নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Allergy effected eyes

Shams

শামস্ বিশ্বাস

স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি

শামস্ বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম বছরের গাইডলাইন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯





চাকরির প্রথম বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে যা শিখবেন সেই ভিতটাই কিন্তু কাজে দেবে পরবর্তীকালে। তাই এই প্রথম বছরটা সজাগ থাকুন। ভালো কাজের পাশাপাশি হয়ে উঠুন ভালো সহকর্মী।



বছর সম্পূর্ণ করুন

প্রথম চাকরি কম পক্ষে এক বছর করুন। যত অসুবিধেই থাক এক বছরের আগে চাকরি ছাড়ার কথা ভাববেন না। কারণ প্রথম বছরেই অনেক কিছু শেখার থাকে। তাই এক বছরের আগে চাকরি ছাড়লে পরের বার যেখানে চাকরি করতে যাবেন সেই কোম্পানি ভাবতেই পারে আপনার শেখার ইচ্ছে কম বা আপনি মানিয়ে নিতে পারেন না।



সময়ানুবর্তীতা

সব কাজ সময়ে করুন। অফিসে পৌঁছনো থেকে শুরু করে প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেওয়া কোনও কাজ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর করবেন না। কাজ হয়ে গেলেই বেরিয়ে যাবেন না। অন্য সহকর্মীদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা জেনে নিন। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশিক্ষণ থাকলে আপনিই বেশি কাজ শিখতে পারবেন।



কাজ এবং তারপর ...

আপনার এগ্রিমেন্টে যা লেখা আছে সেই কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে যা লেখা নেই সেই কাজও করার চেষ্টা করুন। হয়তো সহকর্মীর জন্যে কফি আনা আপনার কাজ নয়, কিন্তু আনলে আপনাদের সম্পর্কটা ভালো হবে। কোনও সমস্যায় তাঁকে পাশে পাবেন। বা অন্য কারো কাজ করতে তাঁকে সাহায্য করলে আপনি তাঁর কাজটা করতেও শিখে যাবেন৷ এতে আখেরে লাভ হবে আপনারই।



নাম মনে রাখুন

অফিসে সবার নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। তারপর তাঁদের সম্বন্ধে অল্প কিছু ইনফরমেশন জেনে রাখুন। যেমন কে, কোথায় থাকেন, কোন ডিপার্টমেন্ট দেখেন, কার মেজাজ কেমন ---এই বিষয়ে কিছুটা জেনে রাখলে আপনারই সুবিধে হবে।



বেশি কাজ করুন

প্রথম একটা বছর একটু বেশি কাজ করুন। নিজের কাজ হয়ে যাওয়ার পরে সহকর্মীদের ব্যক্তিগত কোনও কাজেও সাহায্য করে দিন। বসের প্রয়োজনীয় প্রিন্ট আউট বের করে দিন, সহকর্মীর ছেলের জন্য স্কুলের অ্যাডমিশন ফর্ম ডাউনলোড করতে সাহায্য করুন, নেট ব্যাংকিং শিখিয়ে দিন। এতে হয়তো আপনার বাড়ি যেতে কিছুটা রাত হবে৷ কিন্তু এক বছর পর এই রাত জাগার ফল পাবেন।



খাবার ভাগ করে নিন

একসঙ্গে লাঞ্চ করুন। আপনার সুপারভাইজার বা সিনিয়র কোলিগদের এড়িয়ে যাবেন না। কারণ এটাই শ্রেষ্ঠ সময় পজিটিভ রিঅ্যাকশন তৈরি করার। বেশিরভাগ অর্গানাইজেশনে এই সময়ই অনেক কঠিন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাই অবশ্যই কোলিগদের সঙ্গে থাকুন।



নিজেকে উজাড় করে দিন

প্রথম এক বছর যে কাজই করবেন, নিজের শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। কিছুদিন সিনিয়ররা কীভাবে কাজ করছেন পর্যবেক্ষণ করুন। তারপর সেই অনুযায়ী নিজের কাজটা করুন৷ বুঝতে না পারলে বারবার প্রশ্ন করুন৷ ভুল কাজ করার থেকে জিজ্ঞেস করে কাজ করা অনেক ভালো।



অফিসকে স্কুলের থেকে আলাদা করুন

স্কুল আর অফিসে বিস্তর ফারাক। এখানে স্কুলের মতো বছরে দু’একবার পরীক্ষা হয় না। অফিসে কিন্তু রোজই পরীক্ষা। আপনার প্রতিদিনের পারফরমেন্সের ওপর কিন্তু বছর শেষের অ্যাপ্রেজাল নির্ভর করবে।



বসকে জানুন

মনে রাখবেন বস কিন্তু আপনার বন্ধু বা আত্মীয় নয়। তাঁর ব্যবহার যতই বন্ধুত্বপূর্ণ হোক না কেন মনে রাখবেন আপনার কাজটাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত কথা বলবে। তাই বসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে কিন্তু ক্ষতিই হবে।

প্রফেশনাল হয়ে উঠুন

প্রফেশনাল হয়ে উঠুন। শুধু কাজ নয়, পোশাক, ম্যানার্স, চলাফেরা, কথা বলা সবেতে প্রফেশনাল হয়ে উঠুন। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো টিমকেও এগিয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করুন।



কাদের এড়িয়ে চলবেন

● মিথ্যুক: মিথ্যুক সহকর্মীর থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন। কারণ কখন আপনার নামে মিথ্যে কথা বলবেন, বুঝতেও পারবেন না।

● শর্ট-কাট মাস্টার: এদের সঙ্গে থাকলে কাজটা শিখতেই পারবেন না। কারণ সব কাজই অর্ধেক করা অভ্যাস হয়ে যাবে।

● ফ্যামিলি পার্সন: এঁরা বাড়ি নিয়েই এরা বেশি চিন্তিত। তাই অফিসেও বেশিরভাগ সময়ই ফোনে বা চ্যাটে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেন। এঁদের কাছ থেকেও কাজ শেখার সম্ভাবনা কম।

● প্রবলেম চাইল্ড: সব কিছুতেই এদের সমস্যা। এমনকী বাড়ির সমস্যার জেরও এরা অফিসে বয়ে আনেন। এদের সঙ্গে প্রথম থেকে বন্ধুত্ব হলে আপনার কাজেও এঁদের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।

● আয়েশি : সব কাজ এরা ধীরে -সুস্থে করেন৷ কখন কাজটা শেষ করতে হবে সেই কথা মনে রাখতে পারেন না। ফলে এঁদের সঙ্গে থাকলে কখনোই সময়মতো কাজ শেষ করতে পারবেন না।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

তরুন বলেছেন: ধন্যবাদ- দরকারী পোষ্টটির জন্য।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.