নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

“জোছনা ও জননীর গল্প” – মুক্তিযুদ্ধের শুরুর কথা (৪র্থ পর্ব)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩



প্রধান চরিত্রের পাশাপাশি পার্শ্বচরিত্রের প্রতিও হুমায়ূন আহমেদ সমানভাবে যত্নশীল। তাঁর উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রই তাই স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। আজকের পর্বে ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরীর সাথে নীলগঞ্জ হাইস্কুলের হেডমাস্টার মনসুর সাহেবের আলাপচারিতায় তাঁর চরিত্রের এমন কিছু দিক প্রকাশ পেয়েছে, যাতে কখনো তাঁকে ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরীর চেয়ে উজ্জ্বল মনে হয়েছে।
তাই নীলগঞ্জ হাইস্কুলের দুই শিক্ষক মাওলানা ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরীর, প্রধান শিক্ষক মনসুর সাহেব ও তাঁদের ঘিরে থাকা আরো কিছু মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠা নীলগঞ্জ নামের একটা গ্রামের গল্প আজ আমি বলবো।

আগের পর্বগুলোঃ

জোছনা ও জননীর গল্প – ভূমিকা

জোছনা ও জননীর গল্প- পূর্বকথা

জোছনা ও জননীর গল্প- মুক্তিযুদ্ধের শুরুর কথা

ঘটনাপ্রবাহ

ঢাকা শহর থেকে ফেরার সময় ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরী একটা পতাকা কিনে নিয়ে এসেছিলেন স্কুলের জন্য। আগেরটার রঙ জ্বলে যাওয়ায় উনি ১২ টাকা দিয়ে সিল্কের বড় গাঢ় সবুজ রঙের জাতীয় পতাকাটা কেনেন এবং স্কুলের মাঠে পত পত করে পতাকাটার উড়ার দৃশ্যটা মুগ্ধ হয়ে দেখছিলেন। তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল যেন একটা সবুজ রঙের টিয়া পাখি উড়ছে, গভীর আনন্দে তাঁর চোখে পানিও এসে গেল, এমনি সময়ে স্কুলের দপ্তরি মধু এসে তাতে ছেদ টানে – উনাকে হেডস্যার ডাকছেন। সেই আনন্দটুকু সঙ্গে করে উনি হেডস্যারের রুমে গেলেন এবং বিস্ময়ের সাথে উপলব্ধি করলেন, উনার প্রিয় হেডস্যার উনার এই আনন্দটাকে নির্মম ভাবে আঘাত করলেন।

জাতীয় পতাকাকে হেডস্যার অপ্রয়োজনীয় আখ্যায়িত করে এর জন্য ইরতাজউদ্দিন যে টাকা খরচ করেছেন তা স্কুল ফান্ড থেকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন।

সাথে ইরতাজউদ্দিনকে অনুরোধ করেন উনার অসুস্থ স্ত্রীর জন্য দোয়া করার জন্য।

সকালের এই ঘটনায় ইরতাজউদ্দিন অত্যন্ত মর্মাহত এবং জোহরের নামাজের পর পাকিস্তানের সংহতি ও মঙ্গলের জন্য দীর্ঘ প্রার্থনা করেন। হেডমাস্টার সাহেবের স্ত্রীর জন্য দোয়া করতে ভুলে যাওয়ায় মনটা খারাপ হয়ে যায় এবং আবার নফল নামাজ পড়লেন।

সেইদিনটা ছিল পহেলা মার্চ ১৯৭১ এবং এইদিন দুপুরে ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষনা করেন।

ঘটনাবহুল এইদিনের সন্ধ্যাটা ইরতাজউদ্দিনের জন্য ছিল আরো ঘটনাবহুল। মধু এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় হেডস্যারের বাসায় খাওয়ার জন্য। সেখানে হেডস্যার তাঁর বড় শ্যালককে লেখা চিঠি গড় গড় করে মুখস্ত পড়ে শোনান-যার সার কথা ছিল উনি যদি ভাল মনে করেন তবে পাবনা মেন্টাল হাসপাতালে তাঁর বোনকে ভর্তি করাতে পারেন। ইরতাজউদ্দিন এর বিরোধিতা করেন এবং উনাকে পরামর্শ দেন ভাবিকে নীলগঞ্জে নিয়ে আসার জন্য।

বিধিবাম, কুকুর খাবারে মুখ দিয়েছে। তাই ইরতা্জউদ্দিন মধুকে সঙ্গে নিয়ে আবার নিজের বাসার দিকে রওনা হয়। কিন্তু প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে তাঁরা আশ্রয় নেন থানায়। সেখানেই ওসি সাহেবের সন্তান-সম্ভবা স্ত্রী তাঁদের খুব যত্ন করে খাওয়ান। তৃপ্তি করে আহারের পর ইরতাজউদ্দিন উনার জন্য মন থেকে দোয়া করেন, দোয়ার কথাগুলো ওসি সাহেবের স্ত্রীর চোখে অশ্রু এনে দেয়।

ঝড় থামার পর বাড়ি ফিরে ইরতাজউদ্দিন অবাক হয়ে যান, সেখানে তাঁর বাড়ির চিহ্ন মাত্র নেই।

ইরতাজউদ্দিনের এত দুঃখের মধ্যেও মধুর শ্লোক থেমে থাকেনি। নির্বাক ইরতাজউদ্দিন, আনন্দিত স্বরে মধু শ্লোকের উত্তর জানায় – ঝড়।

একান্তে দেখা - মাওলানা ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরী


গতপর্বে ইরতাজউদ্দিনকে পারিবারিক মন্ডলে একজন স্নেহপ্রবণ মানুষ হিসাবে আমরা দেখতে পাই, এপর্বে অফিসিয়াল কাজ-কর্মের মধ্যে থেকেও হেডস্যারের সাথে তাঁর আত্মিক সম্পর্কটা জানিয়ে দেয় যে, নরম-সুন্দর মনের একজন মানুষ, সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে।

পতাকা নিয়ে হেডমাস্টার মনসুর সাহেবের সাথে তাঁর মনোমালিন্য হলেও উনার স্ত্রীর অসুস্থতায় বিমর্ষ হয়েছেন। জোহরের নামাজে উনার জন্য দোয়া করতে ভুলে গিয়ে মর্মযাতনায় ভুগেছেন, আবার নফল নামাজে বসেছেন।

স্ত্রীর ব্যাপারে বড় শ্যালককে লেখা চিঠিটা যে হেডমাস্টার সাহেব মন থেকে লেখেননি, সেই সুক্ষ্ণ বিষয়টা ইরতাজউদ্দিন বুঝতে পেরেছিলেন এবং সৎ পরামর্শ দিয়েছিলেন।

ওসি সাহেবের স্ত্রীর রান্না খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে তাঁর জন্য এমন সুন্দর দোয়া করলেন যে, তার চোখে পানি এসে গেল। এই স্বল্প পরিচয়েও তিনি তাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন মানুষকে আপন করার ক্ষমতা তাঁর অসীম।

শুধু মানুষের প্রতিই নয়, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি তাঁর ভক্তি, শ্রদ্ধা দেখে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় মন গলে যায়।
সামান্য ভাত,ডাল আর আলুভর্তা দিয়ে রাতের খাবারের আয়োজন করতে যেয়ে উনিও খুশি; কারণ নবিজী যে দু’টা খেজুর খেয়ে অনেক রাত পার করেছেন। এরমধ্যে আলু তিনটা আবার পচা। তাতে কী, আলহামদুলিল্লাহ বলে রান্নায় লেগে যান। আল্লাহ্পাক শুকুরগুজারি বান্দা পছন্দ করেন – সেই তালিকায় তিনিও থাকতে চান।

আল্লাহপাক অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। তাই তিনি রান্নার জন্য ভিজানো ডাল তুলে আবার শুকাতে দেন।

বোধকরি আল্লাহ্পাকের প্রতি অসম্ভব টান থেকেই তাঁর মনে পাকিস্তানের পতাকাটা জায়গা করে নিয়েছিল অন্য আরো অনেকের মত, বাঙালীর প্রতি বৈষম্যের ইতিহাসটাও সেই পতাকার রং ফিকে করতে পারেনি। তবে পরবর্তীতে আমরা দেখব, পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা তাঁকে বদলে দেয়, তাঁর বুক জুড়ে আঁকা হয়ে যায় লাল-সবুজের পতাকা।

একান্তে দেখা – হেডমাস্টার মনসুর সাহেব


নীলগঞ্জ হাইস্কুলের হেডমাস্টার মনসুর সাহেব এমএ. বিটি. গোল্ড মেডেলিস্ট। এত বিদ্বান একজন লোক, সুদূর পাড়াগাঁয়ের এক স্কুলে পড়ে আছেন, কতটা আদর্শিক দৃঢ়তা থাকলে সেটা সম্ভব, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।

অত্যন্ত কড়া স্বভাবের, স্কুল অন্তঃপ্রাণ এই হেডমাস্টারকে একদিনই শুধু হাসতে দেখা গেছে, যেদিন মেট্রিক পরীক্ষায় এই স্কুলের একজন ছাত্র ফোর্থ স্ট্যান্ড করেছিল।

ব্যক্তিগত জীবনটা উনার দুঃখে ভরা, মাথাখারাপ হওয়ায় বাবার কাছে থাকেন উনার স্ত্রী। যখন ভাল থাকে, বাবা পাঠিয়ে দেয় নীলগঞ্জে। ছাত্রদের কাছে ‘অমাবস্যা স্যার’ নামে পরিচিত এই স্যারের চেহারায়ও তখন ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে – স্ত্রীর প্রতি তাঁর ভালবাসাটা কী সুন্দর!

সোহাগী নদীর পাড় ধরে তিনি স্ত্রী নিয়ে হাঁটেন প্রায় প্রতিদিনই। কখনো নববধূর মতো ঘোমটা টেনে লাজুক মেয়ের মত বটগাছের গুঁড়িতে বসে থাকেন হেডমাস্টার সাহেবের স্ত্রী, আর উনি আশেপাশে হাঁটাহাঁটি করেন। বড়ই মধুর এই দৃশ্য ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় হেডমাস্টার সাহেবকে আবারো অমাবস্যা গ্রাস করে।

তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ে হেডমাস্টার সাহেবের চিন্তা-ভাবনা বলে দেয়, উনি যথেষ্ট সচেতন একজন মানুষ। একটা মাত্র উক্তিতে সেসময়ের আপামর জনসাধারণের মনের কথাটা উনি প্রকাশ করেছেন এভাবেঃ
“এক সময় এই পতাকাটাকে নিজের মনে হতো, এখন হয় না ।“

যে কথাগুলো বারবার পড়লেও পুরনো হয় না - এপিগ্রাম


১। বয়োকনিষ্ঠ একজন মানু্ষের কাছ থেকে কঠিন কথা শুনলে মন খারাপ হয়ে যায় ।
২। গ্রামের মানুষ ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে অহঙ্কার করতে ভালোবাসে।
৩। এক সময় এই পতাকাটাকে নিজের মনে হতো, এখন হয় না ।
৪। নবিজী দু’টা খেজুর খেয়ে অনেক রাত পার করেছেন।

দু’টি কথা

পহেলা মার্চ, ’৭১ – এ আকস্মিক এক ঝড়ে মাওলানা ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরীর ঘর উড়ে যায়, সমগ্র বাঙালী জাতির জীবনে যে প্রচন্ড ঝড় আগামীতে আঘাত হানবে, এ যেন তারই পূর্বাভাস।

শাহেদের গল্পটা নিয়ে আসছি আগামী পর্বে।

চলবে.....

ঢাকা
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আগের পর্বটার মত জমাট মনে হল না এই পর্বটা শামছুল ইসলাম ভাই। সময় নিয়ে আরও গুছিয়ে লেখুন পরের পর্বটা। অনেক আশা নিয়ে রইলাম। :)

ভাল থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা রইবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

গত পর্বের মত এই পর্বেও আমি যথেষ্ট সময় দিয়েছি। তবে তেমন একটা ভাল হয়নি আপনার মতে।
সব লেখকেরই চেষ্টা থাকে ভালটা দেওয়ার, অনেক সময়ই ব্যাটে-বলে হয়না।

আপনি খেয়াল করেছেন কী না জানিনি, আমি কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাট ধরে ৩য় পর্ব থেকে এগুচ্ছি।
যেমন : প্রথমে ভূমিকা, আগের পর্বের লিংক, ঘটনাপ্রবাহ, একান্তে দেখা (চরিত্র), এপিগ্রাম এবং দু;টা কথা।

আগামী পর্ব গুলোতেও একই ফরম্যাটে এগুনোর ইচ্ছে।

আপনার কোন মতামত থাকলে জানাতে পারেন।

ভাল থাকুন। সবসময়।


২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর লেখনি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

লেখনির প্রশংসায় খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমার কিন্তু বেশ লেগেছে।

চলুক সাথেই চলছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললাগার অনুভূতি জেনে উৎসাহিত হলাম।
সাথে আছেন জেনে আরো ভাললাগছে।

বিজ্ঞানী কোন বিষয় প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন।সুতরাং তার সাথে তার পরম শক্রও দ্বিমত করতে পারেননা। কিন্তু সাহিত্যিক প্রমাণের ধার ধারে না, সে কাজ করে আবেগ নিয়ে। কখনো তার সেই আবেগ কোন কোন পাঠককে ছুঁয়ে যায়, আবার কাউকে কাউকে ছুঁতে পারে না। আমি, সামান্য একজন লিখিয়ে হিসাবে, সবার হৃদয়কে ছুঁয়ে যেতে চাই। জানি, সেটা সবসময় সম্ভব না, তবে চেষ্টা থাকবে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার কাছেও ভাললেগেছে।

ইংরেজীতে একটা কথা আছে, Majority must be granted !!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "নীলগঞ্জ" বানানটা ঠিক করে নিন । এত সুন্দর লেখায় বানানটা চোখে পড়ছে!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভুলটা শুধরে দেবার জন্য।

আপনার এত ভাললেগেছে !!!!!!!

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক নীলপরি পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর করে লিখে চলেছেন। ভালো লাগছে।
এপিগ্রামগুলোও খুব ভালো লাগে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

//সুন্দর করে লিখে চলেছেন। ভালো লাগছে।
এপিগ্রামগুলোও খুব ভালো লাগে।// -- আপনার কথাগুলো আমার জন্য বিশেষ প্রেরণা।

সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৭

মেহেদী রবিন বলেছেন: বাহ! একটা পড়লাম, বাকিগুলোও পড়বো এখন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদী রবিন ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।

হ্যাপি ব্লগিং ।।।

আশা করি আগামীতে আরো কথা হবে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

শামচুল হক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগল।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মিতা পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার অনেক ভাললেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

প্রামানিক বলেছেন: এ পর্বও অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই পাঠ ও মন্তব্যে।

আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষকে সুন্দর এক কাপ চা দিয়ে আপ্যায়ন করার জন্য।

চায়ের রংটা ও ফুলটা খুব ভাললেগেছে - যা হয়ত আপনার সাদা মনেরই পরিচয় বহন করছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

ঈদ মোবারক !!!!!

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের প্রতি রইল ঈদের শুভেচ্ছা ।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, ব্যপক বিনোদন উপাদান বিদ্যমান রয়েছে লিখাটিতে । এ্‌ই বিনোদনের উপাদান থেকে সটকে পড়ার কোন ফুরসত নেই তাই এক টানে এর পাঠ শেষে এমনিতেই মনোনিবেশ হয়ে যায় । এই নিখাদ বিনোদনমুলক লিখাটির মাঝেও গণ্পের চারিত্রিক বৈশিষ্ট , মুক্তি যুদ্ধের প্রতি মানুষের প্রিতির রুপান্তর , এবং নীতিকথার মত অনেক মুল্যবান জ্ঞান আহরণ এর সুযোগ আছে লিখাটিতে । বিনিদনের সাথে জ্ঞানের বিষয়াবলীর সংমিশ্রনই একটি পোস্টকে দিতে পারে তার অনন্য সাধারণ স্বকীয়তা । এই অপরূপ বৈশিষ্ট মন্ডিত লিখাটির জন্য লিখকের প্রতি রইল অকৃত্তিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ।
শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই পাঠ ও মন্তব্যে ।

পোস্টে তথ্য তো থাকতে পারে, আবার নাও পারে ।

কিন্তু তথ্যের ভারে পোস্টটা যেন তার সৌন্দর্য না হারায়, সেদিকটা দেখতে চেষ্টা করি ।

আপনি আমার পোস্টের যতটা উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন, ততটা ভাল বোধ হয় পোস্টটা না।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

জুন বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত এই উপন্যাসটি পড়েছি আগেই। তাই আপনার প্রতিটি পর্বই বেশ ভালোলাগছে শামসুল ইসলাম। চলুক, সাথেই আছি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও মন্তব্যে ।

প্রতিটা পর্বই আপনার ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম ।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

ভাল থাকুন। সবসময় ।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,




অনেকদিন পরে এলুম । “জোছনা ও জননীর গল্প” উপন্যাসটি পড়া ছিলো অনেক আগেই । তাই আপনার রিভিয়্যু মাঝখানে মিস করে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বটে ।
চমৎকার করে একটা সময়ের জীবন কাহিনী লিখে গেছেন হুমায়ুন আহমেদ । এই উপন্যাসটি নব প্রজন্মের পড়ে দেখা উচিৎ তার অস্তিত্বের সংকট থেকে উত্তরনের জন্যে। আপনার লেখাটি তাদের কে সেই উত্তরনের পথে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে ।

ভালো থাকুন । সুস্থ্য থাকুন ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই পাঠ ও মন্তব্যে ।

ব্যস্ত জীবনে দু'একটা লেখা মিস হতোই পারে - আমার কাছে আন্তরিকতা বড় জিনিস ।

আপনার কথাগুলো খুব ভালোলাগলো ।
'"অস্তিত্বের সংকট" থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা - কথাটা মনে ধরেছে ।

আপনিও ভাল থাকুন ।

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: হায় হায়, এই সিরিজ তো মিস করা চলবে না। খুবই সুন্দর লেখেছেন!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা পাঠ ও মন্তব্যে ।

বলেন কি ভাই, আপনি আমারে তো বিপদেই ফালাইলেন । আমার অভ্যাস আবার খুব খারাপ । সিরিজ কিছুদিন চালানোর পর আলসেমি ধরে । না, এবার আর আলসেমি না ।

ভাল থাকুন । সবসময় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.