নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া ..... (শেষ পর্ব)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

১ম পর্বের লিংক: Click This Link

দু:সময়ে কেউ পাশে থাকলে ভালো হয় । প্রথমেই মনে পড়লো শাকিল ভাইয়ের কথা । উনি তারানার বড় ভাই । কাছেই থাকেন । সব পরিবারেই একজন বটবৃক্ষ থাকেন । উনি এই পরিবারের বটবৃক্ষ । উনার মোবাইলে ফোন দেয় তৌহিদ ।
-হ্যালো, কে?
-আমি, তৌহিদ।
-কী খবর তোমার?
-ভাই, তারানা আজকে দুপুরে ফার্ম গেটে গেছে, তারিকের পুরস্কারটা আনতে
শাকিল ভাই ওকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
-হ্যাঁ, সেটা তো শুনেছিলাম । এখন খবর কি বল?
-তারানার চারটার মধ্যেই বাসায় ফিরার কথা, কিন্তু এখনো ফিরেনি । আর ওকে মোবাইলেও পাচ্ছি না ।
বোনের চিন্তায় ভাইয়ে গলায় স্পষ্ট উদ্বেগ,
-তোমরা যে কি করো না! এখন আমি ওকে কোথায় খুঁজবো?
দুপ্রান্তেই কিছুক্ষনের নীরবতা, উত্তরটা জানা নেই কারো ।
ওপ্রান্ত থেকে শাকিল ভাই আবার শুরু করে,
-ঠিক আছে, আমি দেখছি কী করা যায় ।
বড় সম্বন্ধী শাকিল ভাইকে জানানোর পর ছোট সম্বন্ধী সাইফুল ভাইকে ফোন দিল ।
-হ্যালো, সাইফুল ভাইয়ের গলা ।
তৌহিদ সংক্ষেপে তারানার নিখোঁজের সংবাদটা জানালো । সাইফুল ভাইয়ের মধ্যে কোন ভাবান্তর হলো না । খুব সহজ ভাবেই ওকে উপদেশ দিল অপেক্ষা করতে । উনার ধারণা, নিশ্চয়ই কোন পুরনো বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে গেছে, দুজনে গল্পে মশগুল হয়ে আছে, মোবাইলটা হয়তো ব্যাগের মধ্যে বন্ধ হয়ে আছে কোন কারণে । উনি খুব বন্ধু পাগল এই বয়সেও । তাই ব্যাখ্যাটা সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই । কিন্তু তৌহিদ জানে, তারানা এতোটা দায়িত্বহীন নয় । কোন বান্ধবীর সাথে গল্পে মশগুল হওয়ার আগে একটা ফোন করে ওকে জানাতো যে ওর আসতে দেরী হবে ।
তৌহিদ নিজেই নিজেকে বলে,
-এখন তোমাকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে, কোন ভাবেই মাথা গরম করা যাবে না ।
শাকিল ভাইয়ের কথার সূত্র ধরে তারানাকে খোঁজার বিষয়টা ওর মাথায় এলো । ফার্মগেটে কোচিং সেন্টারের অফিসে স্বশরীরে যাওয়া যায় । ওরা নিশ্চয়ই কিছু বলতে পারবে । কিন্তু মিরপুর থেকে যাবে কিসে? বাসে করে গেলে অনেক দেরী হয়ে যাবে । শাকিল ভাইয়ের থেকে উনার গাড়িটা চাবে? ও কখনো নিজের কাজে চায়নি । উনি নিজেই কোন দাওয়াত থাকলে উনার তিনটা গাড়ির কোন একটা ছোট বোনকে দেন – তারানার নিজে কখনো চায় না । গহনা পরে এই ঢাকা শহরে ভাড়া গাড়িতে করে অতি সাহসী অথবা অতি বোকা ছাড়া কেউ দাওয়াতে যায় না ।
গাড়ির চেয়ে তো মটরসাইকেল হলে ভালো হয়, দ্রুত টান দিয়ে চলে যাওয়া যায় । শরীফের মটরসাইকেল আছে । তুহিনের ভাগ্নী জামাই, কাছেই থাকে । তৌহিদ ওকে ফোন দেয় । প্রথমে কুশল বিনিময়ের পর ওকে তারানার নিখোঁজের খবরটা বলে । শরীফ বাসায় নেই, একটু দূরে কোথাও আছে । তবে শরীফ আশ্বস্ত করে যে ও আসছে ।
তৌহিদ লুঙ্গিটা বদলে দ্রুত একটা প্যান্ট পরে তৈরি হয়ে নেয় । অপেক্ষা করছে শরীফের জন্য । কিন্তু অপেক্ষার সময় যে এত দীর্ঘ হয় ওর জানা ছিল না । মিনিট পাঁচেকেই ও অস্থির হয়ে ওঠে । শরীফ আসার আগের সময়টা ও কাজে লাগাতে চায় । পাশের ফ্ল্যাটের পাভেল ভাই আর ভাবীকে ব্যাপারটা জানানো উচিত । প্রতিবেশীর সাথে ওদের বেশ খাতির । ভালো-মন্দ কিছু একটা রান্না করলে ভাবী ওদের পাঠাবেই । এরকম নতুন প্রতিবেশী পেয়ে তারানাও বেশ খুশী । ভাবীর সাথে আলাপ করে ওর সময়টাও বেশ ভালোই কাটছে । কলিং বেল টিপে তৌহিদ দাঁড়িয়ে থাকে । পাভেল ভাই দরজা খুলে । তারানার নিখোঁজের খবরটা উনাকে সংক্ষেপে জানায় । তৌহিদ উনার কাছে র‍্যাবের কোন নম্বর আছে কি-না জানতে চায় । উনার কাছে নেই । উনি ভাবীর নাম ধরে ডাক দিলেন । ভাবী এসে সব শুনে তৌহিদকে সান্তনা দিতে লাগলো,
-ভাই, আপনি কোন চিন্তা করেন না, আমি ভাবীকে ফোন করছি ।
তাই তো, অনেকক্ষণ ওকে ফোন করা হয়নি । তৌহিদ বাসায় ফিরে তারানাকে আবারও ফোন দেয় । নাহ, কোন সাড়া নেই । শাকিল ভাইকে ফোন করে ফার্মগেটে যাওয়ার ব্যাপারটা বলার জন্য । উনার বড় ছেলে সাদত ফোন ধরে জানায় যে উনি মাগরিবের নামাজের জন্য বেরিয়ে গেছেন, মোবাইল নেননি ।
-ফুফা, কোন খোঁজ পেলেন?
-না, তবে শরীফকে ফোন করেছিলাম । ওর সাথে মটরসাইকেলে করে কোচিংয়ের অফিসে যাবো ।
-আচ্ছা, ঠিক আছে । কোন খবর পেলে জানাইয়েন, আব্বা খুব অস্থির হয়ে আছে। আমিও ট্রাই করছি ফুফুকে।
-ঠিক আছে, বলে হতাশ হয়ে লাইনটা কেটে দেয় তৌহিদ ।
এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেল । রাত আসার সাথে সাথে অমঙ্গল আশংকাটা তৌহিদকে আরো পেয়ে বসে । ওজু ছুটে গিয়ে ছিল । ওজু করে মাগরিবের আজানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে । আ্জ আর মসজিদে যাবে না । কখন শরীফ আসে, কে জানে?
নামাজে দাঁড়িয়েও তারানার কথা মনে পড়ছে । দুরাকাত না তিন রাকাত পড়েছে মনে করতে পারছে না তৌহিদ, সহু সেজদা দিয়ে নামাজ শেষ করলো । আবারও তিন রাকাত ফরজ নামাজের জন্য দাঁড়ালো । এবার দ্বিতীয় রাকাতে বসতে ভুলে গেল । সহু সেজদা দিয়ে নামাজ শেষ করলো । ওর সাধারণত: এমন হয় না । নিজের অজান্তেই ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । দুহাত তুলে বলছে, “হে আল্লাহ, তোমার এই পাপী বান্দাকে ক্ষমা করে দাও । আর তারানা যেন নিরাপদে বাড়ি ফেরে”।
কোন মতে নামাজটা শেষ করেই তারানাকে ফোন করে । রিং হচ্ছে, রিং হচ্ছে, রিং হচ্ছে । আহ্, কেউ ধরেনা কেন?
মুক্তিপণ চেয়ে হলেও কেউ ফোনটা ধরুক – তৌফিক আর পারছে না । রিং টা কেটে গেল । আবার ফোন করলো – রিং হচ্ছে, রিং হচ্ছে
-হ্যালো, তারানার কন্ঠ ।
তৌহিদ চুপ করে থাকে । তা্রানার কন্ঠটা যেন পঁচিশ বছর আগের সেই তরুণীর মোলায়েম কন্ঠের মতো লাগছে । বার বার শুনতে ইচ্ছে করছে ।
-হ্যালো, তৌহিদ ।
-হ্যাঁ, বলে সমস্ত টেনশন পানির হেস পাইপের মত গলা দিয়ে বের করে দিল । দিলটা ঠান্ডা এক গ্লাস লাচ্ছা সরবতের মত ঠান্ডা হয়ে গেল ।
একটু থেমে তৌহিদ জানতে চায়,
-তোমার মোবাইলে কী হয়েছিল?
-এখানে নেট ওয়ার্ক ছিল না । আর এরা একটার পর একটা বক্তৃতা দিয়েই গেছে । তাই এতো দেরী ।
-হ্যাঁ, বাঙালি তো মাইক হাতে পেলে আর কারো কথা মনে থাকে না । একটা সিএনজি নিয়ে তাড়াতাড়ি আসো ।
- এক ভাবী আমাকে তাঁর গাড়িতে মিরপুর দশ পর্যন্ত লিফট দিবে । সুতরাং তোমার চিন্তার কিছু নেই ।
- আচ্ছা, রাখি । বলে তৌহিদ ফোন কেটে দেয় ।
ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ দেখে যেমন আনন্দ হতো, তৌহিদের তেমন আনন্দ হচ্ছে । ও মোবাইলে সবাইকে তারানার প্রাপ্তি সংবাদটা জানালো ঈদের খুশি নিয়ে ।

.
.
.
রাজপুত্র আর রাজকন্যার গল্পের মতো এখন বলতে হচ্ছে,”অত:পর তারানা-তৌহিদ সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল”। কিন্তু তনু-রূপার মতো হতভাগ্যরা, যাদের পরম কাছের মানুষরা, এখনো শুনতে পায়, “এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । অনুগ্রহ করে ....”, তাঁদের কথা কি আপনার মনে পড়ে? চোখ দুটোকে কি জলে ভরে ওঠো না? কানে কী বাজে না “এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । অনুগ্রহ করে ....” ।

(সমাপ্ত)

মো: শামছুল ইসলাম

তাং - ১১/০৯/২০১৭

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

করুণাধারা বলেছেন: ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ দেখে যেমন আনন্দ হতো, তৌফিকের তেমন আনন্দ হচ্ছে । ও মোবাইলে সবাইকে তারানার প্রাপ্তি সংবাদটা জানালো ঈদের খুশি নিয়ে ।

Happy ending- আমারো খুব খুশি লাগছে। চারপাশে শুধু দুঃখের কাহিনী শুনতে শুনতে খুশির কাহিনী শুনতেও ভাল লাগে।

তবে শেষে এসে তনু রূপার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমাদের কাউকে যেন কখনো "এই মুহূর্তে কাংখিত নাম্বারে সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না একথা শুনতে না হয়।

গল্পে +++

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
দু:খজনক ঘটনা ঘটে, তবে সুখকর ঘটনার সংখ্যা তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী । তাই আমি সুখের সেই গল্পটাই বলতে চেয়েছি। আবার এও সত্যি, দু:খজনক ঘটনার জন্য সেই পরিবারের সবাইকে সারা জীবন চরম দু:খের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয় । তাদের প্রতি আমাদের সকলের সহানুভূতি এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদী হওয়া উচিত ।

প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত !!!

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: “এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । অনুগ্রহ করে ....” ।
কঠিন পরিস্থিতি ।

ভাল লাগলো ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কবির কোমল মনে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করার জন্য আন্তরিক দু:খিত, আবার খুশিও -গল্পটা কবিকে ছুঁয়ে গেছে ।

কবির ভালো লাগায় আনন্দ হচ্ছে ।

অসংখ্য ধন্যবাদ !!!

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,




বাস্তবের চমৎকার একটা গল্প । টেনস্‌ড করে রেখেছেন শেষের দিকটাতে । এরকমটাই হয় । প্রিয়জনের কোনও খোঁজ কিছুক্ষনের জন্যে না পেলে মনে বড় আতঙ্ক বাসা বাঁধে । যা দিনকাল !
খুব ভালো লেগেছে ঘরে ঘরে প্রতিদিনকার এমন একটি কাহিনী ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমার তো কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না । আপনি যা বলেছেন, তার পর আর কথা থাকে না । গল্পের পুরো ভাবটাই প্রকাশ পেয়েছে আপনার মন্তব্যে ।

"বাস্তবের চমৎকার একটা গল্প । টেনস্‌ড করে রেখেছেন শেষের দিকটাতে । এরকমটাই হয় । প্রিয়জনের কোনও খোঁজ কিছুক্ষনের জন্যে না পেলে মনে বড় আতঙ্ক বাসা বাঁধে । যা দিনকাল !
খুব ভালো লেগেছে ঘরে ঘরে প্রতিদিনকার এমন একটি কাহিনী ।"

অসংখ্য ধন্যবাদ !!!

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভাই পানি চাইতে চাইতে লেখা পড়ছিলাম!!


শেষে কিনা পানির বদলে দিয়ে দিলেন সরবত!;):)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা..হা..

সরবতের দামটা বিকাশ কইরেন !!!

হি..হি..

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

জুন বলেছেন: শামসুল ইসলাম আপনার লেখার মুন্সীয়ানায় আমিও তৌহিদের মত চিন্তায় ছিলাম শেষ পর্যন্ত । তারানার অক্ষত ফিরে আসাটা আজকের প্রেক্ষাপটে কিছুটা দুর্লভ । খুব সুন্দর টান টান উত্তেজনায় ভরপুর লেখাটিতে অনেক ভালোলাগা রইলো গল্পে ।
+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।

প্রতিদিন কত মা-বোন-স্ত্রী-কন্যা ঘরের বাইরে যাচ্ছে? কয়েক লক্ষ । অধিকাংশই নিরাপদে বাসায় ফিরছে । তবে তনু-রূপার মত যারা ফিরতে পারছে না তাঁদের জন্য আমাদের ভাবতে হবে । সুষ্ঠু বিচারটা নিশ্চিত করতে হবে । বিচার হচ্ছে না দেখেই একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে । এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে । এই ব্যাপারটা আমাকে ভাবাচ্ছে ।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ দেখে যেমন আনন্দ হতো, তৌফিকের তেমন আনন্দ হচ্ছে - গল্পের মধুরেণ সমাপয়েৎ এ এসে আমার মনেও তাই হচ্ছে।
জীবন ঘনিষ্ঠ সুন্দর একটি গল্প উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন!
গল্পে ভাল লাগা + +

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.