![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়ি, জানি এবং অন্যকে জানানোর চেষ্টা করি।
মক্কা শহরের ৯ মাইল দক্ষিণে হুদায়বিয়া নামক প্রান্তরে কুরাইশ ও মুসলমানদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ইতিহাসে হুদাইবিয়া সন্ধি নামে খ্যাত। যাকে পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিদানও বলা হয়। এ সন্ধির ফলে সাময়িকভাবে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। ফলে মুসলমানরা নিজেদেরকে শক্তিশালি ও ইসলামকে সুদূর প্রসারি করার সুযোগ পায়।
হুদায়বিয়া প্রান্তরে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে যেসব শর্তে চুক্তি সম্পাদিত হয়, তা হলো:-
১. ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানগণ হজ্ব সম্পাদন না করেই মদিনায় প্রত্যাবর্তন করবেন।
২. মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে আগামি ১০ বছর যে কোন প্রকার যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ থাকবে।
৩. মুসলমানগণ পরের বছর (৬২৯ সালে) হজ্ব পালন করতে আসতে পারবে।
৪. যদি মুসলমানগণ ইচ্ছা করেন তাহলে তিনদিনের জন্য পরের বছর মক্কায় হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে আগমন করতে পারবেন। মুসলমানদের অবস্থানকালে কুরাইশগণ মক্কা ত্যাগ করে অত্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করবেন।
৫. মক্কায় আগমন কালে মুসলমানগণ শুধু আত্মরক্ষার জন্য কোষবদ্ধ তরবারি ছাড়া অন্য কোন মরণাস্ত্র সাথে আনতে পারবেন না।
৬. আরবের যে কোন গোত্রের লোকের সাথে কুরাইশও মুসলমানদের সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ থেকে কোন বাঁধা নিষেধ থাকবে না।
৭. চুক্তির মেয়াদকালে জনসাধারণের পূর্ণ নিরাপত্তা রক্ষিত হবে এবং একে অপরের ক্ষতি সাধন করবে না। কোন প্রকার লুণ্ঠন অথবা আক্রমণ চলবে না।
৮. কোন মক্কাবাসী মদিনায় আশ্রয় গ্রহণ করলে মদিনার মুসলমানগণ তাকে আশ্রয় দিতে পারবে না। অন্যদিকে কোন মুসলিম মদিনা থেকে মক্কায় আগমন করলে মক্কাবাসী তাকে প্রত্যার্পণ করতে বাধ্য থাকবে না।
৯. হজ্বের সময় মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। মক্কা ও মদিনার মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা থাকবে।
১০. মক্কা কোন নাবালক তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া মুসলমানদের দলে যোগদান করতে পারবে না।
১১. সন্ধির শর্তাবলি উভয় পক্ষকে পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে।
হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তাবলি ছিল ইসলামের ইতিহাসে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে অন্যতম দিকদর্শন।
©somewhere in net ltd.