নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ কে তোমায় বাধা দিল কবি? (জীবনানন্দ দাশের প্রতি)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০



কে তোমায় বাধা দিল কবি? ( জীবনানন্দ দাশের প্রতি)

আজ ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫-
৬১ বছর আগে,
সভ্যতার এক দানবের কাছে,
হেরেছিল কালের শুদ্ধতম কবি।

ফিরে দেখি ধূসর জীবন পাতা তাঁর,
গাঢ় অন্ধকার নেমেছে অবেলায়,
মিশতে পারেনি, মেশাতে পারিনি-
মিথ্যার সাথে সত্যরে;
অথবা একটু পাশ কেটে,
মিথ্যারে বগলদাবা করে,
সত্যকে বিদায় দিয়ে,
একটু কৌশলী হতে-
কে তোমায় বাধা দিল কবি?
তোমার শুদ্ধ সুন্দর কবি মন?

কবি নজরুল তোমার কে হয়?
জ্ঞাতি-গুষ্টির কেউ তো নয়,
একটু পাশ কাটিয়ে,
একটু কৌশলী হলে,
সম্পাদকের চাকরিটা বেঁচে যেত,
বৌ-ছেলেমেয়েরা দু’টো ভাল মন্দ খেতে পারত-
কে তোমার বাধা দিল কবি?
তোমার শুদ্ধ সুন্দর কবি মন?

আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে পারে
সে তালিকা;
.
.
.
আর শেষে দু’টো প্রশ্নই তোমায় শুধাবো-
কে তোমার বাধা দিল কবি?
তোমার শুদ্ধ সুন্দর কবি মন?

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্যও আমাকে অনেক অনেক প্রেরণা যোগাল।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: অচাম সুন্দর হয়ছে হে কবি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ঈশান ভাই।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ফিরে দেখি ধূসর জীবন পাতা তাঁর,
গাঢ় অন্ধকার নেমেছে অবেলায়,
মিশতে পারেনি, মেশাতে পারিনি-
মিথ্যার সাথে সত্যরে;


শামসুল ভাই! মুগ্ধ হলাম। ১ম +

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই।

আপনার মুগ্ধতায় আমার অপার আনন্দ,
কাঁপিয়া উঠিছে থর থর বাম অলিন্দ !!!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

জুন বলেছেন: সত্যরে টা টা দিয়ে,
একটু কৌশলী হতে-
কে তোমায় বাঁধা দিল কবি?
তোমার শুদ্ধ সুন্দর কবি মন?


সত্যি তো কে বাধা দিল কবিকে শামছুল ইসলাম ?
অপুর্ব
+

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জুনপা।

বড় বেশী সোজা-সাপ্টা ছিলেন, তাই নেঁকড়েদের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারেননি।
তবুও তার ওই গুণটার জন্যই তো তাকে শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

মানবী বলেছেন: বাহ্! সুন্দর কবিতা।
একজন কবির প্রতি আরেক কবির গভীর অনুভূতির কবিতা পড়ে খুব ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ শামসুল ইসলাম।

সম্পাদকের চাকরী নিয়ে কি ঝামেলা হয়েছিলো পুরোপুরি ভুলে গেছি!!!!

আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

সবসময় সব কথা বলতে নেই, এ বোধটা কবির ছিল না। আর কোন কথায় কেউ রুষ্ট হলে, (বিশেষত: চাকুরি দাতা) একটু তেল মেরে ম্যানেজ করার বিদ্যাটাও কখনো শেখা হয়ে উঠেনি। তাই স্বরাজ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালীন ১৯৪৮ সালে এক সাময়িকীতে নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটা ছোট লেখা লেখতে গিয়ে লেখেনঃ ‘… আপাতদৃষ্টিতে এত বড় একটা প্রবল উৎস ব’লে মনে হয় যে-নজরুলী রচনাকে, তা কি বড় সাহিত্য সৃষ্টি করবে না একদিন? কিন্তু, তবুও, ক্রমে-ক্রমে বুঝতে হল যে, নজরুল ইসলামের লেখায় মহাকবিতার গভীর প্রসাদ নেই, তার প্রতিশ্রুতিও কম।’
এবং ফলশ্রুতিতে পত্রিকার মালিকরা ক্ষেপে গিয়ে কবিকে চাকরিচ্যুত করেন।

তাই আমার কোন যেন মনে হয়, উনি একটু কৌশলী হলে অনেক ঝামেলা থেকে বাঁচতে পারতেন এবং আমরা উনার কাছ থেকে আরও ভাল কোন লেখা পেতাম। ১৯৫০-৫৪ উনি তেমন কিছুই লেখেননি, একটি চাকরির জন্য হন্য হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

মানবী বলেছেন: কষ্ট করে বিস্তারিত জানিয়েছেন, আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভালো থাকুন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কিছু কিছু কষ্ট করতে ভাল লাগে, কষ্টটা আনন্দে রূপ নেয়।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

কবি নিজেই জাতির বিবেক।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গাজী ভাই।

খুব সুন্দর মন্তব্য।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো কবিতা। তবে "সত্যরে টাটা দিয়ে" এই লাইনটা ভালো লেগা নাই। টা টা শব্দটা বেখাপ্পা লাগছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।

আমার কাছেও টা টা শব্দটা বেখাপ্পা লেগেছে, তবে কেন যেন উনার বেসুরে জীবনটার জন্য আমার এই বেখাপ্পা শব্দটাই পছন্দ হয়েছে।

জীবনের কোন কিছুই উনার সুন্দর হয়নি, তাই কবিতায়ও একটু অসুন্দরের চর্চা করলাম।

আপনার মন্তব্যের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: মানবী বলেছেন: বাহ্! সুন্দর কবিতা।
একজন কবির প্রতি আরেক কবির গভীর অনুভূতির কবিতা পড়ে খুব ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ শামসুল ইসলাম।
এককথায়- অসাধারণ !!!

নিরন্তর ভালবাসায়-শুভকামনা সতত ...

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কবিতা পড়তে ভাল লাগে- কিছু বলা, কিছু না বলা কথা থাকে।

যখন বেশী কথা লিখতে ইচ্ছে করে না, কথা গুলোকে একাধিক লাইনে ভাগ করে দেই।
এই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস। তা আপনার ও মানবীর (এবং আরো অনেকের) কাছে কবিতা মনে হওয়ায় ভাবছি মাঝে মাঝে এই কাজটা করব।

এই পোস্ট যারা মন্তব্য করে উৎসাহ দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মিশতে মেশাতে না পারলে এ সমাজে ভাত পাওয়া মুস্কিল। তেল মারা জানলে সহজে সিঁড়ি পাওয়া যায় ...

জীবনানন্দের সবটা আমি গ্রহণ করি নে। তবে তাঁর সাহিত্যিক সততা-শ্রম অনুসরণ যোগ্য। তারই সুতো ধরে বলছি শামছুল ইসলাম, যদি কবিতা লিখার ইচ্ছে থাকে দয়া করে আরও সাধনায় ডুবুন। সে অনলাইনে হোক বা অফলাইনে। বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, কবিতার জন্ম হোক কাব্যসুধার ব্যাপকতা থেকে।

ভালো থাকবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু ভাই।

আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

তবে আমার মনে হয়, সব কিছু চেষ্টা দিয়ে অর্জন করা যায় না।
কোন একটা ডিগ্রী চেষ্টা করে অর্জন করা যায়, কিন্তু গলায় সুর না থাকলে গায়ক হওয়া যায় না।
তেমনি আমার মধ্যে যদি কবিত্বের ছিঁটেফোঁটা না থাকে, শত চেষ্টাতে আমাকে দিয়ে হবে না।

আর সবার স্টাইল তো এক না, আমার ফুটবল খেলার ধরন আমারই, কোন প্রতিথযশ খেলোয়াড়ের সাথে তা মিলতে হবে, তা আমি মনে করি না।

ভাল থাকুন। সবসময়।


ভাল থাকুন। সবসময়।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

রোদেলা বলেছেন: লেখাটা আমি বুঝে উঠতে পারলাম না,আমারই অক্ষমতা।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

আমি বুঝাতে পারিনি, সেটা আমারই ব্যর্থতা।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১। প্রথমেই, 'শুদ্ধতম কবি'র প্রতি আপনার এই হার্দিক শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য আপনাকে অভিনন্দন, কবির সহজ সরল স্বভাবকে এই কবিতায় খুব পরিস্কার করে তুলে ধরেছেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
২। বাঁধা, কেঁটে, এগুলোতে চন্দ্রবিন্দুর প্রয়োজন নেই।
৩। 'মানবী'র মত (৫ নং মন্তব্যে) আমার মনেও একই প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছিলো। সে প্রশ্নের ব্যাখ্যা পাওয়াতে কবি সম্পর্কে আমার জ্ঞান সমৃদ্ধ হলো।
৪। হাসান মাহবুব এর মত (৮ নং মন্তব্যে) "সত্যরে টাটা দিয়ে" এই লাইনটা আমারো ভালো লাগে নাই, তবে আপনার উত্তরও অনুধাবন করি। নিদেনপক্ষে যদি 'সত্যকে বিদায় দিয়ে' কথাটা না লিখতে চান, তবে অন্ততঃ 'সত্যরে' কথাটাকে 'সত্যকে' করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন।
৫। কবিতা কবিমানস প্রসূত সন্তানসম। তাকে কিভাবে আগলে রাখবেন, তা কবিই ভালো বুঝেন। সম্পাদনার স্বাধীনতা তার একান্ত নিজস্ব।
৬। গত বছরে কবির প্রয়াণ দিবসে আমিও তাঁকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলাম। আপনি যদি তা দেখতে আগ্রহী হন, তবে তা শুদ্ধতম কবির স্মরণে দেখতে পারেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আমার কবিতাটা এত চুলচেরা বিশ্লেষণ করায় আমি অভিভূত।

দুঃখিত বানানের প্রতি নজর না দেওয়ার জন্য।

হামা ভাই এবং আপনার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট সংশোধন করছি।

লিংকে গিয়ে আপনার কবিতাটা পড়লাম।
এক কথায় - অসাধারণ।
আশা করি, কবির আগামী বিদায় দিনে সামুতে পাব।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এজন্য আপনাকে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

গুগলে সার্চ দিয়ে মনে হলো, 'কেঁটে' ঠিক আছে।

১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক সুন্দর কবিতা। আপনি ভালো লেখেন।

মন্তব্যগুলোও পড়লাম। ভালো লেগেছে।

ফুলের কাঁটা, মাছ কাটা। চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার দেখে নিন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভাষার সীমাবদ্ধতা অনেক।
কত গুলো মামুলি শব্দে মনের সব ভাব,আবেগ কি প্রকাশ করা যায়?
এই যেমন আপনার মন্তব্যের উত্তরে আমি কোন উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পেলাম না মইনুল ভাই !!!!!!

খায়রুল ভাই ও আপনাকে ধন্যবাদ বানান সম্বন্ধে সচেতন করার জন্য।

এডিট করছি।

ভাল থাকুন। সবসময়।



১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,



মর্মান্তিক তাঁর প্রয়ানের পেছনের কাহিনী । তিনি ছিলেন চিত্রকল্পের কবি । রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ছাড়িয়ে য়েতে পারেন নি কবিতার চিত্রময়তায় ।
খুব খুঁতখুঁতে ছিলেন কবিতার ব্যাপারে । তাই ১৯৫৪ সালে ট্রামের নীচে কাঁটা পড়ে মরে যাওয়ার পরে তার ল্যান্সডাউন রোডের বাড়ী থেকে ট্রাঙ্ক -- ট্রাঙ্ক বোঝাই কবিতার পান্ডুলিপি উদ্ধার হয়েছে ।

তেমন কবিকে বলাই যায় ---- কে তোমায় বাধা দিল কবি?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কবিকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

কবি বলেছেনঃ তিনি (জীবনানন্দ) ছিলেন চিত্রকল্পের কবি । রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ছাড়িয়ে য়েতে পারেন নি কবিতার চিত্রময়তায় । ---সহমত।

কিন্তু নতুন এ ধারাকে (চিত্রময়তা) এগিয়ে নেওয়ার জন্য উনি তেমন কারো সাহায্য পাননি বরং পাহাড়সম বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে তাদের আশ্রয় হয়েছে ট্রাঙ্কে।

আমি ফোকাস করেছিলাম তার ব্যক্তিগত সততা ও স্পষ্টবাদীতার উপর আর আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে যে, বিশাল সমৃদ্ধ কবিতার পান্ডুলিপি প্রকাশে কে উনাকে বাধা দিল?

এভাবে চিন্তা করলে আরোকটা নতুন আঙ্গিকের কবিতার জন্ম হবে।

নতুন চিন্তার উন্মেষের জন্য কবিকে ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চাকরির প্রতি তার খুব মায়া ছিল এমনটাও নয়| তার প্রতিভাও বুঝতে পারেনি সেসময়ের অনেকেই| তার উপন্যাস সম্পর্কে দেশসম্পাদক নাকি একবার বলেছিলেন, "তিনি ভাল কবি কিন্তু ভাল ঔপন্যাসিক নন|" কে তখন সম্পাদনায় ছিলেন খেয়াল নেই| বোধহয় সাগরময় ঘোষ| অথচ তার উপন্যাস এখন কতটা নন্দিত!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল ভাই কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

চাকরির জন্য উনার মায়া ছিল কিনা জানিনা তবে প্রয়োজন ছিল।
স্বরাজ সম্পাদকের চাকুরিটা ফিরে পাবার জন্য উনি তিনটা চিঠি দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবির সাহেবকে।
সেই চিঠিতে চাকুরির জন্য যে আকুতি ঝরে পড়েছে, তা পড়লে যে কোন বিবেকবান মানুষের মন ভ্রারাক্রান্ত হতে বাধ্য।

এখন যেমন মিডিয়ার বিরাগভাজন হলে সমস্ত অর্জন ভেস্তে যায়, সেই সময় সংবাদ পত্রগুলোর ছিল সেই ভূমিকা।
সুতরাং বিরল প্রতিভার মানুষটি এক বুক ব্যথা নিয়ে সেই ব্যথাটাকে ট্রামের চাকায় পিষ্ট করে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন যেমন মিডিয়ার বিরাগভাজন হলে সমস্ত অর্জন ভেস্তে যায়, সেই সময় সংবাদ পত্রগুলোর ছিল সেই ভূমিকা।
চমৎকার বলেছেন কথাটা, ভাই শামছুল ইসলাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান ভাই।

সেদিনের প্রেক্ষাপট ও বর্তমানের প্রেক্ষাপট চিন্তা করে আমার এমনটাই মনে হয়েছিল।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৫

বাংলাকোষ বলেছেন: অসাধারণ লিখনী ।
এমন লিখা আরো চাই লেখকের কাছে বাংলা কোষের অনুরোধ ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আন্তরিক চেষ্টা থাকবে এমন কবিতা আরো লেখার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.