নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ এবং বিজয় সমাচার

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬



ঈদ এবং বিজয় সমাচার

ঈদ আসি আসি করতে করতে আবার চলেও গেল।চলে গেলেও তার রেশটা আজ সকালেও রয়ে গেছে, হয়ত অনেক কাল থাকবে।

কুরবানির মাংস নিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে দুপুর। মেঝেতে পলিথিন বিছিয়ে মাংস বিলি-বন্টনের প্রস্তুতি চলছে, আমার গিন্নি তদারকি করছে, সাথে ছেলে-আমি যথারীতি মাংসের গায়ে লাগানোর জন্য ট্যাগ লাগানোর চিরকূট লেখার মহান দায়িত্ব পালন করছি!!! আমি কুরবানির কাজে কেমন পটু, তা আমার কুরবানির পার্টনাররা এ কয় বছরের মধ্যে জেনে গেছে। সুতরাং এ রকম একটা সার্টিফিকেট নিয়ে আমি মহা আরামের ঈদের দিনটা পার করে দেই। অবশ্য গিন্নি মাঝে মাঝে দু’একটা অমিয় বাণী দেন, আমি অবলীলায় সে সমস্ত বল ছেঁড়ে দেই, খেলার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করি না। কেন না কট এন্ড বোল্ড হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এ রকম সুবিধা জনক একটা অবস্থান কিন্তু এক দিনে তৈরি হয়নি, বহু কাল বহু রকম গঞ্জনা-তিরস্কার অম্লান বদনে এই অধমকে হজম করতে হয়েছে, তবেই না আজকের এই ......। স্লিপে “গরু, আতিয়ার ভাই” লিখছি, এমন সময় কলিং বেল।

আমাদের বাসার ছুটা কাজের বুয়া হাজির, সাথে তার বছর পাঁচেকের ছেলে।ব্যাপারটা বিশাল স্বস্তির যে বুয়া হাজির, অনেক কাজে সাহায্য হবে। আবার সাথে একটা অস্বস্তিও হাজির, বুয়ার ছেলে প্রচন্ড রকমের চঞ্চল এবং দুষ্টের শিরোমণি। ইতিপূর্বে সে তার দস্যিপনার কিছু প্রমাণও রেখেছে।বুয়ার নাতনীটা অবশ্য বেশ শান্ত-শিষ্ট,নাম ঝুমুর, বুয়ার ছেলের চেয়ে বছর দু’য়েকের বড়।

সেই ঝুমুর এক শুক্রবারে এসেছিল বুয়ার সাথে। বস্তির বাসায় ওকে দেখার কেউ নেই, ওর মা (বুয়ার মেয়ে) মারা গেছে। একটা টুলে বসে রান্না ঘরে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গিন্নি ঝুমুরের সাথে আলাপ করে, আমি এ ঘর থেকে শুনি।
ঝুমুর স্কুলে যায়- এক-এর পাশে শূন্য দিলে দশ হয়, আরো একটা শূন্য দিলে হয় একশো, সে শিখেছে।
গিন্নি খুশি হয়, বলে- পাঁচ-এর পাশে শূন্য দিলে কত হয়?
ছোট্ট মেয়ে চেষ্টা করে, এটা-সেটা বলে, হয় না।
গিন্নি ওকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বলেঃ
-পারলে ৫০ টাকা দেব।
ও চেষ্টা করেও পারে না।
কাজ শেষ, বুয়া সেদিনের মত নাতনীকে নিয়ে চলে যাবে, গিন্নি ঝুমুরের হাতে বিশ টাকা গুঁজে দেয়।

বুয়া এক গাল হাসি দিয়ে ঘরে ঢুকলো,ছেলেটা দরজার ফাঁক গলে অর্ধেক শরীর ঢুকিয়ে দিয়ে হাসি হাসি মুখে মুখে দাঁড়িয়ে।পরিস্থিতি শান্ত বিবেচনা করে বাকী অর্ধেকটাও ভিতরে ঢুকিয়ে আস্তে দরজাটা ভিজিয়ে দেয়-ডাইনিং টেবিলের অপর প্রান্তে বসে আমি লক্ষ্য করি।

গিন্নির কড়া নির্দেশ, আমার উল্টো দিকের চেয়ারে বিজয়কে (বুয়ার ছেলে) চুপ-চাপ বসে থাকতে হবে। কিছুক্ষণ বিজয় সুবোধ বালকের মত থাকল, তার পর ....। আমি স্লিপ লিখছি, ছোট ছোট প্যাকেটের গায়ে গিট্টু দিচ্ছি। বিজয় রান্না ঘরে, ওর মাকে বিরক্ত করে। এবার গিন্নির গলা চড়েঃ
-তোর ‘বিজয়’ নামের সাথে কাজের মিল নাই।
বিজয় আবার সুবোধ বালকের মত চেয়ারে এসে বসে।
-বুয়া, তোমার ছেলে কিছু খাবে? জানতে চায় গিন্নি।
বিজয় কিছু খাবে না।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বুয়া অস্থির হয়ে উঠে, বুয়া বাইরে যাবে- ছেলে চিপস খাবে।
বিজয় চিপস খাচ্ছে, আমি জিজ্ঞেস করিঃ
-কেমন, মজা!
নির্মল হাস্যে ওর চোখ দু’টোও হেসে উঠে।


বিকেল চারটার মধ্যে কুরবানির মাংস বিলি-বন্টনের প্যাকেজিংয়ের কাজ সমাপ্ত, বুয়ার ঘর মোছা শেষ, আরো কিছু টুক-টাক কাজ বাকী।পাশেই আমার ভায়রা ভাইয়ের বাড়ি, উনারা স্বামী-স্ত্রী গেছেন ভায়রা ভাইয়ের বৃদ্ধ বাবার সাথে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে। আমার ডিপ ফ্রিজ নেই, উনার ডিপ ফ্রিজে কুরবানির মাংস রাখার জন্য যাচ্ছে গিন্নি ও ছেলে। আমি ওজু করে মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, গিন্নি কানে কানে বলে গেলঃ
-আমরা আপাদের বাসায় যাচ্ছি মাংস রাখতে, তুমি বাসায় থাক, বিজয় যা দুষ্টু, ঘরের কি হাল করে কে জানে, দেখে রেখ!
আমি ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাই।


ওরা চলে যাওয়ার পর বিজয় সারা ঘরময় ঘুরে বেড়াতে লাগল, ও বুঝতে পেরেছে-এখন অবাধ স্বাধীনতার সময়। ওকে কিছুটা ব্যস্ত রাখার জন্য বললামঃ
-কলা খাবি?
ও মাথা নেড়ে সম্মতি দেয়।নিজেই কলা ছিঁড়ে খেতে থাকে হাত না থুয়েই। আমি কলার ছিলকা ফেলার জন্য একটা প্লেট দেই।
-আরোকটা আছে, খাবি?
বিজয় মাথা নাড়ে। ২য় টা খেতে একটু সময় নেয়। ওর হাত দু’টো একটু আঠাঁলো হয়ে উঠে, কিন্তু ও হাত ধোয় না।
খাওয়া শেষ করে আমার ছেলের ঘরে গিয়ে ওর কম্পিউটারটা ছেড়ে দিতে বলল। একটু মিথ্যা বললামঃ
-কম্পিউটার নষ্ট।
ও বিভিন্ন কিছু চাপতে থাকল। মেইন পাওয়ার বন্ধ, সুতরাং কোন অঘটনের সম্ভাবনা নেই।তার পরও থামল না, মাউসটা জোরে জোরে চাপতে লাগল-রাগে।
এবার নতুন উপদ্রব।আমার মোবাইলটা চাচ্ছে বিজয়-গেম খেলবে।আমার মোবাইলে সত্যি কোন গেম নেই। সুতরাং মিথ্যার আশ্রয় নিতে হলো না। এবার অন্য দাবী-গান শুনবে মোবাইলে। তাও নেই-বাঁচলাম।ছবি তুলবে – না, এবার ফেঁসে গেলাম। কি আর করা, বিজয়ের কত গুলো ছবি তুললাম। প্রতিটা ছবি তোলার পর ও দৌড়ে আসে, মোবাইলটা হাতে নিয়ে সদ্য তোলা ছবিটা দেখে, শিশু সুলভ নির্মল হাসিতে চোখ-মুখ কথা বলতে থাকে। চলুন দেখি আমার সস্তা মোবাইলে আনাড়ি হাতের ছবি গুলো।












ছবি তুলতে তুলতে শোবার ঘরে এসে টিভি ছাড়ি। আমি ওকে একটা ছোট্ট মোড়া দিয়ে বসিয়ে দেই।বিজয় নিজের মত করে টিভি প্রোগাম দেখবে, রিমোটটা তার লাগবে। আমি কিছুক্ষণ ওকে বিরত রাখতে চেষ্টা করলাম, তার পর রিমোটটা ওকে দিয়ে দিলাম।চাপতে চাপতে ‘ফুটবল’-এর ছবি ওয়ালা বাটনটা পেয়ে গেল, ওটা চাপলে স্পোর্টস চ্যানেল গুলো খুব স্পষ্ট আসে। আর ও ভাবলে এটা দিয়ে বোধ হয় ‘ফুটবল’ খেলা দেখা যায়। বারে বারে বাটনটা চাপছে।

গিন্নি আর ছেলে ফিরে এসেছে।বিজয়ের মায়েরও কাজ শে্য।
ওরা চলে যাওয়ার পর আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে কুরবানির মাংস দিতে বের হলাম। রিকশায় চেপে আতিয়ার ভাইয়ের বাসার দিকে যাচ্ছি, বিকেলের ম্লান আলোয় ঈদের দিনটাও বিদায় নিতে যাচ্ছে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া অনেক অনেক মজা নিয়ে পড়লাম!!!!!!! আর একজনের অনেক মেজাজ খারাপ ছিলো তাকেও পড়তে দিলাম। বললাম এই পোস্ট দেখো মন ভালো হয়ে যাবে!:)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপু।
আপনি মজা পেয়েছেন শুনে ভাল লাগছে।
আর এক জনের সাথে আপনার সময়টা আনন্দে কাটুক, এই কামনা করি।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গাজী ভাই।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সুমন কর বলেছেন: ;)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

শায়মা বলেছেন: সত্যিই অনেক মজা লেগেছে আর আমি সব কিছু জেনো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম!!! :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার অকৃত্রিম অভিব্যক্তির জন্য আবারও ধন্যবাদ।
আপনার কথায় মনে হচ্ছে, লেখাটা বেশ ভালই হয়েছে!!!!

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: আসলেই ভালো হয়েছে! আর পিচ্চিটা কতখানি দুষ্টু চোখে মুখেই বুঝা যাচ্ছে তবে ঐ যে আলমারীর ধারে উদাস হয়ে বসে থাকাটা দেখে আমার অনেক হাসি পেয়েছে। নিশ্চয় তুমি পোজ দিতে বলায় উনি ওমন উদাস মুখে গম্ভির হয়ে বসেছেন!!! হা হা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: না, সব গুলা পোজই পিচ্চির দেওয়া।
হয়ত সুযোগ পেলে এই শিশুটাই বিশাল ষ্টার বনে যেতে পারে!!!

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

জুন বলেছেন: খুব ভালোলাগলো আপনার বিজয় সমাচার । ছেলেটির প্রতি আপনার আন্তরিকতা একটি উদাহরন হয়ে থাকবে। অনেক বাসায় তো ঘরে ঢোকারই হুকুম নেই ওদের।

এ প্রসঙ্গে বলি , সেদিন আমার খালুর জন্মদিন ছিল । পরদিন আমরা গেলে কেক খেতে দিল। জিজ্ঞেশ করলাম 'জন্মদিন করলেন, কৈ আমাদের তো বললেন না'? উনি বললেন তেমন কিছু নয় এই বুড়ো বয়সে আর কি জন্মদিন! শুধু কাজের মেয়ের ৪ সন্তান, দারোয়ান এর দু জন , ড্রাইভারের দু জন আর বুয়ার প্রতিবেশির ৬টি বাচ্চা ছিল তাদের অতিথি । ওরাই কেক কেটে খেয়ে দেয়ে মজা করে গিয়েছে।
শুনে অনেক ভালোলাগলো ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক জুন আপা।
আপনার খালুকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই।
এত এত খারাপ খবরের মধ্যে যখন এই সংবাদ গুলো পাই, মনটা আনন্দে ভরে উঠে!!!!
কবির বাণীটা আজ ও সত্য মনে হয়ঃ
আত্মসুখ অন্বেষণে আনন্দ নাহিরে
বারে বারে আসে অবসাদ,
পরার্থে যে করে কর্ম তিতি ঘর্ম নীরে
সেই লভে স্বর্গের প্রসাদ।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পড়তে ভাল্লাগছিলো। শিশুশ্রেনী আমার বিশেষ পছন্দ কথা বলার জন্য। ওদের কাছে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করি আমাকে ওদের কেমন মনে হয়। যে যার যার মত করে জবাব দেয় আর সেগুলোকেই সত্যি মনে হয়। বড়োরা সত্যি বলেনা আজকাল।

ভালোলাগা রইলো। ঈদ মুবারাক।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু ভাই।
শিশুরা আপনার কাছে খুব প্রিয় জেনে ভাল লাগল।
শিশুরা বোধ করি সর্বকালেই সত্য বলে থাকে এবং সর্বকালেই বড়রা পরিবেশ,পরিস্থিতি বিবেচনা করে কথা বলে - এটা আমার মত, ভুলও হতে পারে। তাই জটিলতা এড়াতে সুযোগ পেলেই ওদের সাথে গল্প করি।
ঈদ মুবারক।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

প্রামানিক বলেছেন: আপনার বর্ননা ছবি দু'টাই ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো করেছেন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।
নিজের লেখার বিচার তো নিজে করা যায় না, তাই কারো কারো মন্তব্য পেলে উৎসাহিত বোধ করি।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

মানবী বলেছেন: ছোট্ট বিজয়ের সাথে আপনার নির্মল ঈদআনন্দের কথা পড়ে ভালো লাগলো।

হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়া বর্তমান তৃতীয় বিশ্বে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারন!
ফুটফুটে শিশু বিজয়কে দেখে মনে হলো, আমাদের একটু সহযোগিতা আর অনুপ্রেরণায় ও শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী আপা।
হাত না ধুয়ে খাওয়াটা আমি ঠিক মেনে নিতে পারিনি, কিন্তু এটা যে শিশু মৃত্যুর একটা কারণ তা জানা ছিল না।
ওর মা কি ভাববে চিন্তা করে কিছু বলি নাই।
আমার স্ত্রীর মাধ্যমে ভদ্রভাবে নিশ্চয়ই জানাব।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

মানবী বলেছেন: ২০১৩ সালে বিশ্বজুড়ে ৩ লক্ষ ৪০ হাজারের অধিক শিশু (যা প্রায় দিনে ১০০০ সংখ্যায়) মৃত্যুবরন করে শুধু মাত্র বিশুদ্ধ পানি ও যথার্থ স্যানিটেশনের অভাবে। এই মৃত্যুহার হ্রাস ও রোধে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জাতিসংঘর সংস্থা ইউনিসেফের উদ্যোগে "গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং ডে"র প্রচলন শুরু হয়।

বিজয়সহ এমন সকল শিশুর মা ও অভিভাবকদের জানতে ও বুঝতে হবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ কেবল তাদের কল্যানের জন্যই দেয়া হয়ে থাকে।
আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো। :-)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য।
ভাল থাকুন।সবসময়।

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিজয়ের সাথে ঈদের আনন্দটা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন, এটা খুবই একটা ভালো কাজ করেছেন। শিশুদেরকে খুব অল্পতেই খুশী করা যায়।
অনেকদিন হলো, আপনাকে পাচ্ছিনা। আপনি কি দেশের বাইরে নাকি, শামছুল ইসলাম ভাই?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান ভাই।

খুব খাঁটি কথা বলেছেন " শিশুদেরকে খুব অল্পতেই খুশী করা যায়।"

অফিসিয়াল একটা কাজে ব্রুনাই গিয়েছিলাম, ১৩-১৮ ডিসেম্বর, তার পর বিভিন্ন কাজে বেশ ব্যস্ত থাকায় সময় দিতে পারছি না।

আপনি স্মরণ করায় খুব ভাল লাগছে !!!!!

এ বছরটা মনে হচ্ছে অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত কাজে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে।

মাঝে মাঝে হয়ত সামুতে ঢুঁ মারবে।

নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা রইল।

ভাল থাকুন। সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.