নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'নববর্ষের দিনের শেষে ঘুম আসে কেন?\'- একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৫


ঘুম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ, সেটা রাতে নিজ বাসাতেই হোক কি অফিসে বসের চোখকে ফাঁকি দিয়ে। অনেক সময়, সারাদিন প্রচন্ড কায়িক পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে রাতে ঘুমুবার সময় দেখা যায়, ঘুম আর আসছে না। তখন বিছানায় এপাশ-ওপাশ করা ছাড়া উপায় থাকে না। তবে বুদ্ধিমানেরা এরকম পরিবেশে ঘুম আসার জন্য 'ভেড়া' গোনা শুরু করেন কিংবা কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন। আর তাতে ফল পাওয়া যায় হাতে-নাতে, ঘুমে চোখ জুড়ে আসে। আবার কেউ কেউ বই হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে কখন যে নাক ডাকাতে থাকেন বলতেও পারেন না।

কিন্‌তু, এরকম কেন হয়! বই পড়া কিংবা চিন্তার সাথে ঘুমের সম্পর্কটা কিংবা ভেড়া গোনার সাথে ঘুমের আত্মীয়টা কোথায় তা আমরা অনেকেই জানি না। মোদ্দাকথায়, মানব শরীরের কোন বিশেষ অংশের ক্রিয়াকলাপের কারণে 'ঘুম'-এর উৎপত্তি হয় আর ঘুম পাবার পিছনে রহস্যটা সম্পর্কে অনেকের কৌতুহল ও প্রশ্ন থাকলেও এর উত্তর জানা নেই। এমনকি পৃথিবীর তাবৎ বড় বড় বিজ্ঞানীরা অনেক দিন পর্যন্ত এব্যপারে অন্ধকারে ছিলেন। অবশেষে বিস্তর গবেষনার পর মাত্র কয়েক বছর পূর্বে তারা এই রহস্যের সমাধান করতে সমর্থ হয়েছেন।

তাদের গবেষনায় দেখা গেছে, মানব মস্তিষ্কে অবস্হিত 'নিসল্‌স গ্যানিউল্‌স' নামের এক প্রকারের রাসায়নিক পদার্থ মূলতঃ ঘুম আসার জন্যে দায়ী। এই রাসায়নিক পদার্থটি মস্তিষ্কের 'স্টেম সেল'-এর 'এ্যাওয়ে কেনিং সেন্টার' নামক স্হানে থাকে।

শারীরিক পরিশ্রম করলে দেহে ল্যাকটিক এসিড জমে। এরফলে শরীরের পেশীগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে পেশী তার শক্তি হারায়। আবার, বিশ্রামের ফলে পেশীতে জমা এসিড কমে যায়, পেশী আবার কার্যক্ষম হওয়ার জন্য তৈরী হতে থাকে।

অন্যদিকে, লেখাপড়া ; চিন্তা-ভাবনার মত মানসিক পরিশ্রমের ফলে 'নিসল্‌স গ্যানিউল্‌স' খরচ হয়। এমনি ভাবে খরচ হতে হতে যখন নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌছে, তখন আপনা-আপনিই স্টেম সেলের কেনিং সেন্টার বা 'জাগরনের কেন্দ্র'-টি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। আর এটা কাজ না করায় আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। আবার, পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে মস্তিষ্কে 'নিসল্‌স গ্যানিউল্‌স' ফিরে আসে। এমনি করে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌছলে 'এ্যাওয়ে কেনিং সেন্টার' ইমপাল্‌স পায়, মানে ক্রিয়াশীল হয়ে উঠে। ফলে, আমরা জেগে উঠি।

আর এভাবেই ঘুম ও জাগরনের ক্রিয়া চলতে থাকে।

তাই, নববর্ষের প্রথম দিনে সারাদিন ঘুরাঘুরির পরও ঘুম না এলে অস্হির হয়ে উঠবেন না। বিছানায় শুয়ে বা সোফায় হেলান দিয়ে ধৈর্য ধরে 'ভেড়া গোনা'-র মত মানসিক কোন পরিশ্রমের কাজ করুন, দেখবেন কখন যে নাক ডাকাতে লেগেছেন টেরই পাবেন না।

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫০

বিজন রয় বলেছেন: বাহ!
নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: সাধু সাধু

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.