নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: বেয়ারা (শেষ পর্ব)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫




স্বপ্ন ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন, ভীষণ কষ্টের । আতিয়া এখন সেই কঠিন কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । যে মানুষটা পাশে থাকলে কষ্টটা লাঘব হতো, সেও সেদিনের পর থেকে আতিয়াকে এড়িয়ে চলে । কখন বাসায় আসে, খায় – আতিয়া বলতে পারে না । হাদির কাছ থেকে তোহার খবর পায় । রাতে তোহার উপস্থিতি বুঝতে পারে কাশির শব্দে । প্রায় সারারাত কাশে । প্রথম দিকে ছেলেমেয়েদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতো । এখন সবার গা সওয়া হয়ে গেছে । তবে আতিয়ার ঘুম আসে না । ফাহাদকে নিয়ে পাশের ঘরে অভিমানী আতিয়া এখনো ঘুমাতে পারে না স্বামীর কাশির শব্দে ।
একটু তন্দ্রা মতো এসেছিল আতিয়ার । তোহার কাশির শব্দে তন্দ্রা ছুটে যায় । ডাক্তার না দেখিয়ে, ওষুধ না খেয়ে, প্রতি রাতে এভাবে মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর কোন মানে হয় ? না, এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না ! আতিয়া বালিশটা ফাহাদের গায়ে আলতো করে চাপা দিয়ে ওঠে আসে ।
কড়া কিছু কথা তোহাকে শোনাবার জন্য আতিয়া ঘরে ঢোকে । কাশির দমকে তোহা আরো কুঁজো হয়ে গেছে । খাটের কোনা ধরে মুখ হাঁ করে মেঝের দিকে তাকিয়ে হাঁপাচ্ছে । প্রাণপণ চেষ্টা করছে কাশিটা যেন না আসে । কাশি দেওয়ার শক্তি যেন শেষ হয়ে আসছে । কিন্তু কাশি আসে । তোহা কাশতে কাশতে বুক চেপে ধরে মেঝেতে বসে পড়ে । হাঁপাতে হাঁপাতে ওয়াক ওয়াক করে একগাদা থুতু ফেলে । লাল একটা দলা মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে । আতিয়া আর সহ্য করতে পারে না । ছুটে তোহাকে হাত ধরে ওঠায় । খাটের ওপর বসিয়ে পানি নিয়ে আসে । তোহার মুখে গ্লাসটা ধরে কুলি করানোর জন্য । তোহা কুলি করে, পানি খেয়ে একটু সুস্থির হয় ।
লাল দলাটার দিকে তাকিয়ে আতিয়া হাহাকার করে ওঠে, এ তুমি কী করলে ?
ম্লান একটা হাসি দিয়ে তোহা বলে, কেন ? এই তো ভাল ।

পরদিন আতিয়া স্বামীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল । ডাক্তার আতিয়াকে খুব বকাঝকা করলেন এত দেরী করে আসার জন্য । ওষুধ লিখে দিলেন আর টেস্ট দিলেন ।
টেস্টে টিবি ধরা পড়ল । সাথে ডায়েবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপ । ডাক্তার রিপোর্ট দেখে আতিয়াকে রোগীর ব্যাপারে খুব যত্নশীল হতে বললেন । সেই সাথে পরিপূর্ণ একমাসের বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন ।
ছুটির জন্য আবেদনপত্র নিয়ে আতিয়া সচিবালয়ে গেলেন, সাথে হাদি । তোহা সাহেবের শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে হবে । নাম মজিবুর রহমান । তোহার এক সহকর্মী ওদের সাহায্য করলো । মজিবুর রহমান সাহেবের রুমের সামনে নিয়ে গেল । একটা টুলে সাদা দাঁড়িওয়ালা এক বৃদ্ধ বসে আছে । ভদ্রলোক বৃদ্ধের কাছে হাদির মা আর হাদির পরিচয় দিল । আবেদনপত্রটা বৃদ্ধের হাতে দিয়ে স্যারের সাথে উনাদের দেখা করার ব্যবস্থা করতে বললো । ভদ্রলোক ওদের ওখানে রেখে চলে গেলেন। বৃদ্ধ লোকটা ভেড়ানো দরজা ঠেলে ভিতরে গেলেন । ফিরে এসে ওদের ভিতরে যেতে বললেন । মজিবুর রহমান সাহেব হাদির বাবার কুশল জানতে চাইলেন । হাদির মার কাছ থেকে সব খবর জেনে ব্যথিত হলেন । ছুটি মঞ্জুর করে দিলেন । কথায় কথায় পরিবারের সবার কথা জানতে চাইলেন । হাদি পড়ালেখায় খুব ভাল জেনে ওর প্রশংসা করলেন । তারপর বললেন, ভাবী, চা খেয়ে যান । এতবড় অফিসার, আতিয়া খাতির রাখার জন্য চা খেতে সম্মত হলো ।
রহমান সাহেব বেল চাপলেন ।
বৃদ্ধ লোকটা রুমে ঢ়ুকলো ।
রহমান সাহেব বললেন, ‘বেয়ারা’ ।
বৃদ্ধ লোকটা বললো, জ্বি স্যার ।
‘আমাদের জন্য তিন কাপ চা নিয়ে এসো ।’
‘জ্বি স্যার ।’ বলে লোকটা চলে গেল ।
রহমান সাহেব বেশ আলাপী লোক ।
আলাপের ফাঁকে চা এসে গেল। লোকটা ওদের চা পরিবেশন করে চলে গেল ।
চা খাওয়া শেষ । রহমান সাহেব আবারো বেল চাপলেন ।
‘বেয়ারা ।’
‘জ্বি স্যার ।’
‘টেবিল পরিস্কার করো ।’
‘করছি স্যার ।’
বাবার বয়সী বৃদ্ধ লোক । তাকে কত অনায়াসে অফিসারটা আদেশ করছে । বারবার ‘বেয়ারা’ বলে ডাকছে । আতিয়ার খুব খারাপ লাগে বৃদ্ধের জন্য ।
রুম থেকে বেরিয়ে আতিয়া বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করে, চাচা, আপনার নাম কি ?
একগাল হাসি দিয়ে, ‘আবদুর রশিদ ।’
‘আমাদের জন্য, হাদির বাবার জন্য দোয়া কইরেন ।’
‘তা তো করমুই আপা, তোহা ভাইয়ের মত লোকই হয় না । আপনার ছেলেও মাশাআল্লাহ দেখতে শুনতে খুব ভাল হইছে ।’
‘হ্যাঁ চাচা, আমার ছেলে পড়ালেখায় খুব ভাল ।’
‘বাহ, তাইলে তো আমাগে এই স্যারের মত ভাল চাকরি পাইবো ।’
‘দোয়া কইরেন চাচা ।’


তোহা সাহেবের বাঁচার আকাঙ্খাটা যেন কর্পূরের মত উবে গেছে ।
তাই কোন ওষুধ, চিকিৎসাতেই উনার শরীর ভাল হচ্ছে না ।
আতিয়া বুঝতে পারে, তার স্বামী ভিতরটা ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে ।
একদিন ফজরের আজানের কিছুক্ষণ পর সবাইকে কাঁদিয়ে অভিমানী তোহা সাহেব মারা গেলেন । মনের অজান্তেই অভাবী পরিবারটা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো - তাঁর চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে যেয়ে পরিবারটা আরো বেশী দেনার দায়ে জড়িয়ে পড়ছিলো ।
অভাবের সংসারে শোক বেশী দিন টেকে না । সংসারের প্রয়োজন মেটাতে তাকে উদ্যোগী হতে হয় । আতিয়া হাদির বাবার অফিসে যান হাদিকে নিয়ে । হাদিকে একটা চাকরি দিতে বলেন রহমান সাহেবকে । এস. এস. সি সার্টিফিকেট ছাড়া পিয়নের চাকরি ছাড়া আর কোন চাকরি নেই । পিয়নের চাকরিও পাওয়া মুশকিল । একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । রহমানের সাহেবের পিয়নটা এল. পি. আর. –এ যাচ্ছে এ মাসেই ।
ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুঁটো পেলে আঁকড়ে ধরে, আতিয়া আগ-পাছ না ভেবে রাজী হয়ে যায় । হাদি ওর বাবার অফিসে পিয়নের চাকরিতে যোগদান করে । প্রতি বছর ক্লাসে প্রথম হওয়া একটা ছেলে পরিবারের জন্য চোরাবালিতে পা দিল । ধীরে ধীরে তার স্বপ্নগুলো চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে থাকলো ।


আতিয়া সবসময় চেয়েছে কারো কাছে হাত না পেতে নিজের মত চলতে । জীবনের এই সামান্য চাওয়াটা স্বামী মারা যাবার পর বিরাট চাওয়া মনে হচ্ছে । প্রতি পদে পদে তা টের পাচ্ছে ।
সেদিন তোহার ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া ও আরো কিছু আনুষঙ্গিক কাজের জন্য সচিবালয়ে গেলেন । সাথে টিপু । রহমান সাহেবের রুমের সামনে এসে থমকে দাঁড়ান । চাচার টুলটায় বসে আছে হাদি । টিপু সরল মনে জিজ্ঞেস করে, ভাইয়া, কেমন আছো ? হাদি ওর কথা না শোনার ভান করে ভিতরে চলে যায় ।
ফিরে এসে নিচের দিকে তাকিয়ে বলে, আপনারা ভিতরে যান ।
রহমান সাহেব চা খাওয়ার জন্য খুব অনুরোধ করে । কিন্তু উনি রাজী হন না ।
‘তা হলে আমি একাই খাই’ বলে নিষ্ঠুর একটা হাসি দিয়ে বেল চাপলেন ।
‘বেয়ারা ।’
‘জ্বি স্যার ।’
‘এককাপ চা ।’
আতিয়ার ইচ্ছে করছিল হাদি চা নিয়ে আসার আগেই এখান থেকে ওঠতে । কিন্তু রহমান সাহেব কাজের চেয়ে গল্প করতেই বেশী মজা পাচ্ছেন ।
হাদি চা নিয়ে আসে । কাপটা হাতে নিয়ে রহমান সাহেব নাক সিঁটকায়, বেয়ারা, তোমার চোখ নেই ? কি ময়লা কাপ । যাও, সুন্দর করে পরিস্কার করে আর এককাপ নিয়ে আসো ।
হাদি কাপটা নিয়ে চলে যায় । রহমান সাহেব আবার শুরু করেন, ভাবী, আপনার ছেলেটা বাপের মতই ভদ্র । কিন্তু বয়স কম তো । কাজ-কর্মে এখনো কাঁচা । আমি শিখিয়ে পড়িয়ে নিচ্ছি ।
আতিয়া অবাক হয়ে ভাবছে, ওকে এমনভাবে অপমান করে ভদ্রলোকের কি লাভ ?
হাদি আরো এককাপ চা নিয়ে আসে ।
‘গুড বয়, এখন কাপটা কি চকচক করছে !’
আতিয়ার মাথাটা ভীষণ ব্যথা করছে, ওর বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু লোকটা নাছোড় বান্দা । কথা বলেই চলেছে । এখন আর আতিয়ার কান দিয়ে কোন কথা ঢ়ুকছে না । ভালোই হলো । ও কানে হাত দিয়ে দেখে, কান গরম হয়ে আছে ।
এই সময় একটা ফোন আসলো । উনি ফোনটা ধরে কথা বলছেন, হাতের ইশারায় ওদের চলে যেতে বললেন ।
রুম থেকে বেরিয়ে আতিয়া আড়চোখে দেখে টুলটায় হাদি বসে আছে । টিপুর হাত শক্ত করে ধরে হন হন করে সিঁড়ির দিকে হাঁটতে থাকে ।
বাসে না ওঠে একটা বেবী ট্যাক্সি নেয় । মাথাটা খুব ব্যথা করছে । বাসায় গিয়ে কাপড় না ছেড়েই ঘুমিয়ে পড়ে ।
সন্ধ্যা হয়েছে অনেকক্ষণ হয় । আতিয়াকে মুন্নী কয়েকবার ডেকেছে । তাও ওঠছে না । ভাইরা কেউ বাসায় নেই । মুন্নী বেশ কয়েকবার দুধ বানিয়ে ফাহাদকে খাইয়েছে । অভাবের সংসারে ছোটদেরও অনেক কিছু শিখতে হয় ।
হাদি ভাই আসলো এশার আজানের পর । মুন্নীর কাছে মার গভীর ঘুমের কথা শুনে হাদি ওর মার পাশে বসে গায়ে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ডাকলো, মা, মা ।
উনি চোখ মেলে তাকালেন । ওঠে বসলেন । হাদির দিকে তাকিয়ে বললেন, বেয়ারা, তুমি আমার বিছানায় বসেছো ! তোমার সাহস তো কম না । যাও, বাইরে টুলে যেয়ে বসো।
হাদি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলে, মা, আমি হাদি । তোমার বড় ছেলে ।
হি হি করে হাসতে হাসতে আতিয়া বলে, আমার সাথে চালাকি ? আমি তোমাকে চিনি । তুমি অফিসের বেয়ারা ।
মুন্নী বলে, মা, তুমি কি পাগল হলে ? ভাইয়াকে চিনতে পারছো না ।
‘এই মেয়ে, তুই কে রে । ওর জন্য ওকালতি করছিস ।’

হাদি ধীর পায়ে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামে । হাঁটতে থাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে । রাতের আকাশে আলো নেই । ঘোর অমাবস্যা । অফিসের ‘বেয়ারা’ ডাকটা হাদি অনেক কষ্টে মেনে নিয়েছে, কিন্তু মার মুখে ‘বেয়ারা’ ডাকটা হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে । কোনদিন যে হাদির চোখ দিয়ে পানি গড়ায়নি, আজ অবিরত ধারায় তা নেমে এসে ওর গাল বেয়ে সার্টটা ভিজে যাচ্ছে ।

সমাপ্ত

আগের পর্ব গুলোর লিংকঃ

০৭/০৪/২০১৭ ইং

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,



অন্যরকম একটি কষ্টের গল্প ।

আপনার এই গল্প পড়তে পড়তে আমার এক ছেলে রোগীর বাবার বলা কথা মনে পড়ছিলো ।
হাসপাতালে পায়ের হাড় ভাঙা পরবর্তী গ্যাংগ্রিন ও ধনুষ্টংকার নিয়ে ভর্তি ছেলেটির ঔষধপত্রের জন্যে টাকা সংগ্রহে আমার কাছে অনুমতি চাইতে এসে বললো , "স্যার বাড়ি ( ভোলা) থেকে টাকা আনতে হবে , গরীব মানুষ বাড়ী গিয়ে টাকার জোগার করতে হবে । দু'দিন সময় দেন আমাকে । আর আমার ছেলেটিকে আপনি একটু দেখবেন স্যার ।"
সেই যে সে গেলো , এলো দশদিন পার করে । ধমক দিলুম , ছেলেকে ফেলে এতো দেরী করলেন ? জবাবটি ছিলো এই ---- " ভাটির নাও উজান বায় না ...." ।

আপনার গল্পেও তারই প্রতিফলন ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: টাকার জন্য ছেলের চিকিৎসা বিলম্বিত হচ্ছে, অসহায় বাবা অসুস্থ ছেলের জন্য অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করেন । অসহায় মানুষের এই চিত্র আপনার মন্তব্যে পেলাম । এবং এই রকম করুণ চিত্রের মুখোমুখি অনেকেই হয়ে থাকেন । অসহায় সেই মানুষ গুলোর জন্য মন কাঁদে, কিছু করতে ইচ্ছে করে ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: হয়তো হাজারো হাদি আছেন আমাদের আশেপাশে! আমরা যাদের বেয়ারা বলে মজা লুটে নিতে চাই!


তবে হাদিদের মনটা হয়তো কেউই বুঝতে চান না!


এমন কি তার মাও না!


প্লাস!:)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ ভালোলেগেছে ।

আসলেই যারা নিম্নপদস্থ কর্মচারী, তাদের প্রতি আমাদের ব্যবহারটা অনেক সময়েই খুব নির্মম ।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: কষ্টের গল্প। ধন্যবাদ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কষ্টের কথা গুলো অনেককাল পরেও ভোলা যায় না । তাই গল্পে কষ্টরাই এসে ভীড় করে । আপনাকেও ধন্যবাদ ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

জুন বলেছেন: শেষটা ভীষন করুন ভাবে লিখেছেন শামসুল ইসলাম । শেষ করাটা খুব কষ্টকর হলো চোখ ঝাপসা হয়ে আসার জন্য । এমন দায়িত্বজ্ঞ্যানহীন মানুষের জন্য কত পরিবার শেষ হয়ে যাচ্ছে । আপনার গল্পটা যেন গল্পের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে । সত্যি যেন না হয় ।
অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হ্যাঁ, শেষটা বেশ কষ্টের । গল্প তো বাস্তবেরই অনেকটা রূপায়ন । তাই দু:খজনক পরিণতিটা বাস্তবেও কখনো কখনো ঘটে । এবং আমার লেখনি শক্তি অনেক ভালো হলে এই গল্পটাই একটা উপন্যাসে রূপ নিতে পারতো ।

প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.