![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রচলিত - অপ্রচলিত কিছু চাটগাঁইয়া প্রবাদ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব , আশাকরি ভালো লাগবে। এছাড়াও আমার লিখা ছড়া - কবিতা আর ৬৪ জেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করব ।
২০১০-১২ সালের কোন একটা সময়, যখন সাতক্ষীরায় কাজ করছিলাম তখন ওখানকার ইন্জিনিয়ার একজন বলছিলেন, আমাকে যেন ১২ হাত লম্বা দুটো কবর আছে সেগুলো দেখনো হয়। তখন প্রতিদিনই নিত্যনতুন রাস্তা দেখছি একটার পর একটা। কোনকিছু ভালভাবে দেখার সময় সুযোগ ছিলনা। একদিনে পুরো এক উপজেলার সব পাকা রাস্তা শেষ করতে হত।
ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যার একটু আগে একটা কবরস্থানের পাশদিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় ড্রাইভার বললেন, এইযে এটাই সেই কবর।
কবর দুটো লম্বা কিন্তু ইঁট গুলো দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। তারপরও জোর করে ঢোঁক গিললাম।
এবার বাইকে করে ঘুরতে ঘুরতে বাইক ওয়ালা মামা বললেন, এখানে একটা পুরনো মসজিদ আছে, দেখে যান। গিয়ে দেখি এটাই সেই আসল কবর। বংশীপুর শাহী মসজিদের সামনে। আগেরটি ভুল ছিল। টাইলস লাগানোর ফলে মসজিদটি দেখে পুরাকীর্তি বলে মনে হয়না।
বংশীপুর শাহী মসজিদ - গায়েবি মসজিদ বা টেঙ্গা মসজিদ নামেও পরিচিত।
এই মসজিদ মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে নির্মিত। এমন লম্বাটে আয়তাকার মসজিদ আর কোথাও নেই। মসজিদ লাগোয়া দীর্ঘকায় দুটি কবর আছে ১৪ হাত লম্বা।
অনেক দিনের সুপ্ত, অমীমাংসিত একটা আশা আল্লাহ পাক পুরণ করলেন, আলহামদুলিল্লাহ।
©somewhere in net ltd.