নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

#কোন_এক_বিকেলে_কক্সবাজার_সৈকতে

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৭



ভ্রমণের সময় আমি খাওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধান থাকি । হজমের সমস্যার কারণে জিহ্বাটাকে একটু শাসনে রাখি । নতুবা দুচোখ ভরে দেখার বদলে পেট মোচড় নিয়েই ব্যস্ত হতে হয় । দুপুরে টিউলিপের অনেক সাজানো খাবার থেকে বেছে বেছে কিছু খেয়ে রুমে ফিরি । ধবধবে সাদা বিছানাটা টানছে । কখন ঘুমিয়ে পড়েছি টের পাইনি ।
মোবাইলের রিংয়ে ঘুম ভাঙ্গে । রুমি ভাই ফোন করেছে । টিউলিপের কলাতলি অভিমুখী বাস ছাড়ছে – আমি যাব কি-না? উনাকে ‘না’ বলে দিয়ে ওঠে পড়ি । চারটে বাজে । পশ্চিমের জানালার ধারে যাই । পর্দা সরিয়ে দেই, স্লাইডিং জানালাটা খুলে দেই । সমুদ্রের এক ঝলক ঠান্ডা বাতাসে শরীরটা জুড়িয়ে যায় ।
.
কানে আসে শো-শো-শো..... একটানা সাগরের গর্জন । ফাল্গুনের পরিস্কার সাদা আকাশ । মিশেছে ওই দূর সাগরে ।একটা সাদা রেখার মত লাগছে আকাশ-সাগরের মিলনস্থলটা । বিকেলের মিষ্টি রোদ, বসন্তের মৃদু-মন্দ হাওয়া- আমি বসে আছি একা । টিউলিপ হোটেলের কামরায় - সামনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত । ইনানি বীচের ধে দেখতে পাচ্ছি অস্পষ্ট কিছু অবয়ব । সোফাটা সরিয়ে জানালার একবারে কাছে নেই । তার ডানে ছোট্ট টেবিলটায় একটা সাদা কাগজ আর কলম নিয়ে বসি । আজ মোবাইলে লিখতে ইচ্ছে করছে না । সাগরে কথায় পাতা ভরে ওঠতে থাকে । এমনি সময়ে কলিং বেলের আওয়াজে ধ্যান ভেঙ্গে যায় । দরজা খোলাই ছিল । সাজ্জাদ ভাই ঘরে প্রবেশ করলেন । উনি আমার সহকর্মী । লেখার ইতি টেনে বেড়িয়ে পড়লাম । শো-শো আওয়াজটা আরে কাছে থেকে শোনার জন্য ।
.
সাজ্জাদ ভাইয়ের সাথে সুইমিং পুলে আসি । উনি উনার মোবাইলটা দিয়ে কিছু ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন । ছবি তোলা, বিভিন্ন বিষয়ে কথা বার্তা বলতে চলছে । কিছুক্ষণ পর মেরিন ড্রাইভের রাস্তা পার হয়ে সৈকতে আসি । টিউলিপের সৌজন্যে কিছু জায়গা উঁচু করে পাকা করা হয়েছে । সেখানে কিছু আরাম কেদারা আছে । আমরা দুজন দুটোতে গা এলিয়ে দিলাম । নীল শাড়ি পরে সমুদ্র বয়ে চলেছে, উপরে সাদা মেঘের আঁচল বিছিয়েছে আকাশ । এসব সময়ে আমার কথা বলতে ইচ্ছে করে না । আমি সাজ্জাদ ভাইয়ে কথায় হু-হা করতে থাকি ।
.
সোনা রঙ্গে পানি রেঙ্গে ওঠছে ক্ষণে ক্ষণে । দুজনেই ওঠে পড়ি । পথে যেতে দেখা হয়ে যায় মারুফ সোবহান ভাইয়ের সাথে । চারিদিকে প্রবালের সারি সারি পাথর । টপকে টপকে চলে যাই জলের আরো কাছে । পা ভিজাই । মোবাইলটা ব্যস্ত হয়ে পড়ে অস্তগামী রবির শেষ স্মৃতিটুকু ধরে রাখার জন্য ।
.
শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে মনটা ফুরফুরে । সমুদ্রের নির্মল হাওয়ায় মনের ক্লান্তি-গ্লানি মুছে যাক - নির্মল হোক এ অন্তর ।
.
মো: শামছুল ইসলাম
তারিখ: ১৭/০২/২০১৮ ইং

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার স্বল্প সময়ের আনন্দটুকু ভাল লাগল।
লেখাটা দু’বার এসেছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ । জীবনটা ছোট । তার মধ্যে আনন্দের পরিমাণ আরো ছোট । তাই সুযোগ পেলে কাজে লাগাই । ঠিক করে দিয়েছি ।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাই ভাল লিখেছেন কিন্তু একই লেখা দুইবার পেষ্ট করেছেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ । ঠিক করে দিয়েছি ।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: গিয়েছিলাম গত বছর।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: তাই । ধন্যবাদ ।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,




সোনা রঙ এক বিকেলের কথা ।
সেই বিকেলে আপনার সাথে টপকে টপকে চলে গেছি নীল শাড়ি পড়া জলের কাছে । জলের মতো আপন আর কে আছে !

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই । কেমন কাব্যিক ভাবে বিকেল ও জলের বর্ণনা দিলেন - আমি মুগ্ধ ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

সুমন কর বলেছেন: যান্ত্রিক জীবন থেকে আপনার মনটা একটু ফুরফুরে হয়েছে, এটাও কম কিসের !!

লেখায় বিষন্নতা প্রকাশ পেয়েছে। +।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা । ঠিক বলেছেন, যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে মনটা ভালো হয়েছে । আবার সাগরের বিশালতায় যে বিষন্নতা, তাও মনকে পেয়ে বসেছে ।
প্লাসে অনুপ্রাণিত ।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

জুন বলেছেন: সমুদ্রকে ভালোবেসে আপনার লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম শামসুল ইসলাম ।
আমিও ঘুরে আসলাম শতবার যাওয়া সমুদ্রের কাছ থেকে যা কখনো একঘেয়ে হয়ে ওঠে নি ।
সেই গালফ অফ থাইল্যান্ডের কোলে ভেসে থাকা দ্বীপ সামুই এর একটি সমুদ্র সৈকতের ছবি দিলাম। খুব সকালে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নীচে শান্ত শিষ্ট সমুদ্রটি পান্না সবুজ শাড়ি বিছিয়ে দিয়েছিল যতদুর চোখ যায় সেই পর্যন্ত। আমাদের কক্সবাজারের সমুদ্রের মত মাথায় ফেনার মুকুট পরে বিশাল তরংগরাজী রাজকীয় ভঙ্গীতে বেলাভুমিতে আছড়ে পরে না এখানে। যার সেই রুদ্র রূপ আর আকর্ষনে বার বার ছুটে যাই কক্সবাজার ।
আপনার লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
প্লাস +

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সামুই দ্বীপ নিয়ে আপনার চমৎকার লেখাটা এই মাত্র পড়ে আসলাম জুন আপা । অসাধারণ । সমুদ্র সৈকতের নীল ও দূর আকাশের ছবিটা হাতছানি দিয়ে ডাকছে - সময় সুযোগ হলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে সামুই দ্বীপে । বালিতে গিয়ে ছিলাম । কুটা বীচ দেখা হলো । ভালো - লক্ষী মেয়ের মতো; কক্সবাজারের মত দস্যি নয় । তাই দস্যি মেয়েটাকে বার বার দেখলেও আঁশ মেটে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.