![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি
গবেষণা বলছে,বিজনেস স্কুলে পড়ে অনেক বেশি আত্মপ্রেমী হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তার ফলাফলই বা কী হচ্ছে?
ইউরোপ এবং আমেরিকার মনোবিদদের কাছে এখন নতুন সংকট,বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারসিসিজম বা আত্মপ্রেম। তবে ‘সংকট’ই বা বলা হবে কেন? সত্যি বলতে,এই নারসিসিজম ভালো না মন্দ,সেটা নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে মনোবিদদের মহলে। কিন্তু এটা পরিষ্কার, অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিজনেস স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মপ্রেম অনেক বেশি।
প্রশ্ন দুটো : কেন? এবং এতে ভালো হচ্ছে,নাকি মন্দ?
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে,মেটিরিয়্যালিজম এবং নারসিসিজমের মধ্যে সম্পর্ক বেশ গভীরের। ইংরাজি অনার্স পড়া এক ছাত্রর তুলনায় বিজনেস স্কুলে যাওয়া এক ছাত্রকে বাস্তবের অনেক কাছাকাছি থাকতে হয় স্বাভাবিক নিয়মেই। প্রতি মুহূর্তের প্রতিযোগিতা এবং এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে একজন আর একজনকে সেই প্রতিযোগিতায় হারাতে যদি অসত্য রাস্তা নেয় , তাহলেও তাকে খুব দোষের বলে ধরা হয় না। এমতাবস্থায় একজন শিক্ষার্থীর একমাত্র বন্ধু সে নিজে। সেরকম পরিস্থিতিই তার জন্য তৈরি হতে বাধ্য। তাতেই বাড়ছে আত্মপ্রেমও।
তবে মনোবিদ শিনা মিশ্র ঘোষ কিন্তু ‘নারসিসিজম ’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করে এই মানসিকতাকে ব্যাখ্যা করে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। তাঁর মতে , ‘এগুলি সবই আত্মকেন্দ্রিকতা। বা তার চেয়ে একটু বেশি মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা। প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের আন্তরিক যোগাযোগ কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ’
দ্বিতীয় প্রশ্নটা অবশ্য একটু জটিল। নারসিসিসটিক নেতা যে তাঁর অধস্তনের আগে নিজের কথা ভাববেন , সেটাই স্বাভাবিক। এমনকী সংগঠনের আগেও তিনি নিজেকে স্থান দেবেন। সহজ অঙ্ক বলছে , এরকম নেতা মোটেই ভালো নেতা হতে পারেন না। কিন্তু বিজনেস স্কুলের ক্ষেত্রে গল্পটা অন্য , মনে করছেন অনেকেই। এই ধরনের স্কুলে আপনি কত ভালো ফল করলেন , । সেটা আপনার দলগত দক্ষতার ওপর নির্ভর করে না। করে ব্যক্তিগত ক্যারিশমার ওপর। তাই যে যত বেশি আত্মপ্রেমী , তাঁরা দিনের শেষে তত ভালো ফল করে আসতে পারেন।
হার্ভার্ডের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকোবি তাঁর ‘দ্য প্রোডাক্টিভ নারসিসিস্ট ’ বইতেও দেখিয়েছেন নারসিসিজমের ভালোর দিকগুলোই। ইউরোপ বা আমেরিকার বড় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা যত বেশি আত্মপ্রেমী , তাঁরা নিজেদের কাজে তত বেশি দিন টিকে থাকতে পারছেন। তাঁদের আত্মবিশ্বাস তত বেশি। আর মানুষ আত্মবিশ্বাসীদের কাছে থাকতেই ভালোবাসেন।
গবেষণায় এমনটাও দেখা গিয়েছে , আত্মপ্রেমীরা অনেক সহজে সাহায্য চাইতে পারেন এবং সাহায্য পাবেন , তেমনটা আশাও করেন। তাই তাঁদের সাফল্যের হার বেশি। যেহেতু নিজেকে প্রচুর ভালোবাসেন , তাই সব সময় নিজের মূল্যায়নও করেন কয়েক পর্দা চড়িয়ে। এই বৈশিষ্ট্যের অনেক খারাপ দিক থাকলেও , একটা বড় সুবিধা , এতে বেতন -বৃদ্ধির চাহিদা বাড়ে। তাতে কাজের হারও বেড়ে যায়। তাই আত্মপ্রেম যে উপকার করছে না , এমনটা বলাও যাবে না।
নারসিসিজম শব্দটি সমর্থন না করলেও এই ভালো দিকগুলোর উপস্থিতি মনোবিদ শিনা মিশ্র ঘোষও মেনে নিচ্ছেন। অনেক খারাপ দিক থাকলেও এই ধরনের ‘আত্মকেন্দ্রিকতা ’ থেকে কিছু ক্ষেত্রে উপকারও হতে পারে বলে , মনে করছেন তিনি। বিশেষত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্ট্য মানুষের কাজে লাগে বলেই , তাঁর মত।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ মামা
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
সিংহমামা বলেছেন: ভালা হইছে মামা।++++++++