নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।
গত বুধবার দুপুরে পাবনা উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। উদ্দ্যেশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ চাষীদের সমাবেশ হয় যেখানে সেই 'করমজা হাঁট' দেখে আসা। সেই হাঁট দেখা হয়নি। কিন্তু, পাবনা'র অন্যান্য হাঁটে পিঁয়াজ আর সবজি'র বাজার দেখে কাল রাতেই আবার রওনা হই ঢাকা'র উদ্দেশ্যে।
তুফান গতিতে বাস চলছে। জানালার বাইরে তাকালাম। সড়াৎ সড়াৎ করে রাস্তার পাশের গাছগুলো সরে যাচ্ছে। পাবনা'র রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন শ্যামলী বাসের স্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। বাস ছাড়ার সময় ছিলো ৫.৩০ মিনিটে। কিন্তু, শ্রমিক ধর্মঘট থাকায় পাকশী থেকে রূপপুর আসার পথে শ্রমিকরা রাস্তায় বাস থামিয়ে দিয়েছিলো। তাই, প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা লেইট।
প্রথমে আস্তেই চালাচ্ছিলো। কিন্তু, লেইট হওয়ার কয়েকজন যাত্রী খুবই খেপে গিয়েছিলেন। এ কারণে কন্ডাক্টরকে ডেকে আচ্ছা করে ঝাড়ি দিয়ে দেওয়া হলো। ব্যস! এরপর থেকে বাসের তুফান গতিতে চলা। সারা রাস্তা 'আল্লাহ, আল্লাহ' করে এসেছি। আল্লাহ'র অশেষ রহমতে ঢাকায় পৌঁছে আজ এই পোস্টটি লিখতে পারছি বলে শুকরিয়া।
ঢাকা থেকে পাবনাঃ ট্রেনে মানুষ ঠাসা
যাত্রার আগের দিনই সিল্ক সিটি ট্রেনের টিকেট কেটে রেখেছিলাম বলে রক্ষে। বুধবার পরিবহণ ধর্মঘট হওয়ায় কমলাপুর রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে রাজ্যের ভিড়। এই ভিড় ঠেলে টিকেট কেটে সময় মতো ট্রেনে উঠাটা সত্যিই এক অসম্ভব ব্যাপার। তবু, মানুষ অসীম ধৈর্য সহকারে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট কাউন্টারের দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে গেলেও স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি চলছে দেদারসে। কি পরিমাণ স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি হয়েছে তা বুঝতে পারলাম ট্রেনে উঠে। পুরো কম্পার্টমেন্ট জ্যাম করা মানুষ। বগির ভিতর চাপাচাপি করে মানুষ দাঁড়ানো।
যাহোক, প্রায় ১ ঘণ্টা লেটে ট্রেন এসে, তারও প্রায় ১ ঘণ্টা পর ট্রেন ছাড়লো। বগিতে উঠে সিটের কাছে এসে দেখতে পেলাম আমার সিটে অন্য একজন বসে পড়েছেন। আমি এসে টিকেট দেখাতেই অবশ্য ভদ্রলোক সিট ছেঁড়ে দিলেন। ট্রেন যখন কমলাপুর ছাড়লো, স্ট্যান্ডিং অবস্থায় খুব একটা বেশি মানুষ ছিলো না। কিন্তু, বিমানবন্দর আর টঙ্গীতে এসে পুরো বগি জ্যাম প্যাকড। টঙ্গিতে তো একটু হলে বড় একটি দূর্ঘটনাই ঘটে যেতো।
ঠেলে ঠুলে যখন আমাদের বগিতে যখন আর মানুষ তোলা সম্ভব হলো না, টঙ্গী থেকে ট্রেন ছেঁড়ে দিলো। হঠাৎ কম্পার্টমেন্টে সরগোল হতেই বাইরে থাকিয়ে দেখি একজন মহিলা দরজার বাইরে ঝুলে আছেন। অনেক ধাক্কা দিয়েও জায়গা করে নিতে না পারায় এই অবস্থা। সবাই বলছে 'নামো, নামো', কিন্তু ট্রেন ততক্ষণে ছেঁড়ে দেওয়ায় মহিলাটি নামতে পারেননি।
ঝুলে ঝুলে কম্পার্টমেন্ট প্রায় পার হয়ে যাওয়ার অবস্থা, আমি এক লাফে সিট থেকে উঠে একজনকে বললাম- 'চেইন টানেন জলদি। নাহলে মহিলাটি পড়ে যাবে।' পিছনে আবারো শোরগোল। এবারে তাকিয়ে দেখি, মহিলাটি চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে কম্পার্টেমেন্টে নামতে গিয়ে শক্ত মেঝেতে পড়ে গিয়েছেন। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, মহিলাটি উঠে দাঁড়ালেও খুড়াচ্ছেন। দূর থেকে সমানে ট্রেনের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিচ্ছেন রাজ্যের গালি।
[চলবে]
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: না কেনা হয়নি। দাম বেশি এখনো। পেঁয়াজ থেকে ট্রাভেল লগ।
আসলে, অভিজ্ঞতাটা ধরে রাখছি নিজের জন্যেই। একটা ডায়েরী বলতে পারেন।
ধন্যবাদ।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ট্রেন কখনও শূন্য থাকে না। সব সময় যাত্রী বোঝাই। অথচ ট্রেনে সব সময় লস।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: ট্রেন তো ভরাই দেখলাম। তারপরো লস হলে এটা ভালো খবর নয়।
শুভেচ্ছা সব সময়।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০১
কনফুসিয়াস বলেছেন: এই রুটে হর-হামেশাই জ্যাম লেগে থাকে। অতিরিক্ত লোক উঠলে সেই টাকাটা টিটির পকেটে জরিমানা হয়ে জমা হয়। পকেট থেকে এর পরবর্তী স্থান আমার জানা নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
পেঁয়াজ কিনেছিলেন?
পেঁয়াজ নিয়ে লিখতে গিয়ে, জার্নি বাই ট্রেন হয়ে গেছে; ১০ শ্রেণীর প্রভাব?