নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন, নিজেকে বদলাই সবার আগে

দেশপ্রেম মানে চিন্তা, কথায়, কাজে দেশের ক্ষতি না করা

শামীম আনসারী

একজন ভাল মানুষ হওয়া আমার সবসময়ের লক্ষ্য। আমার ভাল লাগে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে, লিখতে, বই পড়তে, ভ্রমণ করতে। ভাল লাগে প্রকৃতি, নিরবতা, জোসনা , নদী। ঘৃণা করি দূর্ণীতিবাজ, প্রতারক, মোনাফেককে। গঠনমূলক সমালোচনা পছন্দ করি।

শামীম আনসারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুদ্রতাপে ফুটছে চা

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

টানা খরা ও দাবদাহে পুড়ছে পঞ্চগড়ের চা-বাগানগুলো । বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র দাবদাহে চায়ের কুঁড়ি লালচে হয়ে উঠেছে। চায়ের পাতা ঝলসে গেছে। ছেঁটে দেওয়া চা-গাছের ডাল ও চারা গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল পঞ্চগড়ে চায়ের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চা-পাতার অভাবে কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।



চা বোর্ড সূত্র জানায়, গত চার মাসে জেলায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। টানা খরা ও তীব্র দাবদাহে জমির আর্দ্রতা হ্রাস পেয়ে মাটি পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে নতুন রোপিত চারা যেমন মরছে, তেমনি পরিণত চা-গাছের পাতাও ঝলসে যাচ্ছে। অনাবৃষ্টিজনিত শুষ্কতা চা-গাছের নতুন কুঁড়ি ফোটা বন্ধ করে দেয়। এ জন্য সাধারণত ৩১ ডিসেম্বর চা মৌসুম শেষ হয়ে যায়। আর এ সময় চা-গাছের ডাল ছেঁটে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য মার্চে শুরু হয় চায়ের কাঁচা পাতা আহরণ। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। কিন্তু এপ্রিলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বাগানে শত শত চা-গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক চারা মরেও যাচ্ছে।



অতিরিক্ত আমদানিতে পড়ে গেছে চায়ের দাম একসময় চা রপ্তানিকারক হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে চা আমদানি করছে। উৎপাদনের প্রায় দ্বিগুণ হারে চাহিদা বাড়তে থাকায় প্রতিবছরই চা আমদানির পরিমাণও বাড়ছে।



দেশে মোট চা-বাগান আছে ১৬৫টি। আর মৌলভীবাজারেই আছে ৯২টি। জেলার একাধিক বাগান ব্যবস্থাপক প্রথম আলোকে জানান, এক কেজি চা পাতা উৎপাদনে খরচ পড়েছে ১৪০-১৫০ টাকা। বাগানের মানভেদে উৎপাদন ব্যয় কম-বেশিও হতে পারে। কিন্তু ভালো মানের এক কেজি চা পাতা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে, যা আগে ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি মানের চা পাতা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। তার পরও কেনার লোক নেই। চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, কীটনাশকসহ চা উৎপাদনের আনুষঙ্গিক উপকরণগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে বলে জানান তাঁরা। সে কারণে দেশীয় চা-শিল্পকে বাঁচাতে চা পাতা আমদানিতে কর বাড়ানোর দাবি করছেন তাঁরা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.