নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ করতে হবে। দেশের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার জন্য চাই,"যথাযথ পরিকল্পনা ও আইনের প্রয়োগ। "

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪



এক ।

হুট করে পরিকল্পনা করলাম চিটাগাং যাবো । কিন্তু বাস কাউন্টারে গিয়ে বাসের ভাড়া শুনে আতকে উঠলাম । আড়াই হাজার টাকা ।
দ্রব্যমূল্যের এই নির্যাতনের সময় আমার মতো গরিবের কাছে আড়াই হাজার মানে অনেক টাকা। তিন দিনের বাজার খরচ । ট্রেনে গেলে ভাড়া কম লাগবে । ট্রেনের কথা মাথায় আসাতে আর দাঁড়ালাম না । আরাম বাগ থেকে হাটতে হাটতে কমলাপুর চলে গেলাম । দুপুর বেলা । কমলাপুর রেল ষ্টেশন ক্যামন ফাকা ফাকা লাগছে । কোথাও ভিড় বাট্রা নেই । এমন ফাকা তো থাকার কথা না । কথায় আছে না , "ঘরে পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় । " আমার ভেতরটাও তাই ক্যামন ক্যামন করতে লাগলো। টিকিট কাটতে হলে নাকি , আগের দিন রাতে এসে লাইনে দাড়াতে হয় । এই মধ্য দুপুরে এসে আমি যে টিকিট পাবো না এটা ভেবে বের করতে আইনস্টাইন হতে হয় না । মাথায় সামান্য ঘিলু থাকলেই বোঝা যায় । কয়েক দিন আগেও দেখেছি , টিকিট কাটা নিয়ে বিস্তর দাঙ্গা ফ্যাসাদ হচ্ছে । সেখানে এই নিরবতা মানে হচ্ছে, ভয়বহ কিছুর আলামত ।

টিকিট কাউন্টারের কাছাকাছি এসে দেখি গুটি কয়েক নারী,পুরুষ লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কাটছে । সবাই হাতে এ ফোর সাইজের সাদা কাগজে । টিকিট কাটার সময় কাগজটা কাউন্টারের ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে । তারপর টাকা দিয়ে টিকিট হাতে পেয়ে লজ্জাতুর হাসি মুখে কাউন্টার ত্যাগ করছে । ঘটনা কি বুঝার আগেই কাউন্টারের সামনে চলে গেলাম । এমনটা স্বপ্নেও হয় না ।
কাউন্টারের ভেতরে বসে থাকা ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন , কোথায় যাবেন ?
আমি বললাম, চিটাগাং । কবে যাবেন ? আমি বললাম, কাল রাতে , লোকটা একক কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো, সন্ধ্যা ৭ টাকা,রাত্রি ৯ টা ও ১০।৪৫ কোনটা দিবো ?
আমি ভাবনায় পরে গেলাম কোনটা নিবো ? অবশেষে বললাম, ১০।৪৫ দিন ।
লোকটা আবার বলল, এসি 788 টাকা, স্নিগ্ধা 656 টাকা, এসি বার্থ 1179 টাকা। কোনটা দিবো ?
আমি যেন ভাবনায় পরে গেলাম, কোনটা নিবো বুঝতে পারছি না । এর আগে একবার ট্রেনের টিকিট কাটতে এসে ভোর বেলায় লাইনে দাড়িয়ে নন এসি টিকিট নিয়ে ফিরে গিয়েছিলাম , এখন তো দেখি ভিন্ন অবস্থা ।
আমি বললাম, "এসি বার্থ" দুটো । যাবার কথা একা কিন্তু টিকিটের এই সহজ প্রাপ্তি আমাকে অস্থির করে তুলল , অতি উত্তেজনা নীরা'র জন্যও একটা টিকিট কেটে ফেলতে ইচ্ছে করলো ।

ভদ্রলোক কিছুক্ষণ কম্পিউটারের বোতাম টিপাটিপি করে আমার দিকে ঝুঁকে এসে বললেন, "দিন,আপনাদের এনআইডির ফটোকপি দিন । " আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম , থতোমতো খেয়ে বললাম , ভাই এনআইডি তো সাথে নেই ।
তাহলে টিকিট দেওয়া যাবে না ।
আমি বললাম , মোবাইলে আছে, দেখেন ।
সম্ভব না ভাই , আপনি প্রিন্ট করে নিয়ে আসেন । আমার পেছনে লাইনে দাড়িয়ে থাকা একজন বলল, রাস্তার ওপাশের দোকান থেকে প্রিন্ট করা যায় নিয়ে আসুন । কাউন্টারের লোকটা বলল, নিয়ে আসুন চিন্তার কিছু নেই । মিনিট বিশেকের মধ্যে । দুটো টিকেট কেটে মনের আনন্দে বাসায় ফিরে এলাম । টিকিট কাউন্টার ত্যাগ করার আগে একজন বলল, এনআডির ফটোকপি সাথে রাখবেন । ট্রেনে চেক করা হবে । না দেখাতে পারলে জরিমানা করবে । ধন্যবাদ রেল কর্তৃপক্ষ । ধন্যবাদ নতুন নিয়ম ।

দু:খের বিষয় যাত্রীদের টিকিট প্রাপ্তির এই সহজ সিস্টেমটি পছন্দ করতে পারছে না একটা শ্রেণি । তারা এর বিরুদ্ধে জাতিয় দৈনিকগুলোতে লিখে যাচ্ছে । এর ফলে নাকি টিকিট বেচা কমে যাচ্ছে । এতে রেল ও সরকার নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । ভাবুন একবার যেখানে এতো বছরের দুনীতি,অনিয়ম,কালোবাজারির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে সেখানে ওই শ্রেণীটা এর বিরুদ্ধে পরে লেগে সেই কালোবাজারিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে ।

দুই

মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণে আসছে নতুন নীতিমালা । "পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩’ এর খসড়া তৈরি করেছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না। ঈদ ও উৎসবের সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। "

জনগনের নিরাপত্তার জন্য নতুন নিয়ম করা হচ্ছে ভালো কথা । কিন্তু কথা হচ্ছে, একটি বাইকের গতি কত ? ১০০ সিসির নিচে কোন বাইক বাংলাদেশে চলে না । অবৈধ ভাবে চলাচলরত মোটর লাগানো একটি রিকশা কত গতিতে চলে ? সে খবর সচিব সাহেবের জানার কথা নয় । কারণ তিনি চলেন সরকারী গাড়িতে । ওনার সময়ের মূল্য অনেক তাই ওনার গাড়ির জন্য গতির প্রয়োজন । জনগন আস্তে আস্তে চললেও চলবে ।

বাইক যাত্রী পরিবহনের জন্য নয় । কিন্তু উবার, পাঠাও নামে বাইকে দেদারসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে । সারা বাংলাদেশ থেকে বাইক এসে জড়ো হয়েছে ঢাকার রাস্তায় । একদিকে বড় লোকদের গাড়ির চাপ অন্যদিকে দুই চাকার রিকসা অর্থাৎ বাইকের চাপ । মাঝখানে চেপটা জনগণ । মোটরসাইকেলে নিকট আত্মীয়,যেমন বাবা,মা,স্ত্রী,সন্তান ছাড়া সকল প্রকার যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে । এক জেলায় রেজিস্টেশন করা বাইক অন্য জেলায় চলতে পারবে না ।

দেশের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার জন্য চাই, "যথাযথ পরিকল্পনা ও আইনের প্রয়োগ । " বাইকের গতির নিয়ন্ত্রণ বা বেঁধে না দিয়ে উচিত বাইক নিয়ন্ত্রণ করা । প্রশাসন কঠোর হলে জনগণ আইন মানতে বাধ্য । এক জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা বাইকে অন্য জেলায় চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত । রেজিস্ট্রেশন দেওয়া ক্ষেত্রে স্থায়ী বসবাসের প্রমাণপত্র চাওয়া যেতে পারে । শুধু তাই নয় , রাস্তা যানজট কমাতে, রাস্তাগুলোকে ভিআইপি ফ্রি করতে হবে । অফিস টাইমে , নো ভিআইপি । নো রিকশা, বাইকে নো যাত্রী পরিবহণ । তাহলেই ঢাকা শহরের জান জট অনেকটা কমে আসবে ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: যাক ট্রেনের টিকিট পেয়েছেন। আগে ভোটার আইডি লাগতো না। এখন লাগে। লাগুক।
বাইক ওলারা মুলত বেয়াদপ। তাঁরা কোনো নিয়ম মানতে চায় না। ফাক পেলেই ঢুকিয়ে দেয়। তারপর আন্ধা গিট্টু লেগে যায়।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বাইকে, নিকট আত্মীয়,যেমন বাবা,মা,স্ত্রী,সন্তান ছাড়া সকল প্রকার যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে । এক জেলায় রেজিস্টেশন করা বাইক অন্য জেলায় চলতে পারবে না । এমনটা করলেই ঢাকা শহরে জ্যাম কমে আসবে বলে আমি মনে করি ।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: শুধু ট্রেন না বাসেও এন আই ডি নেয়া উচিৎ। এবং সবাই কে যাত্রা কালীন সময়ে এন আই ডি বহন করা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: একটা শ্রেণী এর বিরোধিতা করছে । এ জন্য তারা ব্যবহার করছে, প্রথম শ্রেণীর দৈনিকগুলোকে । অথচ এই ব্যবস্থায় সহজেই সবাই টিকিট কিনতে পারছে । এতোদিনে বোঝা যাচ্ছে , কারা টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত ও মদদদাতা ।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: রেলের এই সিস্টেমটা ভাল করেছে । যদি এমনটা টিকে থাকে তাহলে তাহলে সবার জন্য ভাল । যে কয়জন এই বিরোধীতা করছে সেগুলো সব কালোবাজারী করে অভ্যাস ।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: টিকবে বলে মনে হয় না । এই দেশে ভাল কিছু টিকে না । দুর্নীতিবাজের এখন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী । তা না হলে, শেষ.আলু এর বিরোধিতা করে রিপোর্ট করতো না ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: রেলের টিকিটের নতুন সিষ্টেমকে স্বাগত জানাই। এটা ভালো ভাবে ফলো করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে আশাকরি।

বাইকের গতি ৩০ কি.মি. দেখে চমকে উঠেছিলাম। পত্রিকার পাতা স্ক্রোল করে উপরে দ্বিতীয়বার দেখে নিয়েছিলাম যে মোটর সাইকেল লিখেছে নাকি শুধু সাইকেল লিখেছে!

ঈদের আগে রাস্তায় বাইক না উঠতে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ভালো ভাবে দেখছি। বাইক চালিয়েছি বহুদিন, হাইওয়েতে বাইক খুবই বিপদজনক। আমাদের রাস্তাঘাট খুব সরু; বাস-ট্রাক প্রায় গায়ের উপরে উঠে যায়।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মহাসড়কে অবশ্যই বাইক বন্ধ করা উচিত । তবে এতো কিছুর পেছনে ৫০০ সিসির আইক আমদানি করার জন্য কিনা বুঝতে পারছি না ।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: প্রযুক্তির এই যুগে রেলের এই চমৎকার উদ্যেগকে স্বাগত জানাই। টিকেট নিয়ে হয়রানী/কালোবাজারী চিরতরে বন্ধ হোক। অনলাইনে টিকেট কাটা সহজ করা হোক।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যখন নিয়ম করা হয় নিয়ম ভাঙ্গার জন্য তখন কিছু কিছু নিয়ম নিময় কর্তাদের আড়ালে জনবান্ধব হয়ে গেলেও তা টিকে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.