![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কোন সুপারহিরো নই|কেন না আমি মাটির তৈরি সাধারন মানুষ|
অডিটোরিয়ামে ঠুকতেই মেয়েটির দিকে চোখ পড়ল রাসুর|সে আর চোখ ফেরাতে পারছে না|নিজেকে কোন মতে সামলে নিয়ে,একটা সিটে ধপাস করে বসে পড়ে|কিন্তু,তার মনোযোগ মঞ্চের অনুষ্ঠানের দিকে যাচ্ছে না|তার মন পড়ে আছে মেয়েটির দিকে|
ছোট্ট একটা কালো টিপ পড়েছে কপালে,ছিমছাম দেহের গঠন,চেহারাটা যেন মায়ায় ভরে আছে,ঠোঁটে হালকা লিপিস্টক দেয়া|মেয়েটি দেখতে ধবধবে সুন্দরী নয়,কিন্তু একটা লাজুক লাজুক ভাব আছে|মেয়েটির অন্যদিকে কোন খেয়াল নেই|পলক না ফেলে অনুষ্ঠান দেখে যাচ্ছে|আর রাসু অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে তাকে দেখছে|অনুষ্ঠান দেখতে তার,আর ভাল লাগছে না|সে বাইরে চলে আসে|
ভাবতে থাকে মেয়েটির সাথে পরিচিত হতে পারলে ভাল হত|এরকম মেয়ের দিকে আজীবন তাকিয়ে থাকা যায়,কোন স্বার্থ ছাড়া|
না,
কিছু একটা করতে হবে,অন্তত পরিচয় টুকু হতে পারলে খারাপ কি?
কোন ইয়ারে পরবে ,হয়তো ফার্স্ট ইয়ার|ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েদের,এসব অনুষ্ঠানের প্রতি অনেক বেশী আকর্ষন থাকে|আর দেখতে তেমন আহামরি বড়ও মনে হচ্ছে না|
সে কি তাকে ডেকে কথা বলবে|
কি বলবে সে?
মেয়েটিকে নাম জিজ্ঞাসা করলে যদি উল্টাপাল্টা কিছু বলে|
তখন সে কি করবে।
শ্যালা. .
পুরো কেলেঙ্কারী হয়ে যাবে|
দুনিয়ার সব প্রশ্ন এসে,তার মাথার উপর ভর করে|
জিন্স প্যান্টের পকেটের ভিতর হাত দিয়ে, রাসু মোবাইল টা বের করে|
কাকে ফোন দেয়া যায় এ?
কথা ভাবছে, আর এক এক করে মোবাইলের কনট্যাক্ট নাম্বার গুলো টিপছে|
হ্যা . .
একটা নাম্বার পাওয়া গেছে ,নাম রিয়াদ|
রাসুর ভার্সটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ড এবং পলিটিক্স না করলেও রিয়াদের সাহস আছে বলা যায়|এর আগের কয়েকটা ঘটনায় রাসু সেটা বুঝতে পেরেছে|
হ্যা . .
রিয়াদ কোথায় তুই?
কেন রব হলে,কি হইছে?
না কিছু হয় নাই|
তুই একটু সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে আয় তো|
খুব দরকার . .
কি দরকার . . মোবাইলে ক|
মোবাইলে কওয়া যাইব না,তুই আয়|
না কইলে যাইতাম না,আমি ঘুমাই|
শালার পুত,একটি সুন্দরী মাইয়া দেখছি,তাড়াতাড়ি আয় . .
সুন্দরী মাইয়া,তুই দুই মিনিট খাড়া,আমি আইতাছি . . .
কয়েক মিনিটের মধ্যে রিয়াদ চলে আসে লাইব্রেরীর সামনে|
মামা মাইয়া কই . . .
লাইব্রেরী অডিটোরিয়ামের ভিতরে|
শোন,মেয়েটাকে আমার ভাল লাগছে|
মেয়েটের সাথে আমরা কথা বলবো,নাম ,পরিচয় জানব|
কোন ঝামেলা করা যাবে না|
না . .
ঝামেলা কর|মু কি জন্য?
চল মেয়েটাকে আগে দেখিত . . .
অডিটোরিয়ামের ভিতর গিয়ে,রাসু মেয়েটাকে দেখায়|
মেয়েটাকে দেখে,
রিয়াদের মুখ দিয়ে আর কোন কথা বের হয় না . . . . . . .
রাসু,রিয়াদকে একটু থাক্কা দিয়ে বলে|
কি হল তোর?
বাইরে আয়. .
এক প্রকার রিয়াদকে টেনেই বাইরে নিয়ে আসে|
এতহ্মনে রিয়াদের মুখে কথা ফোটে,মামা মেয়েটা তো সেই|
তুই চশমার ভিতর দিয়ে কেমনে,এত সুন্দরী মাইয়া দেখলি কেমনে?
তোর তো চোখ আছে মামা|
কেন তুই কি এতদিন ভাবছস|
আমার চোখ নাই|
ঠিক তা না .
বাদ দে এসব|
কি করা যায়?
তাই বল|
রিয়াদ কনফিডেন্টলি বলে, মেয়েটা বের হলে আমরা ডাক দিয়া কথা কমু|
নাম,পরিচয়,জিগামু।বাকীটা পরে দেখা যাইবা|
।রাসু বলে মামা,আমার খুব ভয় লাগে,মাইয়া যদি সিনক্রিয়েট করে|
না কিছু করব না|
সিস্টেমে কাজ করা লাগবে|
কিছুহ্মন পর,রিয়াদ হাসতে হাসতে বলে উঠে|
মামা,মাইয়াটা তোমার লগে যায় না|
তুমি আমারে দিয়া দাও|
ঐ শালা কি কস এই গুলা?
এখনো কিছু হইল না|
আর তুই গালফ্রেন্ড নিয়া টানাটানা শুরু করছস|চুপ কইরা থাক|
কি করা যায় ভাব?
ভাবিভাবির কিছু নাই| মাইয়া বের হইব,ডাক দিয়া কথা কমু|
কাহিনী শেষ|
খুব তো কইতাছস,দেহা যাই বো নি|
ভাবতে ভাবতে রাসু পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে উদাসীন মনে আয়েশ করে টানতে থাকে|
প্রায় এক ঘন্টা পর মেয়েটি অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়|
রাসু,রিয়াদকে হ্যাচকা টান দিয়ে বলে উঠে|
দেখ মামা,মেয়েটা বের হইছে.
রিয়াদ আর রাসু . .
মেয়েটির পিছন পিছন হাঁটতে থাকে|
আর ভাবতে থাকে কি বলা যায়?
মেয়েটা শহীদ মিনার পার হয়ে লেডিস হলের যাচ্ছে|
রাসু বলে,মামা . . মেয়েটাতো হলের দিক যাচ্ছে ।
রিয়াদ বলে,হলে থাকে মনে হয়|
মামা,তোর হাঁটার গতি স্লো হইতাছে কেন?
মেয়েটা তো চইলা যাইতেছে|
আরে . . ,যাইব না,ডাক দিয়া কথা কমুনি|
একসময় মেয়েটি হাঁটতে হাঁটতে শামসুন্নাহার হলে চলে যায়|
ওরাও পিছন পিছন হাঁটতে হাঁটতে হল পযর্ন্ত যায়|
রাসু আর রিয়াদের, মেয়েটির সাথে কথা বলা হয়ে ওঠে না|
তারা একই সাথে হতাশ ও বিধ্বস্ত হয়ে ফিরে আসে|
রাসুর মনটা ভীষন খারাপ,তার চেহারের দিকে তাকানো যাচ্ছে না|
রিয়াদ বলে . . ,
মামা তুই মন খারাপ করতাছোস কেন?
আজকে কথা কই নাই তো|
কি হইছে?
আর একদিন কথা কমু|
মেয়ে আর যাইব কই,হলেই তো থাকে|
আমি খোঁজ নিমু নি|
তুই টেনশন করিস না|
রাসু ভালই করেই জানে,এই মেয়েটির সাথে আর কখনো কথা হয়ে উঠবে না|
রাসু কিছুটা রাগান্বিত স্বরে বল,তুই আর কথা কইস না|
তোর কথা শুনতে আর ভাল লাগতাছে না|
রাসু,রিয়াদকে বিড় বিড় করে বলতে থাকে|
আমাদের দিয়ে কিছু হইব না|
আমাদের সীমাটা শধু পছন্দ পযর্ন্ত|
এর পরে আমরা আর কিছু করতে পারি না|
রিয়াদ ঝাড়ি দিয়ে বলে ওঠে, . .
তুই এত ইমোশনাল হইতাছোস কেন?
একটা মাইয়াই তো,এটা না হইলে আর একটা হইব|
এত ইমোশনাল হওয়ার কি আছে?
হ,আর ইমোশনাল হমু না|
দে একটা সিগারেট বের কর|
রিয়াদ,একটা সিগারেট ধরিয়ে, রাসুকে দেয়|
রাসু,সেটা গোল গোল করে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে টানতে থাকে|
রাসুর আর ক্যাম্পাসে প্রেমে পড়া হয়ে ওঠে না|
এখনো হয়নি|তবে যতটুকু জানি চেষ্টা অব্যাহত আছে|
পরবর্তীতে রাসু, মেয়েটির খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছিল|
মেয়েটি ফিজিক্সে চতুর্থ বর্ষে পড়ে|
আর, তারা কেবল প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে. . . . .
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫২
ক্লে ম্যান বলেছেন: ভাই,আমারও কিন্তু খারাপ লাগতেছে|
বেচারা . .
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ha ha ha ha hayre rasu khub kosto hocche tomar jonno.