নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

“জোছনা ও জননীর গল্প” – পূর্বকথা (২য় পর্ব)

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭



গতপর্বে “জোছনা ও জননীর গল্প”- এর ভূমিকায় কিছু কথা ছিল, কেউ চাইলে নীচের লিঙ্কে যেয়ে পড়তে পারেন। আজ উপন্যাস শুরুর আগে লেখক "পূর্বকথা"-য় যা বলতে চেয়েছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করব।

জোছনা ও জননীর গল্প - ভূমিকা (১ম পর্ব)

একটি বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ ভূখন্ডের মানুষকে নিয়ে যে উপন্যাসের সৃষ্টি, তাকে বুঝতে হলে সেই সময়কে নিয়ে লেখকের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাকে জানতে হবে, লেখকের মনোজগতের সাথে নিজেকে একাত্ম হতে হবে। হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস শুরুর আগেই “পূর্বকথা”-য় তার আলোকপাত করেছেন।

তেইশটি বসন্ত পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি অনার্স দিয়ে লেকচারার হিসাবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগ দেওয়ার জন্য লেখক অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান, এমনি সময়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। একজন আদর্শ ভালো ছাত্র হিসেবে বন্ধুহীন লেখক কারো সাথে-পাঁচে নেই- ঊনত্তুরের গণআন্দোলনের তীব্র উত্তেজনাও এই যুবককে ছুঁতে পারেনি। পাবলিক লাইব্রেরী, শরীফ মিয়ার চায়ের ক্যান্টিন, বাংলা একাডেমী – লেখকের একান্ত আপন পরিমন্ডল। সুবোধ বালকের মত সন্ধ্যার আগে আগেই মহসিন হলের বইয়ে ঠাঁসা রুমটায় ঢুঁকে পড়েন, বাইরের তুমুল উত্তেজনার কিছুই তাঁকে স্পর্শ করেনা, উনি বিভোর হয়ে গানের জগতে ডুবে যান- কেন পান্থ এ চঞ্চলতা?

তরুণ লেখকের পরিচিত সাজানো সেই জগত পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ল ১৯৭১ সালে। লেখক চমৎকার একটা উপমা দিয়ে সেই সময়টাকে তুলে ধরেছেন, “ছায়াঘেরা শান্ত দিঘির একটা মাছকে হঠাৎ যেন নিয়ে যাওয়া হলো চৈত্রের দাবদাহে ঝলসে যাওয়া স্থলভূমিতে।“ বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে লেখকের দিনগুলো কাঁটতে লাগল – এমনকি মৃত্যুকে অতি নিকট থেকে তিনি দেখলেন।

সেই সব বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে বেশ কিছু গল্প-উপন্যাসও লিখলেন, কিন্তু পুরোসময়টাকে বন্দী করে বিরাট মাপের একটা উপন্যাস লেখার তাড়না হৃদয়ের ভিতর থেকে উপলব্ধি করলেন।

একজন লেখক যখন লেখতে শুরু করে, তখন অনেকটা নিজের জন্যই লেখেন। লেখনীর মাধ্যমে তিনি তাঁর চিন্তাকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেন, পাঠক হৃদয়ে একটা জায়গা করে নিতে চান। তারপর একসময় লেখক যখন পাঠক হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন, তখন পাঠকের ভালবাসার প্রতিদান দিতে চান, যে দেশের জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠেছেন- সেই দেশের জন্য, সেই দেশের মানুষের জন্য, তাঁর মনে একটা দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

হুমায়ূন আহমেদের ভাষায় তাঁর সেই দায়বদ্ধতার কথা শুনিঃ
“একসময় মনে হলো, মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় ধরে রাখার জন্য একটা উপন্যাস লেখা উচিত।মানুষকে যেমন পিতৃঋণ-মাতৃঋণ শোধ করতে হয়, দেশমাতার ঋণও শোধ করতে হয়। একজন লেখক সেই ঋণ শোধ করেন লেখার মাধ্যমে।“
ভোরের কাগজে ধারাবাহিক ভাবে “জোছনা ও জননীর গল্প” নামে উপন্যাসটা ছয়-সাত পর্ব লেখার পর বিরতি। অন্য আরো অনেক কাজের ভীড়ে উপন্যাসটা আর লেখা হয়ে ওঠেনা। হাতে ঢের সময় আছে - এই ভেবে সময় গড়াতে থাকে। তারপর একদিন হঠাত আবিষ্কার করেন, হাতে সময় খুব অল্প – ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য শুয়ে আছেন ট্রলিতে, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে। চেতনার পরিচিত জগত থেকে অবচেতনের জগতে, মৃত্যুর দিকে যেতে যেতেও লেখকের সমস্ত মন জুড়ে অসম্পূর্ণ উপন্যাসের জন্য আহাজারি- আবার পৃথিবীতে ফিরে কাজটা সম্পূর্ণ করার জন্য লেখক মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

দেশে ফিরে দুর্বল শরীর নিয়েও উনি লেখা চালিয়ে গেলেন, দেশমাতার ঋণ যে তাকে শোধ করতেই হবে। একদিন তা শেষ হলো, অসীম আনন্দে লেখক আপ্লুত হলেন।

সেই আনন্দের মাঝে তিনি স্মরণ করলেন মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত বিভিন্ন বইয়ের, যা তাকে প্রভূত সাহায্য করেছে এই কালজয়ী উপন্যাস রচনায়। স্মরণ করলেন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের উপন্যাসের পরিশিষ্টে।

বিশেষভাবে স্মরণ করলেন গুলতেকিনকে, যিনি এই বই প্রকাশের বিশ বছর আগে, তাঁর এক জন্মদিনে পাঁচশ পৃষ্ঠার নীল মলাটের স্পাইরাল বাইন্ডিং করা একটা খাতা লেখককে উপহার দিয়েছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন প্রতিদিন একপাতা করে হলেও যেন উনি মুক্তিযুদ্ধের কথা লেখেন, মুক্তিযুদ্ধের বড় একটা উপন্যাস সৃষ্টি করেন।

নীল মলাটের নীল বেদনা নিয়ে “জোছনা ও জননীর গল্প” মাসুম রহমানের কালো প্রচ্ছদ কভারে নয়মাসের অন্ধকার স্মৃতি ধারণ করে, বিজয়ের মধুর দিনের উজ্জ্বলতা নিয়ে সোনালী ছাপার অক্ষরে খুদিত হয়ে, পাঠকের হাতে এলো ২০০৪ সালের একুশের বইমেলায় অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলামের হাত ধরে।

মহাআনন্দের এই দিনে গুলতেকিন, পরম করুণাময় আল্লাহ ও দেশকে স্মরণ করে তাঁর উক্তিঃ
“সারা জীবনই গুলতেকিনকে অসুখী করেছি। মনে হয় আজ সে খুশি হবে।“
“পরম করুণাময় আমাকে এই গ্রন্থটি লেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁর প্রতি জানাচ্ছি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা । দল-মত-ধর্ম সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশের কামনা করে পূর্বকথা শেষ করছি।“

দেশমাতার ঋণ শোধ করে বইটা উৎসর্গ করলেন যথার্থ ব্যক্তিকে, মা ও শহীদ বাবাকে।

চলবে.....

ঢাকা
২২ আগস্ট ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

কাজী শীপু বলেছেন: আমরা বড়ই ভাগ্যবান যে, তার মতো লেখক পেয়েছিলাম।
আপনি কিন্তু নিয়মিত এই লেখাটা লিখে যাবেন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী শীপু ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

খুব খাঁটি কথা বলেছেনঃ
//আমরা বড়ই ভাগ্যবান যে, তার মতো লেখক পেয়েছিলাম।//

চেষ্টা করব আপ্রাণ-আল্লাহ যেন সহায় হোন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

আলগা কপাল বলেছেন: বইটি আমার সংগ্রহে আছে। অস্বাভাবিক বড় বলে পড়বো পড়বো করে পড়া হয়ে উঠছে না।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আলগা কপাল পাঠ ও মন্তব্যে।

আজই শুরু করুননা, প্রতিদিন কয়েক পাতা করে পড়ুন। আনন্দের জন্য পড়ুন, শেষ করার জন্য না। যতদিন লাগে তাতে তো কিছু আসে যায়না, ওটা তো পরীক্ষায় আসছেনা, তাই তাড়াহুড়ার কিছু নেই।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
আপনি অনুপ্রাণিত করছেন।
ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র পাঠ ও মন্তব্যে।

আমার বিরাট ভাগ্য যে আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছি।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগছে লেখার পেছনের কথা গুলো।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিছু অংশ পর্যন্ত পড়েছি, বাকি অংশ পড়তে হবে দ্রুতই।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌসা রুহী পাঠ ও মন্তব্যে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামসুল ইসলাম,




আসলেই কোনও বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে কোনও ভূখন্ডের মানুষকে নিয়ে যে কাহিনী গড়ে ওঠে তাকে বুঝতে হলে সেই সময়কে নিয়ে লেখকের অভিজ্ঞতাকে বুঝতে হবে, তার অনুভূতিকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাকে জানতে হবে, তার মনোজগতকে অনুধাবন করতে হবে । নিজেকে একাত্ম হতে হবে কাহিনীর মূল বিন্দুতে । তবেই দেশ-কাল-মাটির কাছাকাছি আসা যায় ।
এই বইটি সেই মাটির কাছেই নিয়ে গেছে পাঠককে ।

সুন্দর রিভিয়্যু ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনি যথার্থই বলেছেনঃ

//আসলেই কোনও বিশেষ সময়কে কেন্দ্র করে কোনও ভূখন্ডের মানুষকে নিয়ে যে কাহিনী গড়ে ওঠে তাকে বুঝতে হলে সেই সময়কে নিয়ে লেখকের অভিজ্ঞতাকে বুঝতে হবে, তার অনুভূতিকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাকে জানতে হবে, তার মনোজগতকে অনুধাবন করতে হবে । নিজেকে একাত্ম হতে হবে কাহিনীর মূল বিন্দুতে । তবেই দেশ-কাল-মাটির কাছাকাছি আসা যায় ।
এই বইটি সেই মাটির কাছেই নিয়ে গেছে পাঠককে ।//

আপনার কথাগুলো এই পোস্টকে আরো সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে।

রিভিউয়ের প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

কল্লোল পথিক বলেছেন:





পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক পাঠ ও মন্তব্যে।

আশা করি খুব শীঘ্রই আপনার অপেক্ষার অবসান হবে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার পর্বের সাথে আছি। আপনি চালিয়ে যান।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

সাথে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

মাদিহা মৌ বলেছেন: বইটা পড়ার আগে পূর্বকথা পড়েছিলাম। আপনি সেটাকে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে লিখছেন।

ভালো লেগেছে …

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাদিহা মৌ পাঠ ও মন্তব্যে।

চেষ্টা করেছি সহজ করে লেখতে, আপনার ভাললেগেছে জেনে পরিশ্রম সার্থক হয়েছে মনে হচ্ছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার বইটি পড়ে মনে হয়েছে, খুব একটা যত্ন নিয়ে লিখতে পারেন নাই লেখক, আরও অনেক অনেক ভাল হতে পারতো উপন্যাসটি, নিঃসন্দেহে হুমায়ুন আহমেদের সেই ক্ষমতা ছিল।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

হুমায়ুন আহমেদের ক্ষমতার প্রতি আপনার আস্থা দেখে ভাললেগেছে, হয়ত অসুস্থতার জন্য তেমন যত্ন নিতে পারেননি।

তবে আমার কাছে কিন্তু উপন্যাসটা দারুণ লেগেছে।

সাহিত্যের ক্ষেত্রে মানুষের ভাললাগার এমন তারতম্য হতেই পারে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বইটা সম্পর্কে আপনার নিখুঁত বর্ণনা ভালো লাগছে ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম ভাই। হুমায়ুন আহমেদের প্রায় সব বই একাধিকবার করে পড়েছি, উনার লেখা খুব ভাল লাগত, সে এক বিশাল গল্প। হুমায়ুন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে একবার একটা পোস্টও লিখেছিলাম। কিন্তু এই ধরনের বিশাল পরিসরের গল্প, সাথে ঐতিহাসিক এবং একটি জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখা উপন্যাস লিখতে গিয়ে উনি কিছুটা ব্যর্থ। উনি যে বড় পরিসরের উপন্যাস লিখতে ব্যর্থ ছিলেন এটা একজন ডাইহার্ড হুমায়ুন এর গল্প উপন্যাসের ভক্ত হয়েও বলতে আমার দ্বিধা নেই। আসলে আমাদের দেশে বড় পরিসরে গল্প উপন্যাসের লেখক এবং পাঠক উভয়েরই ঘাটতি আছে। "কড়ি দিয়ে কিনলাম" বা প্রথম আলো-সেই সময়-পূর্ব-পশ্চিম এর মত ট্রিলজী আমাদের দেশের লেখকদের হাত দিয়ে কেন বের হয়ে আসে নাই? হুমায়ুন আহমেদের মেধা ছিল, কিন্তু সেই ক্ষমতা কি ছিল? থাকলে এত সুদীর্ঘ লেখক জীবনে কেন তিনি বড় কলেবরের উপন্যাস লিখলেন না? এই আক্ষেপ আমার সারা জীবনের। উত্তরটাও আমি জানি, উনি মধ্যবিত্ত জীবনের কোন একটি ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে গল্প/উপন্যাস লিখে গেছেন। কিন্তু একটি জীবন ঘিরে আবর্তিত ঘটনামালা নিয়ে বড় কোন রচনা করে যেতে পারেন নাই।

পুরো মন্তব্যটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত মাত্র। আমি কোন সাহিত্যের ছাত্র নই এবং খবু বেশী গল্প উপন্যাস পড়ুয়াও নই। তারপরও নিজের প্রিয় লেখক সম্পর্কে সমালোচনাটুকু করলাম আরকি।

ভাল থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা রইবে সবসময়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা ভাই পাঠ ও বিশাল মন্তব্যের জন্য।

//আসলে আমাদের দেশে বড় পরিসরে গল্প উপন্যাসের লেখক এবং পাঠক উভয়েরই ঘাটতি আছে।// - আপনার লেখার সূত্র ধরেই বলতে চাই, লেখকরা কিন্তু আমাদের এই সমাজেরই একজন। তিনি যদি বুঝতে পারেন, বড় উপন্যাস পাঠক খাবে না, তা হলে কেন উনি তেমন অখাদ্য একটা জিনিস তৈরী করতে যাবেন?

আমরা মোবাইলে (আগে টেলিফোনে) বা আড্ডায় ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করতে ভালবাসি, বিভিন্ন সিরিয়াল দেখে সময় পার করি, একটা বই হাতে নিলেই ঘুম চলে আসে বা রাজ্যের কাজ তখন এসে হাজির হয়। একটু হালকা ধরণের কিছু একটা পেলে, মাথার উপর চাপ না দিয়ে পড়ে শেষ করতে আরাম বোধ করি।

সুতরাং পাঠকের মন-মানসিকতা মাথায় না রেখে কিছু একটা লেখলে, প্রকাশক খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে। যদিও বা পাওয়া যায়, কাটতি থাকবে না।

আপনার আমিও সাহিত্যের ছাত্র নই (হুমায়ূন আহমেদও কিন্তু সাহিত্যের ছাত্র নন), আপনার অভিমতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমিও দু'এক কথা লেখলাম।

আপনিও ভাল থাকুন।




১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। প্রাঞ্জল বক্তব্যের সাথে খুব সহজেই পাঠককে ক্যারী করতে পেরেছেন। "লাইক"।
বোকা মানুষ বলতে চায় এর মন্তব্য দুটোও ভালো লেগেছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

//প্রাঞ্জল বক্তব্যের সাথে খুব সহজেই পাঠককে ক্যারী করতে পেরেছেন।// - পাঠককে সাথে নিতে পারছি জেনে ভাললাগছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
হুমায়ুন আহামেদ দেশকে ভালবাসতেন, মানুষকে তিনি স্বপ্ন দেখাতে পারতেন। এটাই তার বড় শক্তি!

মহান এই লেখকের প্রতিটি লেখায় তার পরিচয় বেরিয়ে আসে। এটাই তাকে আলাদা করে দিয়েছে! আরেকটা হুমায়ুন বাংলা সাহিত্যে আসবে কবে সেটা ভাবতেই বুঝতে পারছি আমরা কি হারিয়েছি।

অতি প্রিয় একজন লেখককে ও তার সৃষ্টি নিয়ে লেখায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা পাঠ ও মন্তব্যে ।

আপনি হুমায়ূন আহমেদকে যে কারণে শক্তিশালী লেখক হিসাবে দেখছেন, তার সাথে আমিও একমত । দেশকে ভালবাসা, মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর কাজটা তিনি এত অনায়াসে করেছেন, আমি মাঝে মাঝে অবাক হই ।

//আরেকটা হুমায়ুন বাংলা সাহিত্যে আসবে কবে সেটা ভাবতেই বুঝতে পারছি আমরা কি হারিয়েছি।
// --- সহমত ।

আপনার প্রিয় লেখককে নিয়ে লেখতে পেরে আমারও ভাললাগছে ।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.