![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রচলিত - অপ্রচলিত কিছু চাটগাঁইয়া প্রবাদ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব , আশাকরি ভালো লাগবে। এছাড়াও আমার লিখা ছড়া - কবিতা আর ৬৪ জেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করব ।
গ্রীষ্ম আর বসন্ত জুড়ে গাছে গাছে পাখির অবিরত কলতান শোনা যায়। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে তারা একই একই গান বারবার উচ্চারণ করে। একই শব্দ বারবার গেয়ে চলার কারণ কী? কোনো সমস্যা নয়তো?
আসলে আমরা যে শব্দগুলোকে ‘গান’ বলে ধরে নিচ্ছি সেগুলো পাখিদের কাছে শুধুই গান নয়। এর চেয়ে বেশি কিছু। পাখিরা তাদের মুখ থেকে উচ্চারণ করা শব্দের মাধ্যমে নিজেদের সীমানা নির্ধারণ করে। কুকুরদের বেলায় যেমনটা দেখা যায় অনেকটা তেমন।
কুকুররা নিজের অধিকৃত এলাকাকে ঘিরে মূত্র ত্যাগ করে। যতটুকু এলাকা জুড়ে মূত্রের গন্ধ বিরাজমান ততটুকু এলাকা তার নিজের বলে অন্য কুকুরদের জানান দেয়। অন্যরাও এই নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলে। ভুলে কোনো কুকুরের এলাকায় ঢুকে পড়লে লেজ গুটিয়ে রাখে। নাছোড়বান্দা বাঁকা লেজ কীভাবে যেন তখন সোজা হয়ে যায়!
অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এরকম নিজের সীমানা নির্ধারণের প্রবণতা দেখা যায়। কেউ কেউ মূত্রের মাধ্যমে এই কাজটা করে আবার কেউ কেউ নিজের গায়ের গন্ধ ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে এই কাজটা করে। এমনকি মানুষের মাঝেও এই প্রবণতা বিদ্যমান। মানুষ বেড়া বা দেয়াল তৈরি করে নিজের সীমানা নির্ধারণ করে।পাখিদের বেলায় এমন সুবিধা নেই। পাখিরা তাদের এলাকা নির্ধারণের কাজটা করে চিৎকার চেঁচামেচির মাধ্যমে। যতটুকু এলাকা ঘিরে শব্দ বিস্তার লাভ করে ততটুকু এলাকা তার অধীনে। একই গান বারবার গাইবার মাধ্যমে অন্যান্য পাখিদের এই বার্তাই দেয় পাখিরা।
পাখিদের বেলায় চেঁচামেচি আরো বাড়তি সুবিধা দেয়। পুরুষ প্রজাতির চেঁচামেচি নারী প্রজাতিদের আকর্ষণ করে। অধিক চেঁচামেচি, কোনো পাখিকে অধিক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হিসেবে বিবেচনা করতে সাহায্য করে। নারী সদস্যরা যখন ডিম দেয় এবং ডিমে তা দেয় তখন নারীরা অন্য কোনো কাজ করার ফুরসত পায় না। অনাগত সন্তানদের নিরাপত্তার দিকটা একদমই দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে বিপরীত লিঙ্গের যে সদস্যটি তাকে অধিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিবে নারী সদস্যটি তার সাথেই জোড়া বাঁধবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার পর্যবেক্ষণ! আমরা যেমন ভাষার মাধ্যমে পরস্পরের সাথে মনের ভাব বিনিময় করি তেমনি পাখিরাও করে। খেয়াল করলে দেখবেন শিকারী কিংবা বিপদ দেখলে পাখিরা অদ্ভুত আওয়াজ করে পরস্পরকে সতর্ক করে, ফলে সবাই এক সাথে আওয়াজ করে দূরে পালিয়ে গিয়ে বিপদ মুক্ত হতে সক্ষম হয়।