![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসসালামু আলাইকুম
সবাই ভালো আছেন প্রত্যাশা করছি। আজ পবিত্র রমযানের ২০তম দিন অতিবাহিত করলাম। আর আছে ১০ দিন। নাজাত বা মুক্তির আকুতি জানানোর শেষ চিঠি সৃষ্টিকর্তার কাছে। রহমত গেলো মাগফিরাত ও চলে গেলো বাকী নাজাত বা মুক্তির আর্জি। এই ২০দিনে কি পারলাম সঠিক কাজ করতে? পেরেছি কি রোজার হক আদায় করতে? পেরেছি কি দৃষ্টি সংযমে রাখতে? পেরেছি কি মা-বাবার খিদমত করতে? পেরেছি কি প্রতিবেশীর হক আদায় করতে? সব গুলোর উত্তর যদি 'না' হয় তাহলে আপনার চেয়ে বড় দূর্ভাগা আর কেউ নেই। যে মাসে রহমত এর দরজা খুলে দিয়েছিলেন সৃষ্টিকর্তা আপনি সে রহমত থেকে বঞ্চিত, নতজানু হয়ে ক্ষমার আর্জি ও আপনি ফিরিয়ে দিলেন, তাহলে আপনি নিজেকে কি মনে করেন? নিজেকে প্রশ্ন করুন ---উত্তর পেয়ে যাবেন। আপনি যদি কারো আজ্ঞাবহ না হন তাহলে যুক্তি এটাই বলে আপনি নিজেকে সবার উর্ধে মনে করেন। আর আপনি ঈশ্বর এর নির্দেশ পালন করছেন না সেহেতু আপনি নিজেই নিজেকে ঈশ্বর ভাবছেন। কথায় বলে, 'এক হল সরকার আর এক হল বাপ দুটির সাথে কখনো টক্কর দেয়া যায় না' আর সেখানে সারা জাহানের মালিকের সাথে তার নির্দেশ অমান্যতা করে দিব্বি তার জমীনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ভেবে দেখুন আল্লাহ কত ক্ষমাশীল, তিনি এখনো আপনাকে বাছিয়ে রেখেছেন। আর তিনি চান আপনি যতই গুনাহ করুন না কেন আপনার অল্প আমল যদি পরিপূর্ন হয় তাতেও আল্লাহ আপনাকে জান্নাত এর মেহমান করে নিবেন। রাসূল (স) বলেছেন, "তোমার ঈমান কে খাটি করো, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যতেষ্ট হইবে"
আসুন না সবাই মিলে, তার উপাসনা করি যিনি এত ক্ষমাশীল, রহমানুর রাহিম, সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর কাছে। বেশী না, দিনের ২৪ঘণটার ১টি ঘন্টা তার উপাসনা করুন। পারবেন না? যার দেয়া সময় তার জন্য ২৪ভাগের ১ভাগ সময় তার জন্য ব্যায় করতে?
আল্লাহ আমাদের সবাই কে তাওফিক দান করুক,.. আমিন।
বি:দ্র: ভূলক্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, মোবাইলের পোষ্ট এর ক্ষেত্রে বানান ভুল হলে মার্জনা করবেন।
©somewhere in net ltd.