নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বড় আপা

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০



১।
আফনান চুপি-চুপি রান্না ঘরে ঢুকে, রুটি বানানোর জন্য আটা সিদ্ধ করে আটার মন্ড বানানো হয়েছে, বড় আপা মার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে গেছে-এই সুযোগ!!! আফনান ওর ছোট মুঠোয় যত টুকু আঁটে, ততটুকু আটার দলা নিয়ে পড়ি-মড়ি দৌড় লাগায়। রান্না ঘর থেকে বেরোনোর মুখে বড় আপার সাথে ধাক্কা খায়, তার পর এক দৌড়ে বারান্দায়।রান্না ঘর থেকে বড় আপার গলা শোনা যায়ঃ
-আফনান, কি নিয়েছো?
ওদিক থেকে কোন উত্তর নেই, রুটি বেলতে বসে আটার মন্ডের গায়ে ছোট্ট হাতের ছাপ দেখে বড় আপা হাসে।
আফনান ততক্ষণে ব্যস্ত হয়ে গেছে ছোট ছোট আটার গুল্লা বানানোতে। একটু পরে শুরু হবে তার অভিনব খেলা, বারান্দার জানালা দিয়ে ছোট-গোল আটার টুকরো ছুঁড়ে দিবে আকাশের দিকে। তার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে তার খেলার সাথীদের জন্য। কা কা শব্দে ওরা উড়ে এসে সানসেটে বসে, আফনান মিটি মিটি হাসে আর আটার ছোট্ট গোল টুকরা উপরে ছুঁড়ে দেয়, কাকটা দ্রুত সানসেট থেকে নীচের দিকে উড়াল দেয়, উড়ন্ত টুকরোটা ঠোঁটে নিয়ে আবার ফিরে আসে সানসেটে, ঠোঁটটা একটু ফাঁক করে আটার দলাটা পায়ের কাছে ফেলে, তারপর ঠুঁকরে ঠুঁকরে খায়। খাওয়া শেষে কাক ভায়া এদিক-ওদিক চায়, তখন আফনান আরও একটা টুকরো ছুঁড়ে দেয়।মাঝে মাঝে দু’একটা টুকরো ওরা ঠোঁটে নিতে পারে না, মাটিতে পড়ে ঘাসের আড়ালে লুকায়, তখন পা দিয়ে ঘাস খুঁটে খুঁটে গোল আটার দানা বের করে।

আফনানের খেলায় মাঝে মাঝে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিরতি দিতে হয়। বাবা বাসা থেকে অফিসের দিকে বের হয় সাত টায়। কিন্তু মা হাই প্রেসারের রুগী হওয়ার সকালে উঠতে পারেন না, বড় আপা বাবাকে সকালের নাস্তা দেন আবার অফিসে দেওয়ার জন্য খাবারও প্রস্তুত করেন। অনেক দিনই অফিসের খাবারটা তৈরী হতে হতে সাতটা দশ-পনোরো হয়ে যায়, তখন বাবা দরজার কাছে যেয়ে বলেনঃ
- আজ খাবার লাগবে না, আমি গেলাম।
- এই হয়ে গেছে, হয়ে গেছে- বলে বড় আপা আশ্বাস দেয়।
আসলে তখনো খাবার প্রস্তুত হতে মিনিট দশেক লাগার কথা।
সুতরাং বাবা অস্থির ভাবে পায়চারী করতে করতে একই রকম ভাবে হুমকি দেন এবং বড় আপাও সান্ত্বনার বাণী দিয়ে উনাকে আটকে রাখেন। এই সময়টায় আফনান ঘরে মার বিছানার কাছে চলে যায়, একটা অনিশ্চয়তা নিয়ে মার পাশে বসে থাকে-যদি বাবা দুপুরের খাবার না নিয়ে যায়! মা এক পাশ ফিরে নির্জীব পড়ে থাকেন, তার একটা হাত জড়িয়ে আছে দুই পেরুনো সবার ছোট আফরোজাকে। মাঝে মাঝে এমনও হয়, বাবা ছাতা নিয়ে খাবার ছাড়াই রওনা দেন। তখন আফনানের সিক্স পড়ুয়া ভাই আফরাদকে খাবারটা নিয়ে ছুটতে হয়।
পিছন থেকে হাঁপাতে হাঁপাতে আফরাদ ডাকেঃ
- আব্বা।
ছাতা মাথায় হন হন করে হেঁটে চলা বাবার গতি একটু কমে আসে, থেমে পিছন ফিরে কটমট করে তাকায় বড় ছেলের দিকে।বাম হাতে ছাতা, ডান হাতে খাবারের বাক্সটা নিয়ে শ্মশ্রুমন্ডিত বাবা আবার হাঁটা দেন।

সংসারের চাপটা সামলে ক্লাস নাইনের পড়াশুনা গুছাতে হিমশিম খেতে হয় বড় আপাকে।বিশেষ করে অংকটাতো কিছুতেই মাথায় ঢুকে না- একটু বেশী সময় দেওয়া দরকার। ওঘর থেকে মার গলা শুনতে পায়,
- আয়েশা, একটু এদিকে আয়।
বড় আপা আফরাদ, আফনানকে নাস্তা দিচ্ছিল রান্না ঘরে। ওরা তিন জন পিড়িতে বসে খাচ্ছিল। আয়েশা রুটি ছিঁড়ে আলু ভাজির সাথে মিশিয়ে মুখে পুরে দেয়, মার কথার কোন জবাব দেয় না। ছোট্ট আফরোজার উপর বড় আপার খুব রাগ, ও হওয়ার পর থেকেই মার শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। মাকে আয়েশা প্রায়ই বলে,
-মা, তুমি ওকে ফেলে দিয়ে আস।
মা স্মিত হাস্যে বলেন,
-তুই আমাকে খুব ভালবাসিস?
আয়েশা তখন মাথা নাড়ে।
মা আফরোজাকে আর একটু বুকের কাছে নিয়ে একটা মৃদু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,
-মা হ, তখন বুঝবি।
না, আয়েশা কিছু বুঝতে চায় না---ও ফিরে পেতে চায় হাসি-খুশী প্রাণবন্ত মাকে।

সাড়া না পেয়ে মা এবার একটু জোরে ডাকেন,
-আয়েশা।
-আসছি মা, বলে বড় আপা খাওয়া শেষ না করেই উঠে পরে।
বড় আপা মার পাশে যেয়ে বসে, কোমর ছাড়ানো মার ঘন কালো চুলে বিলি কেটে দেয়, মা অপলক তার শ্যাম বর্ণের দীঘল কালো চুলের মিষ্টি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকেন-কেন যেন নিজের মেয়ের কাছেই নিজেকে অপরাধী মন হয়।বড় আপাই নীরবতা ভাঙ্গে,
-মা, আজও মাথাটা ভার ভার লাগছে?
-হ্যা রে, তোর বাবা অফিস গেছে?
-হ্যা, আফরাদ পিছে পিছে যেয়ে..
মা বড় আপাকে থামিয়ে দেন।
বিয়ের এত গুলো বছর হয়ে গেল, স্বামীর রাগটা উনি কমাতে পারেননি।নিজেকে মার খুব অসহায় মনে হয়, উনার কোন স্বভাবই তো স্ত্রী হয়ে পরিবর্তন করতে পারেননি।মানুষকে এত বিশ্বাস করে, অফিস থেকে প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা তুলে ভাগ্নে-চাচাত ভাইয়ের হাতে দেয়। ওরা ব্যবসা করে লাভের ভাগ উনাকে দিবেন।লাভের টাকা তো দূরে থাক, আসলই নেই হয়ে যায়। ভাগ্নে-ভাইয়ের এ বাসায় যাতায়াত কমে আসতে থাকে।তারপর যখন বেতন থেকে টাকা কাটতে থাকে, মাস চালানো দুষ্কর হয়ে যায়, পাড়ার দোকানে বাকীর হিসাবটা লম্বা হতে থাকে। আজকাল মা বেশী ভাবতে পারেন না, মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠে।তাই কাজের কথায় আসেন,
-যা, চুলায় একটু পানি গরম দে, ওর জন্য দুধ বানিয়ে নিয়ে আয়।
-ও কি বোতলের দুধ খাবে? ও কে তো তোমার দুধ খাওয়া এখনো ছাড়াতে পারলে না।
-সে আমি দেখব, তুই যা।
বড় আপা উঠে পড়ে। আফরোজা ক্ষীণ কন্ঠে কেঁদে উঠে, মা ডান হাত দিয়ে হালকা করে মেয়ের পিঠ চাপড়ে দেন,
-ও ও, আমার সোনা কাঁদে না, বলে সান্ত্বনা দেন মেয়েকে।
আফরোজা চুপ করে যায়। মার চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোটটাই বেশ দুর্বল, জন্মের সময় থেকেই। তাই মার মায়াটাও ছোটটার প্রতি একটু বেশীই।

২।
সাধারণতঃ বেলা দশটা নাগাদ মার মাথা ব্যথাটা কমে আসে। কাজের ছুটা বুয়াটা আসে, মেয়েকে দুপুরের রান্নায় কি কি হবে, বলে দেন- দুপুরে স্কুলে যাবার আগে আয়েশাই সব করে দেয়। কেরোসিনের চুলার সামনে মা এখন আর বেশীক্ষণ থাকতে পারেন না। সংসার চালাতে মাকে হিমশিম খেতে হয়, অল্প অল্প করে বাজার করেন। তাই মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে আফরাদকে বাজারে পাঠান। মা জানালার কাছে যেয়ে হাফ প্যান্ট পরা আফরাদের পিছনটা দেখতে পান, স্নেহের দৃষ্টিটা আফরাদের পিঠে আছড়ে আছড়ে পড়ে।

বাজার থেকে ফিরে আফরাদ গোসল করে, খেয়ে স্কুলে যায়। তবে হাইস্কুলে উঠার পর তার নতুন বন্ধু জুটেছে। ছুম্মা, বিহারি ছেলে, লেখাপড়ার বালাই নেই- ইংরেজী সিনেমা দেখার নেশা। আজকাল প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছুম্মার সাথে সিনেমা দেখতে যায় আফরাদ- দু’জনের টিকেট খরচা ছুম্মাই দেয়, ওর বাবার অনেক টাকা। একা একা সিনেমা দেখতে ভাল লাগে না, তাই সংগী হিসাবে আফরাদকে বেছে নেয় ছুম্মা।
আফরাদের ছোট একটা গোপন খাতা আছে। সেই খাতায় সিনেমার নাম গুলো সে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে গোটা গোটা অক্ষরে লিখে রাখে। এই খাতাটাই বড় আপা একদিন দেখে-১৪৯ টা ছবির নাম, উর্দু এবং ইংলিশ মিলিয়ে।
-আফরাদ, এত গুলো ছবি তুই দেখেছিস?
আফরাদ কাঁদো কাঁদো স্বরে স্বীকার করে,
-হ্যা আপা, তুমি আব্বা-আম্মাকে বলো না।
-কখন দেখিস, স্কুল পালিয়ে?
আফরাদ মাথা নাড়ে।
-স্কুল টের পায় না?
-না, টিফিন পিরিয়ডে স্কুল পালিয়ে দেখি।
-ঠিক আছে, আব্বা-আম্মাকে বলব না, কিন্তু তোর স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখা ছাড়তে হবে।
আফরাদ বড় আপার হাত জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
আয়েশা ছোট ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, ভাবে - সংসারের অনেক ঝামেলার মধ্যে আবার নতুন ঝামেলায় আব্বা-আম্মাকে জড়ানো ঠিক হবে না।
হাতাকাটা গেঞ্জি গায়ের আফরাদ অনুভব করে তপ্ত দু’ফোটা অশ্রু ওর পিঠে পড়ছে।

৩।
ঘুমন্ত আফরোজার কপালে কাজলের টিপটা দিয়ে আলতো করে ওর গালে একটা আদর দিয়ে গায়ের ওপর পাতলা একটা বালিশ দেন। মেয়ের ঘুম খুব পাতলা, তাই আফনানকে ওর কাছে বসিয়ে মা গোসল করতে যায়। আয়েশা, আফরাদ স্কুলে গেছে-আফনানটাকেও আগামী বছর স্কুলে পাঠাতে হবে।অনেকক্ষণ সময় লাগিয়ে গোসল করা মার পুরনো অভ্যাস। পদ্মাপারের মেয়ে, গাঁ ছেড়ে ঢাকা এসেছে সেই কবে-তবুও অভ্যাসটা যায়নি।
কয়েক মগ পানি মাথায় ঢালতেই শুনতে পায় আফনানের গলা,
-মা, আফরোজার ঘুম ভেঙ্গে গেছে।
মা মেয়ের ক্ষীণ গলার কান্নার আওয়াজ পান।
-ঠিক আছে, তুই ওকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক।
মার কথা শুনে ছোট আফনান যেন মুহুর্তেই বড় হয়ে উঠে, ছোট্ট আফরোজার ছোট্ট হাতটা নিজের ছোট্ট হাতের মধ্যে শক্ত মুঠো করে ধরে,ওর চোখের পানি মুছিয়ে দেয়—আফনান যে বড় ভাই।
গোসল শেষ করে দু’ভাই-বোনের লক্ষী ভাবটা দেখে মার চোখ জুড়িয়ে যায়, দু’জনকে দু’কোলে নিয়ে ঘরে এসে জানালার পাশে দাঁড়ান, একটুও মাথা ব্যথা নেই-শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। মা ভাবেন –আহ্, জীবনটা যদি সবসময় এমনিই হতো।

৩।
আজ রবিবার, সরকারি ছুটির দিন; পূর্ব-পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার একজন অধিবাসী ভোর না হতেই ছুটছেন তাদের পারিবারিক ডাক্তারের বাড়ির দিকে। কাউকে কিছু বলতে হয়নি- আয়েশা, আফরাদ, আফনান, আফরোজা সবাই জেগে বসে আছে; মাকে মেঝেতে একটা চাঁদর পেতে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিবেশী রুমির মা অচেতন মার মাথায় অনবরত পানি ঢেলে চলেছেন, কেউ একজন সরিষার তেল গরম করে মার পায়ে ঢলছেন।ছোটরাও বোধ হয় অবচেতন মনে বিপদের গন্ধ পায়- আজ অন্যান্য দিনের মত আফরোজা মায়ের পাশে শোয়ার জন্য কান্নাকাটি করছে না, আফনান দু’হাত তুলে বসে আছে মোনাজাতের ভঙ্গিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার সাহেব আসলেন, প্রেশার মেপে চিন্তিত মুখে বাবার দিকে তাকালেন, সহজ-সরল লোকটাকে নিষ্ঠুর সত্যটা কি ভাবে বলবেন ভাবছেন।এমন সময় আয়েশার বড় চাচা ঘরে ঢুকলেন। ছোট ভাইয়ের বউয়ের সংকটাপন্ন অবস্থা শুনেই এসেছেন, সাথে আয়েশার চাচীও এসেছেন।চাচীকে কাছে পেয়ে আয়েশার এতক্ষণের জমে কান্না বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত ওকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল,বাবা মেয়ের পাশে চুপ-চাপ বসে, সান্ত্বনার কোন বাণী খুঁজে পাচ্ছেন না।দু’ই ভাইয়ের এই পরিবার দু’টির সাথে ডাক্তারের বহুকালের পরিচয়, উনাদের কারো অসুস্থতায় উনি ডাক পাবেনই। বড় চাচাকে টেনে এক পাশে নিয়ে ডাক্তার ফিস ফিস করে,
-মুকিম সাহেব, অবস্থা ভাল নয়, শেষ চেষ্টা হিসাবে কোরামিন ইনজেকশন দিতে চাচ্ছি।
বড় চাচা একটু ভেবে বলেন,
-দেখেন, শেষ চেষ্টা করে।
না, কোন চেষ্টাই মাকে ফেরাতে পারল না।
ডাক্তার মার গায়ের সাদা চাদরটা দিয়ে মুখটা ঢেকে দিলেন।
হঠাৎ করে আশার প্রদীপটা যেন এক দমকা হাওয়ায় নিভে গেল-সারা বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেল।
বড় চাচা ডাক্তারকে ফিস দিতে চাইল, উনি নিলেন না।

৪।
খারাপ সংবাদ ছড়াতে সময় লাগে না।পরিচিত-আধাপরিচিত-অপরিচিত অনেকেই আসে আয়েশাদের বাসায়।কখন কারা যেন মার লাশটা ঘর থেকে বারান্দায় এনে রাখে।এই তো নিয়ম, গত ১৫টি বছর যে ঘর তার একান্ত আপন ছিল, আজ তিনি তার কেউ না।ছোট আফরোজা কিছু বুঝে না, তাই সে সাদা চাদরে আপাদ-মস্তক ঢাকা মায়ের পাশে বসে থাকে। আফনান ওকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু ও জীদ ধরে, যেতে চায় না, পাশে বসে থাকে। আফনান বড় আপাকে ডেকে নিয়ে আসে।বড় আপা ছোট্ট বোনটাকে কোলে নিতে চায়, ও কোলে চড়বে না, মুখ ভার করে বসে আছে।বড় আপা নরম গলায় বলে,
-ঘরে যাবে না?
-না, দুধ খাব।
বড় আপা আর সহ্য করতে পারে না, ছোট্ট বোনটাকে দু’হাতে বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে।
পাশেই লাশ হয়ে থাকা মা কি অনুভব করতে পারে, তার ফেলে/রেখে যাওয়া আদরের ছোট্ট মেয়েটি আর একটি মা পেয়েছে।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চালিয়ে যান। নিদারুণ গল্প লিখেছেন। একটা আঘাত লাগল হৃদয়ে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন। সবসময়।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

সুমন কর বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রইলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর ভাই।
ভাল থাকুন। সবসময়।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১২

শেষগল্পের সেই ছেলেটি বলেছেন: কান্না টা আবার খুহে পেলাম।।।ধন্যবাদ

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকুন। সবসময়।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গল্পটা আমাদের সমাজে বেশ পরিচিত। অমোঘ নিয়তি ছাপিয়ে তারপরও টিকে রয় আমাদের ভালোবাসা-মমত্ববোধ গুলো। সাবলীল বুননে মূল্যবান অনুভুতির চমৎকার প্রকাশ। লেখক কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু ভাই।
আপনার আন্তরিক ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করলাম।
ভাল থাকুন। সবসময়।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: খুব চেনা গল্প। প্রায় ;রতি পরিবারেই এমন গল্পের জন্ম হয় জীবনের কখনো না কখনো। গল্প খুব সাধারনভাবে অসাধারন হইছে। ++

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু ভাই।
যে টা বোধের সীমার মধ্যে আছে, সেটা নিয়েই লিখতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।
ছোট গল্পের ক্ষেত্রে কবি গুরুর কথাটা মেনে চলতে চাইঃ
//ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ কথা
নিতান্ত সহজ সরল,
সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু-চারটি অশ্রু জল।
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা,
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ।//

ভাল থাকুন। সবসময়।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

আনু মোল্লাহ বলেছেন: গল্পে ভাললাগা :)
শুভেচ্ছা রইল, ভাল থাকুন নিরন্তর।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আনু ভাই।
শুভেচ্ছা নিন। ভাল থাকুন। সবসময়।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

ডাঃ মারজান বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। +++

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডাক্তার ভাই।
আপনার হৃদয় ছুঁতে পেরে ভাল লাগছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

জুন বলেছেন: এমন বড় আপা কিছুদিন আগেও খোদ ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারে ঘরে ঘরে দেখা যেত । এখন প্রায় পরিবারে নতুন প্রজন্মের বাচ্চারা কাউকে খালা মামা ডাকতে পারবে বলে মনে হয় না শামসুল ইসলাম । চাচা খালা ফুফু মামা শব্দগুলো মনে হয় হারিয়েই যাবে একদিন ,
আপনার গল্প অনেক ভালোলাগলো ।
+

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা।
ঠিক বলেছেন,
// চাচা খালা ফুফু মামা শব্দগুলো মনে হয় হারিয়েই যাবে একদিন//
তাই ভাবছি, গল্পেই ওদের বাঁচিয়ে রাখি !!!!

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ টাচি একটা লেখা। ভালো লাগলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।
ভাল থাকুন।সবসময়।
শুভ হোক ব্লগিং।

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: বন্ধনটুকু অঁটুট থাকুক সারাজীবন সবখানে ৷রচনাকাল কী অনেক আগের সময়ের ৷নিয়তি বড্ডো একপেশে কারও জন্য ৷

ভাল থাকবেন, লিখুনী চলুক ৷

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই।
হ্যা, বাংলাদেশ হওয়ার বছর তিন/চারেক আগের।
তা ঠিক, কিন্তু নিয়তিকে মেনে না নিলে, ঝামেলা যে আরও বাড়ে।
আপনার অনুপ্রেরণা হোক পথের পাথেয়।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

জেন রসি বলেছেন: গল্পে হারিয়ে যাওয়া এবং খুঁজে পাওয়ার স্বাদ একসাথে পেলাম।

চমৎকার গল্প।

শুভকামনা রইলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রসি ভাই।
ঠিক ধরেছেন, যখন মানুষ কোন কিছু হারায়, আল্লাহ্ তার জন্য বিকল্প আর একটা কিছু দিয়ে দেন--এ আমার বিশ্বাস।
ভাল থাকুন। সবসময়।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার হৃদয় ছোঁয়া গল্প । ভাল লেগেছে খুব ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ভাল লাগাটাই হোক আমার অনুপ্রেরণা।
ভাল থাকুন। সবসময়।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের গল্প জীবনের মতোই জীবন্ত করে তুলে ধরায় অভিনন্দন।

যেন এইমাত্র বারান্দাটা দিয়ে হেটে এলাম! চোখটা জ্বালা করে উঠল অকারণেই!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।
আমি কোন কিছু লেখার আগে ভাবি......রাস্তায় হাটতে হাটতে... আপন মনে বাসায় বসে অথবা.....। গল্পটা মনে মনে সাজাতে সাজাতে বেশ কয়েকবার আমার চোখটাও জ্বালা করে উঠেছিল।
অনুভূতিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।সবসময়।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

নবাব চৌধুরী বলেছেন: অসংখ্য ভালো লাগা রইলো,ভালো থাকবেন ভ্রাতা।আমি থাকলাম শুভ কামনায়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নবাব ভাই।
আপনিও ভাল থাকুন ভ্রাতা।
শুভ কামনা রইল।

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মন ছোঁঁয়া!!!

ভালো লাগলো। অনেক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দীপংকর দা।
আপনার কাব্যিক মনটা ছুঁতে পেরে ভাল লাগছে !!!

শুভকামনা রইল।
ভাল থাকুন। সবসময়।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

ক্রিবিণ বলেছেন: অনুভূতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ক্রিবিণ ভাই।
কথাটা আমার জন্য অ...নে...ক কিছুঃ
//অনুভূতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে...//

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

ক্রিবিণ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এমন বাস্তবিক অনুভূতির দরজা খুলার জন্য... জানেনইতো এমন সরল, মামতাময়ী চরিত্রগুলোর মাঝে দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছে মেশিনারী চেতনা...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শব্দটা চমৎকার বেছে নিয়েছেনঃ
//মেশিনারী চেতনা...//
আসুন সবাই মিলে মমতার জয়গান গাই।

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা সাধারন হলেও আপনি এটার মাধ্যমে যে বাস্তব চিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন সেটা অ-স্বীকার করা যায় না! পরিচিত গল্পের অপরিচিত উপস্থাপনাটা সত্যিই মন জয় করার মত! ভাল লাগলো!

অনেক অনেক শুভ কামনা জানবেন!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী ভাই।
আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ, সাধারণের মধ্যেই বেড়ে উঠা, তাই আমার গল্পে সেই সব সাধারণ মানুষেই কথাই বলতে চাই - হৃদয় থেকে। আপনার কথাটা মনে ধরেছেঃ
//পরিচিত গল্পের অপরিচিত উপস্থাপনাটা//

জীবন হোক সুন্দর।
ভাল থাকুন। সবসময়।

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৩

শুভ৭১ বলেছেন: নিদারুণ বাংলার ছবি,তবে সরল প্রাঞ্জলতায় ছুঁয়ে গিয়ে আরো বেশি আকাং্খা তৈরী করেছে।।।।।চলুক লেখনি।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ ভাই।
আপনার মধ্যে আকাংখা তৈরী করতে পেরে ভাল লাগছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০০

রাফা বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় চমৎকার হয়েছে গল্পটা।
ভালো লাগলো,তাই ধন্যবাদটা দিয়েই দিলাম।

ধন্যবাদ,শামছুল ইসলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা ভাই।
আপনার ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের সমাজের চিরন্তন রূপ।। সেই বড়বুবু,সেই মা আর পিচ্চি ভাই/বোন,আব্বার সেই ব্যস্ততা,পুরোটা যেন নিয়ে গেল সেই ফেলে আসা দিনগুলিতে।। আর সাবলীলতার তো তুলনা নেই।। ছন্দ কাটে নি কোথাও।। না ভাই আপনার এমন গল্প পড়ার জন্য বারবার আসা যায়,সেই ব্যাবস্থাই করলাম।।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই।
আপনার এত সুন্দর লেখার উত্তরে কি বলব বুঝতে পারছি না।

আমার না বলা কথাটা থাক,
অনেক কথা হয়ে !!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

রিকি বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত গল্প ভাইয়া :) :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমতকার গল্প । শেষে মনটা খারাপ করে দিলো । +++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
কষ্ট করে পড়া এবং মন্তব্যের জন্য কবি আবারও ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: শেষে কষ্ট লাগল। ধন্যবাদ

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
কষ্ট তো জীবনেরই অংশ, তাই ওটাকে বাদ দিতে না পারার জন্য দুঃখিত।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,



ছিমছাম একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছিমছাম একটি বাস্তব কাহিনী । যেখানে একজন বড়আপা থাকেন কিম্বা বড়ভাই । এরা এমন পরিবারে "মা" হয়ে ওঠেন ; হয়ে ওঠেন "বাবা" ।
গল্পে ঘরোয়া আমেজটি শুরু থেকে শেষ অবধি বজায় থেকেছে । সেটা লেখার গুন ।
এমন ছবিই দেখা যেতো একসময় । আজও কি এমন মিষ্টি মধুর বড়আপাদের দেখা মেলে ?

ভালো থাকুন নিরন্তর ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আহমেদ জী এস,
আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি যারপর নাই খুশি।

লেখার কোন গুন আছে কি না জানি না, যদি থেকে থাকে আল্লাহ্ যেন প্রতিটা লেখায় তার প্রকাশ ঘটাতে আমাকে সাহায্য করেন।

আ্জও এমন মিষ্টি মধুর বড়আপা দেখা পাওয়া যায় বলেই আমার বিশ্বাস, হয়ত আমরা তার দেখা পাই না।

এ প্রসংগে একটা পত্রিকার একটা সত্য কাহিনী ছাপা হয়ে ছিলঃ

ভারতের কোন এক প্রদেশের দূর এক অজ পাড়া গায়ে আট-দশ বছরের একটা ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে - দশ মাইল দূরে হাসপাতাল। ছেলেটার ১৪-১৫ বছরের এক বোন ছাড়া সংসারে আর কেউ নেই্। সেই বোন অসুস্থ ভাইকে কাঁধে করে দৌড়ে, হেটে সেই হাসপাতালে পৌছে । ডাক্তারের সেবায় সে আবার ভাল হয়ে উঠে।

সেই সব মধুর ছবির সংখ্যা হয়ত কমে গেছে, একে বারে নেই তা বোধ হয় বলা যাবে না ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্প খুব ভালো লাগলো। কষ্ট গুলোকে খুব সাবলীল ফুটিয়ে তুলেছেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে।
ভাল থাকুন। সবসময়।

২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের বাস্তব জীবন কাহিনী, মন ছুঁয়ে গেল!!
খুব ভাল লেখেন আপনি, শুভেচ্ছা অনন্ত --------------

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কষ্ট করে পড়া ও উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আবার পড়ে গেলাম।। বড়বুকে মনে পড়ছে।। ৯জনের মাঝে শুধু একজনই নেই।। অথচ যার ছিলো সবচেয়ে সুখী ও খুশি হবার কথা।। সাথে অবশ্যই আব্বা-মা কে।।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাপী ভাই, মন্তব্যটা পড়ে না দেখা বড়বুর জন্য মনটা ভারী হয়ে গেল।
জীবনের অপ্রাপ্তি নিয়ে চলে যাওয়া এই মানুষ গুলো অন্যদের সততই কাঁদায়।
প্রিয়জনের এই কান্নার বিনিময়ে আল্লাহ্ যেন উনাদের মাফ করে দেন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
আপনার বাবা-মার জন্যও একই দোয়া করি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

মানবী বলেছেন: ব্লগে সাধারনত গল্প উপন্যাস পড়া হয়ে উঠেনা। আমার না পড়ার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিলো তা আরো ভালো করে অনুধাবন করেছি যখন এই গল্পের শেষে গলার কাছে জমাট বাঁধা কষ্ট আর ঝাপসা হয়ে আসা দৃষ্টি লক্ষ্য করি!

আফনান, আফরাদ আর ছোট্টমনি আফরোজা সাতচল্লিশ বছর পর তাদের মায়ের স্মৃতি বুকে নিয়ে পরম প্রিয় বড় আপার সাথে ভালো আছে আশা করি।

অনেক অনেক ভালো থাকুন শামছুল ইসলাম।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে বিব্রত করার জন্য দুঃখিত।

আমি কিন্তু বেছে বেছে আগে কবিতা/গল্প/উপন্যাস গুলো পড়ি।
কারণ কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি অন্য এক জগতে চলে যেতে চাই।

হ্যা,সবাই ভাল আছে আল্লাহ্‌ রহমতে। তবে মূল ব্যাপারটা ঠিক রেখে গল্গের খাতিরে কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

মানবী বলেছেন: একটুও বিব্রত করেননি। দুঃখ প্রকাশের কিছু নেই।

লেখার মান কতোখানি ভালো হলে আমার মতো আনাড়ি পাঠকের মন গভীরভাবে ছুঁয়ে যায় সেটা বুঝাতে এমন মন্তব্য! আমার লেখার মান তেমন ভালো নয় বলেই বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।

ভালো থাকুন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
কথা ফিরিয়ে নিলাম।

আপনার মত বিদগ্ধ পাঠক আমার পোস্টে মন্তব্য করেছে, এটা আমার বিরাট পাওয়া।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

রোদেলা বলেছেন: দিনের শেষ বেলায় ব্যপক কষ্ট নিয়ে গেলাম।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন।সবসময়।

৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: প্রত্যেকটি আবেগ এতটাই প্রাণবন্ত ছিলো যে চোখের সামনে চরিত্রগুলো স্পষ্টতঃ দেখতে পাচ্ছিলাম!!
অসম্ভব মায়াময়ী একটি গল্প। শুভেচ্ছা থাকলো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার জন্যও শুভেচ্ছা রইল।

৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাবলীল একটা লেখা। অনুভূতির সুন্দর প্রকাশ।
ভালো লেগেছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা আপা পাঠ ও উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আবেগি লেখায় ভালো লাগা রইল।

জুন বলেছেন: এমন বড় আপা কিছুদিন আগেও খোদ ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারে ঘরে ঘরে দেখা যেত । এখন প্রায় পরিবারে নতুন প্রজন্মের বাচ্চারা কাউকে খালা মামা ডাকতে পারবে বলে মনে হয় না সহমত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মা জানালার কাছে যেয়ে হাফ প্যান্ট পরা আফরাদের পিছনটা দেখতে পান, স্নেহের দৃষ্টিটা আফরাদের পিঠে আছড়ে আছড়ে পড়ে। -- মমতাময়ী মায়ের এই শুভাশিস মাখা দৃষ্টি আফরাদের জীবনে আর কিছু না হোক, শান্তি দিয়ে গেছে নিরন্তর, আশাকরি।
হাতাকাটা গেঞ্জি গায়ের আফরাদ অনুভব করে তপ্ত দু’ফোটা অশ্রু ওর পিঠে পড়ছে। -- তপ্ত অশ্রুর অনুভূতিটা তো আমার পিঠেই অনুভব করলাম যেন!
এ গল্প লেখার সময় আপনার দু'চোখে জল গড়িয়েছে, এটা আমি নিশ্চিত।
গল্পের মা তো নিশ্চয়ই বাস্তবেও ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন!
আপনার এ গল্পটা পড়ে একই শিরোনামে আমারও একটা গল্প লেখার ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
জুন আর মানবীর মন্তব্য দুটো খুব ভালো লেগেছে - দুটোতেই লাইক।
গল্পটাতেও পঞ্চদশতম লাইক।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আহসান ভাই, আপনার মনোযোগী পাঠ ও মন্তব্যে আমি অভিভূত !!!!

কিছু কল্পনা ছাড়া পুরো গল্পটাই বাস্তব। আপনার দোয়া উনার পরকালের পাথেয় হোক।

আপনার গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

অফিসের কাজের চাপে খুব ব্যস্ত।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

পুলহ বলেছেন: আপনার গল্প পড়তে পড়তে বেশ কয়েক দশক আগের সাধারণ, অথচ খাটি একটা শহরে পৌছে গিয়েছিলাম। যে শহর তার স্মৃতিতে ধারণ করে আছে আপনার গল্পের মতই মায়াভরা অসংখ্য কাহিনী, নিখাদ ভালোবাসায় মোড়ানো কত না অসংখ্য গল্প!

আপনার মতন লেখকেরা মাঝে মাঝে সেই স্মৃতির ধুলো ঝেড়ে তাকে বের করে আনেন। পাঠকের সাথে সাথে শহরটাকেও বানিয়ে তোলেন বেদনা-বিধুর, বিষণ্ণ!
আপাতঃ দৃষ্টিতে সাদা-কালো গল্পটা আসলে মমতার সবগুলো নরম রঙ ধারণ করে আছে শামছুল ইসলাম ভাই। খুব ভালো লাগলো!

শুভকামনা জানবেন :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পুলহ ভাই মনোযোগী পাঠে ও বিশ্লেষণে।

খুব সুন্দর বলেছেন, সাদা-কালো গল্পঃ

//আপাতঃ দৃষ্টিতে সাদা-কালো গল্পটা আসলে মমতার সবগুলো নরম রঙ ধারণ করে আছে//

৩৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পপাঠে ভাল লাগা রইল। ভাল থাকবেন ও আরো ভাল গল্প লিখবেন সেই প্রত্যাশা রইল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

গল্পটা আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

চেষ্টা করব আরো ভাল লিখতে।

আপনিও ভাল থাকুন। সবসময়।

৩৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমার প্রথম শিক্ষক বলতে গেলে লালনপালনকারী হিসেবে আম্মার সাথে সাথে আপার অবদান অনেক অনেক।সমাজের প্রতিচ্ছবি এই গল্প।চিরায়ত বাস্তব জীবনের গল্প অসাধারন ভালো লাগল,নতনকরে ভেতরটাকে নাড়া দিল

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

বাস্তবমুখী এই গল্প আপনাকে নতুনভাবে নাড়া দিয়েছে জেনে ভাললাগল।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মর্মস্পর্শী কাহিনী। লেখনীর সাবলীল ভঙ্গি ভাল লেগেছে।
শুভকামনা রইল।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও মন্তব্যে।

আমার লেখনীর সাবলীল ভঙ্গি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

চেষ্টা করি, সহজ ভাষায় মনের কথাটা বলতে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.