![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাদামাটা একজন মানুষ। শখের বশে লেখালেখি শুরু করেছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু লেখার। পছন্দ করি বই পড়তে।
জিহাদ (আরবি: جهاد), যার অর্থ সংগ্রাম; কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লাভের জন্য সমগ্র শক্তি নিয়োগ করাকে বোঝানো হয়। এর আভিধানিক অর্থ পরিশ্রম করা,সাধনা করা,কষ্ট করা, চেষ্টা করা ইত্যাদি। (উইকিপিডিয়া)
ইসলামে জিহাদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অত্যাধিক। জিহাদ মানে শুধু বিধর্মী কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণে যুদ্ধ করা নয়। বরং এটি জিহাদের একটি অংশ মাত্র।
ইসলামিক পরিভাষায় জিহাদের মুল উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ্র দ্বীনকে আল্লাহ্র জমিনে প্রতিষ্ঠিত করা। এখন এই দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে যা যা করা দরকার তার সবই হচ্ছে জিহাদ।
তৎকালীন অন্যান্য ধর্মের সহঅবস্থানে ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকে, ইসলামকে প্রতিষ্ঠা এবং টিকিয়ে রাখার জন্য সরাসরি অস্ত্র ধরে জিহাদের চর্চা করতে হয়েছিল। যা তৎকালীন সময়ের জন্য ছিলো অত্যাবশ্যকীয়। যদি তা করা না হতো তাহলে আজ ইসলাম প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে থাকতো না।
আজ বিশ্বের অসংখ্য দেশে মুসলমানদের স্বাধীনতা এবং শাসন ক্ষমতা থাকলেও ইসলাম কোথাও প্রতিষ্ঠিত নয়। বরাবরই ইসলাম অবহেলিত। তার মূল কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জন্মগত মুসলিম হলেও প্রকৃত ঈমানের দাবিতে মুমিন হতে পারেনি। যেকারণে মানুষ মুসলমান হওয়ার সাইনবোর্ড অর্জন করেছে। কিন্তু প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেনি।
যারফলে বিশ্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মুসলিম হলেও বিশ্বে প্রতিটি দেশে ইসলাম বা আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত নয়। সুতরাং কোন দেশ দখল বা বিধর্মীদের শায়েস্তা করা কখনোই জিহাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। যার প্রমাণ ইসলামের প্রাথমিক যুগের যুদ্ধ গুলো।
সুতরাং জিহাদের আগে ঈমান পরিপূর্ণ করা জরুরী। যে জিহাদ দ্বারা ইসলামের স্বার্থ অর্জিত হয়না। সেই জিহাদ কখনোই জিহাদ নয়। আর জিহাদের দ্বারা ইসলামের স্বার্থ অর্জন করতে হলে, অবশ্যই প্রকৃত ঈমানে বলীয়ান মুমিনের প্রয়োজন।
সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলাম এবং মুসলিমের বিরুদ্ধে অবমাননা অপপ্রচার আজ নতুন নয়। ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তিদের মূল কাজই হলো ইসলামকে অপমানিত করে তৃপ্ত হওয়া। আর এতসব অবমাননার পরও আজ পর্যন্ত মুসলমানগণ প্রকৃতঅর্থে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করতে সমর্থ হয়নি।
কেননা, যতবারই ইসলামের বিরুদ্ধে অপবাদ অপপ্রচার হয়েছে, ততবারই সাময়িক আবেগের স্ফুলিঙ্গের হই-হুল্লোড় ছাড়া আর কিছুই অর্জিত হয়নি। এর মূল কারণ মুসলমানদের মধ্যে ঈমানের প্রকৃত নির্যাস না থাকা।
আজ আধুনিক বিশ্ব শুধু শক্তির পূজারী নয়। শক্তি থাকলেও অনেক কিছুই আজ সম্ভব নয়। যেমন চীন এমন একটি দেশ যার প্রচুর শক্তি রয়েছে। অথচ আজ বিশ্বকে চীন শক্তি দিয়ে নয়, বরং কৌশলে কাবু করে দিচ্ছে। আজ সারাবিশ্ব চীনের কাছে নত স্বীকার করতে বাধ্য। কেননা তারা কৌশলে তা করতে সমর্থ হয়েছে। ঠিক তদ্রুপভাবে মুসলমানদেরও কৌশলে সবকিছুর জবাব দিতে হবে।
আজ যারা ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মিছিল মিটিং করছে। তারা তা আবেগের বশবর্তী হয়েই করছে। যা খুবই সাময়িক! অতীতের অভিজ্ঞতা আমাদের তাই বলে। শুধু তাইনয় তাদের ভিতরে প্রকৃত ঈমানের কোনো বহিঃপ্রকাশ নেই। এর কারণ, পার্শ্ববর্তী দেশ শুধু আজ নয়। তারা সৃষ্টিলগ্ন থেকেই ইসলাম বিদ্বেষী। তারা শুধু ধর্ম নয়। তারা আমাদের জীবন জীবিকা নিয়েও অতীত থেকেই নানান ষড়যন্ত্র করে আসছে।
যার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ঈমানী সফলতা নেই। যদি তাই হতো তাহলে এখন পর্যন্ত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের উপর নির্ভরশীল হতে হতো না। যদিও রাজনৈতিক ও ভূগৌলিক কারণে আমরা তাদের উপর নির্ভরশীল। তবুও কি আমাদের উচিত নয় তাদের বলয় থেকে বের হওয়া?
আজ যারা আবেগের বশে রাস্তায় যাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছে। মিছিল শেষ হওয়ার পর তাদেরই টিভি চ্যানেলে তাদেরই বিজ্ঞাপন দেখে ইসলাম বিদ্বেষীদের পানীয় জলে এরাই কিন্তু গলা ভেজিয়ে জিহাদের ঢেঁকুর তুলবে।
তাহলে কি প্রকৃত জিহাদ হলো? জিহাদ হচ্ছে সেটাই, যা দ্বারা আমার স্বার্থ উদ্ধার হবে। জিহাদ হচ্ছে সেই সংগ্রাম, যা করে আমার দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হবে। এখন সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও প্রতিবাদ মিছিল মিটিং করতে বাঁধা নেই। তবে আমাদের আগে প্রকৃত ঈমান আনা দরকার। যে ঈমানে বলীয়ান হয়ে আমরা শত্রু পক্ষকে উচিত শিক্ষা দিতে পারি। সে শিক্ষা যদি শক্তি দিয়ে হয় তবে তা শক্তি দিয়ে। যদিও শক্তি দিয়ে না হয় তবে কৌশলে।
যেমন করছে মধ্যপ্রাচ্য। তারা তাদের ঈমানের দীক্ষায় শত্রুদের বয়কট করা শুরু করেছে। যদিও তা ব্যক্তিগত ও সীমিত পর্যায়ে। তবুও এভাবেই যদি প্রতিটি মুসলমান যদি তাদের বয়কট করা শুরু করি। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার প্রয়োজন নেই। শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছা। আমরা যদি সত্যিই ঈমানের দাবিদার হই, তাহলে আজ এখন এই মুহূর্ত থেকে তাদের সবকিছু বর্জন করতে হবে। এটাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমানের বহিঃপ্রকাশ।
সুতরাং রাস্তা-ঘাটে মিছিল মিটিংয়ের চাইতেও বেশী জরুরী ব্যক্তিগত জিহাদ। যে জিহাদ করতে হলে প্রতিটি মুসলমানের আগে প্রয়োজন হবে প্রকৃত ঈমান আনা। সেই ঈমানে বলীয়ান হয়ে ইসলাম বিদ্বেষীদের সবকিছুকে বর্জন করতে হবে। তাহলেই আমরা ধীরে ধীরে তাদেরকে দুর্বল করতে সমর্থ হবো।
আসুন আমরা ঈমানের শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে শত্রুদের বয়কট করে তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত জিহাদ শুরু করি। তাই প্রয়োজন জিহাদের পূর্বে ঈমান আনা।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
বিঃদ্রঃ লেখা সংক্ষিপ্ত করার কারণে অনেক বিষয় খুবই অল্পতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যা অনেকের মেনে নিতে কষ্ট হতে পারে। সেজন্য দুঃখিত।
১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আপনি কি চান এমন জিহাদ বাংলাদেশেও হোক?
২| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: জিহাদ শব্দটা শুনলেই আমার ভয় লাগে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সোনাগাজী বলেছেন:
শিয়া ও সুন্নীদের গৃহযু্দ্ধ, আফগানীস্তানের তালেবানদের দেখলে মনে হয় যে, বাংলাদেশে জ্বিহাদের অভাব আছে।