![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি
অনেক সময়ই আলসেমি করে আমরা ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করে উঠতে পারি না। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করারও আলাদা মূল্য আছে। তাই শুধু ভালো কাজ নয়, সময়মতো ভালো কাজ করা প্রয়োজন।
যেন এক বিলম্বিত লয়
যে কোনও কাজে আত্মতৃপ্তি বা সেলফ স্যাটিসফেকশন আমাদের অনেকের কাছেই একটা বড় ব্যাপার। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেলফ মোটিভেটেড হয়েও অনেক সময়ই জীবনের কাজের ছন্দকে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে বিলম্বিত করে ফেলি। নিউ ইয়ার রেজেলিউশন নিই, ভাবি এই বছর আর আলসেমি করে ‘টাইম ওয়েস্ট’ করবো না, কিন্তু কে শোনে কার কথা। সেই আবার আজ করি কাল করি করে করে প্রায় একই অবস্থা। এই বিলম্বিত লয়ের হাত থেকে যে কীভাবে বেরবো, ভাবতে ভাবতেই তো বছরগুলো কেটে যাচ্ছে।
আমরা কি ইন্টারনাল টাইম ওয়েস্টার?
ভালো করে চিন্তা করে দেখলে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাই। অ্যাসাইনমেন্টটা কিন্তু আমার হাতে ঠিক সময়েই এসেছিল, একটা ডেডলাইনও পেয়েছিলাম, কেউ কোনো বাধাবিঘ্নও ঘটেনি, কিন্তু তবু আমি সময় মতো সিদ্ধান্তটা নিতে পারিনি। ফলে আবার ডেডলাইন ওভার আর আমি একরাশ হতাশা নিয়ে আবার ফেলিওর-এর মুখোমুখি। এই তো চলছে, কিন্তু তবু আমার মন একথা মানতে নারাজ। সে আমাকে দিয়ে ভাবাবেই যে দোষটা অন্য কারোরই। শুরু হয়ে যায় ‘স্কেপ গোটিং’ বা একে অন্য কে দোষারোপ করা। এই ধরনের তর্ক বিতর্ক থেকে শেষমেশ আসলে সেই নেগেটিভিটিই উঠে আসে আর তাতে পুনরায় স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন ছাড়া আর নতুন কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না।
দেরির কারণ
এটি ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন রকম হতে পারা। যেমন -
● হাতে পাওয়া অ্যাসাইনমেন্টটাই হয়তো আমার পছন্দের নয়
● আমার একার পক্ষে পুরো অ্যাসাইনমেন্টটা করে ওঠা সম্ভব নয়
● আমি হয়তো সত্যিই আমার সিনিয়র বা সাবঅর্ডিনেটদের থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না
● আমি মাত্রাতিরিক্ত ‘পারফেকশনিস্ট ’ বলে অ্যাসাইনমেন্টটাকে যথাসম্ভব ভালোভাবে তৈরি করার চেষ্টা করছি
● আমি নিজেই নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট কনফিডেন্ট ছিলাম না তাই একটু ইমপালসিভ হয়েই দায়িত্বটা নিয়ে ফেলে এখন পস্তাচ্ছি
● যে কোনও নতুন বা অজানা অচেনা কাজে হাত দিতে প্রাথমিক ভাবে একটা ভয় কাজ করা
● আমার মধ্যে অতিরিক্ত একটা দেখানেপনা থেকেই আমি এই কমপিটিশনের বাজারে শো অফ করেই চলেছি যে আমি অন্যদের চেয়ে কত বেশি পরিশ্রম করে থাকি৷ কিন্তু সমস্যা হল , বিভিন্ন ক্ষেত্রে কারণ বিভিন্ন হলেও নিট রেজাল্ট কিন্তু সেই একই আর তা হল ‘বিলম্বিত লয় ’…
বেরনোর রাস্তা
এক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি হল অন্যকে দোষারোপ না করে নিজেকে প্রশ্ন করা৷ যাকে আমরা বলি অন্তরদর্শন৷ খুঁজে বার করা যে ঠিক কোন কোন কারণগুলির জন্য আমার এই আলসেমিজনিত বিলম্ব৷ নিজের ভুল স্বীকার করাটাও একটা মহৎ গুণের মধ্যেই পড়ে৷ আর এটি অভ্যাস করে নিজেকে শোধরানোর সুযোগ দিতে পারলে আখেরে নিজেরই সেলফ এস্টিম বাড়বে৷
সালামি বা স্লিসিং টেকনিক
যে কোনও অ্যাসাইনমেন্টকে ছোট ছোট পর্ব বা এপিসোডে ভাগ করে নিয়ে প্রত্যেকটি ভাগের জন্য একটি নির্দিষ্ট টাইম অ্যালট করা৷ এতে অনেক কারেকশনের সময়ও যেমন পাওয়া যায় তেমন সময়ও পাওয়া যায়৷
ব্যালেন্সিং এসপেক্ট টেকনিক
অ্যাসাইনমেন্টের কাজ শুরু করার আগে তার একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করা যাতে বোঝা যায় যে , যে কাজটিতে হাত দিয়ে চলেছি তার নানা ‘পজেটিভ অ্যান্ড নেগেটিভ অ্যাসপেক্ট ’ গুলো কী কী হতে পারে৷ সেই লিস্ট অনুযায়ী এগোলে ভুলভ্রান্তি কম হয় আর ‘সাকসেস রেট ’ও বাড়ে৷
ইনসেনটিভ টেকনিক
কে কী ভাবে না ভেবে নিজেকেই নিজে রিওয়ার্ড দেওয়ার সিস্টেম চালু করা৷ এক্ষেত্রে মোটিভেশন ধরে রাখার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে নির্বাচন করা যে রিওয়ার্ড ‘এপিসোডিক ’ হবে না ‘এন্ড বেসড ’ হবে৷ আর ইনসেনটিভ বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও যার যা ভালো লাগে তাই সিলেক্ট করা যেতে পারে , সেক্ষেত্রে একটি চকোলেট খাওয়া থেকে শুরু করে আরও একটি নতুন একটি অ্যাসাইনমেন্টের রেসপনসিপিবিটি ঘাড়ে নেওয়াও হতে পারে৷ যে যা চায় জীবনে৷
গ্রুপ টেকনিক
বিশেষভাবে পারদর্শী বা সমমনস্ক মানুষদের মধ্যে কাজটা ভাগ করে নেওয়া। এ ক্ষেত্রে কাজের রেজাল্টের গুণগত তারতম্যের সাথে একটা অ্যাডজাস্টমেন্টের প্রশ্ন জড়িয়ে থাকে তাই সঠিক দক্ষ রিসোর্স খুঁজে বের করাটাও একটা এমার্জেন্সি ডিসিশন মেকিং হয়ে ধরে।
©somewhere in net ltd.