নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ লিখলেন, “তানজিম বড় হয়ে পড়বে।”

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩






ঘুম ভেঙ্গে গেল, ওঠে সময় দেখলাম পৌনে তিনটা, চোখে ঘুমের লেশমাত্র নেই। সময়টাকে কাজে লাগাই, দাঁত মাজলাম, ওজু করে নামাজ পড়লাম। তার পরও দেখি তিনটা পনোরো। কি করি? একটা বইয়ের কথা মনে পড়ল, হুমায়ূন আহমেদের লেখা – “জোছনা ও জননীর গল্প”। হঠাত করে এত রাতে ওই বইটার কথা মনে পড়ার একটা কারণ আছে।

সালটা খেয়াল নেই, বই মেলাতে গিয়েছি আমরা তিন জন – আমি, আমার স্ত্রী (তুহিন) ও আমার ছেলে (তানজিম)। শিশু তানজিমের জন্য কিছু শিশুতোষ বই কিনলাম, ও প্রথম শ্রেণীতে পড়ে, কিন্তু গল্পের বইয়ের খুব শখ।কী কী বই কিনব তা আমরা দু’জন মেলায় আসার আগেই ঠিক করে এসেছি – তালিকায় “জোছনা ও জননীর গল্প” ও আছে, সেবারই বইটা প্রথম মেলায় এসেছে। অন্যপ্রকাশের স্টলের সামনে অসম্ভব ভীড়, হুমায়ূন আহমেদ অটোগ্রাফ দিচ্ছেন তার কেনা বইয়ে তার ভক্তদের। বই কিনে যথারীতি লাইনে দাঁড়ালাম অটোগ্রাফের জন্য, তানজিমের খুব ইচ্ছা অটোগ্রাফটা ও নিবে। ভক্তরা অটোগ্রাফ নিয়ে হাসিমুখে প্রস্থান করছে। তানজিমের পালা এগিয়ে আসছে, লাইনে দাঁড়িয়ে আমি ভাবছি, লেখক গুরু-গম্ভীর এই উপন্যাসের জন্য তার এই ক্ষুদে ভক্তের জন্য কি লিখবেন? বইটা হাতে নিয়ে উনি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে নাম জানতে চাইল। ও উত্তর দিল:
-তানজিম।
মাথা নামিয়ে খস খস লিখে বইটা ফেরত দিলেন।
উনার প্রত্যুৎপন্নমতি আমাকে মুগ্ধ করল, উনি সম্ভবত: লিখেছিলেন: “বড় হয়ে পড়বে”।
আমার সেই অনুমানটা যাচাই করার জন্যই এই খোঁজাখুঁজি।

বুক শেলফে খুঁজতে গিয়ে দেখি হুমায়ূন আহমেদের “শ্রেষ্ঠ উপন্যাস”- অনেকগুলো ভাল ভাল উপন্যাসের সংগ্রহ। বের করে নিয়ে ওটার উপরের খাপটা সরাতেই দু’তিনটা তেলাপোকা হাত বেয়ে গায়ে ওঠে পড়ল-বইটা টেবিলে রেখে গা ঝাড়া দিলাম, দৌড়ে তারা পালাল্। আমার ওপর ওদের এই উপদ্রব আমি হাসি মুখে মেনে নেই, কিন্তু যখন দেখি বইয়ের পাতার গায়ে তাদের ডিমের কারুকার্য, যা বই গুলোকে নোংরা করে অপাঠ যোগ্য করে তোলে, তখন মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু বই কেঁটেও ফেলেছে। একটা কাপড় নিয়ে এসে বইটার পাতাগুলো পরিষ্কার করলাম।তারপর পেলাম হুমায়ূন আহমেদের দশটা সেরা ছোট গল্পের সংকলন “দশজন”, ওটা মোটামুটি ভালই আছে। ড্রইং রুমের বুক শেলফটার সব গুলো বই খুঁজে দেখলাম, “জোছনা ও জননীর গল্প” বইটা পেলামনা। সম্ভাব্য আরোকটা জায়গা, শোবার ঘরের পুরনো বুক শেলফটা। শোবার ঘরে তুহিন অঘোরে ঘুমাচ্ছে, লাইটা জ্বালালে ওর ঘুম ভেঙ্গে যাবে, তাই বিরতি দিলাম, সকালে খুঁজব।

১৫ই আগস্ট, জাতীয় শোকদিবস – অফিস যাওয়ার তাড়া নেই। ফজরের নামাজ পড়ে ধানমন্ডি লেকের দিকে রওনা হলাম ঝিকাতলা থেকে। ধানমন্ডি তিন নম্বর রোডের আওয়ামী লীগের অফিসে থেকে ভেসে আসছে কুরআন তেলায়াতের আওয়াজ, শুনতে শুনতে আনাম রাংগসের পাশ দিয়ে ঢুঁকে গেলাম লেকে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে, ঠান্ডা হাওয়ায় গা জুড়িয়ে যাচ্ছে, লেকের পাড়ের গাছগুলো নুয়ে পড়েছে জলের একেবারে কাছে, স্বচ্ছ পানিতে তাদের ছায়া-প্রকৃতি এখনো কত নির্মল!!!
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই মানুষকে চলে যেতে হয়, সেই চলে যাওয়ার দলে আছে মা, বাবা আরো অনেকে, আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। অপেক্ষমানের তালিকায় আছি আমি, আমরা।
তাই ছুটির এই সকালে চলে গেলাম আজিমপুর – যেখানে শুয়ে আছেন মা, বাবা। বাসায় ফেরার পথে কিছু কাঁচাবাজার করে বাসায় ফিরলাম আটটায়।মুখহাত ধুয়ে সোজা শোবার ঘরের বুক শেলফে তল্লাশী। একটু খুঁজতেই পেয়ে গেলাম বহুল কাঙ্খিত বইটা। কিন্তু বইটার পাতাগুলো খোলা যাচ্ছে না, তোলাপোকার পাড়া ডিম শুকিয়ে পাতাগুলোকে সেঁটে দিয়েছে। একটি কাপড় দিয়ে যত্ন করে সব পরিষ্কার করে বইয়ের পাতাগুলো অবমুক্ত করলাম।
হুমায়ূন আহমেদের লেখাটা খুঁজে পেলাম, উনি লিখেছিলেন : “তানজিম বড় হয়ে পড়বে।”

মোবাইলটা নিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম।
হুমায়ূন স্যারের কথা ঠিক, সেদিনের শিশু তানজিমের গল্পের বই পড়ার খুব নেশা। পড়তে পড়তে সেই শিশু কিশোর বয়স থেকেই এক-আধটু লিখে আসছে, তারুণ্যে সে লেখা আরো পরিপক্ক হয়েছে। এবার একুশের বইমেলায় বেশ কয়েকটা গল্প বেরিয়েছে। ওর প্রায় সবলেখার প্রথম পাঠক আমি আর আমার প্রায় সবলেখার প্রথম পাঠক ও। পিতা-পুত্রের এই যৌথ প্রচেষ্টায় একটা কঠিন প্রকল্প হাতে নিয়েছি - “জোছনা ও জননীর গল্প” নিয়ে আমার অনুভূতির কথা লিখব, আলোচনা নয়।

এত বিশাল মাপের একজন লেখকের এত মহান একটা উপন্যাসের আলোচনা আমার মত একজন নগণ্য মানুষের মানায় না, কিন্তু ২০০৪ সালে পড়া উপন্যাসটা আমাকে যেভাবে আলোড়িত করেছিল, তা পাঠকদের জানাতেই আমার এই দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা। অনেককিছুই ভুলে গেছি, আবার নতুন করে পড়ছি, প্রতি সপ্তাহে কিছু লেখার আশা রেখে আজকের মত শেষ করছি।

ঢাকা
১৮ আগস্ট ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চলুক। আপনার লেখার ডিটেইল বর্ণনা বেশ ভালো লেগেছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

চালিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব।

আমার বর্ণনা আপনার ভাললেগেছে জেনে উৎসাহিত বোধ করছি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লিখবেন নিয়মিত। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

চেষ্টা করব নিয়মিত লিখতে, যদি আল্লাহ সহায় হোন।

আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২০

সামিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো, কথা গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। “জোছনা ও জননীর গল্প” বইটা তে আমার চাচার নাম আছে যেখানে বই এর শেষ পাতায় শহিদদের লিস্ট দেয়া। আমার চাচা যশোর ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন ওই সময় পাক হানাদার বাহিনীরা ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে সবাই কে হত্যা করে, আমার চাচা আর্মিতে ছিলেন। চাচার ছুটিতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল, আব্বু কে টেলিগ্রাম করে সে কথা জানিয়েছিল, সাথে বলেছিল, রাজহাঁস কিনে রাখতে, সে ছুটিতে এসে রাজহাঁস দিয়ে চালের রুটি পিঠা খেতে চেয়েছিল। আমার আব্বু আম্মু তারপর থেকে এখন পর্যন্ত রাজহাঁস খায়নি রান্না ও হয়নি। একদিন আমি স্বপ্ন থেকে রাজহাঁস কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম বাসায় , ব্যাপার টা ঝোঁকের বশে করেছিলাম, সবাই কিনেছে আমি ও কিনলাম এরকম, ওই দিন আব্বুর কি রাগারাগি, তারপর দরজা বন্ধ করে বাচ্চা দের মত হাউমাউ করে কেদেছে। দাদা দাদী ও বেশি দিন বাঁচেনি,চাচার শোকেই শেষ হয়ে গেছেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আজ দুপুরের দিকে গ্রীণরোডে গ্রীণলাইফ হাসপাতালের রিসেপশনে বসে মোবাইল থেকে আপনার মন্তব্যটা পড়ে বুকটা দুমড়ো-মুচড়ো গেল, আশে-পাশে অনেক লোক, তাই নিজেকে সম্বরণ করলাম। এই উপন্যাসের শুরুতেই কিন্তু রাজহাঁসের কথা আছে, ইরতাজউদ্দিন তার ছোট ভাতিজির রুনির জন্য নিয়ে এসেছিল - কি অদ্ভুত মিল!

শহীদ ভাইয়ের জন্য যে সুগভীর ভালবাসা, তার বিনিময় স্বাধীনতা ছাড়া আর কি হতে পারে !!!!

আপনার চাচা সহ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি !!!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বইটা '১৪ সালের দিকে পড়েছি । মুক্তিযুদ্ধকে উপলোব্ধি করতে অবশ্যপাঠ্য!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু পাঠ ও মন্তব্যে।


//মুক্তিযুদ্ধকে উপলোব্ধি করতে অবশ্যপাঠ্য!// - সহমত।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

ফারহানা তাবাসসুম বলেছেন: ভালো লাগলো। :-)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ফারহানা তাবাসসুম পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি এই বইটি শুরু থেকে বেশ কিছু দূর পর্যন্ত পড়েছি। কিন্তু শেষ করা হয়ে উঠেনা। কিছু কিছু অংশ পড়ে কান্নাও পেয়েছে। ভাবছি আজ থেকে আবার শুরু করবো পড়া।

আপনার অনুভূতি জানার অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌসা রুহী পাঠ ও মন্তব্যে।

যে উপন্যাস আপনাকে কাঁদাতে পারে, তার সাহিত্য মূল্য যে কত উঁচুতে, তা সাধারণ মানুষেরও বোধগম্য হওয়ার কথা।

আমার অনুভূতির গুলো কি এই মহৎ উপন্যাসকে ধারণ করতে পারবে সঠিক ভাবে?
চেষ্টা থাকবে ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

অদৃশ্য বলেছেন:



চমৎকার গল্প, বাস্তব জীবনের... আপনার ছেলে বড় হয়ে সৎ লেখক হোক এমনই দোওয়া রইলো...

শুভকামনা...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করেন।

আপনার জন্যও শুভকামনা।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। প্রচেষ্টা চলুক।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর ইচ্ছে !!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০০

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনার লেখার হাত অনেক সুন্দর।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ হাসানূর রহমান রিজভী পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার প্রশংসা পেয়ে ভাললাগছে, এমনি সুন্দর লেখায় যেন আপনাদের আনন্দ দিতে পারি।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: প্রচেষ্টা চলুক। সেই সাথে শত শত লেখক বের হচেছ বই মেলা থেকে তাদের কারও কারও বই নিয়েও লিখবেন। আশাকরি পৃথিবীর মানুষের নতুনে এখনো আকর্শন আছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:০০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুন নাহার লিলিয়ান পাঠ ও উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।

নতুনদের নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

আমি ইহতিব বলেছেন: অসাধারণ, শুভ কামনা থাকলো আপনাদের জন্য।
এই বইটা পড়তে গিয়ে কতবার যে থমকে গিয়েছি, অনেক জায়গায় এসে পড়া বন্ধ করে দিয়েছি দু' একদিনের জন্য। মর্মান্তিক ঘটনার বর্নণাগুলো নিতে পারতামনা, কেমন যেন ব্ল্যাংক লাগত। সবার পড়া উচিত এই বইটি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আমি ইহতিব পাঠ ও মন্তব্যে।

//এই বইটা পড়তে গিয়ে কতবার যে থমকে গিয়েছি, অনেক জায়গায় এসে পড়া বন্ধ করে দিয়েছি দু' একদিনের জন্য।// - আপনার মত আমিও থমকে গেছি, দু'চোখ বেয়ে .. । তবে থেমে থাকিনি, আবার শুরু করেছি .. শেষটা যে আমাকে জানতেই হবে, নির্জন রাতের আঁধারে নির্ঘুম রাতের সঙ্গী "জোছনা ও জননীর গল্প"।

// মর্মান্তিক ঘটনার বর্নণাগুলো নিতে পারতামনা, কেমন যেন ব্ল্যাংক লাগত।// - আপনার অনুভূতির তীব্রতায় উপন্যাসটার আবেগী দিকটা ফুটে ওঠেছে।

//সবার পড়া উচিত এই বইটি। // - সহমত

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার আত্মকাহিনীমূলক লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগে। আজকের লেখাও ভালো লাগল। তানজিমের প্রতি আশির্বাদ রইল। ধন্যবাদ

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আমার আত্মকাহিনীমূলক লেখাগুলো পড়তে ছড়াকার প্রামানিক ভাইয়ের ভাললাগে জেনে খুব ভাললাগছে।

আপনার আশীর্বাদ ওর পথের পাথেয় হোক।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হুমায়ুন সেরা বই গুলির একটি ,"জোছনা ও জননীর গল্প" ।
অসাধারণ লিখেছেন তিনি । আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রইলাম ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

//হুমায়ুন সেরা বই গুলির একটি ,"জোছনা ও জননীর গল্প" । অসাধারণ লিখেছেন তিনি ।// - সহমত ।

ইনশাআল্লাহ আপনার/আপনাদের সকলের বিপুল আগ্রহে আমি বিমোহিত, আপনাদের এত বিপুল আগ্রহের সম্মান যেন আমি রাখতে পারি, আল্লাহর কাছে সেই দোয়া এই অতি সামান্য বান্দার।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: দেখা হলো না তাঁকে … সারাজীবন আফসোস থেকে যাবে।

আপনি চমৎকার লিখেন …

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাদিহা মৌ পাঠ ও মন্তব্যে।

আমার লেখা আপনার ভাললেগে জেনে ভাললাগছে, একজন ভাল লেখকের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে লেখার প্রতি মায়া বেড়ে গেল !!!

//দেখা হলো না তাঁকে … সারাজীবন আফসোস থেকে যাবে। // - আপনার অভিব্যক্তিটা নিখাঁদ।
দূর-কাছ সব মিলিয়ে আধাঘন্টার দেখা হুমায়ূন স্যারকে - খুব সাধারণ এবং এত জনপ্রিয় একজন লেখক হওয়া সত্বেও খুব অমায়িক ও নিরহংকার মনে হয়েছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতি সপ্তাহে কিছু লেখার আশা রেখে আজকের মত শেষ করছি। -- এটাই একটা বড় আশার কথা শুনিয়ে গেলেন, শামছুল ইসলাম। অনেকদিন ধরে আপনার কোন নতুন লেখা পাচ্ছিলাম না বলে ধরেই নিয়েছিলাম যে দাপ্তরিক কিংবা সাংসারিক কাজে আপনি হয়তো বা ভয়ানক রকমের ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এখন থেকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে আপনার নতুন লেখা পাব জেনে আনন্দিত হ'লাম।
লেখক তানজিমের জন্য দোয়া রইলো। একজন সংবেদনশীল ব্যক্তির সন্তান হিসেবে ওরও একটি সংবেদনশীল মন থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
আপনার মরহুম পিতামাতা সহ আমাদের সকল প্রয়াত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

ব্যস্ততা একটুছিল এটা সত্যি আবার এই রকম ব্যস্ততায় যে লেখা যায়না তা নয়। তা হলে ব্যাপারটা খুলেই বলি।
কোন যেন আমার মনে হলো, আমি "লাইক" আসক্ত হয়ে পড়ছি-কোন কিছুতেই আসক্তি ভাল নয়।
দেখলাম, পরিবার, আশে-পাশের লোকজনের সাথে আমি অস্বাভাবিক আচরণ করছি - যেটা আমার চরিত্রের সাথে যায়না।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, সাময়িক বিরতির।

আমি লেখি মনের আনন্দের জন্য, সেটা যদি পরিণামে নিরানন্দের কারণ হয়, তবে তা পরিত্যাগ করা আমার কাছে জরুরী হয়ে পড়েছিল।

জানিনা কতটা পারব, নির্মোহ হয়ে শুধুই আনন্দের জন্য লেখার প্রচেষ্টা থাকবে।

আপনার মত সজ্জন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কবুল করুন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪২

অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: চমৎকার লেখনি

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অনিন্দ্য অবনী পাঠ ও মন্তব্যে।

লেখাটা আপনার চমৎকার লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল হয়েছে ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে ভাললাগছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার লেখনি



অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান পাঠ ও মন্তব্যে।

অপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
শব্দকে সাজানো সহজ। জীবন্ত করা কঠিন।
কিন্তু পড়ে মনে হচ্ছে কঠিন কাজটাই কতো সহজ।

আশার বাস্তবায়ন হোক।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র পাঠ ও মন্তব্যে।

একজন শব্দ সৈনিকের কাছ থেকে এমন অনুপ্রেরণা পেলে, কঠিন কাজও সহজ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহঃ
//শব্দকে সাজানো সহজ। জীবন্ত করা কঠিন।
কিন্তু পড়ে মনে হচ্ছে কঠিন কাজটাই কতো সহজ। //

ভাল থাকুন। সবসময়।

২০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

শেয়াল বলেছেন: ভাল পোস্ট ! !

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও মন্তব্যে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার সংগ্রহেও আছে, পড়েছিলাম যখন বের হয়েছিল, তখন। পোস্ট ভাল লেগেছে, নিত্যদিনকার গল্প চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে। যাই পরের পর্বে।

ভাল থাকুন সবসময়। :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

পোস্ট ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০

নীলপরি বলেছেন: এই পর্বটা মিস হয়ে গেছিল ! শুরুটা খুব ভালো করেছেন ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি পাঠ ও মন্তব্যে।

খুব ভাললেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.