নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং হ্মমতাধর সুপারভিলেন| কিন্তু বিশ্বাসঘাতক মেয়েরা আমার চেয়েও বেশী . . .।

I have appeared in the world of supervallain,for all traitor girls . . .

ক্লে ম্যান

আমি কোন সুপারহিরো নই|কেন না আমি মাটির তৈরি সাধারন মানুষ|

ক্লে ম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক পলকেই

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

অডিটোরিয়ামে ঠুকতেই মেয়েটির দিকে চোখ পড়ল রাসুর|সে আর চোখ ফেরাতে পারছে না|নিজেকে কোন মতে সামলে নিয়ে,একটা সিটে ধপাস করে বসে পড়ে|কিন্তু,তার মনোযোগ মঞ্চের অনুষ্ঠানের দিকে যাচ্ছে না|তার মন পড়ে আছে মেয়েটির দিকে|



ছোট্ট একটা কালো টিপ পড়েছে কপালে,ছিমছাম দেহের গঠন,চেহারাটা যেন মায়ায় ভরে আছে,ঠোঁটে হালকা লিপিস্টক দেয়া|মেয়েটি দেখতে ধবধবে সুন্দরী নয়,কিন্তু একটা লাজুক লাজুক ভাব আছে|মেয়েটির অন্যদিকে কোন খেয়াল নেই|পলক না ফেলে অনুষ্ঠান দেখে যাচ্ছে|আর রাসু অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে তাকে দেখছে|অনুষ্ঠান দেখতে তার,আর ভাল লাগছে না|সে বাইরে চলে আসে|

ভাবতে থাকে মেয়েটির সাথে পরিচিত হতে পারলে ভাল হত|এরকম মেয়ের দিকে আজীবন তাকিয়ে থাকা যায়,কোন স্বার্থ ছাড়া|

না,

কিছু একটা করতে হবে,অন্তত পরিচয় টুকু হতে পারলে খারাপ কি?

কোন ইয়ারে পরবে ,হয়তো ফার্স্ট ইয়ার|ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েদের,এসব অনুষ্ঠানের প্রতি অনেক বেশী আকর্ষন থাকে|আর দেখতে তেমন আহামরি বড়ও মনে হচ্ছে না|

সে কি তাকে ডেকে কথা বলবে|

কি বলবে সে?

মেয়েটিকে নাম জিজ্ঞাসা করলে যদি উল্টাপাল্টা কিছু বলে|

তখন সে কি করবে।

শ্যালা. .

পুরো কেলেঙ্কারী হয়ে যাবে|

দুনিয়ার সব প্রশ্ন এসে,তার মাথার উপর ভর করে|



জিন্স প্যান্টের পকেটের ভিতর হাত দিয়ে, রাসু মোবাইল টা বের করে|



কাকে ফোন দেয়া যায় এ?

কথা ভাবছে, আর এক এক করে মোবাইলের কনট্যাক্ট নাম্বার গুলো টিপছে|

হ্যা . .

একটা নাম্বার পাওয়া গেছে ,নাম রিয়াদ|



রাসুর ভার্সটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ড এবং পলিটিক্স না করলেও রিয়াদের সাহস আছে বলা যায়|এর আগের কয়েকটা ঘটনায় রাসু সেটা বুঝতে পেরেছে|



হ্যা . .

রিয়াদ কোথায় তুই?



কেন রব হলে,কি হইছে?



না কিছু হয় নাই|

তুই একটু সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে আয় তো|

খুব দরকার . .



কি দরকার . . মোবাইলে ক|



মোবাইলে কওয়া যাইব না,তুই আয়|



না কইলে যাইতাম না,আমি ঘুমাই|



শালার পুত,একটি সুন্দরী মাইয়া দেখছি,তাড়াতাড়ি আয় . .



সুন্দরী মাইয়া,তুই দুই মিনিট খাড়া,আমি আইতাছি . . .



কয়েক মিনিটের মধ্যে রিয়াদ চলে আসে লাইব্রেরীর সামনে|



মামা মাইয়া কই . . .



লাইব্রেরী অডিটোরিয়ামের ভিতরে|

শোন,মেয়েটাকে আমার ভাল লাগছে|

মেয়েটের সাথে আমরা কথা বলবো,নাম ,পরিচয় জানব|

কোন ঝামেলা করা যাবে না|



না . .

ঝামেলা কর|মু কি জন্য?

চল মেয়েটাকে আগে দেখিত . . .



অডিটোরিয়ামের ভিতর গিয়ে,রাসু মেয়েটাকে দেখায়|



মেয়েটাকে দেখে,

রিয়াদের মুখ দিয়ে আর কোন কথা বের হয় না . . . . . . .



রাসু,রিয়াদকে একটু থাক্কা দিয়ে বলে|

কি হল তোর?

বাইরে আয়. .

এক প্রকার রিয়াদকে টেনেই বাইরে নিয়ে আসে|



এতহ্মনে রিয়াদের মুখে কথা ফোটে,মামা মেয়েটা তো সেই|

তুই চশমার ভিতর দিয়ে কেমনে,এত সুন্দরী মাইয়া দেখলি কেমনে?

তোর তো চোখ আছে মামা|



কেন তুই কি এতদিন ভাবছস|

আমার চোখ নাই|



ঠিক তা না .



বাদ দে এসব|

কি করা যায়?

তাই বল|



রিয়াদ কনফিডেন্টলি বলে, মেয়েটা বের হলে আমরা ডাক দিয়া কথা কমু|

নাম,পরিচয়,জিগামু।বাকীটা পরে দেখা যাইবা|



।রাসু বলে মামা,আমার খুব ভয় লাগে,মাইয়া যদি সিনক্রিয়েট করে|



না কিছু করব না|

সিস্টেমে কাজ করা লাগবে|



কিছুহ্মন পর,রিয়াদ হাসতে হাসতে বলে উঠে|

মামা,মাইয়াটা তোমার লগে যায় না|

তুমি আমারে দিয়া দাও|



ঐ শালা কি কস এই গুলা?

এখনো কিছু হইল না|

আর তুই গালফ্রেন্ড নিয়া টানাটানা শুরু করছস|চুপ কইরা থাক|



কি করা যায় ভাব?



ভাবিভাবির কিছু নাই| মাইয়া বের হইব,ডাক দিয়া কথা কমু|

কাহিনী শেষ|



খুব তো কইতাছস,দেহা যাই বো নি|



ভাবতে ভাবতে রাসু পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে উদাসীন মনে আয়েশ করে টানতে থাকে|



প্রায় এক ঘন্টা পর মেয়েটি অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়|

রাসু,রিয়াদকে হ্যাচকা টান দিয়ে বলে উঠে|

দেখ মামা,মেয়েটা বের হইছে.



রিয়াদ আর রাসু . .

মেয়েটির পিছন পিছন হাঁটতে থাকে|



আর ভাবতে থাকে কি বলা যায়?

মেয়েটা শহীদ মিনার পার হয়ে লেডিস হলের যাচ্ছে|



রাসু বলে,মামা . . মেয়েটাতো হলের দিক যাচ্ছে ।



রিয়াদ বলে,হলে থাকে মনে হয়|



মামা,তোর হাঁটার গতি স্লো হইতাছে কেন?

মেয়েটা তো চইলা যাইতেছে|



আরে . . ,যাইব না,ডাক দিয়া কথা কমুনি|



একসময় মেয়েটি হাঁটতে হাঁটতে শামসুন্নাহার হলে চলে যায়|

ওরাও পিছন পিছন হাঁটতে হাঁটতে হল পযর্ন্ত যায়|



রাসু আর রিয়াদের, মেয়েটির সাথে কথা বলা হয়ে ওঠে না|

তারা একই সাথে হতাশ ও বিধ্বস্ত হয়ে ফিরে আসে|



রাসুর মনটা ভীষন খারাপ,তার চেহারের দিকে তাকানো যাচ্ছে না|



রিয়াদ বলে . . ,

মামা তুই মন খারাপ করতাছোস কেন?

আজকে কথা কই নাই তো|

কি হইছে?

আর একদিন কথা কমু|



মেয়ে আর যাইব কই,হলেই তো থাকে|

আমি খোঁজ নিমু নি|

তুই টেনশন করিস না|



রাসু ভালই করেই জানে,এই মেয়েটির সাথে আর কখনো কথা হয়ে উঠবে না|



রাসু কিছুটা রাগান্বিত স্বরে বল,তুই আর কথা কইস না|

তোর কথা শুনতে আর ভাল লাগতাছে না|



রাসু,রিয়াদকে বিড় বিড় করে বলতে থাকে|

আমাদের দিয়ে কিছু হইব না|

আমাদের সীমাটা শধু পছন্দ পযর্ন্ত|

এর পরে আমরা আর কিছু করতে পারি না|



রিয়াদ ঝাড়ি দিয়ে বলে ওঠে, . .

তুই এত ইমোশনাল হইতাছোস কেন?

একটা মাইয়াই তো,এটা না হইলে আর একটা হইব|

এত ইমোশনাল হওয়ার কি আছে?



হ,আর ইমোশনাল হমু না|



দে একটা সিগারেট বের কর|



রিয়াদ,একটা সিগারেট ধরিয়ে, রাসুকে দেয়|



রাসু,সেটা গোল গোল করে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে টানতে থাকে|



রাসুর আর ক্যাম্পাসে প্রেমে পড়া হয়ে ওঠে না|

এখনো হয়নি|তবে যতটুকু জানি চেষ্টা অব্যাহত আছে|



পরবর্তীতে রাসু, মেয়েটির খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছিল|



মেয়েটি ফিজিক্সে চতুর্থ বর্ষে পড়ে|



আর, তারা কেবল প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে. . . . .

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ha ha ha ha hayre rasu khub kosto hocche tomar jonno.

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫২

ক্লে ম্যান বলেছেন: ভাই,আমারও কিন্তু খারাপ লাগতেছে|
বেচারা . .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.