![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি , কার্টুন আকিঁ আর বিশ্বাস করি আমার দেশের সব সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের সর্বচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে সারা দেশ উত্তাল। ক্লাস-ক্যাম্পাস ছেড়ে রাজপথে পড়ুয়ারা। একদিকে মন বলছে, সব ছেড়ে বিক্ষোভে সামিল হতে। আর সাবধানী মনটা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে সিলেবাসটা শেষ না করলে সেমিস্টারটাই মাটি! প্রতিবাদে গেলে কম করে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় হবে। ক্লাসের একগাদা পড়া। পছন্দের সাবজেক্ট এডমিশন নিতে গিয়ে দেরি হওয়ায় প্রথম দিকের ক্লাসগুলোতে থাকতে পারেনি। তারপরে পড়েছে উইন্টার ভ্যাকেশন। পড়াশোনা তেমন কিছুই হয়নি। মিডটার্ম ছুটে আসছে। ডিপার্টমেন্টে ঢুকে ‘খাবি খাওয়ার অবস্থা’ অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র সিয়াম। তাই উত্তাল শাহবাগের অন্দোলনে সামিল না হয়ে এই কয়েকদিন নিয়ম করে চোখ ছিল নিউজ চ্যানেল, ফেসবুক আর ব্লগে। আত্মিক সমর্থন ছিল আন্দোলনে প্রতি। পড়তে পড়তে বারবার মন চলে যায় সেদিকে। আনমনে একাকী প্রশ্ন_ একাত্তরে যারা এত অন্যায় করলো তাদের শাস্তি হবে না? এমন সময় বন্ধুর এসএমএস_ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিবাদ জানাতে আমরা যাচ্ছি। আসবি? কিন্তু, সেদিন যে আমার সারাদিন পড়া...। রিপ্লাইটা রাইট-মেসেজে টাইপ করেও আর পাঠায়নি। তখন থেকেই ধন্ধে, যাব? জাগরণের এই সময় বইয়ে মুখ গুজে না থাকলে প্রথম সেমিস্টারেই তো ধরা খাব_ তখন পস্তানোর অন্ত থাকবে না।
লাভ-লোকসানের অঙ্ক কষতে গিয়ে স্বার্থপর হয়ে পড়াও পছন্দ নয় সিয়ামের। ছাত্র হিসাবে পড়াশোনায় বরাবরই সিরিয়াস। ছোটবেলা থেকেই যথেষ্ট সংবেদনশীল। গ্রামের পরিচিত একজনের ‘ও নেগেটিভ’ রক্ত জোগাড় করা থেকে এলাকার দুঃখু চাচার অপারেশনের টাকা তোল স্কুলছাত্র সিয়ামের উদ্যম ছিল চোখে পড়ার মতো। ছোটকালে একটা প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় জীবনের লক্ষ্য রাজনীতিবিদ হওয়ার কথা লিখেছিল। কেন? রাজনীতি করলে সমাজ পুনর্গঠন থেকে রাষ্ট্র নির্মাণ_ সব ক্ষেত্রেই সামিল থাকা যাবে। তাই ভাবে সিজিপিএ ফোর, ক্যাম্পাসিং, ব্র্যান্ডেড কার, ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট, ফরেন হলিডে_ এই সরলরেখাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে আগামীর চাওয়া পাওয়াগুলো? আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার কি থাকতো যদি ছাত্র জনতা প্রতিবাদে রাজপথে নেমে না আসতেন? আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্যটা কি আদৌ আসতো, যদি মুক্তিদ্ধোরা সবকিছু ভুলে গিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে না পড়তেন। দেশমাতৃকার প্রতি কর্তব্য কি মায়াকান্নাজুড়ে ‘ফেসবুকে স্ট্যাটাস’ দেয়া কিংবা ট্যাক্স দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ?
যে জগৎ অসততায় ভরে উঠছে, তা থেকে বিবেকবানরা নিজেদের নানা বাহানায় দূরে রাখলে সমস্যা কি বাড়বে, না কমবে? তাই সিদ্ধান্ত নাহ, বেলা বাড়ছে। রাত জেগে পড়ে নেওয়া যাবে। এখন জলদি গোসল, খাওয়া-দাওয়া করে বিক্ষোভের দিকেই যাওয়া যাক। “আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে।” মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, এখন নতুন প্রজন্ম নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সামনের দিকে।
ছবি : মুনির আহমেদ
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
শামস্ বিশ্বাস বলেছেন: অবশ্যই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
মোঃ শরিফুল বলেছেন: আমাদেরকে জাগতে হবে