নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হেমায়েতজগতে স্বাগতম

আমি একটা জটিল বিষয়

ব্ল্যাক স্পাইডার

আমি একটা জটিল বিষয়

ব্ল্যাক স্পাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

থাবা বাবা শহীদ হলে,আমারা সবাই গাজী

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১



ব্লগার রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা,আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন।তা নিয়ে ব্লগ,ফেইসবুকসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।আমি মনে করি,একজন লোক যত বড় নাস্তিকই হোক না কেনো,তার এমন পরিণতি কাম্য না।তবে অবাক হলাম,আরেকটা বিষয় দেখে।ব্লগার থাবা বাবার জানাজা দেয়ার চিন্তা ভাবনা করতেছেন, তার শুভানুধ্যায়ী ও আত্মীয় স্বজনরা।সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত,ভেবে দেখার বিষয় বৈকি।



রাজীব হায়দারের সারা জীবনের লড়াই ছিল ধর্মের বিরুদ্ধে,যদিও তার ভাষায় ধর্মীয় ভন্ডামীর বিরুদ্ধে।কিন্তু কয়েকটা ঘন্টার ব্যবধানে,কেনো তাকেই এইসব ভন্ডামী আর লোক দেখনো নিয়ম কানুন মেনে নিতে হবে??উনি মারা গেছেন বলে??এটা যেমন তার জন্য অবমাননাকর,তেমনি যারা এই জানাজা পড়বেন,তারাও একটা হারাম কাজ করবেন।কারণ মুরতাদের জানাজা পড়া শরীয়তে নিষিদ্ধ।কিন্তু জানাজা নাকি দিতেই হবে,এমনই তার স্বজনদের ইচ্ছা।তারা নিজেদের মনের শান্তির জন্য এই কাজ করতেই পারেন।কিন্তু যদি ভেবে থাকেন,জানাজা দিলেই খেল খতম,তাহলে তাদের জন্য লালনের এই গানটা বরাদ্দ,



"তুমি দিন থাকিতে,দ্বীনের সাধন,কেনো করলে না???

সময় গেলে সাধন হবেনা,সময় গেলে সাধন হবেনা।"



অনেকে বলতেছেন,থাবা বাবা নাকি শহীদ হইছেন।যারা এইসব কথা বলেন,তাদের জ্ঞানের পরিধি নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে।উনাদের হয়তো জানা নাই,শহীদ হচ্ছে ইসলাম ধর্মে,মৃতদের জন্য দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান।আর থাবা বাবার যেখানে ধর্মেরই ঠিক ছিলনা,সেখানে কিসের শহীদ??আর কিসের কি??যদি কোনো একভাবে মরলেই শহীদ হয়ে যায়,তাহলে যারা বেঁচে আছে তারা সবাই কি গাজী নাকি??এদের থিউরী অনুসারে তো তাই মনে হচ্ছে।



থাবা বাবাকে নিয়ে আর কি বলব্ব??থাবা উনার জন্য এটা কথাই বলার আছে।

"হ্যাভ অ্যা নাইস জার্ণি টু হেল,বাট বেস্ট অফ লাক।"

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

নির্ণয় বলেছেন: আল্লহার পথে মরা ছাড়াও

প্লেগে মারা গেলে শহীদ,
ডুবে মারা গেলে শহীদ,
পেটের অসুখে মারা গেলে শহীদ।

এই যেখানে ইসলামিক শহীদদের শাহাদাতপনার নমুনা সেখানে "শহীদ হচ্ছে ইসলাম ধর্মে,মৃতদের জন্য দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান" বলে বাগাড়ম্বর না করাই ভাল।

সাধারণভাবে বাংলায় কোন প্রত্যাশিত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নিয়োজিত থাকা অবস্থায় মারা গেলে তাকে শহীদ সম্বোধন করা হয়, এর সাথে ইসলাম ধর্মের কিছু যায় আসেনা।

শহীদদের সাথে যদি বিশ্বাসী মুসলিম হওয়ার সম্পর্ক বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে তাহলে এর ইংরেজি martyrdom তো অবধারিতভাবে খৃষ্টান ধর্মের পথে চলা মৃত মানুষের জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

ব্ল্যাক স্পাইডার বলেছেন: যেকোনো দুর্ঘটনায় মারা গেলেই শহীদের মর্যাদা পাওয়া যায়।ইসালাম যখন প্রসার লাভ করে,তখন দুর্ঘটনা বলতে এই কয়েকটাই ছিল।তবে আপনি যে তিনটা কারণ বলছেন,তার বাইরেও আগুনে পুড়ে মরলেও শহীদের মর্যাদা পাওয়া যায়।আপনি হয়তো বলবেন,দুর্ঘটনায় মরলেই যদি শহীদ হয়,তাহলে শুধু এই কয়েকটা দুর্ঘটনাই কেনো??অন্য দুর্ঘটনাগুলো কি দোষ করলো??আপনার এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে সেই যুগে দুর্ঘটনা বলতে এই কয়েকটাই ছিল প্রধাণ।সড়ক দুর্ঘটনাসহ অন্য দুর্ঘটনাগুলো তখন ঘটত না বললেই চলে।এছাড়াও দেশের জন্য প্রাণ দিলেও,শহীদের মর্যাদা পাওয়া যাবে।
আপনার কমেন্টের প্রথম অংশের উত্তর হচ্ছে এতোটুকু।

আর সাধারণভাবে বাংলায় প্রত্যাশিত কোনো উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নিয়োজিত থাকা অবস্থায় কেউ মারা গেলে তাকে শহীদ বলা হয়।কিন্তু সেই উদ্দেশ্য মহৎ হওয়াটা জরুরী বৈকি।তা না হলে তো সমস্ত মৃত ব্যক্তিই শহীদের মর্যাদা পাবে।কারণ সবাই তো কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই চলে।উদ্দেশ্য ছাড়া মানুষ কয়জন??

এখন আসি,থাবা বাবা কেনো শহীদ না সেই আলোচনায়।থাবা বাবা যে বিষয়টা নিয়ে লেখালেখি করতেন ,সেটা খুব সেনসেটিভ একটা বিষয়।৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে,উনি নাস্তিকতার আবরণে পক্ষান্তরে ইসলাম বিরোধিতা করে গেছেন।আমার কথা হচ্ছে,একজন মানুষের নিজস্ব চিন্তাধারা থা্কতেই পারে।কিন্তু তার সেই চিন্তাধারা যাতে অন্য কারো চেতনায় আঘাত না করে,সেটা দেখার দায়িত্বও তার নিজের উপরই বর্তায়।থাবা বাবা যে উদ্দেশ্য নিয়ে লিখতেন,সেটা কোনো মহৎ উদ্দেশ্য ছিলনা।উপরন্তু মানুষের আবেগকে আঘাত করে,উনি অনেকের অপ্রিয়পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।তাই তাকে কোনোভাবেই শহীদের মর্যাদা দেয়া যায়না।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

নির্ণয় বলেছেন: প্রথমত, রাজীবকে শহীদ বলা না বলা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি তাকে শহীদের তকমা দেয়া নিয়ে ব্যাকুল নই। আমার পয়েন্টটা ইসলামিস্টদের রাজীব বিরোধী আক্রোশের বিরুদ্ধ্ব। ইসলামিস্টরা নিজেরাই বোঝেনা যে শহীদ গাজী নিয়ে তাদের বাগাড়ম্বর কতটা অন্তঃসারশূণ্য।

আপনার ধারণা - “"শহীদ হচ্ছে ইসলাম ধর্মে,মৃতদের জন্য দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান" - যে আসলে ঠিক নয় সেটা দেখিয়ে দেবার জন্যই প্লেগে মরা, ডুবে মরা, পেটের অসুখে মরাদের শহীদ হওয়ার হাদিস প্রসঙ্গ এলো। কেন আরো বেশি দুর্ঘটনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো না তা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই।

আপনি বলেছেন, “সেই উদ্দেশ্য মহৎ হওয়াটা জরুরী বৈকি।তা না হলে তো সমস্ত মৃত ব্যক্তিই শহীদের মর্যাদা পাবে।কারণ সবাই তো কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই চলে।উদ্দেশ্য ছাড়া মানুষ কয়জন??” । এবার আপনিই বলুন যারা প্লেগে, ডুবে, পেটের অসুখে মরে তাদের মহৎ উদ্দেশ্য কী? আছে ? নেই। তারা দুর্ঘটনায় মৃত।
রাজীবের উদ্দেশ্য মহৎ কী না। হ্যাঁ মহৎ, তার সহকর্মীদের মতে। কারণ তিনি মানবতাবিরোধীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য আন্দোলন করছিলেন। বাংলায় শহীদ তকমার যে ধারারা ব্যবহার বর্তমান তাতে তাকে শহীদ বললে বলতে পারে কেউ। সেখানে ইসলামের কোন বিষয় নেই, বড়জোর আরবির উপস্থিতি আছে।

বাংলাদেশে শহীদ শব্দের ব্যবহার –
বিএনপি- শহীদ জিয়া, আওয়ামীলীগ- শহীদ ময়েজউদ্দীন, জাসদ- শহীদ রনজিত সিংহ, কমিউনিস্ট- শহীদ সিরাজ শিকদার... ... ... এরকম অজস্র উদাহরন আছে শহীদ তকমা ব্যবহারের।


আর থাকলো রাজীবের ধর্মের প্রতি অনাস্থার প্রসঙ্গ –
“৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে,উনি নাস্তিকতার আবরণে পক্ষান্তরে ইসলাম বিরোধিতা করে গেছেন।“

- ৯০ ভাগ মুসলমান হলেই দেশে আর ভিন্ন চিন্তা কেউ করতে পারবেনা এই টা যদি মেনে নিতে হয় তাহলে প্রশ্ন থাকে ১০০ ভাগ (প্রায়) কাফের মক্কায় নবী একা কী করে একেশ্বরবাদ প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করলেন। নবী কী মক্কার মেজরিটির মূর্তিপূজার বিরোধিতা করেননি? তিনি যা সত্য বলে মনে করেন তার জন্য কী তিনি প্রচেষ্টা চালননি?
- মেজরিটি খৃষ্টান সমাজে থাকা মুসলমানরা কী খৃষ্টানদের মত মেনে নিতে বাধ্য যে যুশু মারা গিয়েছে?
- মেজরিটি হিন্দু সমাজে থাকলে কী মুসলমানরা মেনে নিতে বাধ্য যে গরু খাওয়া হারাম?



তার সেই চিন্তাধারা যাতে অন্য কারো চেতনায় আঘাত না করে,সেটা দেখার দায়িত্বও তার নিজের উপরই বর্তায়।

- মুসা নবীর একেশ্বরবাদী চেতনা তো মিশরে মূর্তিপূজারীদের চেতনায় আঘাত না করে বসে থাকেনি।
- হযরত মুহামদ (স) এর একেশ্বরবাদী চেতনা তো মক্কার মূর্তিপূজারীদের চেতনায় আঘাত না করে বসে থাকেনি।
- ইসলামিক সত্য “যিশু মারা যানননি, তাঁকে তুলে নেয়া হয়েছে” তো খৃষ্টানদের চেতনায় আঘাত না করে বসে থাকেনি।
- ইসলামিক সত্য “ইহুদিরা অভিশপ্ত” তো ইহিদিদের চেতনায় আঘাত না করে বসে থাকেনি।
- ইসলামিক সত্য “খৃষ্টানরা পথভ্রষ্ট” তো খৃষ্টানদের চেতনায় আঘাত না করে বসে থাকেনি।
- ব্রাক্ষ্মদের একেশ্বরবাদী সত্য তো মূর্তিপূজারীদের চেতনায় আঘাত না করে বসে থাকেনি।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

ব্ল্যাক স্পাইডার বলেছেন: সত্যি কথা বলতে ইসলামীক দৃষ্টিকোণ থেকে থাবা বাবাকে শহীদ বলার কোনো মানেই নাই।কারণ উনি মুসলমান ছিলেননা।যেহেতু উনি মুসলমানই ছিলেন না,তাই বিষয়টা ইসলামের মাপকাঠিতে মাপা অযৌক্তিক।এই বিষয়টা দেখতে হবে সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে।যে দৃষ্টিকোণে ধর্মের বাইরেও অন্য বিষয়গুলো নজর রাখা হয়।

সেই হিসেবেও কেনো তাকে শহীদ বলা যাবেনা,তাই এখন আলোচনা করব।আপনি বলেছেন,তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য আন্দোলন করেছেন।নিঃসন্দেহে এটি একটি মহৎ কাজ।কিন্তু এর জন্যই যে উনাকে মারা হয়েছে,তার কি কোনো প্রমাণ আছে???এমনও তো হতে পারে,তার ধর্মবিরোধী লেখাগুলোর জন্যই তাকে খুন করা হয়েছে,এমনও তো হতে পারে যে,লেখালেখি বা আন্দোলন না,সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো কারণে তাকে খুন করা হয়েছে।কেউ কি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবে কেনো তাকে খুন করা হয়েছে??কারাই বা করেছে??যদি কখনো প্রমাণিত হয় যে,শাহবাগ আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে,তাহলে তাকে সাধারণ দৃষ্টিকোণথেকে শহীদ বলা যায়।তার আগে না।

আর আপনি আরো কিছু উদাহরণ দিলেন।হযরত মূসা(আঃ) একেশ্বরবাদী চেতনা,হযরত মুহম্মদ(সাঃ) এর ইসলাম প্রচার,ব্রাক্ষণদের একেশ্বরবাদী চেতনা নিয়ে কথা বলেছেন।উনারা ঠিকই তাদের নিজস্ব মতবাদ প্রচার করেছেন।কিন্তু কাউকে গালাগালি করে,কিছু করেছেন,তা কেউ বলতে পারবেনা।উনারা নিজেদের বিশ্বাসের কথা বলেছেন,মানুষ মুগ্ধ হয়ে তাদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ছেন।কিন্তু থাবা বাবা কি করছেন,তা নিষচয় জানেন??উনার লেখালেখির মূল উদ্দেশ্যই ছিল ধর্মকে হেয়ো করা।তাও সব অশ্লীল ভাষার মাধ্যমে।নিচের লিঙ্কগুলোতে ঢুকে দেখেন।

পোস্টলিঙ্কঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/godbrother/29518974
থাবা_বাবা বলেছেন: খাড়ান, কাইল খেইক্যাই নমাজগাহের টালি হাডায় হালামু... সব বুদ্দি আমার ছাই!!!

আমার প্রশ্নঃমানুষ নামাজ পড়লে উনার গোপন কেশগুচ্ছে চুলকানি উঠার কারণ কি??উনি উনার বিশ্বাস নিয়েই থাক্তেন।মানুষ কি করবে না করবে সেটাও কি উনি ঠিক করবেন??আপনি আমকে দেখান কোথায়,কোনো এ্কেশ্বরবাদী বলেছেন,দুনিয়ার সব মূর্তি ভাইঙ্গা ফালা।

পোস্টলিঙ্কঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/ashim1982/29690632
থাবা_বাবা বলেছেন: ধর্মের কোন দরকার এই পৃথিবীতে নেই!

আমার প্রশ্নঃধর্মের দরকার আছে কিনা,সেটা কি থাবা বাবা ঠিক করবেন।আপনি হয়তো বলবেন,উনি উনার মত প্রকাশ করেছেন।আপনি আমাকে দেখান,কোথায় মহানবী (সাঃ) বলেছেন,খ্রিস্টান ইহুদীদের কোনো দরকার নাই পৃথিবীতে।

এছাড়া উনার নূরাণী চাপাসমূহ নামক কিম্ভুতকিমাকার বস্তুখানা তো ইতিমধ্যেই সুপার হিট।হযরত মুহম্মদ (সাঃ),হয্রত মুসা(আঃ) ও হিন্দু ধর্মের একেশ্বরবাদীদের মাঝে আপনি এমন একজনের নাম বলেন,যিনি কিনা তার বিরুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে এমন জিনিস লিখেছেন বা বলেছেন।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০

নির্ণয় বলেছেন: আমার ধারণা আমরা এই পোস্টে আলোচনাযোগ্য বিষয়গুলোকে মোটামুটি ছকে নিয়ে আসতে পেরেছি। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ধারণা করি এই মন্তব্যটাই এই পোস্টের আমার শেষ মন্তব্য হতে যাচ্ছে।

সে যে কারণেই মারা যাক না কেন ধর্মের কারণেই হোক আর শাহবাগের আন্দোলনের কারণেই হোক বা দুটির সমন্বিত কারণেই হোক (ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ধর্মাশ্রয়ী অপরাধের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো), এর যেকোনটাকে মহৎ হিসেবে দেখা সহকর্মীরা তাকে শহীদ তকমা দিতেই পারে। আগেই উল্লেখ করেছিঃ বিএনপি- শহীদ জিয়া, আওয়ামীলীগ- শহীদ ময়েজউদ্দীন, জাসদ- শহীদ রনজিত সিংহ, কমিউনিস্ট- শহীদ সিরাজ শিকদার... ... ... এরকম অজস্র উদাহরন আছে শহীদ তকমা ব্যবহারের।

তাছাড়া আগেই বলেছি যে মহৎ উদ্দেশ্যে মারা যাওয়ার সাথে শহীদ তকমার কোন বাধ্যগত সম্পর্ক নেই ধর্মে – প্লেগে মারা যাওয়া, ডুবে মারা যাওয়া, পেটের অসুখে মারা যাওয়া।

কিন্তু কাউকে গালাগালি করে,কিছু করেছেন,তা কেউ বলতে পারবেনা।

- আগেই বলেছি অভিশপ্ত, পথভ্রষ্ট শব্দের ব্যবহারের কথা, শব্দগুলো নিশ্চয় ভালবাসার ডাক নয়।


আপনি আমকে দেখান কোথায়,কোনো এ্কেশ্বরবাদী বলেছেন,দুনিয়ার সব মূর্তি ভাইঙ্গা ফালা।

- মুসা নবী মূর্তি ভেঙেছেন
- মহানবী মূর্তি ভেঙেছেন
- সালাফিরা মাজার ভেঙেছে

কোন শান্তির পায়রা শুধু বলেছে! তারা করেও দেখিয়েছে। প্রসঙ্গত, হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙেছে।


আপনি আমাকে দেখান,কোথায় মহানবী (সাঃ) বলেছেন,খ্রিস্টান ইহুদীদের কোনো দরকার নাই পৃথিবীতে।

- খৃষ্ট ধর্ম ও ইহুদি ধর্মের কোন প্রয়োজন নেই পৃথিবীতে কারণ লেটেস্ট ও ফাইনাল ভার্সন ইসলাম এসে গিয়েছে – এ ঘোষণা কী আজও আপনি জানেননা!

আগের বক্তব্য দিয়েই শেষ করছি - রাজীবকে শহীদ বলা না বলা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি তাকে শহীদের তকমা দেয়া নিয়ে ব্যাকুল নই। আমার পয়েন্টটা ইসলামিস্টদের রাজীব বিরোধী আক্রোশের বিরুদ্ধ্ব। ইসলামিস্টরা নিজেরাই বোঝেনা যে শহীদ গাজী নিয়ে তাদের বাগাড়ম্বর কতটা অন্তঃসারশূণ্য।

আবার দেখা হবে অন্যকোন পোস্টে।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

ব্ল্যাক স্পাইডার বলেছেন: কাউকে কোনো উপাধি দিতে হলে,সেই উপাধির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভেবে দেখা উচিত বলে মনে করি।গত কয়েকদিনে ব্লগ,ফেইসবুকে থাবা বাবার পক্ষে যা কথা বলার তার সহকর্মীরাই বলছেন।কিন্তু তার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণ কেমন??একটু ঢুকে দেখেন তো ফেইসবুকে।তার সম্পর্কে মানুষের সর্বোচ্চ সমবেদনা,"একজন মানুষ যতই খারাপ হোক না কেন,এমন মৃত্যু কাম্য না।"তার সহকর্মীদের কাছে যদি মনে হয় তিনি শহীদ হয়েছেন,তাহলে তারা নিজেদের মনে ধারণ করতে পারতেন।ঢোল পিটিয়ে প্রচার করছেন কেনো??যেখানে সাধারণ মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে।

অভিশপ্ত,পথভ্রষ্ট এই শব্দগুলো ভালোবাসার ডাক নয়।তা আমিও জানি।উনারা উনাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আর যাই হোক মিথ্যার আশ্রয় নেন নাই।কিন্তু থাবা বাবা??উনি কি করেছেন তা,এই লিঙ্কে গেলেই দেখা যাবে।

Click This Link

কিছুই পেলেন না তো??কিছুই পাবেন না।কারণ সবকিছুই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।আর এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয়,উনিই জিনিসগুলা লিখেছিলেন।উনার প্রাণপ্রিয় সহকর্মীরাই সেসব সরানোর ব্যবস্থা করেছেন।কেন??উনাকে শহীদ বানানোর জন্য।

খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের কোনো দরকার নাই,কারণ এর লেটেস্ট ও ফাইনাল ভার্সন ইসলাম এসে গেছে।এটা কোরান শরীফেরই ঘোষনা।এমনকি হযরত মুহম্মদ(সাঃ) সারাজীবন চেষ্টা করে গেছেন ইসলামের পথে আনার জন্য।কিন্তু কোথাও কাউকে ইসলাম গ্রহণের জন্য জোড় করা হয়েছে বা কোনো জাতির উপর অন্যায়ভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে,তা দেখাতে পারবেন??


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.