নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপন বুদ্ধিতে ভাত, পরের বুদ্ধিতে হাভাত।আপন বুদ্ধি ছিল ভাল,পর বুদ্ধিতে পাগল হল।আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই।

শামসুল হক চাঁটগাঁইয়া

আমি প্রচলিত - অপ্রচলিত কিছু চাটগাঁইয়া প্রবাদ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব , আশাকরি ভালো লাগবে। এছাড়াও আমার লিখা ছড়া - কবিতা আর ৬৪ জেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করব ।

শামসুল হক চাঁটগাঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমণে কিছু বিচিত্র ছোট ছোট অভিজ্ঞতা

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:০০

১/ নাথের পেটুয়া, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লাতে শুনা আঞ্চলিক কথোপকথন (নোয়াখালী হয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম)

বাসে উঠতে চাওয়া যাত্রী আর কন্ডাক্টরের কথোপকথন

ওস্তাদ এগাইন গাঁইড় ভাঁ কত?
: সারে বারশ
অমা এগিন কিয়া কন! আঁই হেনী যামু আঁরে লইতাইরবিন্নি?
: না না
:বাইয়ায় দিমু, একশ টিয়া দিমু।
: না না হবে না
: অমা, একশটিয়া কি কম অই গেছেনি! হনচাইসটিঁয়ার ভাঁরা ইয়ানতুন।
: আরে না না
আইচ্ছা আন্নে কন কত দেন লাইগব, দুইশোটিঁয়া দিমু।
: আরে বেডা এই গাড়িতে ক্যামেরা লাগানো আছে। পথে ঘাডে লোক নিলে ফাইন দেয়া লাগবে।

২/ দক্ষিনবঙ্গে লঞ্চে যাওয়ার সময়

দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ যাত্রা পথে লঞ্চ বা ফেরিতে বসে পেটভরে ভাত খাওয়ার দিন শেষ!
হোটেলে না, এখন হোটেলের বাইরের দোকানে এক কাপ দুধ চা ১৫ টাকা আর একটা তক্তা বিস্কুট ৮ টাকা শুনে অনেকেই ভিরমি খেয়ে যায়। এখানকার মানুষের জন্য এটি অস্বাভাবিক কিছু না। অনেকে তর্ক করে অনেকে খায়না। যারা প্রায় সময় যাতায়াত করে অনেকে সাথে খাবার নিয়ে আসেন।

৩/ যশোরের দুঃখ ভবদহ বিল

যশোরে কাজ করার সময় ঘুরতে ঘুরতে গেলাম ভবদহ ।
মনে হল সাগরের বুক চিড়ে ভেসে আছে মাটির একটা রাস্তা। দুপাশে পানি আর পানি, ছোট ছোট ঢেউ তুলে আছরে পড়ছে কুলে। বাড়ি ঘড় গুলো ছোট ছোট দ্বীপের মত। কিছুদূর এগিয়ে যেতে দেখলাম জেলেদের দল, তারা নাকি সব নব্য জেলে, আগে ছিল কৃষক।
প্রাকৃতিক কারণে তারা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। তারা জাল টানছে অগভীর সেই সমুদ্রে। তখনই বুঝতে পারছি এখানে পানি খুব বেশি না। অনেকটা হাওরের মতো কিন্তু এখানে হাওর নেই আছে বাওর। বাওর যদি মাঝখান থেকে দেখেন, মনে হবে কোন স্রোতহীন নদী। ঘেঁটেঘুঁটে দেখলাম কোন একটা সময় নদীই ছিল। অগভীর অংশ টুকু জমি হয়ে গেছে আর গভীর অংশ টুকু বাওর হয়ে আজো রয়ে গেছ।
ভবদহ বিল নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক অনেক লেখালেখি হয় কিন্তু তাদের দুঃখের শেষ হয় না।

৪/ কুমিল্লার ধর্মসাগরে অপরিচিত এক লোকের জিজ্ঞাসা

আচ্ছা মামা, সাগর আছে হেইডা চট্টগ্রামে না?
হেঁ
সেটা কি আপনার বাড়ির কাছে?
না একটু দুরে আছে
শুনছি সেটা নাকি অনেক বড়?
হেঁ বড়
কত বড়?
অনেক বড়
না, আমি বলছি মানে কয়টা পুকুরের সমান হবে?
আমি কিছুক্ষণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম!

ধর্মসাগরের কূল কিনারা আছে চারিপাশে, শুধু কূল ভাঙা ঢেউ নেই। লোনা পানি নেই, নেই জাহাজ বা জাহাজ সমান নীলতিমি।
আছে ছোট ছোট ঢেউ খেলানো স্বাদু পানির মন জুড়ানো বাতাস, হাজারো মানুষের কোলাহল।

৫/ লোকাল ট্রেনে ঢাকা টু চট্রগ্রাম

এখনো আছি সেই ট্রেনে
কখন ঘরে যাব ,
কাজ যে আর করে না ব্রেনে

হায়রে সুবর্ণ
স্বপ্ন যে করে দিলি সব বিবর্ণ !

ভাবছি মায়ের সে কি টেনশান
"সাতসকালে ছাড়িস নে বাবা স্টেশান "

মাগো এ ট্রেন যে ঘাটে ঘাটে থামে
জানিনা সে চলে কোন নিয়মে
থামেই বা কোন কামে
লোক জন শুধু উঠে আর নামে

পথচেয়ে থেকো না মা সকালে
আমি যে পৌছাবো বিকালে


--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------








মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লিখতে থাকুন। দেখুন পাঠক পছন্দ করে কিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.