নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদের ধর্মীয় অনুভূতি ঠুনকো কথায় কথায় আঘাত প্রাপ্ত হন তাদের জঙ্গলে যাওয়া উচিত .... ১ম পর্ব

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

শরীয়ত সরকার বয়াতি নামের একজন বাউল শিল্পী দেশের আলেম সমাজের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বললেন, "গান বাজনা যে হারাম না সেটা উনি প্রমাণ করে দিবেন। পারলে কেউ ওনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক।"

আশ্চর্যের বিষয়, দেশে এতো বড় বড় আলেম,ওলামা, গাউস, কুতুব থাকতে তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার কেউ সাহস দেখালো না। উল্টো লোকটার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে জেলে ঢুকালো। জ্ঞানের যুদ্ধ জ্ঞান দিয়ে না করে মূর্খের দল অস্ত্র হিসাবে আইনকে তুলে নিলো যুদ্ধ জেতার ঢাল হিসাবে।

বলতে বাধ্য হচ্ছি, সামান্য একজন বয়াতির জ্ঞানের কাছে,তার চ্যালেঞ্জের কাছে, নামের পিছনে এতো এতো টাইটেল লাগানো আলেমগন যদি হেরে যান,ভয় পান তাহলে তাদেরকে মানুষ চোর, ছ্যাবলা, ফাওখোর, টাউট, বাটপার ছাড়া আর কি বলবে?

বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে এইসব বাটপারদের পেছনে দাড়িয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয় কিনা সেই বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
ধর্মের নামে সকল আয়, রোজগার,টাউট বাটপারি বন্ধ করা হোক। আল্লাহ বলেছেন,"তোমরা আমার কুরআন কে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করো না," অথচ এরা সেই কুরআন বিক্রি করে আগুন গিলে গিলে সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ফতুয়া বাজি শুধু দরিদ্র অসহায় নিরীহ মানুষের জন্য, ধনী ও ক্ষমতাবানদের কাছে গেলেই ফতুয়া ভয়ে পালিয়ে যায়।

দেশের প্রকৃত ঈমান আমল ওয়ালা মাওলানা যারা আছেন তারা এদের চাপে, ক্ষমতার দাপটের কারণে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন বলেই এরা সুযোগটা পেয়ে গেছে।

এরা দাড়ি টুপি লাগিয়ে ইসলামের নামে দিনরাত গীবতে লিপ্ত। নিজেরা খারাপ কাজ করছে আবার সহজ সরল মানুষগুলিকে ও গোমরা করছে। এদের কাছ থেকে বেচে থাকাই হচ্ছে, বড় ইবাদতের কাজ


পুরো পেষ্ট আসছে ....।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার ওলামা বিদ্বেষ তো চরমে ! তারপরও ভাইয়ু এব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মন্তব্য যুক্ত করিলাম ! ধন্যবাদ !

গানবাদ্য এবং শরিয়ত: বয়াতিদের আকিদা নিয়ে দুই আলেমের বিশ্লেষণ

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি এত টেনশন নিয়েন না। ঐ বয়াতি খুব সম্ভবত জার্মানি যাইতে আগ্রহী।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকদের ধর্মীয় অনুভূতি ঠুকনো। এবং তারা বেশ বোকা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রকৃত ধার্মীকদের অনুভূতি ঠুনকো নয় এবং তারা দাঙ্গা ফ্যাসাদের মধ্যেও যায় না

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৯

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: আপনি বললেন নৌকা নিজে নিজে তৈরি হয়। কেউ তাতে গাছ দেয়না, পেরেক গাঁথেনা, রং দেয়না.. আপনাকে লোকে চ্যালেঞ্জ করবে নাকি পাগল বলে দোড়ানি দিবে?
এখানেও তাকে দোড়ানি দেওয়া হচ্ছে, সর্বসাকুল্যে মিমাংসিত বিষয় নিয়ে যারে তারে যুক্তি দেওয়ার কারো আজাইরা টাইম নাই।

ওর দরকার হলে গুগুলে সার্স করে দেখে নেক, গান বাজনা জায়েজ কিনা।

হা আপনার রেফারেন্স লাগলে সহী হাদিস, কোরয়ান থেকে দিতে পারি।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: এটা পড়ে আসুন। যারা জানার তারা ঠিকই সেটার প্রতিবাদ করেছে।
গান বাজনা ইত্যাদির ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: টারজান ভাই অস্তিত্বহীন একটা পেইজের লিঙ্ক দিছেন, হারানো বিজ্ঞপ্তি কি দিবো ?

আপনি কাদের কথা বলছেন ? যাদের কাজ হোল শীত কাল আসলে লং হর্ন লাগিয়ে মানুষের কর্ন গুহের বারটা বাজিয়ে অবর্ননিয় চিৎকার করা (যার অধিকাংশই বোঝা যায় না) এরা আবার কবে আলেম হোল, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আলেম হোল লম্বা জামা আর টুপি। আপনাকে একটা সত্যি কাহিনি বলি, আমাদের বাসায় একটা ছেলে কাজ করতো, সেই উছিলায় আম্মা ওকে আমপারা পড়াত, তার আলহামদু সুরা শিখতেই টানা ১ বছর লেগেছিল, পুরা আমপারা সে আজো জানে না। অন্য অন্য বই পড়ানোর চেস্টাও করেছিল কিন্তু সে আগাতে পাড়ে নাই, এর পর অনেক দিন হোল, সেই ছেলে আমাদের বাসা থেকে কাজ ছেরে দিয়ে তার দেশের বাড়ি চলে গেছে, এর পর সে চরমোনাইএর মুরইদ হোল এবং লম্বা জামা পড়ে বিভিন্ন ওয়াজ মাহাফিলে সাইড বক্তা হিসেবে বক্তিতা দেয়। আশা করি আমাদের অন্য সব আলেমদের অবস্থা বুজেছেন। বাংলাদশে আলেম নামের কিছু অশিক্ষিত বর্বর জাহেল মুর্খ বেয়াদব নালেয়ক আছে যারা ধর্ম কে ব্যবসা বানিয়ে চলে। এদের কে আপনি কোন প্রশ্ন করবেন উত্তর জীবনেও পাবেন না উলটা আপনি কাফের টাফের হয়ে যেতে পারেন।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সুরা লোকমান। আয়াত ৩১-৬ অনুবাদ
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।

এই আয়াতে কোথাও গান বা বাজনা খারাপ বা হারাম লেখা নেই। কোন ইংগিতও নেই। 'অবান্তর কথাবার্তা' মানে কি গান?
আল্লার আয়াতের উপর হস্তক্ষেপ করে নিজের সুবিধামত বাক্য বানিয়ে ফায়দা হাসিল, খোদার উপর খোদগারি হয়ে যায়। এসব অন্যায়।

সূরা লুকমান : ৬ এর বক্তব্যে
মাসকুর ভাই (বিদ্রোহীভৃগু) ফেবুতে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সূরা লুকমান : ৬ যে আয়াতের কথা। যে কারনে নাজেল হয়েছিল। সেটা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে, সেই আদেশ।
সুধু সেই রকম অবস্থায় (কোরান তেলাওতের সময়) গান গাওয়া যাবে না।

শানে নুযূলে বলা হয়েছে যে, নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী (কৃতদাসী) খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায় নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণের ইচ্ছা করলে সেটা বাদ দিয়ে তাকে গান শোনানোর জন্য সেই গায়িকাকে আদেশ করত। মানে ফাজলামি। তখন সেটা তো হারাম হবেই।
এখন সেরকম কেউ করে না। তাই সেই আয়াত সাধারন গানের ক্ষেত্রে প্রযজ্য না।



ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছিল সুফি দরবেশদের মাধ্যমে তথা গজল জারিগান মুর্সিদি গান কবিগানের মাধ্যমেই।
কিন্তু ৬০এর দশকে মাওলানা মওদুদী ও তাদের অনুসারিরা কোন রেফারেন্স বাদেই গান বাজনা বেদাত বলা শুরু করে।
বাংলাদেশের জল্লাদ গোলামআজমের কথিত ধর্মপ্রাণরা আজও ওই ভ্রষ্ট মওদুদীর মতকে লালন করে যাচ্ছে। মওদুদীর ইসলামই হলো জঙ্গিবাদী জামায়াতের ইসলাম। এরাই ধর্মপ্রান বাংগালীদের কোরানের অপব্যাখ্যা দিয়ে ফায়দা হাসিল করে যাচ্ছে।

গান বাজনা হারাম হলে সৌদিআরব সহ সকল মুসলিম দেশে গানবাজনা চলছে কি ভাবে? শিবির কি নবিনবরনে সঙ্গিত গায় না? ওয়াজের হুজুররা পর্যন্ত মাইকে হাতপা নাচিয়ে গান গায়।

প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের বাজনা সহ জাতীয় সঙ্গিত আছে। সৌদি আরবেও
পৃথিবীর কোন দেশ গানবাজনা নিষিদ্ধ করেনি। প্রতিটি আরব দেশে জনপ্রিয় 'আসমা আল হুসনা' গান চলে, বলিউডি সহ গানবাজনা সবই চলে। কেউ নিষেধ বলেছে? নিষিদ্ধ করেছে? বরঞ্চ সব আরব দেশে হিন্দুদের মত গানের সাথে উলুধ্বনি পর্যন্ত চলে। রসুল যুগ থেকেই চলছে।
কোরানে গানবাজনা হারাম বলে কোন আয়াত নাজেল হয় নি। হাদিসেও নেই।

অনেকে বলে গান হালাল, তবে বাজনা হারাম। সেরকম আলাদা করে কোথাও কিছু বলা হয় নি। বরং সেই আমলে বাদ্যই বেশী চলত।
বাজনা হারাম হলে ইসলাম আবির্ভাবের সময় বাদ্য বাজিয়ে গান গেয়ে মহিলারা উলুধ্বনি সহ নেচে নবী (সঃ) কে মদিনায় স্বাগতম জানানো হয়েছিলো কিভাবে?
অনেক পরে ইসলাম শক্ত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মক্কা বিজয়ের পদযাত্রায় আরো বিপুল বাদ্য বাজিয়ে গলা হাকিয়ে গান গেয়ে মক্কা বিজয় হয়েছিল। সেই যাত্রায় নবীজি(স) সারাক্ষন ছিলেন।
হারাম হলে তো তখনি মানা করতেন।

সুর ও সঙ্গিত হারাম হয়ে থাকলে, আজানে সুর করে আজান দেয়া হত না, কোরান শুধু গদ্যের মত আবৃতি করা হত,
সুর করে তেলাওয়াত হত না।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৬

অখ্যাত নবাব বলেছেন: এগুলো ওনার কোন যুক্তি ছিলো না। বরং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছিলো।
কেননা, ওনি তো মূর্খ্য। ওনার ইসলাম সম্পর্কে ধারণা কম। ইসলাম সম্পর্কে না জেনেই আন্দাজে নিজের স্বার্থ বাচানোর জন্য আজগুবি কথা বার্তা বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.