকার এই হিসেবে । আমার মন খুব খারাপ হইছিল ।
লাইফ বয় সাবানের বিজ্ঞাপনের কথা এখনো মনে আছে ।
পরে পরে ভয়েজ অফ আমেরিকা শুনতাম । হেতেগ গানের সুর টা ভাল লাগে ।
তারপর অনেক দিন আর শুনিনাই ।
তারপর আইল আইলো রে এফ এম । প্রথম দিকে খিচ্চা হুঞ্ছি
- তুমি বরুনা হলে হব আমি সুনীল
- চায়না মাইয়া তুমি অন্য কারো ন অ ।
তারপর ভুত এফ এম টু উউউউউউউউউউউউ ঊঊ
বাবু ভাই তখন অমুক জায়গায় - ভুত আইল !
কিছুদিন পর সব আগ্রহ ফুট্টুস ।
মাঝে মাঝে জীবনের গল্প নামে একটা অনুষ্ঠান আছে অইটা শুনি ।
বহুত কইছি আর না । আলা যাইগা
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৭
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ও ভাই, আপনে যেমন মাসুদ রানার কথা লিখে আমারে ভাসাই দিসিলেন তার প্রতিশোধ নিলাম আর কি ! হিহিহি । আপনার স্মৃতিচারণায় আমারও কিছু মনে পড়লো যেগুলা লিখার সময় মনে ছিলো না । থাঙ্কু , আরও অনেক কিছু মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ,।
শুভেচ্ছা , জানবেন । ভালো থাকবেন ।
১৫| ২২ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:২২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আহা, দারুণ লাগল পোস্ট কমেন্ট পড়তে। এরকম লেখা আরও আসে না কেন ব্লগে!!
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। শুভরাত্রি।
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: হ্যাঁ, কমেন্টের স্মৃতি রমান্থনও রোমাঞ্চকর ছিলো । আপনার কিছু স্মৃতি নাহয় শেয়ার করতেন ।
বরাবরের মতোই কৃতজ্ঞতা । শুভেচ্ছা , ভালো থাকবেন
১৬| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগল নষ্টালজিক স্মৃতিচারণ। একটু সময় নিলুম। আমাদের বাসায় প্রথম যে রেডিওটা এলো সেটার ব্যাটারী ছিল গাড়ীর ব্যাটারীর সমান। অন করলে মিনিট খানেক পর উনি কথা বার্তা বলতেন। তিনটা টাইমিং ছিল, সকাল দুপুর আর বিকেল, দশটার পর সব বন্ধ! আপনাকে ধন্যবাদ।
২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বলেন কি! এমন রেডিওর কথা আগে শুনিনি । দেখতে পেলে বেশ হতো । স্মৃতিচারণের জন্য কৃতজ্ঞতা ।
ধন্যবাদের অজস্রতায়, ভালো থাকবেন সবসময় !
১৭| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫১
সুমন কর বলেছেন: মাঝহারুল আনোয়ারের......
স্মৃতিচারণ ভালো লাগল। আমি তেমন রেডিও শুনতাম না। ছোটবেলায় বাসায় যদি বাবা রেডিও চালাতো, তবে একটু-আধটু শোনা হত। ভার্সিটি লাইফে বিবিসি একটু একটু শোনা হইছে, তবে রেডিও শুনতে ভাল লাগত না।
কিছুদিন ওয়ার্ল্ড মিউজিক শুনছি, হুজুগে। তবে আইসিসি সেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনাল খেলা রেডিও শোনার কথা মনে থাকবে, সারাজীবন। নান্নুর-আকরামের সেই অসাধারণ খেলা।
আর বর্তমানের এফএমের কথা কি কমু ! জীবনে চার-পাঁচ দিনের বেশী শুনি নাই। ওদের ঐ সব রঙ-চোঙ শোনার ইচ্ছা নাই। তারা নিজেদের ওবার স্মার্ট মনে করে।
১৮| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৩৬
নাহিদ শামস্ ইমু বলেছেন: খুব ভালো লাগলো তপু ভাই।
স্মৃতির পাতা থেকে জ্যান্ত তুলে আনা কিছু অনুভূতি।
বাংলাদেশ বেতার শোনা হতো একসময়। সেসব কথা এখনো মনে পড়ে। ওরস্যালাইন, টুথ পাউডার, লাইফবয় সাবান, কনডম- প্রভৃতি পণ্যের বিজ্ঞাপন এখনো কানে বাজে। চেষ্টা করলে 'অনুরোধের আসর'-টাও মনে করতে পারি। "...... গানটির জন্য অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রাম থেকে সুমাইয়া, সালমা, নাহিদ, রূম্পা রাজশাহী থেকে আনোয়ার, বিপ্লব, তপু..."
মাঝে মাঝে নাটক হতো। মুক্তিযুদ্ধের নাটক, সচেতনতা বিষয়ক নাটক। গরমের দিনে খালি গায়ে শুয়ে নাটক শুনতাম। আর মনে মনে সেই নাটকের দৃশ্যগুলো কল্পনা করতাম।
বাবা বাসায় ফিরলেই রেডিও নিয়ে বিবিসি বাংলা ধরার চেষ্টা করতেন। ফ্রিক্যুয়েন্সি আনার সময় এবং বিবিস চ্যানেলটি আসার পর মাঝে মাঝেই 'চিউউউউউউউ' জাতীয় একটা শব্দ হতো, কখনো বা হতো বাতাসের গর্জনের মত!
সেসব কথা মনে পড়লে হাল আমলের 'ওয়েলকাম ফ্রেন্ডস... এখন প্লে করছি আমার খুব্বই ফেবরিট একটা ট্র্যাক... আবিলা ফিচারিং কাবিলা"- ব্যাপারগুলো ভীষণ বিরক্তির উদ্রেক করে।
শুভকামনা!
১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৪:০৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গতদিন কমেন্ট করার সময় একটা কথা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। প্রায় মাসখানেক হলো "রেডিও ভূমির" কঠিন প্রেমে পড়েছি, চিৎ পটাং হয়ে শুনছি সারাদিন। শুনে দেখতে পারেন। হতাশ হবেন না আশা করি। মজার কথা হচ্ছে যে ব্যাপারটাতে মুগ্ধ হয়েছি, এই একমাসে একটা হিন্দী বা ইংরেজি গান শুনতে পাই নি।
রেডিও ভূমি- ৯২.৮ এফ এম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের রেডিওটাকে লুকিয়ে রাখতাম ভেন্টিলেটরের ভিতরে। কারন বলাই বাহুল্য।। আব্বা জানতে চাইলে বড়বোনরা সহ আমি বলতাম দোতালা থেকে ভেসে আসছে সুর। আব্বাও খেয়াল করে দেখতো। বুঝতে পারতো কি না জানি না, কিন্তু মেনে নিতো।।