![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রচলিত - অপ্রচলিত কিছু চাটগাঁইয়া প্রবাদ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব , আশাকরি ভালো লাগবে। এছাড়াও আমার লিখা ছড়া - কবিতা আর ৬৪ জেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করব ।
কালিগঞ্জ সাতক্ষীরাতে সবকিছুই ওজন দিয়ে কেনা-বেচা হয়। দোকানে বসে বলতে হবে দুই জায়গায় পঞ্চাশ পঞ্চাশ (৫০ গ্রাম করে) দই দেন বা সন্দেশ দেন অথবা ভাজা দেন। ভাজা মানে পেয়াজু বেগুনি চপ। ভেজে বিক্রি করে তাই ভাজা বলে আর মরিচকে বলে ঝাল। ঝালের আবার রকমফের আছে, যেমনঃ- কাচা ঝাল, শুকনো ঝাল,গুড়ো ঝাল।এক জায়গায় মানে এক প্লেট বা একজনকে।
বাজারে গিয়ে কাঁচকলা কিনবেন তাও ওজন দিয়ে কিনতে হবে। তরমুজ বিক্রি হয় ওজন দিয়ে। বেগুনি পিয়াজু আলুর চপ তাও ওজন দিয়ে বিক্রি হয়। ঝাল মুড়ি বা ঝাল চানাচুর তাও মেপে বিক্রি করতে দেখেছি।
ছবিঃ জনপ্রিয় ভাজার দোকান, কালিগঞ্জ ,সাতক্ষীরা। সকাল সন্ধ্যা দুইবার খোলা হয়। এখানে পেয়াজু বেগুনি আলুর চপ আর মাঝে মাঝে চিংড়ি মাছের মাথা পাওয়া যায়।পাশে যে ডিজিটাল ব্যালেন্স / পাল্লাটা আছে, সেটা দিয়ে মেপে দেয়।
আর চা নামে যা পাওয়া যায় তা যদি চট্টগ্রামের মানুষ একবার মুখে নেয়, জন্মের তরে চা খাওয়া ছেড়ে দেবে। একে রং চা তার উপর ভীষণ কড়া। চা তো নয় যেন চিরতার পানি। সেই চা খাওয়ার পরে মনে হবে আপনি যেন কোন তিতা ফলের কষ খেয়েছেন।দুধ চা চাইলে সবাই এমনভাবে আপনার দিকে তাকাবে যেন এইমাত্র আপনি আকাশ থেকে নেমেছেন ভিনগ্রহের প্রাণী, এলিয়েন!
যদি দোকানদারের দয়া হয়, বলবে এইটা আছে এটা দিয়ে দেই।
ওটা কি?
কপি চা ১০ টাকা।
মানে মিক্স কফি বা কফি ক্রিমার বা প্যাকেট মালাই চা।
ছবি : চায়ের কাপের পাশে চা ঘুটনি, কালিগঞ্জ ,সাতক্ষীরা
বড় কোন বাসস্ট্যান্ডে দুধ চা পাওয়া যায়, পৌঁছে তাই চায়ের খোঁজ করি। তখন ইচ্ছে করে দু'চার কাপ খেয়ে নেই, তবে এক কাপের বেশি খাইনা। দুতিনদিন পরে যখন দুধ চা পাইনা, তখন সেই চাওয়ালা কে যে কি মিস করি। মনে হয় যে ওর চেয়ে আপন এই পৃথিবীতে আমার আর কেউ নাই!
ছবি:সাতক্ষীরার বিখ্যাত সন্দেশ ৫০ গ্রাম
©somewhere in net ltd.